যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে পাকিস্তানের গোস্যা রহস্য
আবুল হোসেন খোকন
বাংলাদেশ এদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে চাইছে। এজন্য জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং দেশবাসীও জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে এরপে নিরঙ্কুশ রায় দিয়ে দিয়েছে। এরপর আর কোন কথা থাকতে পারে না। কিন্তু পাকিস্তান কেন এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপত্তি তুলছে? কেনইবা তারা গোস্যা করছে? পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানি গত ১৬ ফেব্র“য়ারি ২০০৯-এ বাংলাদেশের রাজধানীতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি উত্থাপন করার সঠিক সময় এখন নয়। এই মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। কারণ অনেক বিষয়ে আমরা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইচ্ছুক। আমি মনে করি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।” তিনি কি বলতে চাইছেন এর মাধ্যমে? তিনি কি বলতে চাইছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে বাংলাদেশকে ‘সামনের দিকে এগিয়ে যেতে’ দেবেন না? বলতে চাইছেন, বিচার করার উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধাচারণ করবেন? দেখে নেবেন? তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিষয় নিয়ে ‘নাড়াচাড়া করায়’ পাকিস্তান কি বাংলাদেশকে হুমকী দিচ্ছে? জিয়া ইস্পাহানির কথায় কিন্তু সেটাই সুস্পষ্ট। আর তিনি যেহেতু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টর বিশেষ দূত হয়ে এসে এ কথা বলেছেন এবং পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবাণী নিয়ে আসেনÑ সেহেতু এটাকে আর ব্যক্তিগত পর্যায় বলে মনে করার যুক্তি নেই। এককথায় ইস্পাহানি পাকিস্তান রাষ্ট্রের হয়েই বাংলাদেশে এসেছেন এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাষ্যই তিনি বলেছেন। প্রশ্ন হলো, তিনি বা তার পাকিস্তান কি এটা বলতে বা করতে পারে? সে মতা পাকিস্তান রাখে? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর কিন্তু না-না-না। তাহলে? তাহলে এই ধৃষ্টতা কেন-কিভাবে-কোন সাহসে? এতোবড় ধৃষ্টতা, হুমকী এবং স্পর্ধা বাংলাদেশ কি চুপ করে সহ্য করবে? করা উচিৎ? না, মোটেই নয়, মোটেই উচিৎ নয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিৎ। সেইসঙ্গে পাকিস্তানি ওই দূতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গসহ রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। আর এটা গোটা বাংলাদেশের দাবি। কারণ পাকিস্তানি দূত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বাংলাদেশকে সুস্পষ্টভাবে হুমকী দিয়েছেন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে ভূমিকা রাখা বাংলাদেশী যুদ্ধাপরাধীরা আজও বহাল তবিয়তে, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে এরা টিকে রয়েছে। এদেরকে নিয়েই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশে ৩০ ল মানুষ হত্যা করেছিল, ৪ লাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানী করেছিল, গোটা বাংলাদেশের সহায়-সম্পদ লুটপাট করেছিল, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করেছিল। যুদ্ধে পরাজয়ের পর এই যুদ্ধাপরাধীদের দিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতো সন্ত্রাস এবং অপরাধমূলক তৎপরতা তার সবই পরিচালনা করা হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশকে পিছিয়ে আর পিছিয়ে, কলুষিত আর কলুষিত করে, সংকট আর জটিলতা তৈরি করে ধ্বংস করে দিতে চাওয়া হয়েছে। আজও সে অপচেষ্টা বন্ধ হয়নি। সুতরাং বাংলাদেশ আজ আত্মরা করতে যখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, একাট্টা হয়েছেÑ তখনই পাকিস্তানের এই গোস্যা, আপত্তি, জ্বালা! এটা বুঝতে কারও বাকি থাকে না যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ দেখে পাকিস্তানের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে হিতাহিত জ্ঞানও তারা হারিয়ে ফেলেছে। না হলে কোন রাষ্ট্র কখনও বিশেষ দূত পাঠিয়ে এ ধরণের হুমকী দেওয়াতে পারে? মন্তব্য করাতে পারে? কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করাতে পারে? পারে না। সুতরাং ঘটনাটি অতি সাংঘাতিক বলেই বিচেনা করতে হবে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রোপটে অনেকেই পাকিস্তানকে একটু ইতিবাচক চোখে দেখার করেছেন। কারণ দেশটিতে দীর্ঘদিন অগণতান্ত্রিক অপশক্তি মতা দখল করে ছিল। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি জনগণ লড়েছেন। জনগণের অন্যতম দুই নেতা-নেত্রী নওয়াজ শরীফ এবং বেনজির ভুট্টোকে দেশ থেকে মাইনাস করা হয়েছিল। তারপর গণঅসন্তোষের চাপে তাদেরকে দেশে ফিরতে দিলেও অপশক্তির বুলেট শেষরা করতে দেয়নি বেনজির ভুট্টোকে। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে প্রকাশে। তারপর আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে দেশটির আন্দোলনকারী মানুষকে। তারা বন্দুকবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনমত গড়েছেন এবং একটি নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের শক্তিকে বিজয়ী করে মতায় বসিয়েছেন। বেনজির ভুট্টোর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয়ের পর স্বভাবতই আমরা অনেককিছু ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের দূত বাংলাদেশে এসে যে ভূমিকা রেখে গেলেন এবং যে অবস্থান তুলে ধরলেনÑ তাতে সব ধারণা ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, আর কুকুরের লেজ সোজা হয় নাÑ সেটাই প্রমাণ হলো এর মধ্যদিয়ে। চারিত্রিকভাবেই পাকিস্তান রাষ্ট্র যে একটি নষ্ট রাষ্ট্র সেটা আবারও আমরা দেখতে পেলাম। না হলে এই দু:সাহস এবং অসভ্য আচরণ প্রত্য করতে হতো না।
এখানে একটা কথা না বললেই নয়। সেটা হলো, নষ্টদের একটা আশ্রয়স্থল হলো সৌদি আর ওয়াশিংটন। পাকিস্তানে যখন অগণতান্ত্রিক শক্তি মতা দখল করে কব্জায় রেখেছিল, তখন মাইনাস হওয়া দুই নেতানেত্রীর আশ্রয়স্থল ছিল ওই দুই দেশ। আবার যারা মতা কব্জা করে রেখেছিল, তাদেরও প্রভু ছিল ওই দুই জায়গাই। সুতরাং খেলাটা বড় চমকপ্রদ এবং জটিল। এই জটিলের খেলা পাকিস্তাকে কেন্দ্র করে ত্রি-সূত্রেরই নয়। এর শেকড় বা নেটওয়ার্ক আরো অনেক বড়। আমরা ’৭১-এ তা দেখেছি। নতুন প্রজন্মের মানুষও অনেক কিছু দেখছেন। সারা পৃথিবীময় এই শেকড় বিস্তৃত রয়েছে। প্রভুরা যেভাবে খেলান, সেভাবে তার খেলোয়াররা খেলে। এ েেত্র কথিত মহাপরাশক্তির দোসর হলো সৌদি আরব, আর সৌদি আরব ভায়া হলো পাকিস্তান। এই ক’য়ে মিলে বাংলাদেশের উপর আছর। ’৭১-এর প্রমাণ ছাড়াও এখনকার ভিত্তি হলো এই যুদ্ধাপরাধীরা। এখানেও আবার সুতো বা শেকড়ের বিস্তৃতি রয়েছে। আর সে কারণেই কিন্তু চলতি সংসদে জাতীয় নেতারা অনেক কথা বলেছেন, যার মধ্যদিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক কিছু।
যেমন বাম নেতা রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আদলে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশের ডিজিএফআই। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই ডিজিএফআই পাকিস্তানি আইএসআইয়ের মতো বাংলাদেশর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। এসময় এই সংস্থাটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নানা হস্তপে এবং বিশেষ করে নেতাদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালায়। এসময় ডিজিএফআই প্রচারমাধ্যমসহ সব মহলের কাছে এক আতঙ্ক হিসেবে বিরাজ করে। আইএসআইয়ের কায়দায় ডিজিএফআই ইনফরমেশন সেল গঠন করে টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পলিটিক্যাল উইং করে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। সংস্কারের নামে দল ভেঙেছে। কিংস পার্টি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। মেনন সংসদে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান হিসেবে পরিণত করা হয়েছিল কিনা? চলতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ভেতরে-বাইরে আরও বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ একই কথা বলেছেন। তারা তাদের উপর সামরিক বাহিনীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পৈশাচিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ সেলিম এমপি বলেছেন, জয়েন্টইন্টারগেশন সেলে একটানা ৪৮ ঘণ্টা তাকে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। চালানো হয়েছে পৈশাচিকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। চোখ বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়েছে। মাথার উপর জ্বালানো হয়েছে হাজার পাওয়ারের বাল্ব। প্রচণ্ড গরমে যন্ত্রণাহত করা হয়েছে। ইলেকট্রিক শক চালিয়ে মাথার মগজকে লাফালাফি করানো হয়েছে। কানে-মুখে সর্বশক্তি দিয়ে চপেটাঘাত করা হয়েছে। কানের পর্দা ফেটে রক্ত ঝরতে থেকেছে। পৈশাচিক নির্যাতনে অজ্ঞান হয়ে যেতে হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৭ সালের ২৯ মে তাকে যৌথবাহিনী আটক করে এবং ইন্টারগেশন সেলে নিয়ে বলা হয়, তাদের (সামরিক বাহিনীর) কথা না শুনলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে, পরিবারের সবাইকে অস্ত্র মামলায় আসামী করা হবে এবং নেওয়া হবে ক্রসফায়ারে। সেখানে বাইফোর্স করে কথা রেকর্ড করা হয়, বাজিয়ে শোনানো হয়। বলা হয়, যতোণ পর্যন্ত না শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলা হবে, ততোণ নির্যাতন করা হবে। বাইফোর্স করেই আদালতে বলার জন্য ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাকে রিমান্ডে নিয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী, এমপি বা জননেতা বলে কোন সম্মান করা হয়নি। ঠিক একই কথা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এমপি। প্রবীণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও তার উপর যে পৈশাচিক নির্যাতন এবং অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিকতাকেও হার মানিয়েছে। এরকম আরও বিবরণ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। তিনি এজন্য সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে অভিযুক্ত করেন।
সুতরাং শেকড় যে কতো প্রথিত তা বলারই অপো রাখে না। আর রাখে না বলেই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের একাট্টা অবস্থানে বিচলিত। কারণ কান টানলে মাথা আসে। এখানেও সে ব্যাপারটি রয়ে গেছে। যদি যুদ্ধাপরাধীদের গলায় ফাঁস পড়ানো হয় তাহলে পাকিস্তানী আরও দোসর বা নেটওয়ার্কগুলোর অবস্থা বিপদজনক হয়ে যাবে, তারা ফেঁেস যাবে। এমন হলে বাংলাদেশে আর শয়তানি করা যাবে না, এ দেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠেকানো যাবে না। ভেঙে গুড়িয়ে যাবে পাকিস্তানি সকল নেটওয়ার্ক এবং ষড়যন্ত্র। সে কারণেই পাকিস্তানি দূতের মুখোশটা মিডিয়ার সামনে খুলে পড়েছে। এই খুলে পড়ার মধ্যদিয়ে কার্যত থলের বিড়ালই বেড়িয়ে পড়েছে।
সুতরাং শেষ কথা হলো, কোন শত্র“ বা শত্র“দের সঙ্গে রেখে কখনই দেশ চালানো যেতে পারে না। দেশের উন্নয়নও সম্ভব নয়, অশান্তি দূর করারও সম্ভব নয়। দেশরা করতে হলে তাই ’৭১-এর যদ্ধাপরাধীদের মতো সব পাকিস্তানি দালালদের বিচার করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হলে কোন কাজই করা যাবে না, দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন কোনটাই অর্জন করা যাবে না। রাজনৈতিক মতা সবসময়ই থাকবে চরম হুমকীর মুখে। অতএব বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া চলবে না কোনভাবেই।
[ঢাকা, বাংলাদেশ : ২০ ফেব্র“য়ারি ২০০৯]
আবুল হোসেন খোকন : সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট।
এখানে আমাদের বিষয় হচেছ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নাকি প্রতিশোধ।i have visited one of the websites you referred me to name war criminals. Ironically the website meltingpot put LT Gen Yaqub khan on war criminals list as well. he was the guy who opposed the army operation in 1971 and resigned from his post as martial law administrator of east pakistan on march 6th, 1971 as a protest. He was even called traitor by fellow pakistanis for supporting bengali cause, i wonder how could he be on the war criminals list.
@Tausif,
Let Mr. LT Gen Yaqub khan prove that he is innocent. Now, we are in the process of trying our own war criminals (Razakar, Albadar).Let is take care of this killers first then we will think about paki killers. I think some people are trying to defend those war criminals here.
Thank you
Dear Faisal
I do consider all the innocent peoples who were killed in the 1971 war irrespective of their cast, religion or race as if my own brothers, sisters, This includes all innocent bengalis , Biharis or any other non bengalis. We just can not glorify killings of one race like nazis as you put on your earlier mail. We seek justice for everyone. Did Americans glorify for current iraq war criminals like Lynndie England and many others or put them behind bar for 30 years. Why should we glorify for a war criminal like kader siddiki who killed a 6 years old boy in front of many international media, what was the fault of that kid, for being from a bihari race ? Why he shouldnt be tried for the war crime as well ?
As far as killings of bengalis considered currently no pakistani media or intellectuals deny them. if you are referring to killings of professors/intellectuals during the month of march, there is no slightest doubt it was carried out by the pakistani armies and we do seek justice for them. If you are referring to the dead bodies found in rayer bazar of intellectuals , this was done by fellow bengalis not pak armies since by that time they had already surrendered to indian army, We do seek justice for them as well.
Thanks
Tausif Bihari
@tausif,
Dear Tausif,
As I said I don’t have any personal grudge against any paki or Biharis who are/were not responsible for the heinous act of 1971 genocide. Biharis( may not be all of them) in then East Pakistan killed a lot of Bengalese and collaborated with paki army that’s why Kaderia Bahini got furious and wanted to get a revenge. But, generally speaking, killing a 6 years old boy is unacceptable but let me ask you this question? Do you know, how many Bengali men, women and children also got killed by paki army and biharis in 1971? So when we won the war in 1971, loosing party must have to pay for collateral damage. Please don’t get me wrong. Before you try Kader Siddiqui , you have to find out who initiated this war? Who first started killing innocent Bengalese and raped women? Who butchered minority Hindus? Bengalese never wanted a war between two Muslim nations. Please think about it before trying Kader Siddiqui.
Thank you.
Dear Faisal
Thanks for your reply, unfortunately you have been blinded by emotions and speaking like neo nazis. First of all i do not support any pakis , biharis
(i am bihari myself) or whoever who took part in bengali killings in 71. I live in karachi i would request you to come up with enough evidence and names of the pakistan origin persons who took part in bengali slaying. i would take your case to pakistan court myself at my own expense. i have a same question to you. how do you know the dead bodies floating and animal eating the dead bodies were of bengali peoples and not biharis.
@hassan,
My friend,
Of course I am filled with emotions. How would you feel if your own sister being raped or your family members brutally killed by paki army. What would you do? Would you act like a nice man or you retaliate? I would put the ball in your court for the answer. War crime of then West Pakistan is not a myth, it’s a reality and the whole world knows about it.Brother, you want me to come up with EVIDENCE? I am assuming you are Muslim and I don’t expect any kind of hypocrisy from you just because you want to prove that Muktis were also involved in war crimes. Brother there are tons of evidence…
Just visit below pages
http://www.mukto-mona.com/1971/English/archive.htm
http://www.gendercide.org/case_bangladesh.html
http://www.genocidebangladesh.org/
http://meltingpot.fortunecity.com/hastings/430/
There are more websites in the net and if you want more let me know and ask other members of muktomona. I have no personal grudge against regular pakis or biharees because they are not responsible for this genocide. You also said “i have a same question to you. how do you know the dead bodies floating and animal eating the dead bodies were of bengali peoples and not biharis.” So you want to say that that all these dead bodies and mass graves found in Bangladesh that we always see in the pictures/videos are not Bengalese only beharees or may be pakis? Is that your point? OK so when we found the distorted dead bodies of Dhaka University professors/intellectuals in the mass graves and after that you want to say they might be biharis? If that’s the case, I am wasting my time here arguing with you. After World War II, millions of dead bodies of Jewish people found in the mass graves all over the Europe and even Nazis never questioned the identity of those dead bodies like you. Lots of Nazis also got killed in the war by allied forces now have you ever heard that German people said we also have try Americans, Russians, France and other allied forces because they killed Nazis? FOR your kind information,Germans are not like pakis, they are still trying war criminals who are hiding all over the world. You don’t have to take this to Pakistani court because nothing gonna happen. Our present govt. will take care of this. Let us take care of our local dalals (Razakaar, Al Shams, Al-Badr) first then we will take care of the pakis and biharis responsible for war crimes. We know the mentality of most pakis and they would never admit that their nation was involbed with one of the worst genocide in the history.
Nothing personal brother, all about facts and reality.
Thanks..
আমার দুঃখ হলো —জিয়া ইস্পাহানি“১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি উত্থাপন করার সঠিক সময় এখন নয়। এই মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া করা উচিত নয়।’ এমন উক্তি করার পরও আমাদের সরকার কেন তাকে আরও কয়দিন বাংলাদেশে অবস্থান করতে দিল এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী কেন তার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দিলেন?
Let down DGFI
আপনি কি কাদের সিদদকীর বিচার করার সমরথক যিনি ৫ জোন বিহারি কে টি ভি ক্যমরার সামনে হত্যা করেন ? youtube এ video avilable আছে
@hassan, না সমরথক নই ত েব িডিজএফআইেয়র িব্য় ব্যবসথা েনয়ার পক্ষ
@Prodip, যুদ্ধাপরাধীরা তো উভয় পক্ষে ছিলেন। আপনি কি বাঙালি যুদ্ধাপরাধীরদের ও বিচারের পক্ষে। দেখুন এই link এ কিভাবে কাদের ৫ জন innocent বিহারিকে এবং ১ জন ৬ বছেরর শিশুকে ঠানডা মাথায় হত্যা করে
http://www.youtube.com/watch?v=ufisW9Dao7k
@hassan,
How do you know they are innocent Biharees? I came from a Prominent Biharee neighborhood in Chittagong and I know how they butchered Bengalese in 1971. They Deserved this. If I were a Mukti in 1971, I would have killed them too because they killed my people and helped Pakis. All these Razakars should be wiped out from our land. They can go to Pakistan. Biharees are lucky that Kader only killed five; he should have killed more and kicked out all these Biharees from our country. I might sound ruthless but whenever I see my people’s dead body floating in the river or animals are eating their flesh “Kodar Kosom” I feel like going back to 1971 and kill all these Paki Armies and Razakars. I don’t understand how could someone even raise that question to try Mukti Bahini? ‘Cause Mukti never killed Buharees and Paki Army at the first place. Pakis killed us first and we fought back and killed them. I think every one got my point.
Thanks.