কাঙাল ফিলসফি ভার্সাস যুবরাজ ফিলসফি
(শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নিবেদিত)
ছগীর আলী খাঁন
ঈদানীং বাংলাদেশে হট-কেক সংবাদের বড়ো আকাল চলছে। এমনসব সংবাদ লীড নিউজ হিসেবে ছাপা হচ্ছে স্বাভাবিক অবস্থায় যেগুলির স্থান প্রথম পাতা তো দূরস্থান, ৫ম পৃষ্ঠার নীচের দিকে স্থান পাওয়ারও যোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর নিষেধের কারণে নুতন মন্ত্রী মহোদয়রাও আজকাল তেমন একটা মুখ খুলেন না, ফলে স্কুপ নিউজ তৈরী হওয়ার ক্ষেত্র নিদারূনভাবে সংকুচিত হয়ে গেছে। এই অবস্থাকে কেউ কেউ সংবাদের মঙ্গাকাল বা নীরব দূর্ভিক্ষাবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হায়, কানসাট-শনির আখড়া-বাগমারা-সুর্য্যদীঘল বাড়ী; সেই সোনালি দিনগুলি আবার কি ফিরে আসবে আমাদের জীবনে? সংবাদপ্রিয় জাতি হিসেবে বাঙালীর সুনাম আছে, পেটে ভাত থাক আর না থাক উত্তেজক সংবাদ না হলে তার মনে স্বস্তি থাকে না। একাত্তরে প্রতিদিন রাত্রিবেলা পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর ঠুসঠাস হতো, সেই শব্দ আমাদের মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিত- চোখে নেমে আসতো ঘুম। বাই চান্স কোনদিন ঠুসঠাস না শুনলে মনে মহা অশান্তির সৃষ্টি হতো। দেশ স্বাধীন হলে ঠুসটাস বন্ধ হয়ে যায় এবং নিদ্রার নিদারূন ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। অবশ্য বেশীদিন এই অবস্থা স্থায়ী হয়নি। সিরাজ শিকদারের সর্বহারা পার্টি এবং জাসদের গণবাহিনী অচিরেই শূন্যস্থান পুরণে এগিয়ে আসে। তারা থানা লুট, ব্যাঙ্ক লুট, পুলিশ হত্যা, এমপি হত্যা, জোতদারের গলাকাটা, পাটের গুদামে আগুন দেয়া ইত্যাদি নানাবিধ বিপ্লবী কর্মকান্ডের সূচনা ঘটিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টিতে এক বিরাট ভুমিকা পালন করে। এইসব হট-কেক খবরকে সম্বল করে তৎকালে গণকণ্ঠ, হক-কথা ইত্যাদি কাগজগুলি রমরমা ব্যবসা করেছিল। মহাজোটকে ভোট দিলে এমন সংবাদ-মঙ্গার সৃষ্টি হবে জানলে পাবলিক এমন পাগলের মতো ভোট দিতো কিনা সে সম্পর্কে দারুন সন্দেহ আছে আমার।
প্রতিদিনের মতো ৭ তারিখেও (ফেব্র“:) এক বুক হতাশা নিয়ে সংবাদপত্রের পাতা খুলেছিলাম। একরাশ ছাইপাশ খবরের মধ্যে একটা ছোট্ট খবর নজর কাড়লো আমার।
১- ছয় মন্ত্রীর সাদাসিধে জীবন (সমকাল)।
২- সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্ক থেকে বাংলাদেশের লোকাল ব্যাঙ্কে বাবরের বেশ কয়েক কোটি টাকা রেমিট্যান্স। (প্রায় সব ক’টি সংবাদপত্র)।
খবরগুলি বেশ ইন্টারেষ্টিং বলে মনে হলো আমার। বিশেষ করে শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়–য়ার সাত শ’ স্কয়ার ফিটের বাসার হালহকিকত নিয়ে যা ছাপা হয়েছে- তা রীতিমতো লোমহর্ষক। একে তো আন্ধা গলির ভেতরকার এক জরাজীর্ণ কবুতরের খোপ, তার মধ্যে আবার ভাঙা সোফাসেট, সুইট এইটিন নড়বড়ে ফ্রিজ। একেবারে বেহাল অবস্থা, মন্ত্রীত্বের প্রেষ্টিজ আর থাকে না। এতো পশ্চিমবঙ্গীয় দাদাদের কালচার। রবীন্দ্রনাথ কাঙালীত্বের জয়গান করে লিখেছিলেন- “রয় যে কাঙাল দিনের শেষে শূন্য হাতে”। তার দর্শন বজায় রাখতে দাদারা কাঙাল সাজার তপস্যায় নেমেছেন। কোথায় যেন পড়েছিলাম, প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দল সিপিএম এর সাধারণ সম্পাদক বিমান বসুর থাকার জায়গা পার্টি অফিসে, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যরে ঠিকানা আলিমুদ্দিন রোডের ছোট্ট একটি ফ্ল্যাট বাড়ীতে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে ঝুপড়িতে থাকেন তা দেখলে যে কোন সংবেদনশীল বাংলাদেশী ভাইয়ের হার্ট এটাক হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে। পুর্ব পাকিস্তান এবং পঁচাত্তরপুর্ব বাংলাদেশে অবশ্য এই কালচার চালু ছিল। মাওলানা ভাসানীর ঠিকানা ছিল কাগমারীর একটি টিনের ঘর, কাঁচা মেঝে। শেরে বাংলা উকালতি করে প্রচুর আয় করতেন সত্য, তবে দানখয়রাত করতে যেয়ে তার প্রায়ই বাজার খরচায় টান পড়তো বলে বহু গল্প চালু আছে। বঙ্গবন্ধুর সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা না টানাই ভাল। কারণ রাজনীতি করতে যেয়ে যে লোকের বাইশটি বছর জেলেই কাটাতে হয় এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যাকে সপরিবারে নিহত হতে হয়, সাদাসিধে জীবনযাপন ছাড়া তার আর করার কী ছিল? ভাগ্য গড়তে হলে কমসে কম দশটি বছর ক্ষমতার আশে পাশে থাকতে হয়। পঁচাত্তরের পর জেনারেল জিয়া এসে এই কাঙালি ফিলসফির অবসান ঘটিয়ে যুবরাজ কালচারের সূচনা করেন, ঘোষণা দেন- ”মানি ইজ নো প্রব্লেম”। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে যুবরাজ ফিলসফির প্রবর্তন করলেও ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি নাকি কাঙালি দর্শন ফলো করতেন বলে তার অনুসারীরা প্রচার করে থাকে। তারা বলে- তিনি এতটাই কাঙাল ছিলেন যে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তার একটি গেঞ্জী কেনার সামর্থ ছিল না, শতচ্ছিন্ন গেঞ্জী ব্যবহার করতেন। ভাঙা সুটকেসের ভেতর সস্তা দামের ৫৭০ সাবান ও কমেট ব্লেড সম্বল করে তিনি রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনা করতেন। সে যাকগে, জিয়ার শাহাদতের পর তার উত্তরসুরী এরশাদ ও তার সুযোগ্য পতœী খালেদা কাঙাল ফিলসফির অবসান ঘটিয়ে যুবরাজ ফিলসফির সূচনা করেন। তাদের অনুসারীরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এই ফিলসফির চর্চা করতে থাকে। রাজনীতি-ব্যবসার কল্যানে দেশে রাতারাতি শত শত কোটিপতি ওডিপতির উদ্ভব ঘটে। অবস্থা এমন হয় যে মাত্র দশ বছরের মাথায় এজন অশিক্ষিত বডিগার্ড মিডিয়া ব্যারণ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, মালিক হয়ে যায় ব্যাঙ্ক বীমা কোম্পানীর। ঘুষ, দূর্ণীতি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি রীতিমতো শিল্পের আকারে আত্মপ্রকাশ করে। ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের হাত থেকে ছাত্রের বাপদের হাতে চলে যায়। একটি মানানসই নধর ভুড়ি এবং বিবি-বাচ্চার মালিক না হলে ছাত্রনেতা হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অবস্থার এতটাই উন্নতি ঘটে যে নতুন প্রজন্মের কাছে ত্যাগ, সততা, ন্যায়পরায়নতা, আদর্শ ইত্যাদির কথা বললে তারা হাসতো, ব্যাকডেটেড ইডিয়ট বলে কৌতুক করতো। এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে টাকা কামাই করাটাই নাকি মুখ্য কথা, পদ্ধতিটা বড় কথা নয়। ৯৬-০১ মেয়াদে প্রথমবারের মতো ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীবর্গ প্রথম কয়েক বছর কিছুটা দ্বিধাধন্দে ছিলেন। কিন্তু অচিরেই তারা যুবরাজ ফিলসফির মাহাত্ম হৃদয়ঙ্গম করতে সমর্থ হন এবং তা সাদরে গ্রহণ করেন। তারা যে যুবরাজ ফিলসফি গ্রহণ করেছিলেন এবং নিষ্ঠার সাথে এর চর্চা করেছিলেন – ক্ষমতার শেষ বছরে দূর্ণীতিতে বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের মধ্যে তার প্রমান মেলে। মতিয়া চৌধুরির মতো গোটাকয়েক মন্ত্রী অবশ্য এই স্রোতে গা ভাসাননি, কাঙাল ফিলসফিতেই অটল ছিলেন। ফলশ্র“তিতে হাসান মশহুদ চৌধুরীর বিখ্যাত দূদকের সংবেদনশীল মাইক্রোসকোপ পর্য্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন দূর্ণীতির জীবানু খুঁজে বার করতে ব্যর্থ হয়। আফশোষ।
এই সর্বগ্রাসী নৈতিক অবক্ষয় যুগের দাবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে আমাদের সমাজে। পয়সাহীন কাঙাল লোককে অজ পাড়াগায়ের লোকটি পর্য্যন্ত করুনার চোখে দেখে। যার যতো পয়সা আছে সমাজে তার ততো কদর। পয়সা সে চুরি করে বানিয়েছে নাকি কালোবাজারি করে কামিয়েছে- তাতে কারও কোন ইন্টারেষ্ট নেই। এই অবস্থায় কোন্ বিবেচনায় শেখ হাসিনা গাব্দাগোব্দা হেভি ওয়েটদের বাদ দিয়ে বেছে বেছে এইসব দীনহীন কাঙালদের নিয়ে মন্ত্রীসভা সাজালেন -ভেবে কুল পাচ্ছি না। তিনি কি বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গীয় কালচার চালু করতে চান? তিনি কি এই মেসেজ দিতে চান যে রাজনীতি কোন লাভজনক ব্যবসা নয়, সমাজসেবা? তিনি কি নির্লোভ, নিরহঙ্কার, সততা এইসব বিলুপ্তপ্রায় টার্মগুলিকে পুনরায় সমাজে পুনর্বাসিত করতে চান? তিনি কি যুবরাজ কালচারকে প্রত্যাখ্যান করে হক-ভাষানী-মুজিবদের কাঙালি কালচার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চান?
যদি তাই হয়, তবে সশঙ্কচিত্তে সাধুবাদ জানাব তাকে। সশঙ্কচিত্তে এই জন্যে যে বড়ো কঠিন একটি কাজ এটি, প্রায় অসম্ভবও বলা চলে। তবে আমাদের জীবন হতে হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধগুলিকে পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো বড়োমাপের কাউকে হয়তো পাওয়া যাবে না, তবে তার কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা যদি এগিয়ে আসেন তবে জনগণ খুশী হবে তা নির্দ্ধিধায় বলা যায়। দেশের যুপকাষ্ঠে তার সবকিছু বলি হয়ে গেছে, বাপ-মা-ভাই-বোন সব। তিনি যে শারিরিকভাবে বেঁচে আছেন এটাই একটা মিরাকল। দেশের কাছ থেকে পাওয়ার মতো আর কিছু বাকী থাকার কথা নয় তার। জীবনের শেষলগ্নে তিনি যদি দেশের জন্যে কিছু করতে চান- এখনই তার প্রকৃষ্ট সময়। তবে এই পথে নামতে হলে অনেকটা বদলাতে হবে তাকেও। আত্মীয়-তোষণ স্বজন-তোষণ বাদ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যে দেশের গরীব জনসাধারণের চেয়ে বড়ো স্বজন আর কেউ নেই তার। দূর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে যে সব প্রতিষ্ঠানগুলি কাজ করছে (যেমন টিআই, সুজন ইত্যাদি) তাদেরকে প্রতিপক্ষ না ভেবে তাদের কাজে সহযোগীতা করতে হবে, প্রয়োজন হলে এরূপ আরও প্রতিষ্ঠান যাতে গড়ে উঠতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। দূদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। মানুষকে এই মেসেজ দিতে হবে যে সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন কিন্তু দেখে যেতে পারেননি, তার সেই অস¤পূর্ণ স্বপ্নকে স¤পূর্ণ করার ব্রত নিয়েছে তারই কন্যা। দূর্ণীতিবাজ চরিত্রভ্রষ্ট লোকদের বিপক্ষে যাতে গণমানসে ঘৃনার সৃষ্টি হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে বিভিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগের নেতারা চরদখলের পুরাতন চর্চায় নেমে গেছে, আজও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে, বিমানবন্দরে দুই গ্র“পের বন্দুক যুদ্ধের খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। দলের চরম দুঃসময়ে নেত্রীকে যখন যৌথ বাহিনীর লোকেরা এ্যারেষ্ট করে চোরের মতো ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন এইসব বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের কাউকে সক্রিয় দেখা যায়নি। এখন দল ক্ষমতায় যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে পুরোনো ধান্দা, পেশীশক্তি দিয়ে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি নিজেদের কব্জায় রাখা। এই সোনার ছেলেদের কার্য্যকলাপে ইতিমধ্যেই দলের ইমেজের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে, এ যেন আর কিছুতেই বাড়তে না পারে- শক্তহাতে তার ব্যবস্থা নেয়া দরকার। পরম আস্থায় আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছে এবার, তাদের অর্পিত আস্থার মর্য্যাদা না দিতে পারলে কোন্ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে তার প্রেডিকশন করতে খুব বড়ো মাপের ভবিষ্যৎবক্তার প্রয়োজন হয় না।
নেত্রী সমীপে সর্বশেষ নিবেদন আমার। বিএনপি লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে সত্য, তবে একথা মনে রাখতে হবে যে বিএনপি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি। পার্লামেন্টে তাদের সিট থাক আর না থাক, তাদেরকে অবজ্ঞা করে সুস্থিরভাবে দেশ চালানো যাবে না। পার্লামেন্ট যাতে অকার্য্যকর হয়- সর্বপ্রযতেœ সেই কাজটিই করবে তারা। ছুতো পেলেই রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেবে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্যেই বিদায়ী স্পীকার একতরফাভাবে বিএনপিকে সামনের বেঞ্চে এতগুলো সিট বরাদ্দ করেছিলেন। জমিরউদ্দিন সরকারের রোপণ করা বিষ কাঁটায় পা না দিয়ে ফ্রন্ট বেঞ্চে বিএনপিকে যদি আরও দু’পাঁচটা সিট বাড়িয়ে দেয়া হয়, ক্ষতিটা কী? এতে শুধু যে আওয়ামী লীগের সদিচ্ছাই প্রমানিত হবে তাই নয়, গণমানসে একথা সুস্পষ্ট হবে যে থ্রিফোর্থ মেজরিটি নিয়েও আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী আচরণ দেখাতে চায় না, বিরোধী দলকে তার প্রাপ্য মর্য়্যাদা দিয়েই দেশ চালাতে চায় তারা। এর ফলে ভবিষ্যতে বিএনপি যখন আরও কোন ইস্যু নিয়ে লাগাতার বর্জনের পথে যাবে (যা প্রায় অবধারিত), জনগণের মনে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য।
নগন্য কলামিষ্টের নগন্যতম পরামর্শ দেশনেত্রীর কানে নক করবে কিনা জানি না; তবু আশা নিয়েই বেঁচে থাকা আমাদের।
ভাটপাড়া, পোষ্ট-পিএটিসি
সাভার ঢাকা।
তারিখ-১৫-০২-২০০৯
Leave A Comment