যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
অভিজিৎ রায়
আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ
দিয়েছিলো সেঁটে,
মগজের কোষে কোষে যারা
পুঁতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,
যারা গনহত্যা
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিড়ি ভেঙ্গে যেতে
ভাসতে নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেই খানে দজ্জালদের।
– অভিশাপ দিচ্ছি
শামসুর রাহমান
যা বলার শিরোনামেই বলে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আর অনর্থক বাক্য ব্যয় বাহুল্যমাত্র। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী দেশে বিদেশে আজ প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে গেছে। অনর্থক কালক্ষেপণ না করে একশনে যাবার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এ জনদাবী এমন পূর্ণতা পায়নি, এমন বিধ্বংসী হয়ে ওঠেনি। আমরা এ কয়দিনে মুক্তমনায় প্রচুর লেখা পেয়েছি। এম এম আর জালাল পাঠিয়েছেন জুলফিকার আলী মানিকের প্রবন্ধ – দ্য ট্রায়াল উই আর ওয়েটিং ফর (‘The Trial We are Waiting For‘)। হোসাইন কবির লিখেছেন, গণমানুষের সরকার ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশা। হাসান মোরশেদ লিখেছেন – গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষনা: জামাত এবার নিজেকে বাঁচাবে কি করে? হাসান মোরশেদের লেখাটি থেকে কিছু চুম্বক অংশ –
৯ডিসেম্বর ১৯৪৮ জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে CONVENTION ON THE PREVENTION AND PUNISHMENT OF THE CRIME OF GENOCIDE নামে একটি রেজুলেশন পাশ হয় । লিংক আছে এখানেঃ- রেজুলেশনের ২৬০(৩) ধারার অনুচ্ছেদ ২ এ নির্ধারন করা হয়েছে , শুধু হত্যা নয় আরো কিছু অপরাধ গনহত্যা হিসেবে গন্য হবে — ১।পরিকল্পিত ভাবে একটি জাতি বা গোষ্ঠিকে নির্মুল করার জন্য গনহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারনের পর ধারা ৩ এ গনহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধ সমুহ ও চিহ্নিত করা হয়েছে ১। গনহত্যা চালানো ধারা ৩ এর পর ধারা ৪ এ বলা হয়েছে– ধারা ৭ এ আবার স্পষ্ট করে বলা হয়েছে – বাকী সব কিছু বাদ দিচ্ছি, ধারা ৩ এর ৫ নম্বর উপধারা কি বলে? গনহত্যায় সহযোগীতা করা কিংবা যে কোনো ভাবে সমর্থন জানানো ও যুদ্ধাপরাধ । ২৫ শে মার্চ রাত থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি কাজ করছিল? পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি গনহত্যা চালাচ্ছিলোনা? ২৫ শে মার্চ রাতে শুধু মাত্র ঢাকাতেই কয় হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকবাহিনী? ২৫ শে মার্চের পর থেকে ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে কারা পাকবাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছিলো? পাকবাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে গোলাম আজম-নিজামীদের শত শত বিবৃতি আছে । ১৯৭১ এর মে মাসে খুলনায় জামায়াতের ৯৬ সদস্য নিয়ে যে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে সেই বাহিনী টিক্কা খানের সামরিক অধ্যাদেশ বলে নিয়মিত বাহিনীর সহযোগী হিসেবে নথিবদ্ধ হয় । এরা সেনাবাহিনীর মতোই বেতনভুক্ত ছিলো । রাজাকার ছাড়া আলবদর ও আলশামস নামে বাহিনীগুলো গঠিত হয় এগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা ছিলো? দায় এড়াতে হলে তাদেরকে প্রমান করতে হবে- যে ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিকৃত ভুখন্ডে পাকিস্তান আর্মি কোন গনহত্যা চালায়নি । সংখ্যাটা ৩০ লক্ষ না হয়ে ৩০ হাজার কিংবা ৩ হাজার ও যদি হয়- সেটা গনহত্যা হবে,গনহত্যা হলে যুদ্ধাপরাধ হবে,যুদ্ধাপরাধ হলে পাকিস্তান আর্মি ও তার সহযোগী ও সমর্থক জামাত ও যুদ্ধাপরাধী বলেই বিবেচিত হবে । এবার দেখা যাক, নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য জামায়াত যে সব যুক্তি দেখায় সেগুলোর অসারতাঃ
১। জামায়াত ইদানিং বলছে, শেখ মুজিব যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈন্যকে হস্তান্তর করেছিলেন শিমলা চুক্তির আওতায় । সুতরাং ঐ ১৯৫ জন্য ছাড়া আর কেউ যুদ্ধাপরাধী নয় ।–
২। জামাতীরা বলে, তারা যদি আসলেই অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে গত ৩৬ বছরে কেনো কেউ তাদের বিচার করলোনা? এই বিচার না করাই নাকি তাদের নিরপরাধের প্রমান?
৩। গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার রায়কে উদাহরন হিসেবে টেনে জামাতীরা নিজদের নির্দোষ প্রমান করতে চায়—
|
শুধু বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে নয়, সারা মানব জাতির ইতিহাসেই সবচেয়ে নৃশংস এবং সংখ্যার হিসেবে সর্বাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে আমাদের মুক্তযুদ্ধের নয় মাসে। ১৯৭১ সালের ২৫ এ মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরেরা ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালীকে হত্যা করেছে, ২ লক্ষ নারীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে, দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে ১ কোটি বিপন্ন মানুষকে। স্বাধীনতার এই আটত্রিশ বছর পরেও পাকিস্তান তাদের কৃতকর্মের জন্য কোন সরকারের কাছে ক্ষমা চায়নি, (যদিও ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে ত্রিপক্ষীয় এক আলোচনায় পাকিস্তান নিজেই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ’৭১-এর বর্বরতার জন্য বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে তারা)। ক্ষমা তো চায়ইনি, ‘সূর্যের চেয়ে বালি গরম’ এই উপমার সার্থকতা প্রমাণ করে কিছুদিন আগেও জামায়াত নেতা মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা আর আমলা শাহ আব্দুল হান্নান হেরে গলায় চীৎকার করে উঠেছিল – একাত্তুরে নাকি যুদ্ধাপরাধের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। বেনামী এক জামাতী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠণ দাঁড় করিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আলী আমানের পেছনে লাথি কষিয়েছিলো এই বীর পুঙ্গবেরা। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর এখন পরিস্থিতি বদলেছে। আজ তাদের কৃতকর্মের ঋণ কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে দেবার সময় এসেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন শেখ হাসিনা । জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত ইয়ান মার্টিন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ প্রধানের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এই সহযোগিতা চান (সূত্রঃ প্রথম আলো)। তবে আমরা চাইনা সরকার শুধু শুধু জাতিসঙ্ঘের মুখ চেয়ে সরকার বসে থাকুক, আমরা চাই রাষ্ট্র নিজে বাদী হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচার করুক। বিশেষ ট্রাইবুনালে ঘাতক দালালদের বিচার হোক।
কাজ শুরু হয়ে গেছে এর মধ্যেই। নিজ উদ্যোগে উদ্যমী ছেলেপিলেরা নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে পোস্টার আর স্টিকার বানাচ্ছে, লাগিয়ে দিচ্ছে ল্যাম্পোস্টে, দেওয়ালে, রিক্সার পেছেনে, চায়ের স্টলে- (পড়ুন সচলায়তনে এনকিদুর লেখা – স্টিকার : শুরু হয়েছে মাত্র)
কেউবা আবার গণসাক্ষর অভিযানে নেমেছেন। নিজেরাই প্যাড বানিয়ে চলে যাচ্ছেন মাঠে, ময়দানে, রেস্তরায় আর জনসমাবেশে। জেঁকে ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সাক্ষর সংগ্রহ করছেন জণগণের (পড়ুন আমার ব্লগে মাহমুদুল হাসানের লেখা – যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর : আগ্রহী ব্লগারদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি… )।
কেউ বা আঁকছে কার্টুন –
(ছবিঃ সৌজন্যে সচলায়তন, এবং আমার ব্লগ)
এ এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ। এ এক নতুন উদ্দীপ্ত তরুন সমাজ। যে তরুণ সমাজকে আগে বিশেষিত করা হত – মুক্তিযূদ্ধ সম্বন্ধে অজ্ঞ, গাজা ভাং চরশ খেয়ে পড়ে থাকা নষ্টগ্রুপ হিসেবে, যারা দিনে শুধু টাংকিবাজি মারে আর রাতে দেখে পর্নো সাইট, সেই বিশেষণের বৃত্ত ভেঙ্গে বেরুনো তরুণ সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের সকলের প্রতীজ্ঞা একটাই – এইবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে। এবারের নির্বাচনে জামাত-শিবির গং দের ভরাডুবীর পেছনেও ছিলো এই তরুণ সমাজ; শুধু ভরাডুবী ঘটিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, ভার্চুয়াল পরিচয় থেকে সামনে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সমাবেশ করেছে; দু হাত তুলে প্রতীজ্ঞা করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ছাড়ব এবার – হয় এবার, নয় নেভার! বাস্তবিকই তারা পূর্ণতা দিতে চলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচীকে, মহান একুশে ফেব্রুয়ারীর আগেই।
২০০১ সালে আমি যখন উদ্যোগ নিয়ে মুক্তমনার মত সাইট গড়ে তুলেছিলাম মুক্তবুদ্ধি আর মুক্তিযূদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দেবার মানসে, তখন আক্ষরিক অর্থেই ইন্টারনেটে এগুলোর স্বপক্ষে এত দলিল-প্রমাণ ছিলো না। ত্রিশ লক্ষ লোকের শহীদের সংখ্যা নিয়ে জামাতীরা সহজেই জল ঘোলা করতে পারত, কিংবা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে করতে পারত নানা ব্যঙ্গ-রসিকতা। The Mathematics of a Genocide কিংবা Homage to my martyr colleagues এর মত প্রবন্ধের পর জামাতীদের পক্ষে আর তা সম্ভব হয়না। সম্ভব হয় না এম এম আর জালালের মহামূল্যবান ‘রোড টু সেভেন্টিওয়ান’ সিরিজের আবির্ভাবের পর। তারপরও প্রবন্ধগুলো সাইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। সময়ের অভাবে য়ামার পক্ষে একত্রিত করা সম্ভব হয়ে উঠছিলো না মোটেই। আমার সহকর্মী জাহেদ একসময় থাকতে না পেরে নিজের উদ্যোগেই প্রবন্ধগুলো একত্রিত করে গড়ে তুলে মুক্তমনা মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ। তারপর থেকে এ আর্কাইভের লেখাগুলো ছড়িয়ে পড়লো বিভিন্ন সাইটে। প্রথম আলো সহ অনেক পত্রিকায় আর্কাইভের চমৎকার কিছু রিভিউ হলো। আজ আমার গর্ব হয় এই দেখে যে কীন ইউনিভার্সিটি থেকে কনফারেন্সের ব্যাপারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়; genocidebangladesh.org সহ বহু সাইট আমাদের এই মুক্তমনা আর্কাইভের প্রবন্ধগুলো প্রামান্য দলিল হিসেবে নিজেদের সাইটে ব্যবহার করে। এ ব্যাপারগুলো একদিনে গড়ে ওঠেনি। এর পেছনে রয়েছে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াকু মনোভাব, স্পৃহা, শ্রম আর সদিচ্ছা। আর সেজন্যই মুক্তমনা তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একসময় পেয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক, যা আর কোন ইন্টারনেট ফোরাম বা সাইট এখনো অর্জন করতে পারেনি।
আজ মুক্তমনার দায়িত্ব হয়েছে তার কর্মসূচীকে আরো বিস্তৃত করার। আমি ব্লগারদের গণসাক্ষর কর্মসূচীর ক্যাম্পেইনের পুরোধাদের কাছ থেকে ([email protected]) গতকাল একটি ইমেইল পেয়েছি। ইমেইলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য তাদের গণসাক্ষর অভিযানের সাথে সংহতি প্রকাশ করার আহবান জানানো হয়েছে এই বলে –
‘Few bloggers of different bangla blog platform have recently started a signature collection campaign demanding punishment of war criminals. Objective of the campaign is to remain active with the demand. Other than individual effort, the campaign is being carried out in fair, mall, institutes and other areas. Bangla bloggers community is actively participating in those events. The petition form is attached herewith. Physical signature on the form may have a great impact in communicating views to others and preservation as evidence of demand. If you have any website under your control, you can put a copy of the form there and request your viewers to enroll in the campaign by signing and sending hardcopy to the given address. The more people will be concerned, the more we will be ahead towards the goal. Please forward the mail to your contact list. Please print the form and try to collect signature as much as possible and post it to the written address of the form by 21st February’2009‘
আমি তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এই ক্যাম্পেইনের সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। আমি মুক্তমনার সকল সসস্যদের অনুরোধ করছি নীচের লিঙ্ক থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নিন, প্রিন্ট করুন এবং ২১ এ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ডাক বা বাহকযোগে কিংবদন্তীর ঠিকানায় (আজিজ সুপার মার্কেটের ঠিকানা, যা ফর্মে দেয়া আছে) পাঠিয়ে দিন। নিজে সাক্ষর করুন, অপরকেও সাক্ষর করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
পিডিএফ ফাইল খুলতে কারো অসুবিধা হলে মুক্তমনায় রাখা এই জেপেগ ফাইল থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করা যাবে। ডাউনলোড করে নিজে সহ অন্যদের সাক্ষর নিয়ে কিংবদন্তীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। শুধু সাক্ষর নয়, আপনারা ছড়িয়ে পড়ুন বাংলার পথে প্রান্তরে। পোস্টার আর স্টিকারে দেওয়াল, বাড়ি, ল্যাম্পোস্ট, টুল টেবিল সয়লাব করে দিন। সয়লাব করে দিন, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। সয়লাব করে নিন রেস্তরা, চায়ের স্টল আর সুপার মার্কেট। সয়লাব করে দিন ট্রাম, বাস, রিক্সা, ঠেলাগাড়ি আর সাইকেল। থাকবে একটাই দাবী –
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই!
প্রতীকী হলেও অন্ততঃ একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমি মৃত্যুর আগে দেখে যেতে চাই। একাত্তর পরবর্তী আমাদের এই স্পর্ধিত প্রজন্মই পারবে আপোষকামী সরকারের চোখ খুলে দিতে, পারবে ঘাতক দালালদের গলায় দড়ি পরাতে – পুনর্বার।
আপডেট:
আপনাদের সাক্ষর করার জন্য কয়েকটি অন-লাইন পিটিশন
-
A petition to bring the 1971 Bangladesh Liberation War Criminals to Justice
-
A petition to Pakistani Government to officially apologize to the people of Bangladesh
ড. অভিজিৎ রায়, মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক; ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ ও ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে‘ গ্রন্থের লেখক। সর্বশেষ প্রকাশিত সম্পাদিত গ্রন্থ – ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’। সম্প্রতি ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়?‘ শীর্ষক গ্রন্থ সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত। ইমেইল : [email protected]
একটু লেট হল পড়তে। তাতে কি?
প্রসংগটা তো এখনো এশত ভাগ যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে।
যত দিন বিচার না হবে ততদিন চিল্লাতে থাকব” যুদ্ধপরাধীর বিচার চাই”
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই” শ্লোগানে মুখর বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ধরা হয়েছে। শ্লোগান সার্থক। দাবী পূরণ হতে চলেছে।
আমরা কার কাছে বিচার চাচ্ছি?
হ বিচার চাই
War War Crimes must be punished, but punished must be all criminals including the Muktijuddah war-criminals. Since the birth of Bangladesh all researches and highlights have been on the Rajakars because they stood against the national side of sentiment. On the other hand the war-crimes, the revenge crimes and the many atrocities committed by Muktijuddas against those people who had exercised only their democratic and citizen rights to choose other political parties than AL had faced tortures, murders, loots and, in some cases, indiscriminate killing. It is time that people outside the country raise the voice for justice for all, because people inside the country will not be able to do it, because of recriminations and attacks. It is easy and trendy now to speak against rajakars, but extremely difficult to speak against crimes committed by Muktijuddas. This issue is a test for those who care for human rights and who are not led by any hidden agendas around the topics. Although no one sought and collected the crimes of the Muktijuddas, as it is sought numerously for rajakars, a few instances of the real, hard evidences are still surviving through foreign sources. Following are a few as available in the ‘Youtube’. If anyone has more, let them publish. Now for the sake of justice, it is also important to have some investigative teams supported by people outside the country to undertake a careful task of collecting this kind of sensitive data –I said careful, because Bangladesh can be a very dangerous nation, people are extremely sentimental and anyone perceived to be doing such an unwanted job, they could be simply killed.
http://www.youtube.com/watch?v=V-ZB85xBgag&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=bA_d868pCw4&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=V-ZB85xBgag&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=gYlo31XJe94&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=HXarbPJF9Pc&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=bA_d868pCw4&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=ufisW9Dao7k
অভিজিৎ আমি হতবাক হলাম আপনার নিরপক্ষতার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেরে জন্য দরকার solid proof যা দুসপ্রাপ্য। 71 এর army mutiny তে মারা যান মাএ ৫৬ জন সেনা আর এই মাএ BDR MUTINY তে মারা গেলেন ২০০ জন। এটাকে কিভাবে দেখবেন
যুদ্ধাপরাধীরা তো উভয় পক্ষে ছিলেন। আপনি কি বাঙালি যুদ্ধাপরাধীরদের ও বিচারের পক্ষে। দেখুন এই link এ কিভাবে কাদের ৫ জন innocent বিহারিকে এবং ১ জন ৬ বছেরর শিশুকে ঠানডা মাথায় হত্যা করে
http://www.youtube.com/watch?v=ufisW9Dao7k
@tausif,
এটা ঠিক যুদ্ধাপরাধের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাঙ্গালীদের পক্ষ থেকেও কিছু ঘটেছিলো। কাদের সিদ্দিকীর বিজয়দিবসের প্রাক্কালে বিহারীদের হত্যার ব্যাপারটি তো আমাদের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কাদের সিদ্দিকীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা মনে রেখেও বলছি, স্বাধীনতার প্রক্কালে যেভাবে তিনি বিনা বিচারে গুলি চালিয়ে মেরেছেন, সেক্ষেত্রে তিনি কোন জেনেভা কনভেকশন মানেন নি, আন্তর্জাতিক যুদ্ধের এথিক্সও মানেন নাই। শুধু এটিই নয়, বিহারীদের উপরও আগ্রাসন হয়েছে, সেই বিহারীদের অনেকেই হয়ত অপরাধী ছিলেন না। আমি পক্ষ বিপক্ষ নির্বিশেষে যে কোন যুদ্ধাপরাধের আমি বিচার চাই।
তবে এটাও ঠিক ভুলে গেলে চলবে না যে, পাকিস্তানিরা নয় মাসে যে গনহত্যা করেছে, যেভাবে ২৫ এ মার্চে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর ক্র্যাকডাউন করেছে, যে ভাবে নারিদের ধর্ষণ করেছে, সেটার তুলনায় উল্টোপক্ষের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো তেমন ব্যাপক ছিলো না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা কিন্তু ঘটেছিলো। কিন্তু সেগুলো নাৎসী বাহিনীর কর্মকান্ডকে কি ম্লান করে? তা করলে বিশ্বযুদ্ধের চল্লিশ পঞ্চাশ বছর পরেও যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে খুঁজে বিচারের মুখোমুখি করা হত না। বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষ বিজয়ী হয়েছিলো, তাই কেউ হয়তো বলবেন, তারা তাদের মত করে বিচারের আয়োজন করেছিলো। আর আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বিজয়ী হবার পরও রাজাকার আলবদর আর পাকিস্তানী সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারি নি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না
bcoz no differences between muktijoddha & rajakar!
muktijoddha have done same behaviour like rajakar (rape, loutting, hijacking, kidnapping, killings etc.) after independence which rajakar have done b4 independence. the only difference is:
muktijoddha: desh bivoktir pokkhe
rajakar: desh bivoktir b-pokkhe
@Tansen,
এই পোস্টটা আপনার মত লোকদের জন্য নয় – যারা মনে করেন মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারে কোন পার্থক্য নেই। একাত্তরে পাক-বাহিনির গনহত্যা আন্ত্ররজাতিকভাবেই ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত। আপনি সেটা মানেন, আর নাই মানেন।
সংশোধ্নী ঃ “আওয়ামিলীগ যেহেতু ধর্ম নিরপেক্ষতার দাবিদার”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেরে দাবির সাথে সাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পরিবর্তন করার জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা খুবই দরকার।আওয়ামিলীগ যেহেতু
নিরপেক্ষতার দাবিদার আর তাদের যেহেতু সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন রয়েছে ফলে কেন অনতি বিলম্বে জাতিকে তারা এই লজ্যা থেকে মুক্ত করছেনা সে ব্যাপারে সবাইকে কথা বলা উচিৎ। একই সাথে আওয়ামিলিগের আসল রুপ চেনার এই সুযোগ কাজে লাগান উচিৎ। কারন অসাম্প্রদায়িক মানুষের ভরসার যায়গাটা তারা দখল করে আছেন।
আমি শ্রীমান জাহেদ সাহেবের সাথে জোরালো ভাবে এক মত পোষন করি।জাতীর জনক ক্ষমা করেছেন, শ্রীমতি হাসিনা ও যদি চাপের মুখে আরো উদার ভাবে ক্ষমার আশীর্বাদে কুলাংগারদের পাচারে চুক্তি না করে।ক্ষমতাশীন দলরা সব সময় অজুহাত খুজে জাতীকে কলঙ্কিত করেই যাচ্ছে বছরের পর বছর। এ যাত্রায় কোন ক্ষমা নয়। সরাসরি কাঠ গড়ায়!
আওয়ামীলিগের উপর সম্পূর্ন আস্থা করার মত আদর্শ দল বলে আমি বিশ্বাস করিনা। যে দলের ভেতর খোদ যুদ্ধাপরাধী পরম যত্নে লালিত ক্ষমতার লোভে। স্বাধীনতার স্বপক্ষে অংশগ্রহন কারি সংখ্যা লঘুদের স্বদেশে পরবাসী হবার জন্য দায়ী কারা? যুদ্ধবিরোধীরা স্বদেশে বাংলাদেশের সংসদে বসে অথচ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংখ্যালঘুরা তৃনমুলের নির্জাতনে দেশ ত্যাগে বাধ্য। রাজনীতিতেত মেধার কোন যোগ্যতা নেই। গুপ্ত হত্যা। তার উপর তো আছে হিন্দু নারী জনগনের মাল!
প্রিয় অভিজিত বাবু, আপনাদের সাথে আমরা ও আছি। এদাবী আজ বিশ্ববাংগালীর। শুধু ভয় হয় এটা না আবার শুভঙ্গকরের ফাকি হয়ে যায়। দেশের এক বৃহত্বর জনগোষ্ঠী সরব সৌদি ও সন্ত্রাসী পাকিদের সুরে ৭১রের মত । সংগ্রাম ও নয়াদিগন্ত পত্রিকা দুটি নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী জানাই। যে সব সংবাদ মাধ্যম জনগনের সুকুমার মনে ঘৃনার সঞ্চার করে তা কোন মতেই গ্রহনযোগ্য নয়। এসব ঘৃনিত প্রিতিষ্ঠান ও সংবাদ সংগ্রহনকারীদেরকে সামাজিক ভাবে প্রত্যাহার করার দাবী জানাই।
বরাবরের মতো আমিো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। বাংলার মাটিতে বিচার করতেই হবে। এই বিচার প্রক্যিায়র সস্চতার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য স্বাধীন বিচার কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশনের রিপােটের ভিত্তিতে বিচার প্রক্ত্যিয়া শুরু করতে হবে। জাতি সংঘকে জড়ালে বিচার হস্তক্ষেপ হতে পারে। ম্ধ্য প্রাচ্যের দেশ গূলো থেকে চাপ সৃস্টি হত েপারে জাতি সংঘের উপর। কিন্তু আন্তজার্াতিক গ্রহণ যোগ্যতার জন্য জাতি সংঘের সম্পৃক্ততা করার বিষয়টি গভীর ভাবে দেখা যেতে পারে। আইনের মারপ্যাচ গুলো ক্ষিিতয়ে দেখতে হবে। যদি প্রশ্নিিবদধ বিচার হয়ে তাহেেল ইতিহাস ক্ষমা করবে না আমাদের। জামার্নীতে মৃত হিটলারের বিচার হয়েছে। এবংব তার নাগিিরত্ব বাতিল করা হয়েছে। আমাদের ো এরকম ভাবতে হবে। সব চেেয় বড় বিষয প্রচুর জনমত তৈরী করতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্তকরার মানে হবে জনগনকে এককথায় ধোকা দেয়া। প্রক্রিয়াটা প্রধান মন্ত্রী নিজেই শুরু করে দিয়েছেন। যেখানে এই দাবি আশার
কথা অপরাধীদের তরফ থেকে, বাঁচার জন্য তারাই ছুটবে জাতিসংঘে।
প্রজ্ঞাশুন্য আন্তরিকতা কোন কাজে আসবে না।
বিশ্ব আর্থনিতীর বর্তমান অবস্থায় সৌদি আরবের সুপারিশ উপেক্ষা করা যুক্ত্ররাষ্ট্র ও বৃটেনের
পক্ষে অসম্ভব। সৌদি থেকে ঋন পাওয়ার জন্য দুটি দেশই আজ মরিয়া। আর জাতিসংঘ কাদের
নির্দেশে চলে তাতো কারো আজানা নয়।
এই আন্দোলনের পেছনে জনমতের কোন অভাব নেই। অভাব রেয়েছে যোগ্য নেতৃ্ত্ত্বের। শেখ হাছিনার নেতৃ্ত্ত্বের উপরে আমাকে আস্থা রাখতে বললে আমাকে ভাবতে হবে। কিবরিয়া ও আই,ভি রহমানের মৃত্যু তাকে কতখানি প্রাজ্ঞ করতে পেরেছে তা সময়ই বলে দেবে।
@Atiq,
Your idea is definitely correct; and I feel, hasina govt doesn’t want to bring them to justice! BAL uses “juddhaporadhi” for a “political purpose” just to win the vote, nothing else than this.
“If wishes were horses, beggars would ride”.
“CHAI’ is not enough – a process is to be developed and followed. It involves theology also.
Is the process developed and presented to the nation?
Not yet.
We are working on this.
Hasan Mahmud.
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব সংসদে পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সরকারি দলের সাংসদ মাহমুদউস সামাদ চৌধুরী এ প্রস্তাব করেন।
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সমরনায়ক ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ব্যক্তিরা। তাঁরা এ জন্য অবিলম্বে এক বা একাধিক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
সংসদে প্রস্তাব: গতকাল সাংসদ মাহমুদউস সামাদ চৌধুরী অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরুর প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে কন্ঠভোটে পাস হয়েছে। এ সময় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বিজেপির সাংসদরা অবশ্য সংসদে ছিলেন না।
স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এ বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর ১০ জন মন্ত্রী ও সাংসদ বক্তব্য দেন। সর্বশেষ সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেন, এখন এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি গ্রহণের ব্যাপারে কে বলবেন−প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী না পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাঁড়িয়ে এ প্রস্তাব সমর্থন করে বলেন, অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। এটা আমাদের অঙ্গীকার।’ তিনি প্রস্তাবটি নিয়মানুয়ায়ী পাস করানোর ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।
স্পিকার আবদুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা যখন এটি করার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছেন, তাই এটি পাস হয়ে গেছে। এর আগে আইনমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যেহেতু এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তাই এটি পাস হয়েই গেছে। এরপরও সাংসদরা এটি সংসদে ভোটে দিয়ে আবারও পাস করানোর দাবি জানালে স্পিকার তা ভোটে দেন। তুমুল টেবিল চাপড়ানো আর হর্ষধ্বনির মধ্যে সর্বসম্মতভাবে তা কন্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেন, এ দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে। সংসদে এ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জাতি আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।
স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি: বিএনপিও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সহসভাপতি এম কে আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধ ও অপরাধীদের বিচার হবে, এতে আপত্তি করার কিছু নেই; বরং একে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু দেশের প্রচলিত আইনেই বিচার হওয়া উচিত। বিচার প্রক্রিয়া যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয় এবং কোনো প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে করা না হয়, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে।’
ভারতকে অভিযুক্ত করল জামায়াত: গতকাল সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেন, ‘সরকার যদি পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে এনে বিচার করতে পারে, তাহলে আপত্তির কিছু নেই। আবার লুটতরাজও যুদ্ধাপরাধ। সেই হিসেবে স্বাধীনতার পর ভারত যে অস্ত্রশস্ত্র ও কলকারখানার যন্ত্রপাতি নিয়ে গেল, তাদের যদি ধরে এনে বিচার করা যায়, তাহলে আমরা খুশি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, তাঁদের দলে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। এখন যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়, তাহলে আইনগতভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী হারুন-অর-রশিদের কাছে কাদের মোল্লার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত যদি এই লুটতরাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তারা সংসদে বিল আনুক। তারা লুকিয়ে বলে কেন। আর জামায়াতে যুদ্ধাপরাধী নেই কি না, তা বিচারের সময়েই প্রমাণিত হবে।
অন্যদের প্রতিক্রিয়া: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাসংক্রান্ত প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রচলিত আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে না। এ কারণে সরকারের এখন এক বা একাধিক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত। এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের এখতিয়ার ও অধিকার আইনের মধ্যেই আছে। প্রথম পর্যায়ে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, যাদের সম্পর্কে প্রমাণ ও দলিল-দস্তাবেজ আছে, তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সামনে দাঁড় করাতে হবে।
সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ্ বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তবে আমাদের প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।’ তিনি বলেন, যখন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবে, কমিশন গঠন করা হবে এবং জাতিসংঘের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হবে, তখনই তাঁদের আন্দোলন শেষ হবে।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. এম এ হাসান মনে করেন, এই প্রস্তাব এনে একাত্তরের শহীদ ও নির্যাতিতদের মর্যাদা প্রদর্শনের যাত্রা শুরু হলো। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার অবসানের মধ্যে নিয়ে জাতীয় অহংকার ফিরে পাব, মূল্যবোধের অবক্ষয় পুনর্নির্মাণ করতে পারব।’
উৎস প্রথম-আলো
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
আপনি আমাকে একটি মন্তব্য করেছেন ফরিদ ভাই এর লেখায়, আমি সেখানে আমার কিছু কথা বলেছি, দয়া করে পরবেন কি????
In fact it is a burning issue for us. Thank you very much Mr. Avijit for your timely effort on this important and emergency issue of Bangladesh. We need to rectify our ways of advancement. We also need to start from the beginning. For unobstructed sustainable development we have to solve some imposed controversies as
1. Declaration of independence
2. Trial of war criminals
3. Our Nationality
4. Activation of the Constitution of 1972.
But, we have to start from the trial of war criminals. After establishment of constitutional basics of 1972 we need to clarify our identity and existence in the world as Bangali. Then we need a war of self correction. We need to build up a nation for which its people will be proud and patriot. We need to buildup our basic infrastructures for modern advanced education policies, social and economic compact growth, humanity, secular sociopolitical environment and progressiveness for next generation. Our upcoming generations shouldn’t suffer from the controversies of our national issues. This is our perfect time to turn on the highway, which one was the dream of 1971.
তানবীরা তালুকদার আপনি রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীকে নিয়ে যে রচনাটি লিখেছেন, তাতে রবীন্দ্রনাথের প্রতি আপনার বিশেষ পক্ষপাত আছে এটা বুঝতে কোনও অসুবিধে হয় না আমারও রবীন্দ্রনাথের প্রতি এমনি পক্ষপাত আছে সেজন্য আপনার লেখাটি আমার খুব ভালো লেগেছে আমি নেট থেকে ডাউনলোড করে লেখাটি একটি .ডক ফাইলে কপি করে রেখেছি, যাতে এটি সুবিধাজনকভাবে অন্য সময়েও পড়া যায়, অন্যকে পড়ানো যায় আপনি যে দক্ষ লিখিয়ে তা বোঝা গেল আপনার লেখার বাঁধুনি দেখে নিজের বক্তব্যকে আপনি ঠিক ঠিক বোঝাতে পেরেছেন বলে মনে হল
”যারা অনেক কিছু কল্পনা করতে ভালোবাসেন তাদেরকে সেসব কল্পনা করার রাস্তা তৈরী করে দিয়েছেন কবি নিজেই।“ ফলে তার মধ্যে যে অনেক ’অনুচিত কল্পনা‘ থাকবে তা তো অবধারিত এসব কল্পনার বাঁধ আটকানো যাবে না কারণ বড় এবং বিখ্যাতদের নিজের মাপের করে নিতে পারলে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, তা মানুষকে চিরকাল এই কুকর্মে প্ররোচিত করেছে তবে সে যুগে ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে খুব সুনাম ছিল বলে মনে হয় না স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে একটি অশোভন ইঙ্গিত করে ঠাকুর পরিবারের সাথে ভগিনী নিবেদিতাকে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করে ছিলেন বলা যায় না, এর ভিতরেও নানা ’পলিটিক্স‘ থাকতে পারে
লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ’প্রথম আলো‘ উপন্যাসে কাদম্বরীকে কলঙ্কমুক্ত করে যে ভাবে তিনি তাঁকে উপস্থাপিত করেছেন সেটি পড়ে আমি দীর্ঘক্ষণ আপ্লুত হয়ে চুপ করে শুয়ে ছিলাম আপনি তথ্য তত্ত্ব দিয়ে
অতি-কল্পনার হাত থেকে ঘটনাটিকে মুক্ত করতে চেয়ে আমার কৃতজ্ঞতা ভাজন হলেন
ধরি যদি রবীন্দ্রনাথ কলঙ্কিতও হতেন, তাঁর অবদানের ধারেকাছেও তো নিন্দাকারীরা যেতে পারেন না, তাই নিন্দা করে যতটা সুখ পাওয়া যায়, তার প্রয়াস তাঁরা চালিয়ে গেছেন, এবং প্রবল আশা এই যে তাঁরা সে কুকর্মটি ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবেন এক লেখক-অধ্যাপকের সঙ্গে আলাপ হওয়াতে তিনি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যে অন্য-ধরনের মতামত দিলেন তার লিখিত উল্লেখ করা সম্ভব নয় যদিও তিনি রবীন্দ্রনাথের উপরেই বই লিখে কিঞ্চিৎ অর্থোপার্জনের চেষ্টা করছেন কালি যতই মাখানো হোক সোনা সোনাই থাকে এবং থাকবেও ঘেউ ঘেউ থামানো যায় না তবে ’কাঁটার বিদ্ধ‘ করার ক্ষমতা আছেই
পুনঃ- আমার মন্তব্যটি আপনাকে পাঠানো যায় নি পরে হঠাৎ আপনার ইমেল পেলাম এবং আপনার ছবি দেখলাম মুসলমান নাম নিয়ে আমার ধারণা নেই
যেজন্য আমি মনে করেছিলাম আপনি বছর ৪৫-৫০-এর পুরুষ
মনোজকুমার দ. গিরিশ(৬৫) ২৫/১২/২০০৮ ● ২৭/০১/২০০৯ কোলকাতা
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই দাবীট ছড়ানো অত্যন্ত জরুরী। আমি যতটুকে জানি ৭১ এর গণহত্যাকে জাতিসংঘ “Genocide” বলে চিহ্নিত করেনি (আমার জানা ভুল থাকলে কেউ জানাবেন)। আমরা এ ব্যাপারে লবিং করতে পারি।
আমিও আপনাদের সাথে আছি।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ অভিজিৎ বাবু, লেখা আহ্বানের জন্য। আপনাদের কাছ থেকে এমন উৎসাহ এবং সহানুভূতি পেলে অবশ্যই লেখা পাঠাবো।
আমিও আপনাদের সাথে একমত। যুদ্ধাপরধীদের বিচার হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক। সুষ্ঠভাবে দেশ গড়ে উঠুক।
ধন্যবাদ যুথিকা। আপনার লেখা ইদানিং পাই না কেন মুক্তমনায়? পাঠাতে থাকুন আপনার অভিজ্ঞতার কথা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই দাবীটাকে ছড়িয়ে দিতে হবে ব্যাপকভাবে। একাত্তরের বাংলাদেশে যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছিল এ কথাটাই বিশ্ববাসীর অনেকেই জানেন না। যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবী করার মাধ্যমে একাত্তরের ইতিহাস সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদেরই। পাকিস্তানের জনগণকেও, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে, জানাতে হবে সঠিক ইতিহাস।
অভিজিত সেই কাজেই হাত দিয়েছেন, তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য ‘রিপ্লাই’ লিঙ্ক সংযুক্ত হল। এর ফলে কোন বিশেষ মন্তব্যের জবাব সেই থ্রেডেই দেয়া যাবে।
ব্লগে প্রবন্ধগুলো বিভিন্ন জনের সাথে শেয়ার করার জন্য ShareThis এর একটি প্লাগ-ইন সংযুক্ত হল। এর আগে বিভিন্ন সদস্য (প্রধানতঃ সুপা) অনুরোধ করেছিলেন এই ফীচারটি মুক্তমনা ব্লগে সংযুক্ত করার জন্য। প্রবন্ধের নীচে রাখা ShareThis ফীচারটি ঠিকমত কাজ করেছে কিনা তা সকলকে পরীক্ষা করে দেখবার অনুরোধ করছি।
@রায়হান আবীর,
মুক্তমনা ব্লগ যে বাংলাদেশ থেকে টাইম আউট হয়ে যায় – এটা তো জানতাম না। জানিয়ে ভাল করেছেন। বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি আমাদের মেইন পেজ (www.mukto-mona.com) থেকে আমাদের ব্লগের লেখা গুলোতে যান? আমাদেরমেইন পেজ টা বেশ দ্রুতই ডাউনলোড হয় বলে আমার ধারণা। সেখান থেকে ব্লগের লেখাগুলোতে ঢুকলে হয়ত এই টাইম আউটের সমস্যা এড়ানো যাবে। আর বিশেষ করে এই পোস্টটিতে এত ছবি আর এতগুলো মন্তব্য থাকার ফলে হয়ত লোড হতে সময় লাগছে। দেখি এই উইক-এন্ডে ঘটাঘাটি করে দেখব, সাইটের স্পীড আরেকটু বাড়ামো যায় কিনা।
@অভিজিৎ দা,
আকাশ মালিকের বড় প্রবন্ধটাতেও সমস্যা হয়। ঐগুলা পড়ার জন্য ভালো স্পিড আছে এমন জায়গা থেকে কপি করে তারপর পড়তে হয়। একই সমস্যা মেইন পেইজের ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে আমাদের হলে নেটের স্পিড অনেক দূর্বল। বাসায় সমস্যা হয় না খুব একটা।
আমাদের নিজেদের একটা ওয়ার্ড প্রেস সাইট ছিল- সেখানে প্রথম দিকে একই সমস্যা হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডে টাইম আউট হয়ে যেতো। পরবর্তীতে সেটা বদলে দেবার পর এখন ঠিক ঠাক।
আর দুইটি কথাঃ-
১। প্রধান পাতায় ব্লগের কোন লিংক চোখে পড়লো না। দিলে ভালো হবে বলে মনে করি।
২। ব্লগে কোন লেখার সম্পূর্ণটা না রেখে, প্রথম কয়েক প্যারা রাখা গেলে ভাল হবে। তাতে করে এক নজরে সব লেখার দিকে নজর দিতে সুবিধা হবে।
ধন্যবাদ।
অভিজিতদা, নন্দিনী আপা,
আমি হতাশা ছড়াতে চাইনি, চাই না, শুধু বাস্তবতার দৃষ্টিতে সম্ভাব্য বাধা বিপত্তি দেখাতে চেয়েছি। যুদ্ধপাধীদের বিচার খুব সহজ হবে না। আট ঘাট বেধে না আগালে তাতে হীতে বিপরীত ই হবে। গোলাম আজম আজ আমার আপনাদের মতই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক, তাই না? নিজামি গং ও দেখা যাবে “আইনী” প্রক্রিয়াতেই নিরপরাধ প্রমানিত হয়েছে।
তাদের তেমন প্ল্যান ও কিন্তু আছে। কোথায় যেন পড়েছিলাম যে তারা নিজেরাই চাছে তাদের নামে মামলা হোক, নিজেদের লোক দিয়ে সাজানো মামলা করাবে তাতে তারা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমানিত হবে। এর পর আর কোন আদালতে তাদের বিচার হয়? আমরা ডালে ডালে চললে তারা পাতায় পাতায় না, চলে শিরায় শিরায়।
আমার মনে হয় দেশে শক্ত জনমত গড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাবেও চেষ্টা করতে হবে। ঈউএন কে ইনভল্ব করাটাই ভাল, তাতে মধ্যপ্রাচ্যের চাপ রোখা সহজতর হবে।
আপনার কথা পুরপুরি সঠিক। ব্যাপারটা যাতে না ঘটে আমাদেরও আট ঘাঁট বেঁধে নামতে হবে। গোলাম আজমের প্রেক্ষিতটা একটু ভিন্ন ছিলো। হাসান মোর্শেদ সেটা ব্যাখ্যা করেছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার আইন অনুযায়ী(ধারা ১৩) জন্মসুত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব বাতিল কিংবা কাউকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া বা দেশে ঢুকতে বাধা দেয়া যায়না । আর তা ছাড়া গোলাম আজম একসময় ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, লিয়াকত আলী খানের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথা না হয় বাদই দিলাম। এ ব্যাপারগুলোই গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করেছে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে আমাদের জন্য শাপে বরই হয়েছে। হাসান মোর্শেদ তো বলেইছেন – ‘এই মামলার রায় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার করাকে আরো সহজতর করেছে ,কারন এখন সে বাংলাদেশের নাগরিক । বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাইলেই তার নাগরিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিচার কার্য সমাপদন করতে পারে -এর জন্য কোন কুটনৈতিক আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই ।’
কিন্তু যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জাতিসংঘের ঘোষনা রেজুলেশনের ২৬০(৩) নিজামী গং দের কর্মকান্ডের বিপরীতে যায়। সঠিক পরিকল্পণা মোতাবেক আটঘাট বেঁধে নামলে এদের গলায় দড়ি পরানো যাবেই যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অভিজিৎ দা,
মুক্তমনার ব্লগটা খুব দ্রুত টাইম আউট হয়ে যায়। যার ফলে আমার যারা দেশে থাকি এবং কচ্ছপ ইন্টারনেট ব্যবহার করি- তারা কখনই এক চান্সে পুরো পেইজ লোড করতে পারি না। একটু দেখবেন।
কেউ কেউ পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তাদের জন্য পিকচার ফাইল (জেপিজি) হিসাবে ফর্মটা এখানে রেখে দিয়েছি।
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি – হতাশার কথা আর না, প্লীজ । হতাশা ছড়িয়ে বসে থাকলে কিছুই হবেনা । অনেক শুনেছি, আর হতাশার কথা আপাতত না শুনি । বরং যার যা ক্ষমতা আছে তাই নিয়ে সরকারকে কি করে বাধ্য করা যায় সে কথা বলুন…,
একাত্তরের ঘাতক, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবার হতেই হবে ! যুদ্ধাপরাধীদের ‘ধর্মে’র নামে রাজনীতির মাঠ গরম করা আর চলবে না ! বাংলাদেশের মাঠিতে এদের সকল কর্ম-কান্ড বন্ধ করা হোক । এমন সুযোগ হেলায় হারালে আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা । অতএব এবার আমরা আর কোন ধানাই পানাই মানছিনা, মানবো না …!!!
Why don’t we collect signature through the MM website?
তোরা সারা বাংলায় খবর দিয়ে দে, দেয়ালে দেয়ালে চিকা মেরে দে- এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। জ…য়… বাংলা। অভিজিতদা, দুহাত তুলে সহমত জানালাম। ধন্যবাদ আপনাকে বারুদে ম্যাচ ঠোকার জন্যে।
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামীলিগ বিপুল ভোটে পাশ করে এখন ক্ষমতায়। তাত্ত্বিক অর্থে, তাঁরা সংবিধান পর্যন্ত সংশোধন করতে পারে। এরপর ও যদি ‘৭১ এর কুলংগারদের বিচার করা না যায়, তাহলে বুঝতে হবে স্বয়ং আওয়ামীলিগই বিচারের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।
অভিজিৎ -এর আরেকটি বাম্পার-হিট লেখা। ফাটাফাটি ও সময়োপযোগী।
আমার মনে হয় আবুল কাশেমের মন্তব্যের পর সবাই একটু নৈরাশ্যবাদি হয়ে পড়েছে। এত নিরাশ হবার কিছু নেই। আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি বলে এখনো যে পারবে না তা নয়। একটি টিভি সাক্ষাতকারে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ডঃ শাহদীন মালিক সম্প্রতি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সংবিধানে কোন বাধা নেই, চাইলে এখনই শুরু করা যেতে পারে। Internatioal War Crimes Tribunal, 1973 এর অধীনে একটি ট্রাইবুনাল গঠন করে সহজেই এই বিচার কাজ শুরু করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, এই বিচারকাজ শুরু করার জন্য জাতিসংঘের সাহায্য নেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
আরব বিশ্ব সবসময়ই বিরোধিতা করবে। কিন্তু তাদের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করেও তো আমরা অনেক কিছু করতে পেরেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আরব বিশ্বের কয়টা দেশ আমাদের কর্মকান্ডকে সমর্থন করেছিলো? তারপরেও কি আমরা স্বাধীন হইনি? হয়েছি।
আসুন নিরাশাবাদী না হয়ে বরং ফলপ্রসু আলোচনা শুরু করি – কিভাবে যুদ্ধাপরাদীদের বিচার করার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা যায়। আসুন আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি। এভাবেই আমরা হয়ত জয় করতে সক্ষম হব অসম্ভবকেও।
I fully agree with Mr. Abul kasem. We all must realize the unseen hurdle, lets come into the reality and prepare, otherwise nothing will work.
Isn’t it a shame for us to collect signature to proof that we demand the trial? If anyone doesn’t want to sign, simply means that he is supporting the cutthroats bandits of 71.
Typical middle eastern countries were all aganist Bangladesh creation in 1971, even till 75 they hadn’t recognized us. Jamatis main bakcbone is the same countries. So, no question that this middle eastern countries will try to save their Jamati habibis as much as they can. Like it or not, the reality is we are dependent on them for soem reasons as a poor country (Mr. Kasem discribed well). All of a sudden we can’t say thay, whatever you say we don’t care.
Also, don’t overlook the internal factors as well. Another bitter truth, Razakars might have lost the recent elections, that doesn’t mean that they are supportless. They have a good support base, don’t just count on 5-7% Jamati vote bank. Many supporters of BNP have open or secret love for them, as well as many commoners who are always ready to give immunity to the Ghatoks as they have islamic outlooks..then millions of Alem/mollahs. Their number isn’t negligible. BNP I’m sure also will try to foil the attempt, may not voice directly but indirectly.
AL is always blamed for not trying the razakars from 96-2001. What were the reasons? Ideally they are against the razakars, though sometimes AL also used them to gain power. Why didn’t they try them then? I’m afraid that the reasons are the same. AL also has a bad reputation for ‘Anti Islami” which created an ever Anti AL vote bank. So, it’ll be very ineteresting to see how AL will keep their words.
I appreciate all efforts, and urge everybody to voice against the 71 Ghatok Dalal beyond any religious or political beliefe (it is very important). Just consider them from pure legal point, just imagine the pieces of the bones of the Shahid Buddhijibis of Mirpur and place these band of Razakars responsible fort that. Can they get any forgivesness or kindness for any sake?
We want trial of war criminals along with Dr Kamal. Sheikh Mujib and AL leaders for setting free the 195 War criminals of Pakistan a nd betraying with the movement of Jahanara Imam,
Saudi Arab is planing to recruit nearly 1000 doctors from Bangladesh and may recruit more workers from Bangladesh. Even Saudi King may come to Bangladesh if invited.
This news certainly will give Bangladeshis a feeling of joy. But JeI and the alliance may take it in a different dimension.This may help to promote an excuse of punishment to the war criminal beasts.
As Kasem (AK) bhai indirectly expressed that war criminals have ‘long’ hands. They have very long hands from south east Asia to Middle East and also from south Asia to Europe.
As every one knows opportunity never comes again and again. So the opportunity to punish the war criminals may not come again. Punishing war criminals will not only satisfy the the ruling government’s election istehar, but also, practically it will help the ruling government’s chance to develop Bangladesh permanently.
The more the time the ruling Government will get, the more the chance for Bangladesh to get a better corruption free society. This is important for the new generation of Bangladesh.
AL should take a vow of “Karenge ye Marenge” –
” Do or Die ” regarding the execution of the “beasts” of 1971.Even the beasts or animals will feel shy if the war criminals are addressed as “beasts”. AL should clean the ‘weeds’ as soon as possible to make the ‘land’ suitable for farming.
Could have been better, the whole site is in English to keep valid docs for future ref in case sucessfull to raise to ICC.
I concur with Mr. Abul Kasem, but there is one more positive factor to add, which is the support of the United States of America for the war crime tribunal, which was not there during Sheikh Mujibur Rahman. Therefore, it is quite feasible this time around if Awami League can show leadership and make use of all these favorable circumstances for the trial.
Well done Avijit! Excellent write-up very timely and a needed demand for true Bangalis. This is the last chance for Bangali to try war criminals and hang them in the race course maidan. Joi Bangla! Joy Banga Bandhu
SKM
এখানে কিছু অনলাইন পিটিশন আছে, আপনারা সাক্ষর করতে পারেন –
১) A petition to bring the 1971 Bangladesh Liberation War Criminals to Justice
২) Petition: Bangladeshi Nation Demand Justice
৩) A petition to Pakistani Government to officialy apologize to the people of Bangladesh
৪) Pakistani Govt. Must Ask for Forgiveness to Bangladesh and want United Nations help to bring the war. (facebook petition)
প্রথম পিটিশনটি লেখা হয়েছিলো যখন ফকরুদ্দিন সাহেব ক্ষমতায় ছিলেন। এখন সরকার বদলেছে। হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে যতক্ষন না পিটিশন আসছে, এইটাই ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুক্তমনার এই মহতী উদ্যোগের জন্্য আমার আনতরিক ধন্যবাদ। আমিো আছি আপনাদের এই পথের সারথী হয়ে।
সালমা
এনজিো কমীর্, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এই বাংলার মাটিতেই একাত্তরের ঘৃণ্য বর্বর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাজা হতেই হবে। এ আমাদের রক্তের ঋণ, পশুত্বের অভিশাপমুক্ত হয়ে মানুষে উত্তরণের অনিবার্য অঙ্গিকার।
আগামী প্রজন্মের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমাদের আর পথ হারানোর কোন উপায় নেই।
Bangladeshis might consider me a pessimist when it comes to the demand for the trial of the war criminals. But, let us face the reality: even during Mujib’s time he had enormous hurdle to handle this case. The problem was not Mujib, nor the legal system, nor even the will of the government of Bangladesh. It was the Islamic and the Arab world. The rope of the Islamists of BD is very long indeed. Those who underestimate their capabilities to influence the Arabs to halt the process of initiating the trial, I must say, are not realistic. The Jamat and other Islamists have strong connections with the rich Arab countries. Please recall how the Arab/Islamic world reacted when the prosecutor of the International Criminal Court issued a warrant for the arrest for the Sudanese President, Omar Hassan al-Bashir, on charges of genocide and crime against humanity committed during the last five years of bloodshed in the Darfur region of Sudan. As far as my knowledge goes, until today, this perpetrator of genocide in Darfur is enjoying all the blessings of the Arab and Islamic world; this might include even Bangladesh, as Bangladesh is a member of OIC, the Islamic ummah.
Therefore, I am concerned that Bangladesh might face the similar problem. Most likely, the Islamists of Bangladesh will use all their might to curry-favor the Arab governments to twist the arms of the Hasina government with the threat of Arab disfavor. The most potent weapons are: the Hajj, the two million (plus) workers in Saudi Arabia, their remittances, the Islamic faith, the slave status of Bangladesh workers in Islamic Paradises…Even Mujib had to kneel down to the Arabs when it came to Hajj and Islamic oil and money.
Having depicted the above dismal picture, It is not an impossibility that if the people of Bangladesh are completely resolute in demanding the trial of the war criminals, it might happen, when the demand reaches the corridor of world power. The Bangladesh government must render this issue an international case of genocide. Perhaps, it will take a long time, but we must not cease in our effort to affect justice to the perpetrators, when they are still alive.
I sincerely applaud Avijit and the tireless young activists who have the tenacity to continue the ‘cry for justice’ when the going is tough.
AK
সাথে আছি ।
@ বেনু, অনেক ধন্যবাদ তোমার প্রচেষ্টার জন্য। সাক্ষর করার কাজটা ২১ এ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে করা দরকার। যত বেশি মানুষকে উদ্দ্বুদ্ধ করা যাবে, ততই আমাদের লাভ।
আর স্টিকার যদি সংগ্রহ করতে চান তবে আজিজ মার্কেট-এর তিনতলায় ৯১ নং দোকান -‘শুদ্ধস্বর’ -এ চলে যান । টুটুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করুন। তাকে বললেই স্টিকার দিয়ে দেবেন ।
@ মামুন, তানবীরা আর লুনা, ধন্যবাদ আপনাদের।
@লুনা, আপনার লেখা আবার ইংরেজী হরফে চলে গেল কেন?!!!!!
Avijit,
University te 71 er Ghatok dalad nirmul commette r active cromti ami, kintu nij choke dekhesi eay jodduoporadhira kotto sikor thake soktishli obshatan niease, oderke somule dhonghoso korte na parle konodin Bangladesh matha tule darabe na, konodin na, asun Mukto-Mona r vitor diea amader sobchey basi shokti diea kaj suru kori eay Rajakr der ke binshto korte ,eakhuni, eay muhurte –eay judde samil hok sara prithibi.”ekattor er hatiar gorje uthok r eakbar”
luna
সহমত।
টেস্ট ম্যাসেজ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই – করতে হবে,করতে হবে,
আমরা আছি মুক্তমনা সহ সকল ব্লগার ও মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে।
এবারের সংগ্রাম সকল আপামর জনতা ও মুক্তিযুদ্ধার সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম শেষতঃ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধে যাবার সংগ্রাম।
এবার হবে সকল কৃষক,শ্রমিক সহ জনতার জয়
এবং হবে মোদের স্বপ্নের জন-গনতান্তিক বাংলাদেশের জয়।
জয় বাংলা,জয় বাংলাদেশ।
অভিজিত রায় কে সময়ের সঠিক লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ রলো।
প্রিয় অভিজিত,
খুব ই ভালো লেগেছে তোমার এই লেখাটা পড়ে, আরো ভালো লেগেছে আমাদের যুব সমাজের গনজাগরণ দেখে। আমি নিজেও ৩০ জনের সাক্ষর নিয়ে এটা আজিজ মার্কেটের ঠিকানায় পৌঁছে দেব,এটা আমারও করা উচিত। গত ৩৮ বছরে যা আমরা করতে পারিনি এবার তা হবে এই প্রত্যাশা রইলো।
য়েনু