হয়রানের স্বপ্ন বিভ্রাট
(একটি রম্য কাহিনী)
চক্রবাক
আমাদের এক বন্ধু মোঃ হয়রানের গল্প বলি।
চৌকস, মেধাবী এবং বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ হিসেবে তার সুনাম ছিল। সে পিএইচডি ও করেছে। মোল্লারা ছিল বরাবর তার চক্ষুশূল। হয়রান প্রায়ই বলত, মোল্লারা হচ্ছে মুসলমান সমাজের কীট। শিক্ষিত মুসলমানদের উচিৎ কচি ছেলেমেয়েদের মোল্লাদের কাছে না পাঠানো। অচেনাকে চেনার, বোঝার এবং তা তলিয়ে দেখার যে বৈশিষ্ট্য বাচ্চাদের মধ্যে আমরা দেখি, মোল্লাদের সান্নিধ্যে সেটি অংকুরেই হারিয়ে যায়। বিরাট মেধা নিয়ে জন্ম নেয়া ছেলে মেয়ে ও তাই সারাজীবন কুদরতি শক্তির কাছে নিজেদের সঁপে দিয়ে বসে থাকে।
ভাগ্যের পরিহাস বলে একটা কথা আছে। আমাদের বন্ধুটি একসময় মোল্লাদের ঘৃণা করত। আর এখন সে নিজেই ওদের একজন হয়ে গিয়েছে। শুনেছি, আলাপচারিতায় এক নাগাড়ে পাঁচ মিনিটের বেশি মহাগ্রন্থ আল-ক্বোরাণের কুদরত বর্ণনা না করে এবং মুক্তচিন্তার মানুষদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার না করে হয়রান নাকি ইদানীং থাকতে পারে না।
হয়রানের কাছে জানতে চাইলাম, কেমন করে এটা সম্ভব হল। প্রত্যুত্তরে আমাকে সে যা জানাল, সেটি বরং তাঁর জবানীতে আপনারা শুনুন। বলাবাহুল্য, হয়রান আমাকে উত্তরটি সাধু ভাষায় পাঠিয়েছিল, যদি ও ইতিপূর্বে তাকে বরাবর চলতি ভাষায় কথা বলতে ও লেখতে দেখেছি। হতে পারে এটা ও কুদরতী শক্তির আরেক খেলা।
তাহলে হয়রানের জবানী শুনুন।
পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব কেমন করিয়া হইয়াছে? এই প্রশ্নটি আমাকে বহুদিন যাবত পীড়ন করিয়া চলিয়াছে। বাবা আদম (আঃ) এবং মা বিবি হাওয়া(রাঃ) কি জগতের আদি মানব এবং মানবী? একজন সাচ্চা মুসলমান হিসেবে আল-ক্বোরাণকে আমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্বিতাব বলিয়া বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছি। দুনিয়া আখেরাতের যে কোন সমস্যার ফয়সালা করিতে কোরাণের শরণাপন্ন হইতে আমি কখনো কসুর বোধ করি নাই (কুসংগবশতঃ কেবল যৌবনের প্রথম কয়েকটি বছরের বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম)। কাজেই মন এই কথা মানিতে চাহে না যে, ক্বোরাণের মধ্যে সকল কিছু আছে কিন্তু বিজ্ঞান নাই। ক্বোরাণে বলা হইয়াছে যে, হযরত আদম (রাঃ) আশারফুল মাখলুকাত বা শ্রেষ্ঠ মানব জাতির সর্ব প্রথম প্রতিনিধি। অথচ ডারউইন নামের ধর্মচ্যূত এক নাসারা দাবি করিয়াছেন, এককোষী প্রাণি হইতে সহস্র মিলিয়ন বছর ধরিয়া পরিবেশের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হইয়াছে। মানুষের আগমনের পূর্বে বহু মিলিয়ন বছর ধরিয়া পৃথিবীতে নাকি আর ও বহু প্রজাতি বসবাস করিয়াছে যেমনঃ অতিকায় ডায়নোসর। ক্বোরাণে এই সমস্ত কিম্বূতকিমাকার জন্তু সম্পর্কে কোনই ইংগিত নাই। একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে ইহা কেমন করিয়া মানিয়া লই?
যেহেতু এক সময় বিজ্ঞান, দর্শন খানিকটা অধ্যয়ন করিয়াছি (তখন নালায়েক ছিলাম বিধায় বুঝি নাই যে, ক্বোরাণের মধ্যেই সকল শাস্ত্র নিহিত রহিয়াছে), পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের বিষয়টি এখন ও মাঝে মধ্যে আমাকে পেরেশান করিয়া তুলে। অন্তর ব্যাকুল হইয়া কহে, ক্বোরাণের কথাই চরম সত্য, কিন্তু মস্তিষ্ক ইবলিশ-খান্নাসের কূটজালে পড়িয়া বলে, আরে মিয়া, তুমি কোন প্রকারের দুম্বা যে, আদম-হাওয়ার কাহিনীতে বিশ্বাস কর?
কেবল সত্যিকারের ভোক্তভোগী ব্যতিত কেহ বুঝিতে পারিবে না যে, এই রূপ সংশয় মনের গহীনে থাকিলে জীবন কতটা পীড়াদায়ক হইয়া উঠিতে পারে।
আল্লাহর অপার মহিমা। হঠাৎ করিয়া জনৈক মুসলমান ভাই আমার মনোযাতনা উপলদ্ধি করিয়া পরামর্শ দিলেন যে, ঈমান পুরাপুরি হারাইয়া যাওয়ার পূর্বেই যথা শীঘ্র আমি যেন পীরে কামিল আল্লামা ডঃ জমশের আলী (রহঃ) সহিত সাক্ষাত করি। খবর লইয়া জানিতে পারিলাম ডঃ জমশেরের আপন জীবনের ইতিহাস; উহা বড়ই বিস্ময়কর। ডঃ আলী নিজে একদা পদার্থ বিজ্ঞানের তুখোড় ছাত্র ছিলেন। ধর্মকর্মের ধারে কাছে ও তিনি যাইতেন না। বিধর্মীদের বেশ ভূষা হইতে শুরু করিয়া উহাদের ইসলাম বিরোধী সকল তত্ত্বসমূহ তিনি কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করিতেন। একদিন উনার বিবি স্বপ্নে দেখিলেন, শর্ষিনার পীর সাহেব উনাকে বলিতেছেন, পতির কারণে পরকালে তিনি নিজে ও জাহান্নামের আগুন ভোগ করিবেন। এই ঘটনার পরে ডঃ আলী জীবনে প্রথমবারের মত অজু করিয়া ক্বোরাণ পাঠ করিতে লাগিলেন। যাহা হইবার তাহাই হইল। ডঃ জমশের আলী আল-ক্বোরাণের মধ্যে ইহকাল ও পরকালের তাবত সমস্যার সমাধান খুঁজিয়া পাইলেন। ইনি এই বিষয়ে “কিভাবে আমি হারানো মুসলমানিত্ব ফিরিয়া পাইলাম” নামে ঢাউস সাইজের একখানা বই লিখিয়াছেন যাহা ইতিমধ্যে বহু ভাষায় অনুদিত হইয়াছে। ক্বোরাণের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের লুক্বায়িত সকল সূত্রের অস্তিত্ব উনি হাতে নাতে প্রমাণ করিয়াছেন। উনার কর্ম এবং কুদরতী গবেষণায় মুগ্ধ হইয়া সৌদী আরবের মদীনাতুল মুনাওয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় উনাকে ফিদায়ে মিল্লাত উপাধি প্রদান করিয়াছে।
যেহেতু যৌবনে আমার নাস্তিকতার ইতিহাসের সহিত ডঃ আলীর নিকট অতীত ইতিহাসের মিল রহিয়াছে, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, যথা শিগগির ডঃ জমশের আলী হুজুরের সাথে দেখা করিব।
নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করিয়া হুজুরের দরবারে আমি গেলাম এবং মনের গহীনে থাকা প্রশ্নটি তাঁহার সমীপে উত্থাপন করিলাম। আমার মুখ হইতে কোন কথা বাহির হইবার পূর্বেই হুজুরে ক্বামেল কুদরতি শক্তির বলিয়ানে সকল কিছু সম্যক বুঝিয়া লইলেন। বহুক্ষন তিনি ঝিম ধরিয়া থাকিলেন। চক্ষু বন্ধ অবস্থায় আমাকে শুনাইলেন, বড়ই আফসোস, সাচ্চা মুসলমানের সংখ্যা পৃথিবীতে দিন দিন কমিয়া যাইতেছে। যেই দিন একজন সাচ্চা মুসলমান ও আর দুনিয়ার বুকে থাকিবে না, সেই দিন ক্বিয়ামত নাজিল হইবে। উহারই আলামত চারিদিকে দেখিতে পাইতেছি। হুজুর এইবার চক্ষু খুলিলেন; কিছুক্ষন মৌনতা অবলম্বনপূর্বক চক্ষু বন্ধ করিয়া আবার বলিতে লাগিলেন, মুসলমানের ছেলেমেয়েরা দুই-এক খানা আধুনিক বিজ্ঞান আর দর্শন পাঠ করিয়া আল্লাহ তাবারাকতুআলার অস্তিত্ব নিয়া প্রশ্ন করিতে উদ্যত হইয়াছে। ক্বোরাণ ভ্রান্ত বলিয়া অপপ্রচার চালাইতেছে। তাহারা ক্বোরানের সত্য না মানিয়া ইহুদী-খৃস্টান রচিত কুফরী মতবাদের দিকে ক্রমশঃ ঝুঁকিয়া পড়িতেছে।
হুজুরের ইঙ্গিত যে কিসের প্রতি, উহা বুঝিতে আমার আর বাকী রহিল না। মনে পড়িল, যৌবনে যে তিন ব্যক্তি আমার জীবনে প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন উহাদের দুই জন ইহুদী আর একজন খৃস্টান; উহারা- কার্ল মাক্স, সিগমুয়েড ফ্রয়েড এবং চার্লস ডারউইন। ভাবিতে লাগিলাম, হুজুর কেমন করিয়া আমার অতীত টের পাইলেন? বুঝিলাম যে, আল্লাহর কুদরত আমার চক্ষুর সামনে আজ উপস্থিত! হুজুর আর ও কিছুক্ষন বয়ান শেষে সরাসরি আমার দিকে তাকাইয়া আচমকা প্রশ্ন করিলেন, অপরের কথা বাদ দিলাম, আপনি নিজে কতটুকু ক্বোরাণের তরিকামত জীবন পরিচালনা করিয়াছেন? হায় আল্লাহ, এর পর আর কি বাকি থাকে! আমার অন্তরাত্না কাঁপিয়া উঠিল। অকপটে পাপ স্বীকার করিয়া বলিলাম, হুজুর, আমি নিজে ও কাফের-নাসারেদের মতবাদে বিভ্রান্তদের একজন। আমি গোনাহগার। আমাকে পথ দেখাইয়া দেন। হুজুর আমাকে পাক্ব কালামের এক খানা আয়াত কাগজে লিখিয়া বলিলেন, প্রতি রাত্রে শয়ন করিবার পূর্বে যেন উহা ডান বাহুতে বাঁধিয়া লই। আর ও বলিলেন, ঈমান মজবুত রাখিবেন আর সঠিক ভাবে আমল করিবেন। আল্লাহ মেহেরবান হইলে এবং ঈমান ফিরিয়া আসিলে কোন একদিন নবীজিকে ও স্বপ্নে দর্শন নসিব হইতে পারে। আনন্দে আমার চোখে জল আসিয়া গেল, কারণ আমি ইতিপূর্বে অবগত হইয়াছি যে, কোন মুসলমান যদি স্বপ্নে মহানবী (সাঃ) এর দর্শন লাভ করিতে পারে, তাহা হইলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁহার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করিয়া দেন। হুজুরের কাছে শুনিলাম, তিনি এই পর্যন্ত তের বার নবীজিকে স্বপ্নে দেখিয়াছেন। তবে এই সব কথা কাহাকে জানাইতে বারণ করিলেন। আমার ওপর হুজুরের অগাধ বিশ্বাস দেখিয়া বড়ই পুলকিত বোধ করিলাম।
কদমবুচি পূর্বক ডঃ জমশের আলী হুজুরের নিকট হইতে বিদায় লইলাম।
ঘরে ফিরিয়া আল্লাহর কাছে দুই রাখাত শোকরানা নামাজ আদায় করিলাম যে, অবশেষে আল্লাহ পাক্ব আমাকে আলোর পথ দেখাইয়াছেন। সেই দিন হইতে প্রতি রাত্রে হুজুরের নির্দেশিত তাবিজ আমি ব্যবহার করিয়া আসিতেছি।শয়নের পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করিয়া মনে মনে আশায় থাকি, নবীজিকে স্বপ্নে দর্শন আল্লাহ আমার কপালে নসিব করিবেন।
এক মাস পরের ঘটনা।
এক রাত্রে স্বপ্নের মধ্যে দেখিতে পাইলাম, মহাপুরুষের মত দেখতে ধবধবে সাদা চেহারার শ্মশ্রুমন্ডিত এক ব্যক্তি আমার দিকে চাহিয়া মিটিমিটি হাসিতেছেন। বগলে কিতাবের মতন একখানা বস্তু। আমার সর্বাংগ চমকিয়া উঠিল। তাহলে ইনিই বুঝি আমাদের মহানবী হুজুরে পাক (সাঃ)! আমি ‘আসলামুয়ালাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ!’ বলিয়া উনাকে সম্ভাষন জানাইলাম। ‘রাসুলুল্লাহ নয়, আমি চার্লস ডারউইন‘ জবাব আসিল।আমি চমকিয়া উঠিলাম। তিনি বলিলেন, তোমার কি বিশ্বাস হইতেছে না? এই পুস্তকের দিকে নজর দিয়া দেখ, চিনিতে পার কি-না। লক্ক্য করিয়া দেখিলাম, ক্বিতাবের মত দেখিতে বস্তুখানার গায়ে লেখা রহিয়াছে, ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিজ’। হায়! হায়! আপনি কেন আমার সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছেন? আপনাকে আমি সেই কবে ভুলিয়া গিয়াছি। আমার অন্তরে মহানবী ছাড়া এখন কাহার ও স্থান নাই। তাহা ছাড়া আপনি বলিয়াছেন, মানুষ বানর হইতে আসিয়াছে। এই সব কথা বিশ্বাস করা ও পাপ। ভয়ার্ত কন্ঠে আমি কথাগুলি বলিলাম। ডারউইন হাসিয়া জবাব দিলেন, তুমি ভুল বলিয়াছ হে। আমি কখন ও বলি নাই যে, মানুষ একদা বানর ছিল বা বানর হইতে মানুষ আসিয়াছে। বলিয়াছি, বানর এবং মানুষ একই উৎস হইতে মিলিয়ন বছরের বৈবর্তিনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আসিয়াছে।‘ আমি ক্রুদ্ধ হইয়া জবাব দিলাম, যাহাই বলিয়া থাকেন না কেন, আপনি দূর হউন আমার সামনা হইতে। এই সময় দূরে লক্ষ্য করিলাম দাঁড়িসমেত চেহারার আরেকজন ব্যক্তি আমার দিকে আগাইয়া আসিতেছেন। হায় আল্লাহ, উনি আবার কার্ল মাক্স নয় তো! আমি উলটা দিকে দৌড়াইতে লাগিলাম।
ঘুমের মধ্যে আমার বিকট চিৎকার শুনিয়া আমার স্ত্রীর ও ঘুম ভাংগিয়া গেল। উনাকে সবিস্তারে ঘটনা বলিলে উনি বলিলেন, জমশের আলী হুজুরের দেয়া তাবিজ খানি তো তোমার বাহুতে দেখিতেছি না। তাবিজখানি কোথায় হারাইয়াছ? আমি অবাক হইয়া লক্ষ্য করিলাম, আমার বিবির কথাই সত্য।
সকল কিছু দিবালোকের মত স্পষ্ট হইল। গতকাল রাত্রে ঘুমাইবার পূর্বে ডান বাহুতে তাবিজ বাঁধিতে আমি ভুলিয়া গিয়াছি। সেই সুযোগে শয়তান আমার পিছু লইয়াছে।
এতক্ষনে আমার সকল বিভ্রান্তির কারণ বুঝিতে পারিলাম।
পাঠকরা কি কিছু বুঝতে পারলেন?
—
-চক্রবাক
03 February, 2009
হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার জোগাড়!!
:laugh: :laugh: :rotfl: :laugh: :lotpot: :hahahee: :guru: 😀
উহা ডঃ হয়রানের বর্ণনা ছিল? ইহা পড়িয়া আমি স্বয়ং হয়রান হইয়াছি। কাহাকে বিশ্বাস করিব তাহা নিয়া দ্বিধায় আছি। আমি বিজ্ঞানী ছাত্র নই তাই এই প্রকার তথ্য আমার ভান্ডারে অনুপস্থিত ছিল। জানাইয়া আমার মঙ্গল করিলেন। আমি যৌবনের প্রথম পর্যায়ে অবস্থান করিতেছি। আমার অবস্থাও হয়রান পেরেশান।
খুব বড় জিনিস হারাইয়া নিজেকে তাব্বাত করিতেছি। মানষিক যন্ত্রণায় খানখান হইতেছি। হরাধনের(হয়রান) জুবানলব্ধ বাণী হইতে বুঝিলাম আমার ভবিষ্যতও হয়রানের এবং জমশেরের মতই হবে। তাই ব্যাপারখানা আগেভাগে বুঝিয়া নিয়া মানিয়া নেয়াই বুদ্ধুমানের কাজ হবে। পূর্বেও আমি ছাড়া ছাড়া সালাত আদায় করিতাম, পরন্তু আজ হইতে পাক্কা মুসলম্যানে পরিণত হইব বলিয়া সিদ্ধান্তে আসিলাম। দোয়া খাব্রেন।
এ লেখা তো আগে দেখিনি।
ইহা একটি শিক্ষামূলক পোষ্ট, সবারই ইহা হইতে শিক্ষনীয় কিছু না কিছু আছে।
ইহা একটি বিজ্ঞানময় পোস্ট
আমার নামও হয়রান। এসএম রায়হান কে নিজের নাম পরিবর্তন করে এই অধমকে অযাচিত কলংকের হাত থেকে মুক্তি দেবার আবেদন জানাই।
@রায়হান আবীর,
”আমার রায়হান য্যান হয়রান না হয়”
@সৈকত চৌধুরী,
আর চারটা বছর টাইম দেন, আমিও পিএইচডি শেষ করে খোদার আশরের ছায়াতলে জায়গা খুঁজে নিবো 😀
@রায়হান আবীর,
আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন। তার নামের সাথে আপনার নামের উছিলায় আখেরাতে মুক্তি পেতেও পারেণ।
খোদার আশর :laugh: :laugh: :laugh:
খোদার আরশের ছায়াতলে জায়গা খুঁজতে গিয়ে যদি হয়রান মোল্লার মত অলৌকিক কোন সপ্ন দেখেন, প্লীজ আমাদেরকে সেই সপ্নের ঘঠনা বলে যেতে ভুলবেন না।
@আকাশ মালিক,
অবশ্যই সেই স্বর্গীয় অভিজ্ঞতার কথা জানাবো। নিজে ভালো হলে তো হবেনা, সবাইকেও ভালো করতে হবে, খোদার নিশানা দেখাতে হবে 😀
ডঃ মোহাম্মদ হয়রান – পিএইচডি’র বিজ্ঞানমনস্ক থেকে অন্ধবিশ্বাসী মোল্লায় রূপান্তরের ব্যাপারটি যতই রম্য হোক – কিছুতেই বিবর্তন নয়। কারণ আমি মনে করি সত্যিকারের বিজ্ঞানমনস্ক মানুষকে মোল্লায় পরিণত করার সাধ্য পদার্থবিজ্ঞানী শমসের আলীদের নেই। দুঃখের বিষয় হলো পদার্থবিজ্ঞানের উচ্চতম ডিগ্রির সাথে সাথে মানসিক অন্ধকার ঘোচানোর যৌক্তিক আলোটুকু সব পদার্থবিজ্ঞানী পায় না।
শয়তান তো শয়তানের সাথেই শয়তানি করে দেখছি ! মহাপুরুষ বা নবীদের সাথে চলে কুটকাচালী তবে বিঙ্গানী কিংবা বিঙ্গান মনোষ্কদের কাছ হতে থাকে যোজন যোজন দূরে ! কি অদ্ভুত !!!
শয়তান শেষ পর্যন্ত হয়রানকে এরকমভাবে হয়রানি করলো? :giggle:
🙂 :-)) :laugh:
হুহুহুহুহুহুহুহুহু……………উউউউউয……………হুহুহুহুহুহুহুহু।
তয় পুংটা জমশের আলী মৌলানা জমশের আলী হওয়ার পরেই কিন্ত তারে লোকে চিনছে এবং তারে টিভিতে না দেখলেতো রমজানের ইফতার হারাম হইয়া যাইবো।
ডারউইন চাচা আপনার বন্ধুর পাছায় দুইডা লাডির গোতা দিলে ভাল হইতো।