ইসলামের চার খলিফার কেউই তাঁদের জীবদ্দশায় জনগণের শতদাবির মুখেও ক্ষমতা ত্যাগ করেননি। তাদের তিনজনকেই জনতার রোষানলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম, হজরত উসমানের খেলাফতের মধ্য দিয়ে ইসলামের ঘরে, যে অনলের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠে, তা হজরত আয়েশার যুগে এসে দাবানলে পরিণত হয়। হজরত আয়েশার আশা ছিল, উসমান-পরবর্তী মদিনার খলিফা হবেন তাঁর দুই দুলাভাই হজরত তালহা (রাঃ) অথবা হজরত যোবায়ের (রাঃ)। জনগণ হজরত আলিকে বিপুল ভোটে মদিনার চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত করে। নবীপত্নী আয়েশা এমনিতেই হযরত আলিকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করতেন। হজরত আলি ছিলেন বিবি আয়েশার চক্ষুশূল। আয়েশা ছিলেন ব্যক্তি স্বার্থপর নারী। যে মহিলার বিছানার ভেতর জিব্রাইল ওহি নিয়ে আসতেন বলে নবী মুহাম্মদ (দঃ) গর্ব করতেন, সেই আয়েশা যখন ঘোষণা দিলেন উসমান হত্যায় হযরত আলি জড়িত, মানুষ তা অবিশ্বাস করতে পারলো না। সাহাবি হজরত তালহা ও হজরত যোবায়ের (আয়েশার দুই দুলাভাই) আলিকে খলিফা মেনে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। আয়েশার পরামর্শে তারা সে শপথ অস্বীকার করে বললেন যে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে বাধ্য করা হয়েছিল আলিকে খলিফা মানতে। উসমান হত্যার প্রতিশোধ নিতে হজরত আয়েশার ডাকে উমাইয়া বংশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো। তাঁর সাথে যোগদান করলো বেশকিছু মুসলিম, যারা নবী মুহাম্মদের (দঃ) অস্ত্রের মুখে প্রাণ রক্ষার্থে মুসলমান হয়েছিল আর যাদের মাতা-পিতা আত্মীয়স্বজন নবী মুহাম্মদের নির্দেশে হজরত আলির হাতে খুন হয়েছিল। এদিকে খেলাফত লাভের সাথে সাথে হজরত আলি সকল প্রাদেশিক গভর্নর পদ বাতিল করে দেন। কিছু উমাইয়া বংশীয় গভর্নরগণ পদত্যাগ করলো বটে কিন্তু রাজস্বভাণ্ডার লুটপাট করে শূন্য করে দিল। আর অনেকেই আলির খেলাফত অস্বীকার করলো। হজরত আলির জন্য প্রাদেশিক গভর্নর সমস্যার চেয়ে আয়েশার সৃষ্ট সমস্যা মারাত্মক হয়ে দেখা দিল। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি, তাঁর সর্বকণিষ্ঠ সৎ শাশুড়ি বিবি আয়েশা তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবেন। হজরত উসমানকে যখন হত্যা করা হয়, আয়েশা তখন মক্কায় ছিলেন। সেখান থেকেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন। হজরত আয়েশা, আলি কর্তৃক ক্ষমতাচ্যূত, ইয়েমনের গভর্নরের দেয়া পুরস্কার, অত্যাধিক সুন্দর, হৃষ্ট-পুষ্ট তাজা উট আল-আসকারের ওপর আরোহণ করলেন। পেছনে তাঁর ১০০০ হাজার সশস্ত্র সৈন্য। ডান পাশে হজরত তালহা, বামপাশে হজরত যোবায়ের। আয়েশার জীবনে বাল্যকালের আনন্দ ছিল না। যৌবন ছিল চরম হতাশা আর বেদনায় ভরা। যুদ্ধের ময়দানে হারিয়ে যাওয়ায় আয়েশার ওপর লোকে সেনাপতির সাথে কেলেঙ্কারি রটিয়েছে। মানুষ তাঁকে অসতীর অপবাদ দিয়েছে। আজ আয়েশার দু’চোখ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে সারা জনমের জ্বলন্ত হিংসার স্ফুলিঙ্গ! হায়, নবীজি মুহাম্মদ! একবার এসে দেখে যান, আপনার বিষবৃক্ষে কি অপরূপ ফল ধরেছে। দেখে যান,আপনার আদরের দুলালী ফাতিমা জননীর স্বামীকে বধ করতে আপনার প্রিয়তমা বালিকা বধুর হাতে খঞ্জর। এ তো আপনারই শিক্ষা। এ তো আপনারই দেখানো সেই পথ! সর্বনাশা এই পথের সন্ধান ‘উম্মে সালমা’ জানতেন কিভাবে? উম্মুল-মোমেনিন (মুসলিম জাতির মা) হজরত আয়েশা সৈন্যদল নিয়ে বসোরার পথে রওয়ানা হবার আগে, তাঁর অন্যতম সতীন উম্মে সালমাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করলেন। সালমা বললেন- ‘ অসম্ভব! আয়েশা তুমি ঐ সর্বনাশা পথে পা বাড়িও না। নবীজি আমাকে কানে কানে বলে গেছেন, একদিন একদল সশস্ত্র লোক ঐ পথে যাত্রা করবে যাদের নেতৃত্বে থাকবে একজন মুসলিম নারী। সে নারী, আমার উত্তরাধিকারী, খাতুনে জান্নাত মা ফাতিমার স্বামী, আমার প্রিয় জামাতা হজরত আলির নেতৃত্ব অস্বীকার করবে। নবীজি আরও বলেছেন, যারা আমার আলির নেতৃত্ব অস্বীকার করবে, মনে করো তারা আমাকেই অস্বীকার করলো। আয়েশা তুমি সেই অভিশপ্ত নারী হতে যেও না।’
আয়েশার শরীরের রক্তধারা আজ উজান বইছে। উম্মে সালমার নির্বোধ কথা শুনার সময় আয়েশার নেই। বসোরার পথে আয়েশার দলে আরও ২ হাজার লোক যোগদান করলো। বসোরার গভর্নর আয়েশাকে বাধা দিলেন। ৩ হাজার সৈন্য নিয়ে আয়েশা রাজধানীতে ঢুকে পড়লেন। তারা হজরত আলির নতুন খলিফা, গভর্নর উসমান বিন হোনায়েফকে নামাজরত অবস্থায় বন্দী করে তাঁর দাঁড়ি-গোঁফ মুণ্ডায়ে শহর থেকে বের করে দিলেন। হজরত আলি যখন উম্মে সালমা মারফত আয়েশার মনোভাবের সংবাদ পেলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৪০ জন নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে আয়েশার সেনাবাহিনী বসোরা দখল করে নিয়েছেন। আলি তাৎক্ষণিকভাবে মাত্র ৯ শত সৈন্য নিয়ে বসোরার পথে রওয়ানা হয়ে যান। নবীজির প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র (হজরত আলির সন্তান) হাসান ও হোসেন আর বসে থাকতে পারলেন না। পিতার নির্দেশে হজরত হাসান (রাঃ) অতিসত্তর কুফায় চলে যান। সেখান থেকে ৯ হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পিতার সাথে মিলিত হন। আলির পরাজিত গভর্নর উসমান বিন হোনায়েফ এসে বসোরার অবস্থা বর্ণনা করলেন। আলি মুচকি হেসে বললেন- ‘বৃদ্ধ গভর্নর পাঠিয়ে ছিলাম, এ দেখছি যুবক হয়ে ফিরে আসলেন’।
ধীরে ধীরে হজরত আলির সৈন্য সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ হাজারে আর আয়েশার ৩০ হাজার। প্রথমাবস্থায় হজরত আলি ও হজরত তালহার মধ্যে সাময়িক বাকযুদ্ধ হলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো, পরের দিন আরো আলাপ হবে বলে তারা নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরে গেলেন। ছোটবেলা থেকেই আয়েশা তার স্বামী মুহাম্মদের (দঃ) রণকৌশল দেখে আসছেন। পরের দিন আরো আলাপ করার জন্যে আয়েশা এতদূর আসেন নাই। রাতের অন্ধকারে অতর্কিতভাবে আয়েশার সৈন্যদল হজরত আলির সেনা-তাঁবুতে আক্রমণ করে বসলো। অতি অল্পসময়েই তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। রাত হতে সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে গেল, যুদ্ধ আর থামে না। হজরত আলির দক্ষ সেনাবাহিনীর সামনে আয়েশার সৈন্যগণ আর কতক্ষণ টিকে থাকবে? আয়েশার সৈন্যদল দুর্বল হয়ে পড়লো। তারা পশ্চাদগমনের প্রস্তুতি নিল। এতক্ষণে দশহাজার মুসলিম সন্তানের তাজা রক্তে শুষ্ক-মরুভূমি রক্তনদীতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। নবীজির কাছ থেকে ‘সাইফুল্লাহ’ (আল্লাহর তরবারি) খেতাব প্রাপ্ত বীরের সামনে, উটের ওপর রমণীর উঁচু শীর! হজরত আলির আর সহ্য হয় না। নির্দেশ দিলেন, আয়েশার উটের পা কেটে ফেলা হউক। উটসহ আয়েশা মাটিতে পড়ে যান। হজরত আলি, আয়েশার ভাই মুহাম্মদ ইবনে আবুবকরকে বললেন, তোমার বোনকে উঠিয়ে মদিনায় নিয়ে এসো। (ইসলামের ইতিহাসে এ যুদ্ধ ‘জঙ্গে জামাল’ নামে অধিক পরিচিত) হজরত আলি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বটে, কিন্তু ঘুণাক্ষরেও অনুমান করতে পারলেন না, সামনে তাঁর জন্যে ও তাঁর আদরের ধন হজরত হাসান ও হোসেনের জন্যে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ সিফফিন ও কারবালা। জামাল যুদ্ধে পরাজিত আয়েশাকে (রাঃ) বন্দী করে মদিনায় পাঠিযে দিয়ে হজরত আলি (রাঃ) বসোরা থেকে কুফায় গমন করলেন ৩৬ হিজরির রজব মাসে। সিদ্ধান্ত নিলেন মুসলিম সাম্রাজ্যের রাজধানী মদিনা থেকে কুফায় স্থানান্তরিত করবেন। হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) তখনও সিরিয়ার গভর্নর। মুয়াবিয়া (রাঃ) যে, হজরত আলিকে খলিফা হিসেবে এত সহজে মেনে নেবেন না, তা আলিরও জানা ছিল। আর মুয়াবিয়াও হজরত আলিকে লোমে-পশমে চেনেন। রহস্যজনক ভাবে মুয়াবিয়া, হজরত আয়েশার সমর্থনে জামাল যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে, নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেন। আলির জন্যে তা ছিল বিরাট উপকারী। কিন্তু আলি জানতেন না যে, আসলে হজরত মুয়াবিয়া সিরিয়ায় হযরত আলিকে লৌহকঠিন খাঁচায় বন্দী করার ফাঁদ পেতে রেখেছেন। মুয়াবিয়া রাজ্যের সর্বত্র প্রচার করে দিলেন যে, আলি ইচ্ছে করলে উসমানকে বাঁচাতে পারতেন, কিন্তু ক্ষমতালোভী আলি তা না করে হত্যাকারীদেরকে সহযোগিতা করেছেন এবং বাহুবলে শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। জামাল যুদ্ধে আলি যখন আয়েশার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে, মুয়াবিয়া তখন অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। হজরত মুয়াবিয়া সারা পৃথিবীতে উমাইয়াবংশীয় শাসন কায়েম করতে চান। তার আগে হাশেমি বংশের নবী মুহাম্মদের (দঃ) একমাত্র উত্তরাধিকারী হজরত আলির জীবন প্রদীপ চিরতরে নিভিয়ে দেয়া চাই।
হজরত উসমানের সুদীর্ঘ বারো বছরের অপশাসনে আরব মুসলিম সাম্রাজ্যে যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, উসমান হত্যার মধ্য দিয়ে তা আরও দ্বিগুণ হয়ে দেখা দিল। হযরত আলির রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে মুসলিমবিশ্ব এই সর্বপ্রথম কোরায়েশবংশের হাশেমি গোত্রের নবী মুহাম্মদের রক্ত-সম্পর্কের একজন খলিফা পেলো। আলি একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন বটে কিন্তু দক্ষ রাজনীতিবিদ মোটেই ছিলেন না। ক্ষমতায় বসেই মারাত্মক ভুল করে বসলেন। আলির চোখে ভেসে ওঠে মুসলিম সাম্রাজ্যের এক কুৎসিত ভয়ঙ্কর প্রতিচ্ছবি। তাঁর মনে পড়ে সেই কালো রাত্রির কথা, যে রাতে হজরত ওমর তাঁর দরজার সামনে এসে হাঁক দিয়ে বলেছিলেন : ‘কে আছো ঘরের ভেতর, বেরিয়ে এসো, আর আবুবকরের খেলাফত গ্রহণ করো, অন্যথায় মানুষসহ ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবো।’ হজরত ফাতেমা বের হয়ে বলেছিলেন, ‘আমার ঘরে নবীজির বিশ্বস্ত কয়েকজন সাহাবি মেহমান আছেন। ওমর, তুমি কি নবীজির মেয়ের ঘর আগুনে পোড়াতে চাও, যার হাতে আছে বেহেস্তের চাবি?’ উল্লেখ্য, আবুবকরের খেলাফত গ্রহণ করার পর থেকে, ফাতেমার ঘরে রাতে কিছু লোক নিয়মিত বৈঠক করে পরামর্শ করতেন। তারা ফাতেমা ও আলির মতো আবুবকরের খেলাফত অস্বীকার করেছিলেন। ঐ ঘটনার পর হজরত ফাতেমা তাঁর স্বামীকে অনুরোধ করেছিলেন, মৃত্যুর পর যেন তাঁকে রাতের আঁধারে গোপনে দাফন করা হয়, যাতে হজরত ওমর তাঁর জানাজায় আসতে না পারেন। এর কিছুদিন পরেই হজরত ফাতেমা ইন্তেকাল করেন। রাজ্যের সর্বত্রই হজরত আলি দেখতে পান মদ্যপায়ী, উচ্চাভিলাসী, শরিয়া বিরোধী, স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী, নারী-আসক্ত, ভোগ-বিলাসী, শাসকদের চেহারা। হজরত আলি এক সাথে সকল প্রাদেশিক গভর্নরের পদ ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে দেন। রাগের বশে, আবেগের বশে, অথবা তাঁর ও তাঁর স্ত্রী হজরত ফাতেমার ওপর আবুবকর, ওমর ও ওসমান কর্তৃক সারা জীবনের অপমান, অত্যাচারের প্রতিশোধ হিসেবেই হোক, হযরত আলির এ কাজটি ছিল অদূরদর্শিতার প্রমাণ। বেশ কিছু প্রাদেশিক গভর্নর তৃতীয় খলিফা উসমান হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করাতো দূরের কথা, আলির খেলাফতই মেনে নিতে রাজি হলো না। ‘উসমান হত্যার বিচার’ ইস্যুটি ছিল হজরত মুয়াবিয়ার চক্রান্ত, আলির জন্যে এক মরণফাঁদ। মুয়াবিয়ার কাছে ‘সবার ওপরে ধন আর ক্ষমতা সত্য’-এর উর্ধ্বে কিছুই ছিল না। হজরত মুয়াবিয়াই নবী মুহাম্মদের (দঃ) ইসলাম সৃষ্টির গোপন রহস্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। মুয়াবিয়া ছিলেন মুহাম্মদের (দঃ) রাজনৈতিক সচিব। তাই রাজনৈতিক ইসলামের সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ ফসল সম্ভবত তিনিই সবচেযে বেশি উপভোগ করেছিলেন। মুয়াবিয়া কোনোদিনই মুহাম্মদের (দঃ) ‘ইসলাম ধর্ম’ গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না, কিন্তু তাঁর (মুহাম্মদের) মাস্টার মাইন্ডেড ছল-চাতুরী, ভণ্ডামি, প্রতারণা-প্রবঞ্চনা ভালভাবেই অনুকরণ করেছিলেন। আর আজ সেই দক্ষতাই মুহাম্মদের (দঃ) শেষ বাতিটি চিরদিনের জন্যে নিভিয়ে দিতে মুয়াবিয়া কাজে লাগাতে উদ্দ্যত হয়েছেন। সারা মুসলিম জগৎ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। উসমান হত্যায় জড়িত মিশর, মক্কা, কুফাসহ বিভিন্ন প্রদেশের বিদ্রোহীগণ হজরত আলিকে পরিস্কার হুমকি দিয়ে বসলো, যদি উসমান হত্যার বিচার করা হয়, তাহলে আলিকেও উসমানের মতো বড়ই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক পথে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। আলি দেখলেন তিনি আজ সাত-পাঁকে বাঁধা পড়ে গেছেন। তলোয়ার দিয়ে রক্তের হুলি খেলা যে আলির নেশা, যে আলি মুহাম্মদের (দঃ) সহচরী হয়ে ৯৮টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাঁর কাছ থেকে ‘আলি হায়দার’, ‘সাইফুল্লাহ’ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবসমূহ পেয়েছিলেন সে আলী আজ কিংকর্তব্যবিমূঢ়, বড়ই ক্লান্ত। আজ মানুষের রক্তাসক্ত, আলির মাতাল তরবারি চায় একটু বিরতি, শান্তির একটু নিঃশ্বাস। কিন্তু তা তো হবার নয়। ক্ষমতা আর রক্ত যে একে অপরের সম্পূরক সে কথা বুঝতে আলির মোটেই দেরি হলো না।
এখানে হজরত মুয়াবিয়ার জীবনের বিবিধ কার্যাবলী ও মুহাম্মদ (দঃ) বংশের হজরত আলির সাথে তাঁর শত্রুতার কারণ বুঝার প্রয়োজনে মুয়াবিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচয় জেনে নেয়া ভাল। হজরত মুয়াবিয়া ছিলেন সাহাবি হজরত আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দার জারজ সন্তান। আবু সুফিয়ানের সাথে হিন্দার বিবাহের তিন মাস পরে মুয়াবিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা হিন্দা ছিলেন একজন ‘বেশ্যা’। উর্দুভাষী একাধিক ঐতিহাসিক, হিন্দার চারিত্রীক বর্ণনায় ‘বেশ্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য সূত্রানুযায়ী হিন্দা, বেশ্যা না হলেও তিনি যে বহু-পুরুষগামী মহিলা ছিলেন এবং মুয়াবিয়া যে তার জারজ সন্তান তার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত হাসান (রাঃ) ও হজরত আয়েশার (রাঃ) উক্তিতে। শাম ইবনে মুহাম্মদ কালভি (রঃ) তাঁর ‘কেতাবে মোসাব’ বইয়ে লেখেন- ‘হজরত হাসান (রাঃ) একদিন ব্যঙ্গ করে হজরত মুয়াবিয়াকে বলেন, তোমার কি মনে আছে তোমার আসল পিতা কে? মুয়াবিয়া কর্তৃক হজরত আয়েশার ভাই মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে আবু সুফিয়ানের মেয়ে উম্মে হাবিবা (মুয়াবিয়ার বোন ও নবীজির স্ত্রী) আয়েশাকে আস্ত একটি ছাগল রান্না করে ‘সদকা’ হিসেবে পাঠিয়ে দেন। আয়েশা জিজ্ঞেস করেন, ‘এর অর্থটা কি?’ উত্তরে উম্মে হাবিবা বললেন, ‘উসমান হত্যার পুরুস্কার, তোমার ভাই উসমানকে খুন করেছিল’। আয়েশা অভিশাপ দিয়ে বলেন- ‘বহু-পুরুষগামী হিন্দার মেয়ের ওপর আল্লাহর গজব বর্ষিত হোক’। এর পরে আয়েশা যতোদিন জীবিত ছিলেন, উম্মে হাবিবা ও তাঁর মা হিন্দাকে নামাজ শেষে অভিশাপ দিয়েছেন। হিন্দা ইসলামের ইতিহাসে নবীজির চাচা হজরত হামজার (রাঃ) কলিজা ভক্ষণকারী বলেও পরিচিত! ইবনে আবি আল হাদিদ তাঁর ‘নাহজুল বালাগা’ (ভলিউম ১০, পৃষ্ঠা ১৩০) বইয়ে উল্লেখ করেন, মুয়াবিয়ার জন্মদাতা হিসেবে সম্ভাব্য চারজন পিতার নাম লোকমুখে শুনা যায়; তারা হলেন : আবি ইবনে ওমর বিন মুসাফির, ওমর বিন ওলিদ, আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব এবং সাবাহ (এক ইথোপিয়ান কৃষ্ণাঙ্গ)। একই বক্তব্য পাওয়া যায় ‘রাবিউল আবরার’ (ভলিউম ৩, পৃষ্ঠা ৫৫১) কেতাবে আল্লামা হজরত জামাক্শারির লেখায়। তবে যেহেতু আবু সুফিয়ানের, উৎবা নামে সর্বজন স্বীকৃত আরেকজন জারজ সন্তান ছিলেন, আমরা ধরে নিতে পারি, বিয়ের আগে হজরত আবু সুফিয়ানের সাথে হিন্দার দৈহিক সম্পর্কের ফসল হজরত মুয়াবিয়া।
মুহাম্মদের (দঃ) মক্কা বিজয়ের পরে আবু সুফিয়ান নিজ পরিবার ও গোত্রের মানুষের প্রাণ রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। আবু সুফিয়ান পেছনের দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকান। বদরের যুদ্ধ থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত তাঁর নিজের ও মুহাম্মদের (দঃ) মধ্যকার শত্রুতা, কোরায়েশ বংশের অগণিত মানুষের রক্ত দিয়ে লেখা এক দীর্ঘ ইতিহাস। চল্লিশটি বছর যে ছেলেটাকে আদরে আহ্লাদে কেউ এতোটুকু কটু কথা বলেনি, সেই হাশেমি বংশের একটা এতিম ছেলের হাতে উমাইয়া বংশের একি করুণ পরাজয়! আবু সুফিয়ান ও তাঁর পরিবারের মন থেকে সেই পরাজয়ের গ্লানি কোনোদিনই মুছে যায়নি। মুহাম্মদের (দঃ) কাছ থেকে, সরকারি উচ্চপর্যায়ে চাকুরি (সেক্রেটারি অব স্টেইট) দেয়ার অঙ্গিকার নিয়ে আবু সুফিয়ান ছেলে মুয়াবিয়াকে ‘ইসলাম ধর্ম’ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। প্রথমে রাজি না হলেও পরে সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে মুয়াবিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুয়াবিয়া ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী, উচ্চাভিলাষী, চতুর রাজনীতিবিদ। তার অধীনেই মুসলিম সৈন্যগণ ত্রিপলী, আরমানিয়া, সাইপ্রাসসহ অনেক অঞ্চল দখল করে ভারত ও চীন দখল করতে চেয়েছিল। হজরত আলি তা ভাল করেই জানেন। আলি ভাবলেন, মদিনার অলিতে-গলিতে উসমান হত্যার আহাজারি, আকাশে-বাতাসে মানুষের ক্রন্দন ধ্বনি থামতে না থামতেই আয়েশার বিরুদ্ধে করতে হলো ‘জামাল যুদ্ধ’। রক্তক্ষয়ী জামাল যুদ্ধে দশ সহস্রাধিক মানুষের প্রাণনাশের পরপরই, মুয়াবিয়ার সাথে আরেকটি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া সমুচিৎ হবে না। হজরত আলি হামদান প্রদেশের গভর্নর, বনি-বাজিলা প্রধান হজরত জারিরকে, মুয়াবিয়ার প্রতি একটি প্রস্তাব দিয়ে সিরিয়া পাঠালেন- ‘ সিরিয়ার গভর্নর যেন অনতিবিলম্বে হজরত আলির খেলাফত মেনে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন।’ হজরত মুয়াবিয়া বিষয়টা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। সুচতুর মুয়াবিয়া হজরত জারিরকে এমন এক মায়াবীনি মন-মাতানো আতিথিয়েতা দিয়ে মুগ্ধ করে দিলেন যে, হজরত জারির ভুলেই গেলেন, তিনি কি জন্যে এসেছিলেন। মুয়াবিয়ার চোখ-জুড়ানো রঙিন প্রাসাদে, চিত্তরঞ্জন করে হজরত জারির (রাঃ) ফিরে আসলেন দীর্ঘ তিন মাস পরে সম্পুর্ণ ভিন্ন মানুষ হয়ে। এসে বললেন- ‘মুয়াবিয়া (রাঃ) হজরত আলির সাথে রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় নিয়ে কোনো প্রকার আলোচনায় বসতে রাজি নন, যতক্ষণ পর্যন্ত না হজরত উসমানের হত্যাকারীর ফাঁসি হবে’। তিনি আরও বললেন- ‘এখনও হজরত উসমানের রক্তাক্ত জামা ও তাঁর স্ত্রী নায়লার কাটা আঙুল দামেস্কের মসজিদের মিনারে ঝুলছে। সিরিয়ার আপামর জনসাধারণ আল্লাহর নামে জীবনমরণ কসম খেয়েছে, যতদিন পর্যন্ত হজরত উসমানের হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দামেস্কের মসজিদে হজরত উসমানের রক্তাক্ত জামা ও তার স্ত্রীর কাটা আঙুল ঝুলন্ত থাকবে’। সাহাবি হজরত মালিক আল আশতার (রাঃ) ভীষণ রাগান্বিত হয়ে ধমক দিয়ে হজরত জারিরকে বললেন- ‘তুমিতো আমাদের প্রস্তাব মুয়াবিয়াকে আদৌ দাওনি। দীর্ঘ তিন মাস মুয়াবিয়া তোমাকে তার রাজপ্রাসাদে চিত্তবিনোদনে মত্ত রেখে, আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে’। এই সেই সাহাবি হজরত মালিক আল আশতার (রাঃ) যিনি অস্ত্রের মুখে হজরত আয়েশার দুই ভগ্নীপতি হজরত তালহা (রাঃ) ও যোবায়েরকে (রাঃ) হজরত আলির খেলাফত মেনে নিতে বাধ্য করেছিলেন। ভয়ঙ্কর মালিক আল আশতারকে হজরত জারির ভালভাবেই চেনেন। আলি যখন হজরত তালহা (রাঃ) ও যোবায়েরকে (রাঃ) তাঁর খেলাফত মেনে নিয়ে শপথ গ্রহণ করতে প্রস্তাব দেন, মালিক আল আশতার তখন তাদের মাথার ওপর উন্মুক্ত শাণিত তরবারি হাতে দণ্ডায়মান। প্রচণ্ড সাহসী বীর হজরত তালহা, যিনি ওহুদের যুদ্ধে নবীজির প্রাণরক্ষার্থে ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়িয়ে শত্রুপক্ষের তীর বর্ষা নিজের বুকে-পিঠে গ্রহণ করেছিলেন, মালিক আল আশতারের তলোয়ারের সামনে, আলির খেলাফত অনিচ্ছাকৃতভাবেই মেনে নিলেন। সাহাবি যোবায়েরকে জিজ্ঞাসা করায় যখন তিনি নীরব রইলেন, মালিক আল আশতার সিংহের মতো গর্জে উঠে হজরত আলিকে (রাঃ) বললেন- ‘ আলি (রাঃ), যোবায়েরকে আমার কাছে আসতে দিন, তার মাথাটা তলোয়ারের এক আঘাতে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলি।’ উল্লেখ্য, ইসলামের চার খলিফা নির্বাচনে প্রতিবারই একাধিক খলিফা পদপ্রার্থী ছিলেন, কিন্তু কোনোবারই গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং, কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা শুরু হয়েছিল সেই প্রথম খলিফা হজরত আবুবকরের সময় থেকে। হজরত আলির বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
হজরত জারির বুঝতে পারলেন এখানে থাকা তার জন্যে নিরাপদ নয়। তিনি কুফা ত্যাগ করে সিরিয়া চলে যান এবং হজরত মুয়াবিয়ার সৈন্যদলে যোগদান করেন। মুয়াবিয়ার ষড়যন্ত্র ও দুষ্ট ছলচাতুরি দেখে হজরত আলি নিশ্চিত হলেন, বিষয়টার ফয়সালা অস্ত্রের মাধ্যমেই হতে হবে। সুতরাং আবারও যুদ্ধ, আবারও রক্তপাত। আলির জেষ্ঠ্য পুত্র হজরত হাসান, সিরিয়া আক্রমণ করতে পিতাকে নিষেধ করলেন। হাসান বললেন- ‘পিতা, প্রয়োজন হলে খেলাফত ছেড়ে দিন, মুয়াবিয়ার সাথে যুদ্ধে যাবেন না, মুয়াবিয়া সাংঘাতিক ভয়ানক মানুষ! এ যুদ্ধে মুসলিম-জাহানের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। আর কতো রক্তপাত, আর কতো প্রাণহানি’? হজরত আলি বললেন- ‘আজ যদি মুয়াবিয়াকে ছাড় দেওয়া হয়, যদি তার চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে না পারি, অল্পদিনের মধ্যেই সারা মুসলিম বিশ্ব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি প্রদেশ আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র দাবি করে বসবে।’ আলী বিলম্ব না করে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। আলির ইচ্ছে হলো উত্তর দিক থেকে আক্রমণ করে সিরিয়া দখল করবেন। তাই মেসোপটামিয়ান মরুভূমির মধ্য দিয়ে একদল সেনাবাহিনী অগ্রীম পাঠিয়ে দেন, কিন্তু সেনাদলটি আল ফোরাত নদীর পশ্চিম কিনারে এসে মুয়াবিয়ার একটি সেনাবাহিনীর দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। বাধ্য হয়ে তারা মেসোপটামিয়ান ফিরে যায়। এদিকে হজরত আলী মূল সৈন্যদল নিয়ে টিগরিস হয়ে পশ্চিমে মসুল এলাকার ফাঁড়ি পথে মেসোপটামিয়ান অতিক্রম করে আল-ফোরাত নদীর উপরিভাগে ‘আর-রাককা’ নামক স্থানে এসে উপনীত হলেন। আর-রাককা ‘বালিক’ ও ‘আল-ফোরাত’ নদীর মোহনা স্থান। অবাক বিস্ময়ে আলির সৈন্যদল লক্ষ্য করলেন নদীপাড়ে এক বিরাট মানববন্ধন তাদের পথ রুখে দাঁড়িয়ে আছে। সেনাপতি মালিক আল আশতার শাণিত তরবারী উঁচু করে তাদেরকে আক্রমণ করার হুমকি দিলেন। জনতা ভয় পেয়ে পথ ছেড়ে দিল। সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় পৌঁছার পথে বেশ কয়েকটি জায়গায় হজরত আলির সৈন্যদলের সাথে মুয়াবিয়ার ছোট ছোট সেনাবহিনীর খণ্ডযুদ্ধ হয়। ৩৬ হিজরির জিলহাজ মাসে, হজরত আলি তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে সিরিয়ার ‘সিফ্ফিন’ নামক স্থানে এসে মুয়াবিয়ার ১২০ হাজারের মূল সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। ইতোমধ্যে আলির সৈন্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৯০ হাজারে। আলি বুঝতে পারলেন চতুর্দিকে ব্যারিকেড, নদী পারে পানি-পথ বন্ধ, ১২০ হাজার সৈন্য মোতায়েন, এ সকল মুয়াবিয়ার বহুদিনের সুনিপুণ আয়োজন।
‘সিফ্ফিন’ ময়দানে এসে আলি (রাঃ) বিনা যুদ্ধে তাঁর খেলাফত স্বীকৃতি আদায়ের সকল প্রকার শেষ চেষ্টা করলেন। উসমান হত্যার বিচার করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেন। শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্যে প্রতিনিধিদল পাঠালেন, নিজেও মুয়াবিয়ার কাছে ব্যক্তিগত পত্র দিলেন। কিন্তু তাঁর এই কোমলমতি আচরণ তীক্ষ্ম বুদ্ধির মুয়াবিয়ার চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হলো না। মুয়াবিয়া জানেন আলি মিথ্যাবাদী, প্রতারক। বসোরায় আয়েশার বিরুদ্ধে জামালযুদ্ধের সময়ে আলি প্রথমে হজরত তালহা ও হজরত যোবায়েরের প্রশংসা করে তাদের মন জয় করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- ‘তালহা তুমি রসুলের (দঃ) একজন বিশ্বস্ত সাহাবি ইসলামের একজন সাহসী বীর সৈনিক। তুমি আর আমি নবীজির পাশে থেকে অনেক যুদ্ধ করেছি। তুমি না-হলে নবীজিকে ওহুদের যুদ্ধে সাহাবি হজরত খালিদ বিন অলিদের (রাঃ) হাত থেকে রক্ষা করা মুশকিল হতো’। উল্লেখ্য মহাবীর খালিদ বিন অলিদ ওহুদের যুদ্ধে মুহাম্মদের (দঃ) মাথায় তরবারি দিয়ে এমন আঘাত করেছিলেন যে, নবীজির হ্যালমেট ভেদ করে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগায় তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। একপর্যায়ে আলি যখন বললেন, ‘তোমরা তো স্বেচ্ছায় আমার খেলাফত মেনে নিয়েছিলে, তাহলে আজ কেন আমার বিরোধিতা করছো’? হজরত তালহা ও হজরত যোবায়ের একবাক্যে চিৎকার করে বললেন- ‘আল্লাহর কসম, আমাদের মাথার ওপর তলোয়ার রেখে আলি স্বীকারোক্তি আদায় করে নিয়েছিলেন।’ বসোরার জনগণ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে একদল লোক মদিনায় প্রেরণ করলো। খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, হজরত আলি শুধু তালহা ও যোবায়েরকেই নয়, অন্যান্য নেতৃপর্যায়ের লোক যারা খেলাফতের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন, সকলকেই জোরপূর্বক তাঁর খেলাফত মেনে নিতে বাধ্য করেছিলেন। মুয়াবিয়া এও জানেন, তালহা ও যোবায়েরের এতো প্রশংসাকারী হজরত আলিই তাদেরকে হত্যা করে আয়েশার দুই বোনকে একসাথে বিধবার কাপড় পরিয়েছিলেন। মুয়াবিয়া মনে মনে বললেন, আলি, আয়েশার বসোরা দেখেছো, মুয়াবিয়ার সিরিয়া দেখো নাই। আলির প্রতিউত্তরে মুয়াবিয়া জানিয়ে দিলেন- ‘উসমান হত্যাকারীদেরকে আমার হাতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত একটা সৈন্যও রণক্ষেত্র থেকে সরানো হবে না।’ এতক্ষণে হজরত আলি বুঝলেন এখানেই হবে হয়তো তার জীবনের শেষ যুদ্ধ। এই যুদ্ধই হয়তো সূচনা করবে ইসলামের ভিন্নমুখী এক নতুন ইতিহাস। মুয়াবিয়া জানেন, উসমান হত্যাকারীদেরকে শাস্তি দেয়া আলির পক্ষে সম্ভব নয়। আলিও জানেন তার সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ লোকই উসমান হত্যায় জড়িত। আলির সেনাপতি মালিক আল আশতার ও মুহাম্মদ বিন আবুবকর তাদের অন্যতম। উসমান হত্যাকারীদেরকে মুয়াবিয়ার হাতে সোপর্দ করা আর প্রকারান্তরে তাঁকে খলিফা মেনে নেয়ারই সমান।
৬৫৭ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাস (জিলহজ ৩৭ হিজরী) সৈন্য মোতায়েন, সংলাপ বিনিময়, ছোট ছোট খণ্ডযুদ্ধে অতিবাহিত হলো। মে মাসে বিশাল প্রশস্ত সিফ্ফিন মাঠ, ইসলামের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সেনাদলের পদাঘাতে থরথর করে কেঁপে উঠলো। বর্শা আর তরবারির ঝনঝনানী শব্দে, রণবাদ্যের হুংকারে স্তব্ধ হয়ে যায় জগতের পশুপক্ষী, জীবজন্তুর কলরব। হজরত মুয়াবিয়া তাঁর ১২০ হাজার সৈন্যকে ৮জন সেনাপতি দিয়ে ৮টি দলে বিভক্ত করলেন। অপরপক্ষে আলিও তাই করলেন। যুদ্ধের এই অভূতপূর্ব দৃশ্য, এই বিশাল আয়োজন দেখে উভয় পক্ষই আতঙ্কিত হলো, এই বুঝি ইসলাম ও মুসলিম জাতি বিশ্বের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যায়! কেউই পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করতে চাইলো না। বিচ্ছিন্নভাবে সেক্টর ভিত্তিক যুদ্ধ চললো পুরো একমাস। আসলো জুন, ৩৭ হিজরীর পবিত্র মোহাররম মাস. উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি চাইল। হজরত আলি পুনরায় সংলাপের মাধ্যমে বিষয়টার সমাধান চাইলেন। চতুর মুয়াবিয়া বিরতির সময়টাকে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর কাজে লাগালেন। আলির সৈন্যদলে যারা উসমান হত্যার বিচার কামনা করে, তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হলেন যে, আলি সত্যিকার অর্থে উসমান হত্যার বিচার করবেন না, কারণ হত্যাকারীরা আলির আত্মীয়, আলি তাদেরকে চেনেও না-চেনার ভান করেন। খলিফা উসমান হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করাতো দূরে থাক বরং অনেককে তিনি সেনাবাহিনীতে ভর্তি করে পুরস্কৃত করেছেন। আলির কিছু লোক তাঁর ওপর সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করলো। উভয় পক্ষের সংলাপ চলতে থাকলো। এক পর্যায়ে সিরিয়ার সংলাপ প্রতিনিধিদল আলিকে প্রশ্ন করেন- ‘আলি, আপনার দৃষ্টিতে খলিফা উসমানকে হত্যা করা কি ন্যায়-সঙ্গত ছিল’? আলি জবাব দেন- ‘এ ব্যাপারে আমি এখন কিছু বলবো না।’
মুয়াবিয়ার প্রপাগাণ্ডার বৃক্ষে ফল ধরতে শুরু করলো। আলির সকল প্রকার চেষ্টাই ব্যর্থ হলো। তিনি দেখলেন এখান থেকে বিনা যুদ্ধে পরিত্রাণ পাওয়ার সকল পথ মুয়াবিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আরবি সফর মাসে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। প্রতিদিন উভয় পক্ষে শতশত প্রাণহানি ঘটতে থাকলো। আলির সেনাপতি হজরত মালিক আশতার (রাঃ) একাই একদিনে, প্রতিবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করে এক এক করে ৪০০জন শত্রুর মস্তক কেটে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। মুয়াবিয়ার একজন সৈন্য আলির পেছনে ধাওয়া করে এসেছিল। আলি তলোয়ার দিয়ে তার পেট বরাবর এমন শক্ত কোপ মেরেছিলেন, চোখের পলকে লোকটির শরীরের নীচভাগ ঘোড়ার পিঠে রেখে উপরিভাগ মাটিতে পড়ে যায়। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিরামহীন যুদ্ধ চললো। দিনে দিনে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তেই থাকলো। তবে তুলনামূলকভাবে মুয়াবিয়ার দিকে হতাহতের সংখ্যা ছিল বেশি। আলির সেনাপতি হজরত মালিক আশতার (রাঃ) ইঙ্গিত করলেন, বিজয় নিকটবর্তী। মুয়াবিয়া রণক্ষেত্র ত্যাগ করে পলায়নের কথা ভাবছিলেন, ঠিক সেই সময়েই মুয়াবিয়ার সেনাপতি সাহাবি হজরত আমর ইবনে আ’স (রাঃ) তাদের শ্রেষ্ঠ প্রতারণার অস্ত্রটি ব্যবহার করার অনুমতি চাইলেন। মুয়াবিয়ার অনুমতি নিয়ে হজরত আমর ইবনে আস (রাঃ) তার সৈন্যবাহিনীর বর্শার ফলকে ৫০০ কপি কোরআন গেঁথে দিয়ে উড়াতে নির্দেশ দিলেন। আলির সেনাবাহিনী থমকে গেল, বিষয়টা কি? আমর ইবনে আ’স বললেন- ‘আর রক্তপাত নয়, উভয় পক্ষের অসংখ্য মুসলমান নিহত হয়ে গেছেন। আমরা অস্ত্র নয়, কোরআনের মাধ্যমে ফয়সালা চাই’। হজরত আলি তাঁর সিপাহীদেরকে নিষেধ করে বললেন- ‘সাবধান মুয়াবিয়ার প্রতারণায় কর্ণপাত করো না, এ নিছক প্রতারণা বৈ কিছু নয়’। বেশকিছু সৈন্য আলির কথা অমান্য করে যুদ্ধ বন্ধ করে দিল। আলির সেনাপতি হজরত মালিক আশতার দৌঁড়ে এসে বললেন- ‘আল্লাহর কসম, আরো কিছুক্ষণ সময় তোমরা ধৈর্য্য সহকারে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, বিজয় আমাদের অনিবার্য।’
এক নাগাড়ে একমাস যুদ্ধ করে অবশ ক্লান্ত দেহের আলির একদল সৈন্য হাতের অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে বললো- ‘আমরা অস্ত্রের চেয়ে কোরআনের মাধ্যমে ফয়সালা শ্রেষ্ঠ মনে করি।’ চতুর্দিক দিক থেকে ‘আল্লাহর আইন, কোরআনের ফয়সালা’ চিৎকার ধ্বনি শুনা গেলো। আলি পুনরায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তার দলের কিছু লোক, এই বলে আলির ওপর অভিযোগ আনলো যে, আলি ইচ্ছে করেই ক্ষমতার লোভে মুসলিম জাতিকে এ যুদ্ধে লিপ্ত করেছেন এবং তিনি উসমান হত্যার বিচার মোটেই চান না। আলিকে বাধ্য হয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে হলো। বনি-কিন্দা প্রধান হজরত আল-আশা’ত মুয়াবিয়াকে জিজ্ঞেস করেন : ‘৫০০ খানি কোরআন বর্শার মাথায় গাঁথার মানেটা কি? মুয়াবিয়া বললেন- ‘আল্লাহর ইচ্ছের ওপর, তাঁর কোরআনে লিখিত সমস্যার সমাধান খোঁজা আমাদের উচিৎ।’ কোরআনকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেও মুয়াবিয়া কোরআনিক সমাধানটা নিজেই দিয়ে দিলেন। বললেন- ‘উভয় পক্ষ নিজ নিজ দল থেকে একজনকে প্রধান করে মধ্যস্থতাকারী কমিটি গঠন করা হউক। মধ্যস্থাতাকারী দুই প্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা উভয় পক্ষকে মেনে নিতে হবে।’ আলির লোকজন সমস্বরে বলে উঠলেন : ‘আমরা মানি, আমরা মানি।’ বৈঠক বসার আগে হজরত মুয়াবিয়া অতি গোপনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেললেন। হজরত উসমানের সময়ের মিশরের গভর্নর হজরত আমরকে বললেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত যাই হোক তুমি মিশর ছাড়বে না।’ হজরত আমর বললেন, ‘যদি মিশর আলির দখলে চলে যায়’? ‘সর্বপ্রথম মিশর আক্রমণ করা হবে, তোমরা প্রস্তুত থেকো’ মুয়াবিয়া হজরত আমরকে আশ্বস্ত করলেন। আলির পক্ষে মধ্যস্থতাকারী দল-প্রধানও মুয়াবিয়ার তৈরি। আলি প্রস্তাব করলেন, দল-প্রধান হিসেবে প্রবীণ নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের (রাঃ) নাম। আলির লোকেরা প্রতিবাদ করলো। তারা প্রস্তাব করলো মুয়াবিয়ার সমর্থক হজরত আবু-মুসার (রাঃ) নাম। আলি বললেন- ‘সর্বনাশ, আবু মুসা একজন দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক। তাকে আমি কুফার অস্থায়ী গভর্নর করে পাঠিয়েছিলাম। সে আমার খেলাফত অস্বীকার করায় এই সেদিন আমি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছি’। এক সময়কার হযরত আলির (রাঃ) অন্ধসমর্থনকারী কুফাবাসীও আজ আলির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠলো। তারা বললো- ‘আলি তোমারই কারণে আয়েশার বিরুদ্ধে জামাল যুদ্ধে কুফার হাজার হাজার নারী বিধবা হয়ে কাঁদছে, তাদের চোখের জল আজও শুকায়নি।’
৬৫৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (৩৭ হিজরীর রমজান মাস) ঐতিহাসিক ‘আলি-মুয়াবিয়া’ শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। সত্তর হাজার মানুষের রক্তে আজ স্যাত স্যাতে পিচ্ছিল সিফ্ফিনের বিশাল সবুজ মাঠ। হজরত আলির ২৫ হাজার আর হজরত মুয়াবিয়ার পক্ষের ৪৫ হাজার মানুষের গলাকাটা লাশ পড়ে রইলো সিফ্ফিন প্রান্তরে। সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর দেখতে মক্কা, মদিনা, সিরিয়া, কুফা, বাসরা, মিশরসহ রাজ্যের সকল প্রদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হলো। কোনো এক গোপন রহস্যে হজরত মুয়াবিয়া, ‘সন্ধিপত্র’ লেখার দায়িত্ব গ্রহণের জন্যে হজরত আলির পক্ষকে অনুরোধ করলেন।
আকাশ মালিক, যুক্তরাজ্য নিবাসী মুক্তমনা সদস্য। ধর্ম, রাজনীতি এবং সমাজ নিয়ে নিয়মিত লিখে আসছেন। ই-মেইল : [email protected]
আপনি নবী করিম (সঃ) কে অপমানিত করেছেন,,
বলেছেন নারী লিপ্সু( নাউজুবিল্লাহ) আসলে রাসুলে পাক (সঃ) অসহায় নারীদের সন্মানের স্হানে অধিস্থিত করেছেন,ভালো করে বিশ্লেষণ করুন পেয়ে যাবেন।আর হযরত ওমর ( রাঃ) যা বলেছেন তা সঠিক নয়।
তদুপরি হযরত আলী (রাঃ) যে বলেছেন জোর করে হযরত তালহা ও হযরত যুবায়ের কে নিজের বসে এনেছেন তাও সঠিক নয়।
ইসলাম ও নবী (সঃ) খাটো করে কি পান বলেন তো?
কেন রাসুল ( সঃ) একজন নেগেটিভ মানুষ হিসেবে পরিচিত করে থাকেন?
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন।
দোয়া রইল।
না হয় আপনার ফয়সাল আল্লাহ করবে।
First 3/4 ti comm. pore likhsi… ami agei writer shaheb k onurodh koresilam, jano tini source gulo ullekh koren…notuba ‘basic theme’ take niye shondeho poshon kari bakti nana dhoroner ojachito proshno korben-emon onek khuje pawa jabe. And, faltu comm. o pawa jabe kom na.
Arekti bapar, Malik prothome bolesen, Talha o Yuvayer prothome nij theke Ali’r khilafat mene niyesilo, but Ayesh’r ku-chokrante ora Ali’r biruddhe jawar jonno ei mithya ti prochar kore j Ali tader k jor purbok ostrer mukhe khelafat mante baddho korese. But, pore, Ali’r protaronar porichoy e amra dekhte pai j, Ali naki sotti-e tar shenapoti k diye ostrer mukhe jor kore tar khelafat mante baddho korese. Ashole boktobbo duti ki paroshporbirodhi hoye gelo na?
Mr. Rafiq, you wanted me to say the last word. Well here it is, ‘please read what you had written and what I wrote’ –that’s all.
Monwwar’s puzzle-Nama:
Readers can now understand well why I did say that, it was impossible to understand Mr. Manwwar’s very high thought, high philosopical jargons by me and by many others. His comments are just too complex for us to concieve. No matter which way, we try to catch him, he is out of the loop by his flip-flop tactics. He refuses to admit almost any guilt or mistakes and he is simply undefeatable by anybody. His comments: “Muhammad was a man of his time, he was not a man above his time” and “ his religion was not based on the “angels’ ideology”, but on his on culture and society.” What exactly he meant by the above comments? Who knows? He is telling that Islam was not any “angelic religion” or “Muhammad was just an ordinary man” or what? How to convince him that Mr. Manwwar is deadly misunderstood by all of us! SKM, Rafique , Abul Kasem, Akash Malik—we all are simply unable to understand his high philosopical arguments. Therefore, we quit from Mr. Manwwar’s blabberings. Thanks.
SKM
Syed K. Mirza, Well, I think Mr. Manwwar might be compared with ‘holy’ Koran. He is talk as like Quranic language. Mysty, defficult, unclear, doubtful, complexive and multi-meaned: that is recogntsed as highly philosopied arguments by followers…!
মনোয়ার সাহেবের মনে হচ্ছে শেষ কথাটা না বললে পেটের ভাত হজম হয় না। আমি তাকে উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছি মুহম্মদ(রাঃ) যেভাবে সাফিয়া বা রায়হানার সাথে সম্পর্ক করেছিলেন, যেভাবে পালক পুত্রের বউ জয়নবকে বিয়ে করেছিলেন, যেভাবে পঞ্চাশ বছর বয়সে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে করেছিলেন কিংবা আবু আফাক কিংবা আসমা বিন্তে মারোয়ানকে হত্যা করেছিলেন বা হত্যায় প্ররোচিত করেছিলেন – সেগুলো কোন্টাই ‘প্রফেটিক’ কাজ নয়। মনোয়ার সাহেব আমার যুক্তি খন্ডন না করে এরিস্টিটল সেজে গেলান আর আমাকে বলতে লাগলেন- ‘you are miles away from the issue. Keep reading’ জাতীয় কথাবার্তা। এখন আবার বছেন সত্য কি! কী জানে কি জানে না। এই শিশুশুলভ যুক্তিকে খন্ডন করার কন মানে নেই। আমি বরং মনোয়ার সাহেবকেই শেষ কথা বলার সুযোগ দেই। তাতে উনি ভাবতে পারে যে, উনিই বিতর্কে জিতেছেন। ঙ্কোন অর্থ থাকুক আর নাই থাকুক – শেষ কথা বলা দিয়ে না কথা, কি বলেন?
Mr. Rafiq, I missed a question. ‘Where did I say, I found the truth?’
Correction: … extent of challenging its foudation ..
Mr. Rafiq
Tell me what “truth” are you looking for? Please define what you mean by “truth”. If you look for something, then you must know what that is. If you don’t know what you are looking for, then the entire search will be a waste of time. You can’t say, I am looking for something but I don’t know what it is, can you? This is why I said you were miles away, and with this distance, there was no point of having a discussion.
By the way, when you have traversed your path with Socrates, Aristotle, Francis Bacon, Andre Gide, and have read Islam to an extent of challenge its foundation, what exactly are you looking for from a small individual like me?
Keep well.
Since you are not refuting any of my arguments, just giving me Aristotolian advice, I think I do not have anything to say more. Just two quotations for you:
“If a man will begin with certainties, he shall end in doubts; but if he will be content to begin with doubts he shall end in certainties”—Francis Bacon (1561-1626)
and –
“Believe those who are seeking the truth. Doubt those who find it.” Andre Gide
I am still seeking truth whereas you claim that you already found it. I will let the readers to be the judge now.
Mr Rafiq, you are miles away from the issue. Keep reading, one day you might find the answer, but when reading, absorb yourself into the characters of the text, like the actors do when they play the role of characters.
[…] র্পুব প্রকাশিতের পর- […]
Mr. Monwar said,
I did not have any problem to consider Muhammad a man of his time, but the problem is Muhammad himself calimed ‘prophethood’ – the ideal feagure whom we should follow. This is where all logic breaks down. How a prophetic figure can make sexual advances on Safiyah a Jewish girl in the same day he captured her town Kheibar and killed her father, husband and many of her relatives. Reyhana was another Jewish girl of Bani Quriza whom he used as sex slave after killing all her male relatives. In the last ten years of his life he accumulated a score of wives, concubines and sex slaves including the 6 year old Ayesha. Among his wives there was, Zainab, who was initially Mohammad’s adopted-son Zayed’s wife. To do so, Muhammad asked Allah’s help for the revelation Qur’anic verses ( Q.33: 4), so that he can justify his prophetic actions.
Muhammad killed a 120 year old Jewish man called Abu ‘Afak whose only crime was to compose a lyric satirical of the Prophet. (Kitab al Tabaqat al Kabir, Volume 2, by Bin Sa’d, page 32) Then when a poetess, a mother of 5 small children ‘Asma’ Bint Marwan enraged by this killing wrote a poetry cursing the Arabs for letting Muhammad assassinate an old man, our Holy Prophet ordered her to be assassinated too in the middle of the night while her youngest child was suckling from her breast. (Sirat Rasul Allah (A. Guilaume’s translation “The Life of Muhammad”) page 675, 676). Was it prophetic ?
Muhammad was indeed a person of his time, but he was no prophet. Please admit that now.
To Mr. Mirza
“Muhammad was a holy prophet and his deeds and character can never be compared with any earthly common person, culture or time,” was it my comment? If not, why did you throw it at me? Who was comparing an apple with orange? Shouldn’t you be throwing this to the one from whom you had the statement?
First you say, “Mr. Manwwar Ahmed’s high-thought comments are very complex and difficult to understand by a simple and less educated person like me”, and then you carry on, “To me his write-ups are pure and unadulterated jargons and contradictory by itself”. If you acknowledge the text as being complex and difficult for you to understand, then you ‘pretend’ to understand it so well that you confidently declare the text ‘contradictory to itself’! Is it me you in contradiction?
Finally please do not bring your pure great logical faculty to my attention, I will appreciate. Thank you.
Attention Mr. Manawwar Ahmed:
Mr. Manwwar Ahmed’s high-thought comments are very complex and difficult to understand by a simple and less educated person like me and perhaps by others too! To me his write-ups are pure and unadulterated jargons and contradictory by itself. Muhammad was a holy prophet and his deeds and character can never be compared with any earthly common person, culture or time. We can not compare him with any ordinary characters and can only be compared with another prophet. Why then Allah ordered Muslims to follow Prophet Muhammad as the holy model (in Koran) for the entire mankind? Does Ahmed have any answer? Mr. Ahmed should understand that, he can not just compare Apple with the Orange! !
SKM
My apology to the readers:
My posting against Mr. Manwwar Ahmed’s comments bear the name of my previous debater Yamin Zakarai. Sorry I forgot to remove his name and put Mr. Ahmed’s name in that place. Readers can consider Mr. Ahmed in place of Zalaria. Thanks.
SKM
Dear Mr Malik
Ref: your posting dated 21 January 2009
I regret to notice that the thrust of my argument was misconceived when you paraphrased, wrongly, but most probably not intentionally, in your question, ‘তোমার এ সব জানার কি প্রয়োজন’? (Why do you need to know these?). Contrary this, if you reread my text, you will see that I did not argue against your assertion of the age as 6, instead I strongly criticised the counter argument of 16 as ‘lunacy’. The type of information you have presented in your work is not new to me, for as a reader in classical Arabic I have access to the wider debate in Arabic where a huge corpus of literature constitutes a rather stronger evidential critique of the issues you are addressing – implicating to which I wrote in one of my earlier comments, “The writer certainly misses a great deal of facts which could have supported his arguments.”
Like your daughter, I have three children whom I raise with critical judgement, without sparing religion and all that is known to be the ‘divine’, but never to trivialise what the humanity had worked around over the thousands of years with astonishing devotion and sincerity. To my children and other people who ask me a similar question to that which you have posed as from your daughter, I say, ‘The prophet married a girl of 6 and that was a socially acceptable practice of the time.’ This answer so far sufficed for my children and the people around me. However, if the rational capacity of our side is less inapt than yours, then of course, I have no answer, you can make any judgment. One answer cannot satisfy all the people across a wider social spectrum.
May I also bring another point in relation to this. Over the 6th and early part of the 7th century Hijaz, you must have noticed the wide spread practice of child marriage, infant marriage (on the authority of the guardians, contracting the marriage vow with a considerate lapsing period to pass for the marriage to consummate upon the decision of the guardians), various sexual practices, so called marriages which could be sexual pervasion on the values and standard of our time, many types of diverse sexual practices, polyandry, polygamy, sleeping with heroes only to be impregnated, sexual access to all female servants under one’s possession, women who came under one’s possession as booties of war –all these continued as the social customs at the time when Muhammad’s prophethood emerged. The difficult point is, at our time of the 21st century, are we to look at the Arab customs and express our outrage, because we are more civilised than them, barring the fact that we are capable of killing people in their thousands with ‘smart-bombs’ and showering bullets from Apache Helicopters? Or are to hold our judgement, for a while, over a society against our modern values and standards so that we can understand their social conditions, circumstances, organisations and the worldview in which the questionable practices fall in order? Along this way, if someone is passionate about ‘religion’ s/he can explore their religious understanding and observe their passion and practice of spirituality; their manners and methods of relating the ‘unknown, inexpressible entity’ (call it God or Wakan Tanka if you will) into their spiritual experiences. This exploration can be a great undertaking and a journey itself. Whether or not one is able to share their beliefs and values is neither here nor there. At the end of the road, if the study becomes illuminating –that’s a wonderful thing. Ayesha’s marriage at 6, battles of different kinds over power, the killing and cruelties of the time are not rational argument against Muhammad’s claim to prophethood, that claim is a thing of different nature –that was my humble point. And above all, child marriage is not a religious dictum in Islam and Muhammad hadn’t fulfilled his religious obligation by marrying Ayesha at 6.
Finally you have written what you have written, that is your work. My comment shouldn’t sadden you in any way nor should I be saddened by your comments –that should be spirit of thing. I hope everyone’s comments supplement and strengthen your work.
To Mr. Mirza
Please read my comments again. My comments and your responses are widely apart – I am not here to engage in irrelevances. After considering my points, if you find any difference over the standpoints, please come back. However, if you still think that your comments were relevant to my views, why comeback, feel the satisfaction of triumph over my arguments –for you have made your points. Thank you.
Kashem
In response to Mr. Abul Kasem, posting date, 21 January 2009.
‘Mr Monawwar could not hide his love for Islam.’ Was it expected that everyone coming to Mukto-Mona should have some hatred against Islam? If he had some love for it, which he hadn’t so far expressed in any way ((as he and I are one (lol)), was there any ‘fear’ for which he had to ‘hid’ his love? If so, what was it?
Next point, ‘No one knows Islamic history better than Tabari’ –Umm, I wonder where is it coming from and upon what historical wisdom and study this assessment is made? In any case, if al- Tabari was the main authentic source of Mr. Akash Malik’s work which seems to refute the religious foundation of ‘truth’ in Islam, there is something profoundly incomprehensive.
Al Tabari with all his historical knowledge remained a strong believer in Islam, and further contributing to the monumental exegesis of the Quran, ‘Jami al Bayan an Ta’wil Ay al-Quran, while Mr. Akash Malik used his information to render the foundation of Islam invalid, was he (al Tabari) missing something, like Mr. Monawwar Ahmed? Was al Tabari ‘hiding his love for Islam?’ And how could he do that after letting all the cats out of the bag?
By the way when Mr. Kasem has checked the entire ‘authentic’ source of al-Tabari and certified the work of Mr. Malik as bearing the ‘hallmark of a professional writer’, what difference does it make when a small fry like Monawwar Ahmed says a few nonsense words here and there ‘to cover the shame of Islam’ that has already been exposed to the world by al Tabari himself? What can he (Monawwar Ahmed) say, when ‘Islamist scholars will have tough time “refurting” (refuting?)AM’s sources of information?’ Mr. Kasem has put everything wonderfully well! Well done, good luck with the mission.
O by the way, please ignore Monawwar Ahmed’s comments –for serious people do not pay attention to fallacious comments.
To Mr. Monawwar Ahmed:
You have said,
My response:
Mr. Ahmed, can you say this (above quote) to any Muslim community or to any Maulana or Mullahs that Muhammad’s religion was not any “angel Ideology” ? Was not the Angel Gabriel an arch Angel or commander-in-chief of all angels? Are you out of your mind Sir? Who told you that Muhammad did not get his religion Islam from the holy mouth of an Angel? What was Gabriel?
Child Ayesha’s marriage with Prophet Muhammad
About your doubt about Ayesha’s child marriage, below are some rock-hard proofs (Sahi hadiths) that Mr. Zakaria simply lied to protect Prophet Muhammad in order to achieve heavenly pleasures (72 Huries and wine) in his after life. Let us examine some Sahi hadiths to know the real truth about the Prophet of Islam:
About Aisha’s age: History as per Sahih Hadiths from the source of Hazrat Aisha Bint Abu Bakr:
(1) `A´isha Bint Abu Bakr was Prophet Muhammad’s third wife. `A´isha herself narrated, “The Messenger of God married me in Shawwal in the tenth year after of his prophet hood, three years before the Migration as I was six years old. I was nine years old when he consummated the marriage with me.
(2) Ibn Hisham narrated that, “Muhammad (pbuh) married Aisha Bint Abu Bakr when she was seven years old and consummated the marriage with her when they were in Medina when she was nine years old (Sahih Hadiths)”.
(3) Another Sahih Bukhari Hadith: Hazrat Aisha (RA) narrated, ” when Prophet (pbuh) married me I was only six year old at that time. After that we traveled to Medina where I got sick and my hairs were shed due to fever. After I got rid of my sickness my hairs were grown back again. One day while I was playing with my friends in a swing-sets (dolnas) I was called on my mother and when I reached to her she (Mother) held my hand and took me to the door. At that time I was breathing rapidly because I was still tired of swinging with my friends. And I did not understand why I was called here. Then , my mother took me to a room where I saw three helping maids (ansar) who immediately decorated me and handed me over to the Prophet (pbuh), and they left the room. At that time I was only nine- year old. Prophet (pbuh) consummated our marriage that day”.
(4) Sahih Bukhari hadith: According to Muaallah Ibn Ashad, Hazrat Aisha narrated: “when I (Aisha) asked why he married me? Messenger of Allah said, I saw you in dream twice. I saw (in a dream) you are covered by a silk chaddar and Angel Gabriel told me, here is your wife’. When I removed the silk-chaddar I found you were the woman under the silk chaddar. After that I (Messenger of Allah) said to Angel Gabriel , if this is the wish of Allah then it is of course shall be fulfilled.”
In the quest of rationalizing Prophet Muhammad’s marriage to A’isha some apologists like to claim that,: “It was Hazrat Abu Bakr who insisted the Prophet to have a permanent relationship in the history of Muslims through his daughter.”
Let us examine what the history actually tells us, and how Hazrat A’isha Bint Abu Bakr was married with the Prophet:
Sahih Bukhari Hadith: Uroowaa (ra) narrated, ” Nabi Karim (sa) himself proposed to marry Aisha Bint Abu Bakr while Aisha was only six year old girl. Then, Abu Bakr said, O Messenger of God, I am your brother, how can you marry my daughter ?’ On reply Nabi karim (sa) said, you are my brother only in the religion. Therefore, Ai’sha is halal for me to marry”.
Sahih Bukhari Hadith: There is another tradition by `Atiyya (ra): “The Messenger of God proposed to marry `A´isha Bint Abu Bakr while she was a little girl. Abu Bakr said, ‘O Messenger of God, can a man marry his brother’s daughter?’ Muhammad replied, ‘You are my brother in my religion.’ Poor Abu Bakr (ra) had no other choice but to accept the proposal and sacrifice his little girl of six in exchange of the chattel of a house, fifty [dirhams] worth, or so.
Sahih hadiths do exist that describes that, Prophet Muhammad was having sexual strength equal to 50 or (according to some) 100 man ; Or. How Angel Gabriel brought from heaven a “miraculous-drink” for Prophet Muhammad, which made him so strong in sexual power, etc. etc. We can find more interesting untold story by careful delving of those existing Sahih Hadiths.
Now that I have given some authentic irrefutable historical evidences to substantiate my claim; could Mr. Zakaria also give some references to substantiate what he has claimed in his essay? If he can not give any reference then we shall take it guaranteed that Mr. Zakaria simply lied with the readers.
There are sahih Hadiths available today to prove clearly that Prophet Muhammad married many women for his personal lusts and had sex daily with most of his wives who stayed with him.
(1) Sahih Bukhari Hadith: Katadha’ha said, Hazrat Anash Ibn Malek (ra) narrated, “Nabi Karim (pbuh) used to have sex with all his wives in the same night. At that time the Prophet had eleven wives”.
(2) Sahi Bukhari: Aisha used to scent Muhammed to have intercourse with other wives…1.5.270; Volume 1, Book 5, Number 270:
Narrated Muhammad bin Al-Muntathir: on the authority of his father that he had asked ‘Aisha about the saying of Ibn ‘Umar(i.e. he did not like to be a Muhrim while the smell of scent was still coming from his body). ‘Aisha said, “I scented Allah’s Apostle and he went round (had sexual intercourse with) all his wives, and in the morning he was Muhrim (after taking a bath).”
The above sahi Bukhari hadiths have clearly disproved what most Islamic apologists/scholars tried to portray with their futile attempt of deception again and again. Mr. Zakaria has deliberately distorted the historical facts to fool the honorable readers.
More stories of Prophet Muhammad’s sexual adventures:
Sahi Hadiths described the following: Shafiyya was paragon beauty and was very young (in her teen) when she was forcibly married by Prophet Muhammad after killing her all relatives including her newly married husband. Shafiyya was first distributed (booty from the battle of Khyber)) to other Islamic soldiers, but when Prophet Muhammad heard about her paragon beauty then he took her for his wife. Aisha was only 6 when she was married and she was extremely beautiful. Reyhana was very beautiful and young Jewish girl (Booty from Banu Quryza). Zainab Bint Jahsh (Muhammad’s adopted son’s wife) was also very young and extremely beautiful for what Muhammad married her by sheer lust. Besides, Prophet of Islam had sex with slave girls (young, most beautiful Maria the Coptic slave), and had sex with many concubines too. Do the readers need more to disprove what Mr. Zakaria told in his write-up?
Next time for your critiquing:
I urge Mr. Ahmed to bring references from Koran, sahih hadiths or early Islamic historian like: Bukhari, Tabari, Muslim, Trimizi, Ibn Kathir, Ibn Ishaq and please not just your lip-service.
Thanks.
Syed K. Mirza
নবী মুহাম্মদের ৬বছর বয়সী স্ত্রী আয়েশা যেমন পুতুল খেলায় মগ্ন থাকতেন, ৯ বৎসর বয়সের আমার মেয়েটিও তেমনি কার্টুন নিয়ে মগ্ন থাকে। হঠাৎ একদিন তার অভ্যাসমত ইংরেজী বাংলা মিশেল করে প্রশ্ন করলো- ‘আব্বু, প্রফেট মুহাম্মদ নাকি six year old এক বেবীকে বিয়ে করেছিলেন’? জনাব মনোয়ার আহমেদের ভাষায় মেয়েটি্র প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমার কি উলটো তাকে প্রশ্ন করা উচিৎ ছিল- ‘তোমার এ সব জানার কি প্রয়োজন’? নাকি বলা উচিৎ ছিল- Who cared if a lunatic had said she was 16?
সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসে অভিজ্ঞ মনোয়ার আহমেদের মত শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এমন মন্তব্য সত্যিই অনাকাংখিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।
dukkhito hobar ashole ar kisui nei, amra gyan-papi lokder kas theke emon baboher peye ashsi shei shishukal theke. Amader jib bigyan e darwin’r theory ney. Nine-ten er physics boi namei matro bigyan boi, bigyan-monoskota sristy korar jonno proyojonio tottho ba uddessho kono tai oder nei. arma bivinno bigyanir theory mukhosto koresi, but kon prekkhite, keno bigyanee ra ogulo abishkar korte agrohee holen ta boi te dewa ney; ashole bigyan ki & uddessho ki, shorbopori bigyaner greatness er kono alochona ney. Thakbe-e ba keno? Bachcha-kachchara bigyanmonosko hole to shomajodhipoti der e khoti-tader dhormo babsha, dhormo-based shashon babostha mukh thubre porbe.
No one knows Islamic history better than Tabari. His seminal work, ‘Ta’rikh al-rasul wa’l muluk’ (The History of al-Tabari) is the standard work recognised by the later historians of Islam. Tabri’s work has been translated into english in thirty-nine volumes and published by SUNY press, Albany, New York.
Volumes XI to XViii details the reigns Caliphs Abu Bakr to Muawiyah.
What AM has written so eloquently about the wars
between various feuding parties of Islam conforms to the details by Tabari. I have checked the sources of AM, and I must say he has done extensive research before he put his pen on paper. His work bears all the hallmarks of a professional writer. I am yet to find an event depicted in his writing that has not been covered by Tabari.
Mr Monawwar Ahmed’s comments questioning the scholarship and research of AM’s work is truly regrettable. Obviously, Mr Monawar could not hide his love for Islam—even when the proof from absolute authentic Islamic sources demonstrate that Islam’s history is blood-curdling, cruel and savage. To cover the shame of Islam Mr Monawar has resorted to blame games and logical falacies.
A true unbiased person should judge AM’s work on the basis of its merit, authenticity, and dissemination of correct information. In this regard AM has done a splendid job, I must admit. Islamist scholars will have tough time refurting AM’s
sources of information.
AK
রফিক ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধণ্যবাদ, বিশেষ করে রায়হান সাহেবের লিঙ্কগুলি দেওয়ার জন্য। ওগুলির কথা শুনেছিলাম, তবে খুজে পাচ্ছিলাম না।
রায়হান সাহেবের অনেক লেখা বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল, তার কোরানে বিজ্ঞান খোজা একান্তই তার ব্যপার, উনি খুজে পেলে পান না। ক্ষতি কি? তবে আজকাল সদালাপে দেখি উনি ধর্ম ও বিজ্ঞান নামে একটি সিরিজ লিখছেন যা আসলে অন্য ধর্মাবলম্বি আর নাস্তিকদের প্রতি নির্জলা গালাগালি ছাড়া আর কিছু না। আমি জানি না তাতে উনি কি প্রমান করতে চান।
যাই হোক, হাদীস ব্যাপারটা বেশ কনফিঊজিং, অনেক হাদীস দেখেছি যা একটা আরেকটা কে কন্ট্রাডিক্ট করে। অনেক সহী হাদীস পড়লে মনে হয় পর্ণোগ্রাফী। তাই রায়হান সাহেবের মত যারা স্মার্ট তারা কোন ঝুকিতে না গিয়ে সব হাদীস বাতিল ঘোষনা করেছেন।
আয়েশার বয়সের ব্যাপারেই দেখেন না দুই দিকের সাপোর্টেই হাদীস আছে। তবে আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে হাদীসের কচকচানীতে না গিয়ে রায়হান সাহেবের মত বা এখাঙ্কার মনোয়ার সাহেবের মত সত্য গ্রহনের মানসিক্তা দেখানো উচিত। মনোয়ার সাহেবের কথা অনেকটা যুক্তিপূর্ণ। মোহাম্মদ আল্লাহর নবী হলেও ছিলেন সাধারন মানুষ, কোন অলৌকিক ক্ষমতার দাবীদার ছিলেন না। সে যুগে আর দশটা মানুষের বৈবাহিক জীবন যেমন ছিল তার ও তেমন ছিল। এতে খুব একটা হীনমন্যতায় ভোগার কিছুই নেই। কারনে শুধু তাতেই প্রমান হয় না যে তিনি কোন বদ চরিত্রের লোক ছিলেন বা তিনি আল্লাহর নবী নন। মাত্র দুই হাজার বছর আগে আপন ভাই বোন বিয়ে ছিল খুব সাধারণ ঘটনা। এমনকি আজকের এই আধুকিন ভারতেও নাকি দক্ষিন ভারতে মামা আর আপ্ন ভাগ্নীর বিয়ে খুব ওদের কালচারে খুব গ্রহনযোগ্য ব্যপার। আমরা কি ওটা চিন্তা করতে পারি?
মনোয়ার সাহেব কিছু ওয়েষ্টার্ন রেফারেন্স বই দিয়েছেন। আমি জানি আকাশ মালিক সাহেব ও নিজের পক্ষে অনেক যোগাড় করতে পারবেন। কথা হল কোনটা শুদ্ধ তার নিশ্চিত প্রমান কি? আল্টিলমেটলি এটা ব্যক্তিগত পছন্দের উপর যাবে। যারা ইসলাম পছন্দ করেন না তাদের কাছে মনে হবে আকাশ মালিক সাহেবের রেফারেন্সই ঠিক, আর ধার্মিক মোসলমানদের মনে হবে মনোয়ার সাহাবের রেফারেন্স ই ঠিক। ইতিহাস যে বিকৃত করা যায় তা নিশ্চই সবাই স্বীকার করবেন।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরক্ত বোধ করছি এই জন্য যে আমাদের ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ আমাদের অনেক কিছু সম্পর্কেই আধারে রেখেছেন এ সত্য জানার পর। বালাদেশের কয়জন মানুষ আমাদের প্রিয় নবীর প্রিয় স্ত্রী আর প্রিয় সাহাবীর রক্তারক্তি যুদ্ধের কথা জানেন?
আদিল মাহমুদ লিখেছেন –
আকাশ মালিক তার উত্তর দিক তার মত করে। আমি আমার জানা কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করি। আসলে মুক্তমনার মত সাইট আসার আগে আমিও এত কিছু জানতাম না। আমিও চোখ বন্ধ করে সব কিছু মেনে নিতাম একসময়। পরে দেখেছি অনেক কিছুই ভুল-ভাল। প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সী হজরত মুহম্মদ যে আয়েশাকে মাত্র ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন সেটা কিন্তু অথেন্টিক হাদিস থেকেই পাওয়া যায়। যেমন আলী সিনহার এই লেখাটায় হাদিসগুলো আছে –
http://www.faithfreedom.org/Articles/sina/ayesha.htm
Sahih Muslim Book 008, Number 3310:
‘A’isha (Allah be pleased with her) reported: Allah’s Apostle (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house when I was nine years old.
Sahih Bukhari Volume 7, Book 62, Number 64
Narrated ‘Aisha:
that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years (i.e., till his death).
Sahih Bukhari Volume 7, Book 62, Number 65Narrated ‘Aisha:
that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old. Hisham said: I have been informed that ‘Aisha remained with the Prophet for nine years (i.e. till his death).” what you know of the Quran (by heart)’
Sahih Bukhari Volume 7, Book 62, Number 88
Narrated ‘Ursa:
The Prophet wrote the (marriage contract) with ‘Aisha while she was six years old and consummated his marriage with her while she was nine years old and she remained with him for nine years (i.e. till his death).
আরো হাদিস আছে – আমাদের নবী মুহম্মদ (রাঃ) যখন আয়েশাকে বিয়ে করেন তখন আয়েশা নাকি পুতুল খেলতেন। এখন ১৬/১৭ বছরের মেয়ে পুতুল খেলে নাকি ছয়/সাত বছরের মেয়ে পুতুল খেলে তা একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়।
ইদানিং বোধহয় অনেক মডারেট মুসলিম এই ব্যাপারটায় লজ্জা পান এখন – কারণ এখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটে নবীজীর তার পঞ্চাশ বছর বয়সের সময় ছয় বছরের এক শিশুকে বিয়ে করেছিলেন – এটা ভাবলেও তাদের অস্বস্তি হয়। অনেকে এ জন্য মুহম্মদকে ‘পেডোফাইল’ বলেন। এমন একজন তো আর আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারেন না। তাই তারা এখন নেমেছে আয়েশার বয়স বাড়িয়ে ১৬/১৭ করা যায় কিনা তা দেখতে।
আপনি ফেইথ-ফ্রিদম ফোরামের এই লিঙ্কটা দেখতে পারেনঃ
http://www.faithfreedom.org/forum/viewtopic.php?t=10197
আলি সিনার উত্তরটিও দেখুনঃ
http://www.faithfreedom.org/Articles/sina/ayesha_age.htm
রায়হান সাহেবও বাংলায় একবার নাজমা মোস্তাফাকে একটা উত্তর দিয়েছিলেন ঃ
http://www.mukto-mona.com/Articles/raihan/NazmaMostofa.pdf
http://www.mukto-mona.com/Articles/raihan/aysha_age_nazma2.pdf
আমার কাছে কিন্তু রায়হানের উত্তরটাই বরং ভাল লেগেছিলো নাজমা মোস্তাফার প্রবন্ধের চেয়ে।
অবশ্য তখন রায়হান সাহেব আজকের মত কোরানে বিজ্ঞান খুঁজতেন না।
The above posting contains a few misspellings and omission of appropriate articles. I hope the readers will excuse me on these. I wish correct one or two items as they are of vital importance.
1. John Tosh’s book is: The Pursuit of History.
2. … if Ayesha was married at 6 and the Battles of Jamal and Siffin took place, are these proofs that everything Muhammad (pbuh) said was wrong and that he was an impostor?
What exactly the author is progressing to prove? In several of my comments, up to now, of his work, I tried to say that the writing is seriously confused between historical facts, ideological wrestling, as well as political circumstances in which the ‘history’ came into production, and the power struggle of the rulers’ and orthodox theological groups to justify their subtle positioning and, within the paraphernalia of these activities, the nature and ‘truth’ contents of the original spiritual message of Muhammad against which the author is struggling. There is a clear tendency in the writing of the author of ‘reading’ classical text in a lay-manner, consuming his supportive text by its face value as religious preachers quote, from the right left and corner, from their “authentic sources” to demonstrate how great their truth is. Modern historiography has moved far away from this. Classical history has been largely ‘his-story’, the story of the powerful, (the story of the king).
When the religious and the secular approach is the one only –of randomly selecting text to fit the purpose, it has nothing to do his history per se. A string of “quotation” is neither here nor there in terms of improving our understanding of the past. It is not possible to bring home the methodological concerns in historiography in a casual comment made as in this. For those who want to get a basic understating on this issue I refer to basic work to start from: Jenkins, K, (1991), RETHINKING HISTORY, London: Routledge and Tosh, J, (1991), THE PURSUITE OF HISTORY, London: Longman.
To respond to the Author’s question to readers on the age of Ayesha when married to the prophet (pbuh) and the battle of Jamal or Siffin, I would like to pose some counter questions. ‘Is it necessary for anyone to find alternative text against Ayesha’s marriage at six?’ Who cared if a lunatic had said it was at 16? Moreover, if Ayesha was married at 6, the Battle of Jamal and Siffin had taken place, is it a proof that whatever Muhammad (pbuh) was an wrong and he was an impostor? This discourse of the Christians’ historical struggles to prove Muhammad (pbuh) a false Prophet and the Muslims to prove him not is not relevant in our understanding of the past. Child marriage could be seen in many societies across the globe, sex amongst teenagers is acceptable here in the UK as long as condom is used, and bloody battles between parties fought with all kind of tricks that the human mind can master have been with us since we know of history. What we have with modern historiography is not mere reading the text and quoting, and especially not reading the text (referring to a particular time in history) with the ‘values’ and assumption of the present. This is mainstream theory in anthropological approach to classical text. If we are outraged by Muhammad marrying a child of 6, then we are acting as simpletons, for behind our outrage is our modern values and assumptions. Muhammad was a man of his time, he was not a man above his time and space, his religion was not based on the “angels’ ideology”, but on his on culture and society. If anyone looses his faith in classical religions, s/he needs not be angry about it, nor is it required to pursue a crusade, because if s/he or she couldn’t believe, no one should.
Dear Akash,
It is a common academic practice for the writer to reference his/her article than the readers to prove or disprove the contentions. Since you drew from other articles, so why not mention them? More importantly, since it is not your original work, you should mention what sources the original writers used.
Current western academic discourse on Islamic history gives a completely different picture than your article does, I am afraid to say. I think your article differs on every major point. Apart from the issue of mentioning sources, therefore, I think it is important for you to show why you differ from the current academic discourse of early Islamic history and on what basis. (By western academic work, I do not mean various websites by western writes, but the real western academic work.) You will find that in there there are differences of opinion too, but there are large consensus on various points of Islamic history (which incidentally concurs quite well with Islamic history written by Muslims than what you have presented here). These work takes into account the earlier “orientalist” work too, which used to have what one may call a more biased view. To follow these work, therefore time-line is very important.
Regarding the issue of contending lines of history that you mention in your response and how these could lead to confusion, there are established research methodologies to separate facts from fictions etc. As you will read through, you will see precisely these methodologies being applied in academic research.
I would like to see a more critical work. Unfortunately, there are no short-cuts. The more contentious the issue is the more critical and inclusive the discussion should be. This should be the true nature of mukto-monas as we all agree.
I apologize that this is not in Bangla.
Best wishes,
Ahmed Rana
আকাশ মালিকের লেখা বেশ প্রাঞ্জল, যেকোন মোসলমানেরই এ লেখা পড়ে ভাল লাগার কোন কারন নেই। আমিও প্রথম পড়ার পর হতবাক হয়েছিলাম। এ লেখার সব কতটুকূ সত্য তা আজ মনে হয় নিশ্চিত করে বলার ঊপায় নেই। ইতিহাস রেফার করতে গেলে হবে চিরন্তন বিতর্ক, ষড়যন্ত্র তত্ব। কিছু বিষয় আমি নিশ্চিত হয়েছি সত্য বলে, কিছু প্পূরোপুরি হতে পারিনি। সাহাবীদের নিজেদের খুনাখুনী রক্তারক্তি আমাদের জন্য কোন গৌরবের বিষয় নিশ্চই না।
আমি অন্তত গামালের যুদ্ধ সিফফিনের যুদ্ধ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি, সাথে সাথে লজ্জিত হয়েছি এজন্য যে আমাদের দেশে ছোট বেলা থেকে ইসলামের বহু ইতিহাস ইস্কুলে পড়েছি, বাজারেও ইসলামের গৌরবময় বহু বই আছে। কেউই কোনদিন ইসলামের কলংকিত এই অধ্যায়গুলি নিয়ে কথা বলেননি। ভাবটা এমন যে এমন কিছু কোনদিন ঘটেই নি। এটা খুব উন্নত মোরালের চিহ্ন না। ইসলামের ইতিহাস আজ আমাকে শিখতে হচ্ছে স্বঘোষিত নাস্তিকদের কাছে।
হযরত ঊসমানের কোরান সঙ্কলন পর্ব মনে হয় সবচেয়ে মারাত্মক। এটা ইসলামের ভিতে আঘাত করে। ইসলামের সবচেয়ে বড় গর্ব কোরান হল একমাত্র অথেনটিক ঐশী গ্রন্থ। আমি নিজেও ঊসমান পর্ব কিছুই জানতাম না। ভেরিফাই করার কিছু চেষ্টা করেছি। ইসলামিষ্টদের সাইটে যা পেয়েছি তার মুল হল, হযরত ঊসমানের আগে, হযরত মোহাম্মদের সময়েই কোরান লিখিত হয়, ঊসমান শুধু তা একত্রে সংকলন করে বই আকারে বের করেন। তাই ঊসমান কোরান লিখিয়েছেন তাদের মতে এই অভি্যোগ মিথ্যা। কে সত্য কে মিথ্যা তার বিচার কি আজ আর নিশিতভাবে করা সম্ভব? নিশ্চিতভাবে জানতে হলে আজ আমাদের টাইম মেশিনে করে সে জামানায় পাড়ি জমাতে হবে। কথাটা পক্ষে বিপক্ষে সবার জন্যই সত্য।
হযরত আয়েশার বিয়ের সময়ের বয়স বিষয়ে নাজমা মোস্তাফা সদালাপে অনেকদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলেন। আশা করি আকাশ মালিক সাহেব ওটা পড়ে তার মত জানাবেন।
http://www.shodalap.com/NM_Ayesha.pdf
এ লেখায় সবচেয়ে বড় উপকার পেয়েছি যে আমি জন্মগত মোসলমান হয়েও ইসলামের ইতিহাসের অনেক গুরুত্তপূর্ণ ঘটনা জানতাম না। এ জাতীয় লেখাকে তাই মোসলমানদের ও গতবাধা “ষড়যন্ত্র” বলে উড়িয়ে না দিয়ে যুক্তিপূর্ণ লজিক রেফারেন্স দিয়ে কাঊন্টার করা উচিত। কেউ নিজেকে প্রকৃত ধার্মিক দাবী করলে তার উচিত সত্য কে গ্রহন করা ও করতে সাহায্য করা। গালাগালি করে কন্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা করে সত্য ঠেকানো যাবে না।
মাহমুদ,thank you vai for your realization. Come & join us, be atheist! Try to emagine, none of us were ‘theist’. Some of us were muslims, some of us were hindus. But why everybody us become now an atheist?
@আদিল মাহমুদ,
Mahmood vai, apni thik e bolesen, Time mechine e pari jomate hobe. But, related onnanno ghotona gulo jegulo’r sottota ba proof apni peyesen, segulo aloke & nijer bibechonar maddhome jeshob gotona_kaler bibortoner karone prokrito kahinee ar hoito jana jabe na, segulo bichar kore nin na. Abosshoi janben, kauke thokano ba kono rokom pokkhopater asroi neya probondhokerer uddessho noi.
Dear Akash Malik,
You comment about the authenticity of your writing is excellent, and modest. Your sincerity
and truthfulness are reflected in your writing. It touches our heart, and we feel it. Thanks a lot. A translation for non-bengali readers. Please give a thought. My indian muslim friend (Ph.D. degree holder in science) from Kashmir expressed a desire to kill Salman Rushdie, because my friend thinks that Salman Rushdie has disgraced “Rasul Mohammad Sallalasalam”.
Kind regards.
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ,
আপনাদের জ্ঞানগর্ভ মতামত, পরামর্শ, উপদেশ, ও সমালোচনা আমাদের কাম্য। হাজার বছরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের উল্টো শ্রোতে লেখা কিছুকথা, অনেক পাঠক সন্দেহের চোখে দেখবেন তা অপ্রত্যাশিত নয়। তাই প্রশ্ন উঠেছে ওগুলো কি অথেন্টিক সোর্স থেকে নেয়া। শতধারায় বিভক্ত ইসলাম এর কো্ন্ ইতিহাসবিদের লেখা, কো্ন্ ধারার পাঠকের কাছে অথেন্টিক সোর্স বলে গ্রহনযোগ্য হবে আমাদের জানা নেই। আমরা উল্লেখযোগ্য ঘঠনাগুলোর সময়-কাল বর্ণনায় হিজরী-সন তারিখ উল্লেখ করেছি। এখন ভিন্নমত পোষনকারী পাঠকগণের উপরই দায়ীত্ব বর্তায় আমাদের লেখাগুলো মিথ্যা প্রমানিত করার। চ্যালেঞ্জ নয়, সবিনয় নিবেদন করছি, যেকোন অথেন্টিক সোর্স দিয়ে প্রমান করে দিন ৫৩ বছর বয়সে মুহাম্মদ ৬ বছরের শিশু নয়, ১৬ বছরের যুবতী আয়াশাকে বিয়ে করেছিলেন। হজরত আয়াশার সাথে হজরত আলীর, হজরত আলীর সাথে হজরত মুয়াবিয়ার যথাক্রমে ‘জামাল’ যুদ্বে ১০হাজার ও ‘সিফফীন’ যুদ্বে ৭০হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়নি। প্রমান করে দিন হজরত আবুবকরের পুত্র মুহাম্মদ, হজরত ওমরের পুত্র ওবায়দুল্লাহ, হজরত মুয়াবিয়ার পুত্র এজিদ সন্ত্রাসী খুনী ছিলেন না। প্রমান করে দিন ইসলামের ইতিহাসে কোন সাহাবী অন্য সাহাবীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেন নি; আমরা আমাদের লেখা ওয়েব-সাইড থেকে উঠিয়ে নেব।
বিণীত-
আকাশ
@Akash Malik,
এই বিষয়ে একটু জানতে চাই। ঘটনাটা আসলে কি হয়েছিল। খালিদ বিন অলিদ কি ইচ্ছা করে নবী মুহাম্মদকে আঘাত করেছিল? নাকি ঘটনাটা স্রেফ দুর্ঘটনা? দয়া করে জানালে কৌতূহল মিটতো। আমার অযাচিত আবদারে অনুগ্রহ করে বিরক্ত হবেন না জেনে বিরক্ত করলাম! :))
ভালো থাকবেন।
@সুষুপ্ত পাঠক,
হ্যাঁ ইচ্ছা করে। তখন খালিদ বিন অলিদ মুসলমান ছিলেন না।
বিষয়টি কি কোন অথেনটিক সোর্স থেকে নেয়া হয়েছে?
We will be happy to know from you which contents are based on conspiracy and not true.
I was reading your article. Some of the contents are based on conspiracy and not true.
কোরানের প্রথম সঙ্কলক আবদুল্লাহ বিন সা’দ যখন নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে. কোরআন মুহাম্মদ লিখছেন, এসব কোন ঐশী-বাণী নয়, তখন তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেন। গত পর্বে হাসান মাহমুদের অনুসন্ধিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে আকাশ মালিক এ সংক্রান্ত একটি এটাচম্যান্ট ইমেইল করে আমাদের পাঠিয়েছেন। এটাচমেন্টটি পিডিএফ আকারে পড়া যাবে এখান থেকে।
মডারেটর।