ডারউইন : বিশ্বে ও মহাবিশ্বে


দ্বিজেন শর্মা

আমি অনেক দিন থেকেই প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে লিখছি। যখন শুরু করেছিলাম তখন একা ছিলাম। এখন অনেকেই লিখছেন। কেউ কেউ আমার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে থাকবেন এবং তাতে আমি আনন্দিত। কেননা সবাই নিজের কাজের ফল দেখতে চান। একসময় ডারউইন ও বিবর্তনবাদ নিয়েও অনেক লিখেছি; শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন থেকে। আমরা সেখানে পড়েছি বিবর্তনবাদের ঢাউস সব বই এবং ইংরেজিতে। পরে কর্মজীবনে কলেজে ডারউইন ও তাঁর তত্ত্ব পড়িয়েছি এবং আশা করেছি, আমার পাঠদান বা বই পড়ে কেউ উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বিষয়ে প্রবন্ধ ও বইপত্র লিখবেন। কেননা বিষয়টির পরিসর বিজ্ঞানের ক্ষেত্র অতিক্রম করে দর্শন, সমাজতত্ত্ব, রাজনীতি, সাহিত্যসহ মানববিদ্যার প্রায় সব শাখায়ই বিস্তৃত। কিন্তু আমার সেই আশা পূরণ হয়নি। ইদানীং উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডারউইনবাদ বাদ পড়েছে, বদলি হিসেবে এসেছে জীবপ্রযুক্তিবিদ্যা। কেন এই পরিবর্তন জানি না, তবে ডারউইনবাদের প্রতি আদ্যিকালের অনীহা যদি কারণ হয়ে থাকে, তবে বলতেই হয়, পরিকল্পকেরা ভুল করেছেন। কেননা জীবপ্রযুক্তি আসলে ডারউইনবাদেরই সম্প্রসারণ, খোদার ওপর খোদকারির জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। আমার কর্মজীবনের গোড়ার দিকের ছাত্ররা এখন অবসর নিয়েছেন, তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, কলেজে জীববিদ্যার অনেক শিক্ষক নাকি ডারউইনবাদ পড়াতে চান না, কিংবা পড়ালেও শুরুতেই ছাত্রদের এই তত্ত্বটি বিশ্বাস না করতে বলেন। অথচ পাকিস্তানি জামানায় আমরা ডারউইনবাদ পড়েছি। আমাদের কোনো শিক্ষক এমন কথা বলেননি। বরং তাঁরা এই তত্ত্বের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টাই করেছেন। তাঁরা কেউ নাস্তিক ছিলেন না। ডারউইনের সহযোগী সমর্থকেরাও (লায়েল, হুকার, ওয়ালেস প্রমুখ) প্রায় সবাই ছিলেন ধার্মিক। তাহলে আমাদের এই পশ্চাদ্গতি কেন? উত্তরটি আমাদের শিক্ষাপরিকল্পকেরা জানতে পারেন।


ডারউইনবিষয়ক আমার প্রথম বই ডারউইন: পিতামহ সুহৃদ সহযাত্রী’ বেরোয় ১৯৭৫ সালে। তারপর আরও দুটি। আমার বন্ধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম. আখতারুজ্জামান যিনি বিবর্তনবিদ্যা (১৯৯৮) নামের একটি মৌলিক পাঠ্যবইয়ের লেখক ও ডারউইনের অরিজিন অব স্পেসিজ (প্রজাতির উ
পত্তি, ২০০০) গ্রন্থের অনুবাদক। তিনি এক সভায় দুঃখ করে বলেছিলেন, গোটা কর্মজীবনটাই ছাত্রছাত্রীদের বিবর্তনবাদ পড়িয়ে কাটালেন, অথচ আজও তারা বলে, প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে, উপন্ন হয়নি। আমি অতঃপর ধরেই নিয়েছিলাম, আমাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ, দেশ উল্টো পথে চলছে। ভুলটি ভাঙল অকস্না, মার্কিন মুলুকের তিন বাঙালির লেখা বিবর্তনবিষয়ক দুটি বই হাতে এলে। আরও বিস্নয়ের ব্যাপার, তাঁদের দুজন প্রকৌশলী, একজন সমাজবিজ্ঞানী। আমি অভিভুত ও আনন্দিত। তাঁরা কেউই আমার বই পড়েননি, আমার প্রভাববলয়ের মানুষও নন, কিন্তু তাঁরা নিশ্চিত আমার উত্তরসুরি। তাঁরা বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছেন; দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তবে তাঁদের জন্য সম্ভবত আমেরিকায় একটি ‘শক’ অপেক্ষিত ছিল, আর তা হলো, জ্ঞানেবিজ্ঞানে অত্যুন্নত একটি দেশে বিদ্যমান পশ্চামুখিনতা, সমাজের একটি অগ্রসর অংশের বিবর্তনবাদ তথা ডারউইনবিরোধিতা। ব্যাপারটা আসলে ওই দেশের পুরোনো ব্যাধি। অনেক বছর আগে স্কুলে বিবর্তনবাদ পড়ানো নিয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়, শাস্তি হয়। শেষে তিনি মুক্তিও পান এবং এ নিয়ে নাটক লেখা ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। কিন্তু সবই এখন ইতিহাস।

সৃষ্টিতত্ত্বেও বিশ্বাসের এই ধারা যে আজ সেখানে আইডি (ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন) নামে একটি নতুন তত্ত্বের আশ্রয়ে বেশ পাকাপোক্ত হয়েছে এবং স্কুলে বিবর্তনবাদের পাঠদানে বাধা সৃষ্টি করছে বিভিন্ন স্কুল বোর্ড, অভিভাবক ও সৃষ্টিবাদী গোষ্ঠীরা, সেই খবরটি জানান আমার আরেক বন্ধু, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যের মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিদ্যার অধ্যাপক জ্ঞানেন্দ্র কুমার ভটাচার্য । তিনি আরও জানান, তাঁরা তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যাটি মোকাবিলার জন্য স্কুল-শিক্ষকদের সামার কোর্সে বিবর্তনবিদ্যার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, ডারউইনবাদের পক্ষে ক্লাসিক্যাল সাক্ষ্যপ্রমাণের সঙ্গে বংশানুবিদ্যার অধুনাতম আবিষ্ককারগুলো শেখাচ্ছেন।  এবার মূল প্রতিপাদ্যে ফেরা যাক। যে দুটি বইয়ের কথা বলেছিলাম সেগুলো হলো বিবর্তনের পথ ধরে এবং মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে ; লিখেছেন যথাক্রমে বন্যা আহমেদ এবং অভিজি রায় ও ফরিদ আহমেদ; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭, প্রকাশক ঢাকার অবসর।

দুটি বই পরস্পর সম্পুরক। প্রথমটির প্রধান আলোচ্য বিবর্তনবাদ, দ্বিতীয়টির প্রাণের উপত্তি। সম্ভবত তাঁরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ এবং প্রকল্পটি যৌথ। তাতে আমাদের লাভই হলো, একত্রে জানা গেল পৃথিবীতে প্রাণের উপত্তি, বিবর্তন এবং গ্রহান্তরে প্রাণের উপত্তি, বিকাশ ও সভ্যতার সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তারিত।

দুটি বইই তথ্যসমৃদ্ধ, আধুনিক আবিষ্ককারের নানা সহযোগী সাক্ষ্যে ভরপুর। বিবর্তনের পথে বইয়ের লেখক বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন বিবর্তনের সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর এবং নৃতত্ত্বে, বিশেষত মানুষের উপত্তি বিষয়ে। এটা সহজবোধ্য, কেননা আমরা যদিওবা জীববিবর্তনের সত্যতা স্বীকারও করি, কিন্তু অভিন্ন ধারায় মানুষের উপত্তি মানতে রাজি নই। মানুষের সঙ্গে বানরসদৃশ বন্যজীবের আত্মীয়তা স্বীকারে আমাদের অপার লজ্জা। অথচ বিশ্বখ্যাত জীববিজ্ঞানী ও লেখক গেলর্ড সিস্পসন এই সহজ সত্যটি বোঝাতে বলেছেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষ খুঁজতে বাইরে চোখ মেলে তাকানোই যথেষ্ট। কিন্তু সেখানেই যত ঝামেলা। স্বয়ং ডারউইন, আমরা সবাই জানি, প্রজাতির উপত্তি (১৮৫৯) লেখার পর অনেক চাপ সত্ত্বেও মানুষের উপত্তি (১৮৭১) লিখেছেন আরও বারো বছর পর। আর রাচেল ওয়ালেস, যিনি প্রজাতির উপত্তিতত্ত্বের অন্যতম শরিক, তিনিও মানুষের উপত্তিতে প্রাকৃতিক নির্বাচনের বদলে আইডিকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আসলে এটা আমাদের একটা দৃঢ়বদ্ধ সংস্কার এবং তা থেকে মুক্তি সুকঠিন। বন্যা সমস্যাটি ভালোই বোঝেন, যে জন্য মানব বিবর্তনকে সর্বজনগ্রাহ্য করার জন্য প্রদত্ত বিবরণের সঙ্গে হাজির করেছেন প্রচুর ছবি, আমাদের মানবসদৃশ পূর্ব পুরুষদের সম্ভাব্য দেহকাঠামো ও নানা চার্ট। বইতে আইডি তত্ত্বের সমর্থকদের কার্যকলাপের বিস্তারিত আলোচনা আছে।

ইউরোপে এটি নেই, অথচ আমেরিকায় আছে, সে এক রহস্য। আমেরিকা কি তাহলে ইউরোপীয় ঐতিহ্যের সম্প্রসারণ নয়, কিংবা আমেরিকার ইতিহাসের এমন কোনো দুর্বলতা আছে, যেজন্য সেখানে এমন পশ্চাপদতা স্থান করে নিতে পেরেছে? নাকি সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বদাতা এ দেশের এখন আত্মিক অবক্ষয় শুরু হয়েছে? বন্যাও তাই ভাবছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বাস্তু-চারিত্র্যও অন্যতম কারণ হতে পারে।

পাঠকদের সুবিধার জন্য বইয়ের অধ্যায়গুলোর নাম উল্লেখ করছি, কেননা বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ এখানে নেই:
এলাম আমরা কোথা থেকে?, বিবর্তনে প্রাণের স্পন্দন, অনন্ত সময়ের উপহার, চোখের সামনেই বিবর্তন ঘটছে!, ফসিল এবং প্রাচীন উপাখ্যানগুলো, ফসিলগুলো কোথা থেকে এল, এই প্রাণের মেলা কত পুরোনো?, মিসিং লিঙ্কগুলো আর মিসিং নেই, আমাদের গল্প, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন: সৃষ্টিতত্ত্বের বিবর্তন, যে গল্পের শেষ নেই, বিবর্তনতত্ত্ব সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো। এসব নাম থেকেই স্পষ্ট যে বন্যার বইটি শুষ্ককং কাষ্ঠং নয়, অত্যন্ত সহজবোধ্য শৈলীতে সুললিত ভাষায় লেখা।

মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, আমরা যখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, সেই পঞ্চাশের দশকে, এমন কোনো বই বাংলায় ছিল না। বন্যার মতো আমিও দেবীপ্রসাদের জনপ্রিয় বিজ্ঞানলহরী পড়েছি। আর ইংরেজি পেপারব্যাক, সেও সহজলভ্য ছিল না। ওপারিনের হোয়াট ইজ লাইফ পেয়েছি অনেক পরে। ওয়াটসন বা ক্রিকরা সৌভাগ্যবান, তাঁরা ছেলেবেলায়ই শ্রোডিংগারের বই পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।

পশ্চিমে বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা পাঠ্যবই ও জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই লেখেন। আমাদের দেশ তথা ভারতেও এমন দৃষ্টান্ত দুর্লভ। একটি গ্রন্থ একজন মানুষকে অবশ্যই বদলে দিতে পারে; একজন তরুণকে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।
তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়, চাই অনুকুল পরিবেশ, যা আমাদের নেই। বন্যা, অভিজি, ফরিদ কি দেশে থাকলে এসব বই লিখতেন? আমি ৯৯ ভাগ নিশ্চিত যে লিখতেন না।
প্রাণ যেহেতু পদার্থের শুষ্কক কাঠখড় দিয়ে তৈরি, হয়তো সে জন্য লেখকেরা তাঁদের বইটি শুরু করেছেন মৃত্যুর সজ্ঞার্থ ও নানা কৌতুহলজনক কাহিনী দিয়ে এবং পরে এসেছেন জড় থেকে জীবনে, জীবনের ধর্ম ব্যাখ্যা এবং শেষ পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানী ও কেলাসবিদ জেডি বার্নালের সজ্ঞার্থে:

“‘জীবন হচ্ছে একটি অতিজটিল ভৌত-রাসায়নিক তন্ত্র যা একগুচ্ছ সুসংহত বা একীভুত ও স্বনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক ও ভৌত বিক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিপার্শ্বের বস্তু ও শক্তিকে স্বীয় বৃদ্ধির কাছে ব্যবহার করে।’”

এই পঙ্ক্তিমালা একটু জটিল বটে, তবে গোটা অধ্যায়টি এতটাই সহজ ও সরলভাবে লেখা যে বিজ্ঞানের দশম শ্রেণীর ছাত্রের পক্ষেও বোঝা কঠিন হবে না। শুধু একটি কেন, গোটা বইটি এভাবে লেখা।

প্রাণের উপত্তি বিষয়ে ডারউইনের ধারণার একটি উদ্ধৃতি বইতে আছে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা এবং সেই সঙ্গে বিস্নয়করও। ডারউইন তাঁর বন্ধু ডালটন হুকারকে এক চিঠিতে লিখেছেন: ‘একটা ছোট উষ্ণ পুকুরে বিভিন্ন ধরনের অ্যামোনিয়া, ফসফরিক লবণ, আলো, তাপ, তড়ি সবকিছু মিলেমিশে… প্রোটিন যৌগ উপন্ন হয়েছে।’ অর্থা অজৈব পদার্থ থেকেই জৈব পদার্থ উপন্ন হয়ে প্রাণের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটছে। অনুমেয়, গ্রহান্তরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে তাও ঘটেছে এই এক ও অভিন্ন প্রক্রিয়ার। পরের ঘটনা আমরা জানি, ওপারিন ও হালডেন প্রাণের সজ্ঞার্থ দেন, ইউরে ও মিলার ডারউইনের ধারণারই যেন বাস্তবায়ন করেন পরীক্ষাগারে অ্যামাইনো এসিডের সংশ্লেষ ঘটিয়ে। বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আছে প্রাণের উপত্তির আলোচনা, বাকি ৫০ পৃষ্ঠায় রয়েছে ভিন গ্রহে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার সন্ধান। এই কাহিনী বড়ই চিত্তাকর্ষক, গল্পের মতোই সম্মোহক। এতে আছে কার্ল সাগানসহ বিজ্ঞানীদের নানা পরীক্ষার কথা, এনরিকো ফার্মির গোলকধাঁধা, ড্রেকের সমীকরণ, ইউ এফ ও বা উড়ন্ত চাকি ইত্যাদি। বিস্তারিত নিষ্কপ্রয়োজন। বাকিটা পাঠকের জন্য।

পরিশেষে সেই পুরোনো প্রসঙ্গ: বইগুলোর প্রভাব কি ঈপ্সিত ফল ফলাবে, আমাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেনি, অন্তত দৃশ্যত, সেটা কি ওদের ক্ষেত্রে ঘটবে? বইগুলো কি নতুন প্রজন্ন লুফে নেবে? আমি নিশ্চিত নই, কেননা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অবক্ষয়ের চরম সীমায় পৌঁছেছে। শিক্ষকেরা বাইরের বইয়ের খোঁজ রাখেন না, ছাত্ররা কোচিংয়ের ঘুর্ণাবর্তে দিশেহারা। এই তরুণ লেখকদের তবু আশা না হারাতে বলি। তাঁদের যেতে হবে অনেক দুর, মাইলস টু গো… এবং বিঘ্নসংকুল পথে।

বিবর্তনের পথ ধরে; বন্যা আহমেদ; ফেব্রুয়ারি ২০০৭; অবসর, ঢাকা; প্রচ্ছদ: প্রতীক ডট ডিজাইন; ২৫৬ পৃষ্ঠা; ৩৫০ টাকা।

মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে; অভিজি রায় ও ফরিদ আহমেদ; ফেব্রুয়ারি ২০০৭; অবসর, ঢাকা; প্রতীক ডট ডিজাইন; ১১২ পৃষ্ঠা; ১৩০ টাকা।