শুধুই ছলনা নয় এ স্বাধীনতা

মীজান রহমান

 

ঘুরে ঘুরে আবার চলে এসেছে সেই দিনটি। ষোলই ডিসেম্বর। পয়লা জানুয়ারীর মত। পয়লা বৈশাখের মত। ষোলই ডিসেম্বর হল আমাদের জাতীয় জীবনের পয়লা জানুয়ারী আর পয়লা বৈশাখ। ’৭১ থেকে যদি গণনা শুরু করি তাহলে আজকে আমাদের পঞ্জিকার ৩৮তম জন্মদিন। আমাদের অস্তিত্বের ৩৭ বছর পুরো হয়ে গেল আজকে। আমাদের স্বাধীনতার, আমাদের পাকিস্তানিত্ব ছিন্ন হবার পূর্ণ ৩৭ বছর।


জানি, উ
সবে উ
সাহ নেই কারো। আনন্দে আনন্দের সুর মেলাতে পারছি না। তাল মিলছে না যেন। ’৭১-এর বিজয় দিবসে আমাদের কারো মন টেকেনি বাড়িতে। আজকের বিজয় দিবসে কারো যেন মন চাইছে না বাড়ি ছাড়তে। উদ্যম দম হারিয়ে ফেলেছে। উদ্যোগ পাখা মেলতে পারছে না। কোথাও ছেদ পড়েছে। কোথাও বাতি জ্বলছে না।


আচ্ছা, বিজয় কাকে বলে ? বিজয় কি একটা কঙ্কালের নাম ? নাকি কোনও প্রাগৈতিহাসিক প্রস্তরের ? আমরা কি বিজয়ী না
বিজিত ? ’৭১-এ যারা পাশবিক শত্র“র হাত থেকে বিজয়শিশুটিকে ছিনিয়ে এনে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল, আমরা কি সেই বীর যোদ্ধাদেরই কঙ্কাল, নাকি সেই পাশবিক শত্র“র ? তবু তো বারবার সেই দিবসটি চলে আসে দুয়ারে, অপরূপ আলোঝলমল সজ্জায়। অপরূপ ঝলমলে পতাকা আমরা ওড়াই প্রতিবার প্রতি ইমারতে, বিজয়ের গান উচ্চারিত হয় আমাদের কর্কশ গলায়।


আমরা নতুন করে স্মরণ করি পুরনো শপথ, যেন নতুন করে লঙ্ঘন করবার প্রেরণা পাই। আমরা শপথপ্রিয় জাতি, শপথতাড়িত
ও শপথপীড়িত জাতি। এটা কি শপথের বিজয়, না বিজয়ের শপথ ?… ( এরপর পড়ুন এখান
)

 


ড. মীজান রহমান,  কানাডার অটোয়ায় বসবাসরত গণিতের অধ্যাপক। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন বেশ ক’বছর।  বিশ্লেষনধর্মী  প্রবন্ধকার হিসেবেও সুপরিচিত।  প্রকাশিত গ্রন্থ সাতটি, র্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ  ‘দুর্যোগের পূর্বাভাস’ (২০০৭)