অসংখ্য ধন্যবাদ ‘মুক্তমনা ‘ ব্লগটির প্রতিষ্ঠাতাদের, সাধুবাদ জানই তাদের এই মহৎ উদ্দৌগকে।
মুক্তমনা তারাই যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করে মুক্তচিন্তা হচ্ছে এমন এক দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী যা বলে যে
বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে সিন্ধান্ত নেওয়া উচিৎ ,যে কোন মাতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা , অন্ধ
বিশ্বাষ এবং কতৃপক্ষ দ্বারা প্রম্ভাবিত হওয়া বাঞ্চনিয় নয় ।
মুক্তচিন্তার আন্দোলন নতুন নয় এই আন্দোলন পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ১৬০০ শতাব্দীতে। মুক্তচিন্তার
অন্যতম প্রতিকৃত বৃটিশ দার্শনিক ক্লিফোর্ডস ক্রোডের মতে ‘যে কোন ব্যক্তির যে কোন যায়গায়
উপযুক্ত প্রমানের অভাবে কোন কিছুই বিশ্বাষ করা উচিৎ নয় ‘ তিনি আরো বলেন ‘কোন ধর্মেই
অলৌকিক আভাসের পক্ষে প্রমান যথেষ্ট নয় ‘।
১৮০০ শতকে মুক্তচিন্তাবাদিরা ‘প্যানজি ফুল ‘ কে মুক্তচিন্তার প্রতিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে । এর কারণ মুলত ফুলটির নাম ও প্রকৃতি। প্যানজি নামটি ফরাসি Pensee থেকে উদ্ভত যার অর্থ
‘চিন্তা ‘ তাছাড়া ফুলটির সাথে মানুষের মুখের সাদৃশ্য রয়েছে এবং আগষ্ট মাসে ফুলটি সামনে হেলে পড়ে,যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন রয়েছে। মুক্তচিন্তা বলে যে ‘ জ্ঞান ও যুক্তির অনুউপস্হিতিতে দাবিকৃত কোন মত কেই সত্য হিসাবে গ্রহন বা প্রত্যাক্ষান করা যাবেনা ‘।
কামরুল আলম
ডিসেম্বর 12, 2011 at 8:43 অপরাহ্ন - Reply
:)) (B)
মো: রফিকুল আউয়াল
নভেম্বর 28, 2011 at 1:28 পূর্বাহ্ন - Reply
১) মুক্ত-মনার শক্তিশালী লেখার মাঝে নীচের উক্তিটা কিন্তু ব্যতিক্রম! এটা জোর করে চাপানো হয়েছে!
“প্রাকৃতিক নিয়মে স্বতঃ স্ফুর্তভাবে শূন্য থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভবের ধারণাটি যদি স্রেফ বানোয়াটই হত, তবে বৈজ্ঞানিক জার্ণালগুলোতে এই ধারণার উপর আলোকপাত করা পেপারগুলো সাম্প্রতিক সময়ে কখনই প্রকাশিত হত না।”
২) মাসুদ রানার লেখা ভালো লেগেছে (“মানব ধর্ম” শীর্ষক)। দুই কিস্তির পরেই কি শেষ?
@মুক্তমনা
প্রথমেই রানাকে অভিনন্দন।আমিও রানার মতই একজন মফস্বলবাসী উৎসাহী পাঠক।বিবর্তন নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য মুক্তমনা অসাধারণ।আমি যে পরিেশে মিশি সবাই ধর্মান্ধতা ও অপবিশ্বাসে আকীর্ণ।এ পরিবেশে মুক্তমনাই আমার যুক্তিচর্চার একমাত্র উৎস।সহায়ক বই ও ওয়েবসাইটের নাম দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সমুদ্র ।
ঠিকই বলেছেন। কিন্তু সে সাথে বলি- একমাত্র বিবর্তন তত্বকে আত্মস্থ করতে পারলেই বিশ্বাসের অচলায়তনকে ভেঙে ফেলা সম্ভব। সহজ সরল ভাষায় এই তত্ব ছড়িয়ে দেয়া উচিত। মুক্তমনা সেই কাজই করে চলেছে। শাস্ত্রের সৃষ্টিতত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে শহরকে, গ্রামকে, পাড়াকে, পরিবারকে। বিজ্ঞান মনস্ক করতে হবে সবাইকে। আসুন আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি এই আন্দোলনে।
মোস্তাফিজ
আগস্ট 29, 2010 at 6:50 পূর্বাহ্ন - Reply
মানুষ বদলের কথা পাচ্ছি এখানে। সাথে সাথে অন্যদেরও টুকরো টুকরো স্মৃতি অভিজ্ঞতার আগমণ ঘটেছে। আপনার চিঠিটি মনে দাগ কাটার মতো। মাহফুজের কাছ থেকে আপনার কথা অনেক শুনেছি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, মুক্তমনার মতো এত সুন্দর একটা ওয়েবের সন্ধান পেয়েছি বলে। আরো ফালো লাগলো আপনার সাহসী মনোভাবের জন্য।
আমিও অনেককিছু শিখছি। আমি মাহফুজের কম্পিউটারে বসেই মুক্তমনায় ঢুকে আপনার এই লেখা পড়ছি। সে গেছে গ্রামের বাড়ীতে। ঈদের পরে ফিরবে। শুনলাম, মাহফুজ পাবনায় যাবে আপনার সাথে দেখা করতে। আমি যতদূর জানি মাহফুজের দাদা বাড়িও পাবনা। যাহোক মুক্তমনার সদস্যদের মধ্যে পরষ্পর ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠুক এই আশা করছি।
আপনার জীবনের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা জানতে ইচ্ছে করে।
আপনার প্রতি রইলো শুভ কামনা।
@ রানা ফারুক,
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে। আগেই ধারণা করেছিলাম-পড়াশুনার চাপেই হয়তো মুক্তমনা থেকে বিচ্ছিন্ন। মুক্তমনার জন্য নতুন একটি লেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ঈদের পরেই পরীক্ষা, পরীক্ষার পরেই আপনার লেখা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো কাঙ্খিত লেখাটির জন্য। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে এখনও যে মুক্তমনায় ঢু মারছেন, সেটা জেনে আনন্দ অনুভব করছি। পড়াশুনার সাফল্য কামনা করি।
@ রানা ফারুক,
আজ আবার এলাম এখানে। শুধু যে মন্তব্য করার জন্যই এসেছি তা কিন্তু নয়। এখানে আসি আপনার চিঠি পড়তে। অন্যদের প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য পড়তে। প্রদত্ত বইয়ে তালিকা, লিংক দেখতে এবং সর্বোপরি নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য।
নিজেকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিশালী করা যায় না। এগুলো ধীরে ধীরে অর্জনের ব্যাপার। আপনার মত সাহসী হতে ইচ্ছে করে। প্রকাশ্যে যেভাবে আপনি নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে যে সাহস দেখিয়েছেন, সে রকম আমারও ইচ্ছে করে। কিন্তু পারি না। আমাদের আকাশ মালিকও প্রকাশ্যে নিজের পরিচয় দিতে পারেন না।
যখন একজন মন্তব্য করল “রানা ফারুক কি গায়েবি না আসল?” আপনি প্রতিবাদ জানিয়ে জবাব দিয়ে দিলেন, আর যোগাযোগের ঠিকানাও দিলেন।
কিন্তু আজ অনেক দিন ধরেই আপনি গায়েব হয়ে আছেন মুক্তমনা থেকে। কবে যে আবার এই অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হবেই তাই ভাবছি। আসুন না, একবার মুক্তমনায়।
মাহবুব সাঈদ মামুন
জুলাই 20, 2010 at 4:01 অপরাহ্ন - Reply
@মাহফুজ,
ফারুক রানা মনে হয় খোলা চিঠির মধ্যে তার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়েছিল,একবার কি তাকে ফোন করা যায় না ? সে কোথায় এবং কেমন আছে?
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে আছে। আমি ইচ্ছে করে করতে চাচ্ছি না আপাতত। এই মাসটা এভাবেই কাটুক। বিভিন্ন সময়ে এখানে এসে মনের ভাব ব্যক্ত করে যাবো।
মামুন ভাই আগে আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন-
কি ধরনের কাজ বা কি পদ্বতি গ্রহন করলে বাংলাদেশে মুক্তমনার প্রসার আরো লাভ করবে বলে মনে করেন?
আমি জবাব দেই নি। আমি একজন ক্ষুদ্র বুদ্ধির মানুষ। আমার প্রোফাইলে দেখেছেন- মুক্তবুদ্ধির চর্চা করা ও অন্যকে এ বিষয়ে জানানো।
আমি আমার নিজ সাধ্যমত মত এ কাজ করে যাচ্ছি, সম্পূর্ণ একাকী। অনন্ত ভাইয়ের কাছ থেকে মুক্তান্বেষা পেয়েছি। বিতরণ করার জন্য পাঁচ কপি চেয়েছিলাম, মাত্র তিন কপি পাঠিয়েছে। এই তিন কপিই তিনজনকে দিয়েছি। একেবারে বিনামূল্যে। যাদেরকে দিয়েছি, পরে তাদের কাছ থেকে মতামত জানবো। এবং ওসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
আমি জানিনা আর কি ধরনের পথ বা পদ্ধতি গ্রহণ করলে দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার হার বাড়বে। অনেককে মুক্তমনা ওয়েবের ঠিকানা দেই। গতকাল একজনকে দিয়েছি। মন্তব্য করল- খুব ভালো লাগছে। তবে ভয়ও লাগছে। জানালাম- থাকতে থাকতে ভয় কেটে যাবে।
যাহোক অনেক লিখে ফেললাম।
@ রানা ফারুক,
আমি যখন ‘মুক্তমনার সাথে কথপোকথন’ পোষ্ট দেই। তারপরই বেশ কিছু মন্তব্য পাই-
এর মধ্যে দুটো মন্তব্য নিয়ে একটু কথা বলবো।
ফরিদ ভাই বললেন-
“মুক্তমনার প্রতি আপনার ভালবাসাটুকু হৃদয়ে স্পর্শ করে গেল। আপনাদের মত মানুষদের নিঃস্বার্থ প্রেমটাই এর সম্পদ।”
অভিজিৎ দা বললেন-
“ফরিদ ভাইয়ের মতোই মুক্তমনার প্রতি আপনার ভালবাসাটুকুর সন্ধান পেয়ে আমার হৃদয়ে স্পর্শ করে গেল। এই ভালবাসাটুকু বেঁচে থাকুক।”
এই যে প্রেম বা ভালোবাসা, এটা একটা অনুভূতি বা আবেগের ব্যাপার। এক সময় অনুভূতি বা আবেগ চলে যেতে পারে। তখন এই প্রেম ভালোবাসাটাও বিলীন হয়ে যাবে কালের গর্ভে।
মুক্তমনাকে আমি যদি সত্যিই ভালোবাসি, তাহলে এই ভালোবাসার চর্চা করা দরকার। প্রায়ই নিজেকে প্রশ্ন করি- আমি কি শুধু মুখে মুখে ভালোবাসার কথা বলে খৈ ফুটিয়েছি, নাকি অন্তর দ্বারাই তা বলেছি। নিজেকে পরীক্ষা করি। যেন আমার ভালোবাসাটা ফিকে হয়ে না যায়। এই ভালোবাসাকে ধরে রাখতে হবে নিজেকেই।
আপনার জীবনকে তো মুক্তমনা বদলে দিয়েছিল। সেই মুক্তমনার প্রতি নিশ্চয়ই আপনার ভালোবাসা রয়েছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনার সেই বদলের জীবন কেমন আছে? কেমন আছে মুক্তমনার প্রতি আপনার প্রেম।
যদিও এখানে আপনি যোগাযোগের ঠিকানা দিয়েছেন। তবুও ইচ্ছে করে মুক্তমনার পাতার মধ্য দিয়ে তা জানতে। আমি মাঝে মাঝে ঘুরে যাবো এই পাঠকের পাতা থেকে, হয়তো একদিন আসবে আপনার জবাব। সেই আশায় দিন গুণতে থাকি।
মাহবুব সাঈদ মামুন
জুলাই 15, 2010 at 12:39 পূর্বাহ্ন - Reply
@মাহফুজ,
আপনার মন্তব্য বা লেখা যত পড়ি তত বিমোহিত হই। কি ধরনের কাজ বা কি পদ্বতি গ্রহন করলে বাংলাদেশে মুক্তমনার প্রসার আরো লাভ করবে বলে মনে করেন ?
ফারুক রানার তো অনেক দিন কোনো খোঁজ-খব র নাই।দেশে যারা আছে তারা যদি তার একটু খবর টবর নিত তাহলে মনে হয় সবার জন্য ভালো হতো।
আজ আপনার সাথে বিচ্ছিন্ন কিছুক্ষন কথা বলে মনে হলো আপনাকে আজন্ম চিনি-জানি।
আজ আপনার সাথে বিচ্ছিন্ন কিছুক্ষন কথা বলে মনে হলো আপনাকে আজন্ম চিনি-জানি।
রানা ফারুকের সাথে আমার কোনদিন কথা হয়নি। তারপরও আমার মনে হতো যে আজন্ম আমি তাকে চিনি। সে যখন সাহস করে তার ঠিকানা বলল- রাধানগর, পাবনা; তখনই আমার এরূপ মনে হয়েছিল- আজন্ম চিনি। শুনেছি- আমার কিছু আত্মীয় স্বজন রাধানগরে আছে, যদিও আমি কোনদিন সেখানে যায় নি।
আমার মনে হচ্ছে- সে পড়াশুনায় ব্যস্ত আছে (অনুমান করছি)। যে মুক্তমনা তার চিঠিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করলো। এত এত মানুষ উৎসাহ যোগালো। সেই ফারুক আজ কোথায়, কী করছে তার কোন খবর কি কেউ রাখছে? সে ওপেনলি যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করেছে তার জন্য কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি তো? এমন চিন্তা মাঝে মাঝে আমার মাথায় আসে। একবার অনন্তকে ভাইকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম তার সম্পর্কে। অনন্ত ভাই জবাব দিয়েছিলেন- অনেকদিন যোগাযোগ নাই।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আর একটা বিষয়ে বলতে ভুলে গেছি- ছোট ভাইয়ের বাসায় এসে দেখি তিনটি বই-
১) বিবর্তনের পথ ধরে
২) আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী
৩) সতন্ত্র ভাবনা
গত মার্চ মাসে ফোনে বার বার এই বইগুলো কিনতে বলেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে আজিজ মার্কেটে যেতে পারে নি। এবার এসে দেখছি বইগুলো।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে- আমাদের পরিবারের মধ্যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা শুরু হয়ে গেছে।
প্রায় চার মাস আগে “পাঠকের মতামত”- এ প্রবেশ করে মন্তব্য করেছিলাম। আজ আবার এখানে ঢুকলাম। আবার পড়লাম। নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছি। এই চার মাসে মুক্তমনার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। এক সময় মুক্তমনাকে নিয়ে আমার মনের ভাবও ব্যক্ত করেছি। লিখেছি- “মুক্তমনার সাথে কথপোকথন।”
মাঝে সাময়িক অসুবিধার কারণে নিয়মিত থাকতে পারিনি। এই থাকতে না পারার কষ্টও ছিল প্রচুর। এখন আবার নিয়মিত হয়েছি। পড়ে যাচ্ছি মুক্তমনার অন্যান্য পাতা, যা আগে পড়িনি। আসলে এত অল্প সময়ে সব লেখকের লেখা পড়া সম্ভব নয়। তবু্ও ইচ্ছে রয়েছে যাকিছু পোষ্ট হয়েছে সব পড়ার। একটাও বাকি রাখতে চাই না।
শুধু পড়ার মধ্যেই আমার জীবন থেমে থাকেনি। ইতোমধ্যে মুক্তমনার দুএকজন সদস্যের সাথে যোগাযোগও হয়েছে। পেয়েছি তাদের অফুরন্ত ভালোবাসা। উদার হস্তে পাঠিয়েছে যুক্তি এবং মুক্তান্বেষা পত্রিকা। লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে পেয়েছি অনেক সমস্যার সমাধান। গড়ে উঠেছে সখ্যতা। এ সব কিছুই যেন আমার কাছে পরম পাওয়া।
নিজের জীবনকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি মুক্তিবুদ্ধি চর্চার দিকে। তদ্রুপ চাই অন্যরাও ধর্মীয় গোড়ামী থেকে মুক্ত হয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চার দিকে এগিয়ে চলুক। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে মুক্তমনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। তারা এর সন্ধান পেয়ে অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তারাও চায়- ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে মুক্তমনার বই কিনেছে। পড়ে আর আমাকে ফোনে জানায়- “খুব ভালো কিছুর সন্ধান দিয়েছ, এগুলো না হলে হয়ত অন্ধকারেই পড়ে থাকতাম।” এই ছোট মন্তব্যই আমাকে অনেক পরিতৃপ্ত দেয়। এর কৃতিত্ব মুক্তমনার, তাই মুক্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করি-
শুধু রানাকেই যে মুক্তমনা বদলে দিয়েছে তা নয়, অনেকের অন্ধ বিশ্বাস-এর উপর আঘাত হেনেছে মুক্তমনা। সমাজ থেকে সমস্ত ভ্রান্ত বিশ্বাস কুসঙস্কার বদলে দেয়াই তো মুক্তমনার কাজ। রানার সাথে সাথে আমিও যে বদলে যাচ্ছি।
রানাকে অনেকেই নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন উপদেশ দিয়েছেন। কারো মতামতই ফেলনা নয়। যে যার দৃষ্টিকোণ দেখে রানাকে উতসাহিত করা হয়েছে। এগুলো পড়ে আমি নিজেও উতসাহিত হচ্ছি। প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা। শুধু দরকার উপযুক্ত পরিচর্যা। নিয়মিত পরিশীলনের মাধ্যমে সেই প্রতিভাকে বিকশিত করতে হয়। আমি রানার চিঠিসহ অন্যান্যদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রানাকে নিয়ে মুক্তমনার কত চিন্তা, তা বোঝা যাচ্ছে এসব মন্তব্যে।
রানা ফারুক
সেপ্টেম্বর 27, 2009 at 12:00 পূর্বাহ্ন - Reply
আমি মুক্তমনা ফোরমে দুটো চিঠি (১ | ২) পাঠাই। এতে সবাই সুচিন্তিত মতামত দান করেছেন এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় আর কোনো লেখা পাঠাই নি। যদিও আমি ঠিক গুছিয়ে লেখতে পারিনা। সবাই আমাকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করেছেন এটা আমার কাছে অস্বস্তিকর। আমি আপনাদের থেকে অনেক ছোট আমি এবার এস. সি পাশ করে, পাবনা সরকারী টেক্সটাইল ইন্সটিউটে (ডিপ্লোমা কোর্সে ) ভর্তি হয়েছি। ভর্তির ফরমে আমার ধর্মের জায়গায় ইসলাম লিখতে হয়েছে। অথচ আমার লেখার ইচ্ছা ছিল ইসলামের জায়গায় ‘মানবতাবাদ’। আমি ও আমার বন্ধু মিলে আলোচনা করেছিলাম সে বলল মানবতাবাদ লিখলে যদি ভতির্ ফরম বাতিল হয়ে যায়। এবং আমাদের দেশে এখনো ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লেখার নিয়ম নাই। আর যাতে ভবিষ্যতে এই রকম অবস্থার মধ্যে না পরতে হয় তার জন্য আমরা কি করতে পারি? আপনারা উদ্যেগ না নিলে তো হবে না। আমাদের পাশের দেশ ভারতে বিভিন্ন লেখায় দেখেছি তারা ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লিখতে পারে। অনেক সংগ্রাম করে সফল হয়েছে তারা। আমাদের ও তো পিছিয়ে পড়লে হবে না। আমি আশা করি খুব তারাতাড়ি আমরা এই ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লিখতে পারি।
মুক্তমনায় এখন আর বেশি ধর্ম এবং ধর্মের কুসংস্কার নিয়ে বেশি লেখা হয়না। ধর্ম নিয়ে বেশি লিখলে আমরা ভাল বুঝতে পারব এবং অন্যকে বুঝাতে পারব। অভিজিৎদার ধর্ম বিষয়ে লেখা অনেক দিন থেকে বন্ধ। বন্যা, অনন্ত, জাহেদ, অজয় রায়, নন্দিনী, বিপ্লব পাল, কামরান মির্জা, অপার্থিব জামান, আরো অনেকে এখন আর এই বিষয়ে লেখা না কেন? আমরা যারা নবীন তাদের তো ধর্ম বিষয়ে আলোচনা সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন। আগামি ২৯/০৯/০৯ ইং তারিখে আমার ক্লাস শুরু হবে। ওখানে আমার ‘ যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদ’ প্রচার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। কিভাবে আমি এই কাজ করতে পারি সবাই যদি আমাকে কোন দিক নির্দেশনা দেন তাহলে খুবই ভাল হয়। আর আমার আগের লেখার প্রতি-উত্তরে অনেকে আমি সত্যি ফারুক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন; যেমন :
Obak Prithibi Posted নভেম্বর 25, 2008 at 1:43 অপরাহ্ণ
রানা ফারুক, মনে হয় ভয় পেয়ে ভাইগ্যা গেছে …। এত সব আতেল রা এত এত বইয়ের পাহাড়ের নীচে বেচারাকে ডুবিয়ে দিছে যে বেচারা … ভাবছে ভিক্কা চাই না কুত্তা সামলাও | বিপ্লব পাল এত দিন পরে একটা খাটি কথা কইছে …| নাস্তিক হইতে গেলে কিছুই পড়ন লাগে না, মন টা জানালা -দরজার মত খুইলা দিলেই হয় …।আর যে সব মহাপুরূস রা মুক্তমনায় গ্যান দিচ্ছে–হেরাই কি নাস্তিক্…| লিখনের বেলায় বড় কথা-…
আর একটা কতা, রানা ফারুক কি গায়েবি না আসল? পাবনা থ্যাইকা নিজামিও ত হেই নামে ই-মেইল করতে পারে?? দেখা গেল, আল্লার মত রানা ফারুক ও এক গায়েবি মাল…| আথচ , মুক্তমনার মহা মহা প ন্ডিত রা ঘুম হারাম করছে– এই না হইলে যুক্তি বাদি…। মোল্লারা যেমন ইসলাম শুনলেই মাথা চাড়া দেয়।। এটা বদরুল ইসলাম না , আমিনুল ইসলাম সেটা দেখে না্্ মুক্তমনার গ্যানিরাও তেমনি… নাস্তিক পাইছি শুনলেই হইল… মাল আসল না নকল, সেটা পরে দেখন জ়াইব। চিলের পেছনে ছুটি… নিজের কান পরে দ্যাখন জ়াইব… ভাল থাইকেন সবাই…
অবাক পৃথিবী ভাই, আমি ভয় পাই নাই বা গায়েবি না । আমি পরীক্ষার কারণে ব্যস্ত ছিলাম। আপনার যদি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে আমার ইমেল তো রয়েছে – [email protected]। আর আমার মোবাইল নম্বর ০১১৯১- ৭৫৫৭৪২ দিয়ে দিলাম । যোগযোগ করলে খুশি হব। আজ আর নয়।
মুক্তমনা ব্লগের সদস্য হতে হলে আপনাকে ব্লগে নিয়মিত মন্তব্য করে যেতে হবে, লিখতে হবে। লেখালিখির ভিত্তিই হচ্ছে মুক্তমনা সদস্য হওয়ার মূল চাবিকাঠি। সুতরাং ব্লগে লিখতে থাকুন – দেখবেন একসময় সদস্য হয়ে গেছেন।
আর আমাদের ইয়াহুগ্রুপের সদস্য হতে চাইলে আপনাকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। ইয়াহুগ্রুপের সদস্য হবার নিয়ম এখানে বলা আছে।
খুব হাসি পেল অবাক পৃথিবী ভাই এর কথা শুনে। সত্যিই ত এখন মনে হচ্ছে রানা অাসলেই গায়েবী মাল কিনা। যাকে নিয়ে এত কথা, তার কোনই সাড়া শব্দ নেই এতক্ষণ ধরে… আসলেই ত রানা আসল না নকল…যদি সত্যই থাক, ত বাপু একটু আওয়াজ দাও ত?
Rana, you are same age to me. Thank you and welcome at this world. Dont feel hesitate. We are with you. Keep continueing your search for truth. Study the refereced book. Now I wish to say how I become an athiest. by the way, the credit is not at mukto-mona, but, at the ‘mukto-mon’ of mine. Thank you!
আগে ছিলাম ক্ষুদে নাস্তিক। মুক্তমনা আমাকে খাটি নাস্তিক হতে সাহায্য করেছে। বিজ্ঞানবিত্তিক লেখা পড়তে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রশ্ন করতে শিখিয়েছে। ভাবতে শিখিয়েছে। জানতে শিখিয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কাছের মানুষ ধারা বিতর্কিত এই আমি। তাতে কিচ্ছু যা আাসে না। সত্য যুক্তি কে গ্রহণ করবো আজীবন। রানা ফারুক কে ধন্যবাদ নতুন করে ভাবতে শেখার জন্য, নিযেকে প্রশ্ন করার জন্য্।
[…] প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছিলেন – ‘মুক্তমনা আমার বিশ্বাসকে বদলে দিয়েছে’ । তিনি মুক্তমনাদের কাছে কিছু ভাল […]
chanokya
ডিসেম্বর 2, 2008 at 8:50 পূর্বাহ্ন - Reply
“‘I am an atheist’. Better say I am rationalist & scientific minded”.
একটি অত্যন্ত বাস্তবধর্মী উপদেশ। আমি কি নই তা সবাইকে জানানোর থেকে আমি কি তা
জানানো অনেক বেশি জরুরি। তাই মনে হয় নিজেকে মানবতাবাদি ও যুক্তিবাদি বলে পরিচিত
করলে ভাল হয়। শুরুতেই Scientific minded বললে অনেকের ভিরমি খাবার সম্ভাবনা থাকে। আমার বাস্তব অভীজ্ঞতা বলে মানবতাবাদের কথা বললে চরম বিস্বাসিরাও
মনযোগ দিয়ে শোনে। নাস্তিকতা দিয়ে সুরু করলে হিতে বিপরিত হবার সম্ভাবনাই বেশি।
দরজা বন্ধ থাকলে জানলা দিয়ে লাফ মেরে পালিয়ে যাবে। আর ফিরবেনা। তাই বলি শুরু
হোক মানবতাবাদ দিয়ে তারপর গড়া হোক যুক্তিবাদের ভিত। মনে হয় বাকি পথটুকু কেউ
নিজেই খুজে নেবে। শুরুতেই ধর্মের আর আল্লাবিল্লার বিরোধিতা নয় but to redifine religeon and the concept of god and offer
humanism as religeon. মানবধ্ররমের ভিতটা একটু পাকা হলে মানুষ
তখন মানুষের মধ্যেই আল্লা ভগবান খুজবে। সহজ কথায় হল ধর্মীয় ব্রাদারহুডের বদলে
বিশ্বমানবতার বাণী সকলের কাছে পৌছে দাও। প্রগতিবাদি শক্তির বড়ো দুরবলতা হল আজো তারা মানবতাবাদকে স্কুল পাঠ্যসুচির অন্তরভুক্ত করতে পারেনি। যদি পারত তবে হাজার
হাজার রানা ফারুকে দেশ ভরে যেত।
মি. নৃপেন, আপনার করা প্রশ্নগুলো করেই কিন্তু আমি একজন বাচ্চা হুজুরকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছিলাম। সে পরে নাস্তিক হয়ে গেছে।
আর একবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ৫ জন ছাত্রকে একই কথা বলেছিলাম। তারাও পরে উত্তর দেবে বলেছিল। কিন্তু দেয়নি। প্রায় ২ বছর পরে চিঠি লিখে জানিয়েছিল তাদের অবিশ্বাসের কথা। তারাও আর পরবর্তীতে মুসলমান থাকতে পারেনি।
আপনার প্রশ্নগুলো সত্যিই শক্তিশালী।
Nripendra N Sarker
নভেম্বর 28, 2008 at 10:27 অপরাহ্ন - Reply
রানা ফারুকের এতগুলো বই না পড়লেও চলবে। হিন্দু ঘরের সন্তান হলে বলব গীতা পড়তে, আর মুসলমান হলে বল বলব কোরান পড়তে। আমার নিজের একটি ঘটনা এখানে প্রযোজ্য। অতি সংক্ষেপে বলছি।
৯/১১ ঘটনার মাত্র চল্লিশদিন পরের ঘটনা। ২১শে অক্টোবর। জনৈক বাংলাদেশী (PhD student) আমার বাড়ীতে এল দাওয়াত দিতে। হাতে ছোটবড় অনেক বই। বুঝতে দেরী হলনা, আমাকে মুসলমান বানাতে এসেছে। অবাক হলাম অসময়ে আসার জন্য। ৯/১১ এর তাজা রক্ত তখনও আকাশে বাতাসে বিদ্যমান। প্রশ্ন করলাম, “কোরান পড়েছ?” কোরান বিষয়ক আরও দু-একটি প্রশ্ন করেই বুঝলাম, ডাহা মিথ্যা কথা বলল। কোরান কখনোই পড়েনি। বললাম, “কোরান পড়তে শুরু কর। তারপর,
১। কোরানে মাত্র একটা বাক্য আমাকে দেখাবে যা মানুষের পক্ষে
ভাবা বা লেখা সম্ভব নয় (ঐশ্বরিক?)
২। যে কোন জায়গা থেকে ক্রমাগত দশটি পাতা দেখাবে যেখানে
মানুষের প্রতি ঘৃনা নেই।
একবছর সময় দিলাম। কোরান পড়ে উপরের যেকোন একটি দেখালেই চলবে। আমি সপরিবারে মুসলমান হয়ে যাব।”
একবছর গেল, দুবছর গেল। লোকটি মাত্র একশত মাইল দূরে হিউস্টনে থাকে। আর আসেনি।
রানা, তুমি কোরান পড়বে। তোমার মত বয়সে নিজের ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মের প্রতি আমার আকর্ষণ জন্মেছিল। লোকটি সহজেই আমাকে কাবু করে ফেলতে পারত। ওর দুর্ভাগ্য আগেই আমি কোরান পড়ে ফেলেছিলাম। কোরান আমাকে বাচিয়েছে।
মো: রফিকুল আউয়াল
নভেম্বর 28, 2011 at 9:44 পূর্বাহ্ন - Reply
@Nripendra N Sarker,
আাপনি লিখেছেন, আপনি কোরান পড়েছেন।
সুতরাং আমি উৎসুক, জানতে চাই,
(১)শুধু একটি জায়গায় যেখানে কোরান মানুষকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে!
(২)শুধু একটি জায়গায় যেখানে কোরান মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে!
অনন্ত বিজয় দাশ
নভেম্বর 28, 2008 at 10:29 পূর্বাহ্ন - Reply
যুক্তি’র পরবর্তী সংখ্যার জন্য এরই মধ্যে এই বিষয়ে লেখা তৈরি হয়ে আছে। অপেক্ষা করুন কিছুদিন, বিস্তারিত-বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা থাকছে ঐ লেখায়।
Prof. Ajoy Roy
নভেম্বর 28, 2008 at 3:34 পূর্বাহ্ন - Reply
Dear Rana,
I read both your letters appearing in MM with interest. I could understand your position very well, especially when you are still under the control of your family. You are very right, don’t antagonise your family members right now. Try to argue with them politely with logic and reason. Tell your father ‘I am trying to learn real spirit of the religion, just not its rituals’ and seek his advice in the process of learning regarding all aspects of Islam. It is no harm if you learn more on the fanatical and dogmatic side of Islam. It will help you later on in your life. You will be better equipped to deal with the Mullahs. You can counter argue with them with their language, as did Vidyasagar dealing with the Pundits who were against the ‘Widow marriage’ in Hindu Society. If they don’t listen to you, quietly leave the place. I feel pity for your father who burnt books of Aroj Ali Matubbar. Don’t get upset. It happened almost every body’s life. Your father can burn one copy of Aroj Ali, but can he erase the writings and sayings of Aroj Ali from the heart and minds of young people like you. Feel proud that you are one of those young men who could realise the emptiness of the religions of all shades. Don’t think Islam is the only religion in earth that is dogmatic, violent in nature; in fact all religions whether revealed or Santana (classical) like Hinduism, Buddhism or Jainism. All are fanatical more or less in nature. Another little advice, don’t declare yourself publicly, especially in presence of Mullahs, ‘I am an atheist’. Better say I am rationalist & scientific minded. I accept every thing that sounds rational, scientific and logical including sayings found in religious books.’ Still better, ‘say you are a humanist’ – ‘I shall work for the betterment of human lives – and that is my goal in my life’. Believe me you are not alone. Try to find out such people around you, make closer association, hold discussion meetings among yourselves. Finally, keep in touch with us.
Read our journal “Muktanwesa’ . If it is not available in your locality, please let us know, we will send to your address. Keep your head high, as Tagore said many years back.
With love,
Ajoy Roy
Dhaka
আদিল মহমুদ
নভেম্বর 27, 2008 at 10:23 অপরাহ্ন - Reply
অভিজিৎদা কে ধন্যবাদ। “ডিম্বের সন্ধানে” লেখাটি আমি পড়েছিলাম, কিন্তু তাতে নিউমেরিক মিরাকল ব্যাপারটি একটি ছোট অংশ হিসেবে ছিল। তাই অনেক কিছুই পরিশকার হয়নি। যদি পারেন তবে এ বিশয়ে একটি পূর্ণাংগ লেখা কেউ লিখবেন। কোরানে বিজ্ঞান আছে বা মিরাকল আছে এ বিশ্বস আমার বদ্ধমুল হয়েছিল এই নিউমেরিক মিরাকল এর কারনেই। আমার মত আরো অনেকেই এই তত্ত্বকে কোরানের অকাট্যতার ডেফিনিট প্রুফ হিসেবে মানেন। পৃথিবী গোল না সমতল এর ব্যাখ্যা যে যার খুশীমত করতে পারেন, কিন্তু এই নিউমেরিক মিরাকল এর বুজরুকি বোঝাতে কোন অষ্পটতা বা আরবী শব্দের রুপক ইসু আসার কথা না।
বা! এতো দারুণ ঘটনা! এভাবেই পৃথিবী এগিয়ে যাবে আলোর পথে। এক এক করে প্রতিটি মানুষ জানবে সত্যমত। রানা ফারুককে অভিনন্দন। আপনি যে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করে গলায় বাঁধা রশিটা খুলতে পেরেছেন, তাকে আমি সম্মান জানাই।
উপরের দীর্ঘ আলোচনাগুলোর মধ্যে বিপ্লব পালের মন্তব্যটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। আসলেই তো তেমন কোন বই পড়ার দরকার নেই। নিজের বিবেক কি বলে? নিজের মন থেকে কোন দিগন্তের ডাক শোনা যায় – তাই আগে অন্বেষণ করতে হবে। বইগুলো পড়া যেতে পারে ফারদার রিডিং এর প্রয়োজনে, বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজনে। কিন্তু আত্মোপলব্ধির জন্য কি কোন বইয়ের প্রয়োজন আছে?
রানা ভাই, আপনি সাবধান থাকবেন। আপনার নবলব্ধ বিশ্বাস প্রচার করার দরকার নেই। পাবনায় আমার পরিচিত তেমন কেউ নাই। তারপরও যদি কোন দরকার পরে, তাহলে আমার ব্লগের ইমেইল বাটন ব্যবহার করে গোপনে জানাতে পারেন। কমবেশি প্রত্যেকটা জেলাতে একটা গ্রুপ আছে, যারা মুক্তমনা, প্রগতিশীল। তাদের কাউকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবো। মুক্তচিন্তা করে, পরকাল, অলৌকিকতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে এমন বন্ধুদের সাথে মিশতে পারবেন। আরজ আলীর বই আপনার কাছে নেই তো কি হয়েছে। তার বই তো পড়েছেনই। বিষয়টাতো বুঝতে পেরেছেন। এতেই হবে। জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজে আয় করার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে আরও জোর পাবেন। নিজেকে আরও শক্তিশালী বোধ করবেন।
Mr অগ্নির সাথে যে আমি সম্পূর্ণ একমত তার জলন্ত নিদর্শণ হচ্ছে আমার ব্যাপারটা! প্রতিস্ঠিত কোন নাস্তিক্যের বা বিজ্ঞানের বই পড়তে হয় নি আমার নাস্তিক হতে। আমার স্বীয় নাস্তিক্যের কাহিনী নিয়ে আমি কাগজে কলমে লিখছি, কিন্তু মুক্ত মনায় প্রবন্ধ হিসেবে কিভাবে পাঠাব তার নিয়ম ভালভাবে জানি না। আমি নতুন ইউজার। বাংলা লিখি অতি কষ্টে এবং সময় নিয়ে। এর মধ্যে কতগুলি কমেন্টস লিখলেও প্রবন্ধ লেখার যোগ্যতা হয়নি কখনও। আর কমেন্টগুলোর মান মোটেও ভাল ছিল না, তবুও আমার কষ্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিদা ওগুলো দয়াকরে ছাপিয়েছিলেন। এমনকি আমাকে একটি রিপ্লাইও দিয়েছিলেন। এজন্য তাঁর নিকট আমি অশেষ কৃতজ্ঞ। এখন আমার প্রবন্ধে আমি নিজের কথা বলতে চাই। আপনাদের মত ভাল ভাল লেখকদের তুলনায় আমারটা ছাপানর অয়োগ্য হলেও আশাকরি পড়তে একদম খারাপ লাগবে না। সবাইকে ধন্যবাদ। আরিফ।
@রানা ফারুক,
আপনার নবজাগরণকে স্বাগত জানাই।আমি আপনার চেয়ে বছর দুয়েকের বড় এবং আমার এই উত্তরণ ঘটেছিল অনেক আগেই।মুক্তমনার সাথে আমার পরিচয় মাত্র কিছুদিন আগে আর প্রথম পরিচয়েই প্রেম!আমার পরিবারটি একটি গোঁড়া বৈশ্য সাহা পরিবার এবং আমার বাবা স্বাস্থ্যবিভাগের অতি উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।এই সে দিনও খাবার টেবিলে শাস্ত্র-মতেই তাঁর বংশের পুরোহিতের তুমুল সমালোচনা করি আমি এবং ঠাকুরের ভোগে পেঁয়াজ দিলে ক্ষতি কি!বাবা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠলেন।তিনি কোনদিন গীতা ছাড়া কোন ধর্মগ্রন্থ পড়েন নি এবং গীতা প্রতিদিন পড়লেও এটি নিয়ে তিনি ভাবেননি।তাই ডাক্তার হয়েও তাঁর মনের অন্ধকার কাটে নি।তিনি তাঁর যে কোন জ্ঞাতি মারা গেলে বহুবার ১মাস অসৌচ করেছেন।আজকাল ১ মাসের জায়গায় ১৫ দিন অসৌচ করেন বলে তাঁর মনে পাপবোধের শেষ নেই।যদিও ঠুনকো ও মিথ্যে শাস্ত্র-মতে বৈশ্যদের ১৫ দিনেই শ্রাদ্ধ করার নিয়ম তবুও এই লোভী,মূর্খ ও চাটুকার পুরুতগুলো তাদেরকে একমাস ধরে অমানবিক কষ্ট দিয়ে পাশবিক আনন্দ পেয়েছেন।আমি বই খুলে দেখালেও তাঁরা বিশ্বাস করবে না – এমনই তাদের অন্ধত্ব।তাছাড়া চাকরিক্ষেত্রে হিন্দু হবার ‘অপরাধে’ বাবার প্রতি অনেক অবিচার করা হয়।এতে করে আমার মা-বাবা আরও বেশি গোঁড়া হয়ে পড়েন।
আমার উত্তরণ শুরু হয় সপ্তম শ্রেণীতে থাকাকালীন স্বামী বিবেকানন্দের “বেদান্তের আলোকে” বইটি পড়ে।তাঁর আগে আমি নিদারুণ ধার্মিক ছিলাম এবং কৃষ্ণ-দর্শন ও আমার হয়েছে যা ছিল নিছক হ্যালিউসিনেশন!বিবেকানন্দের লেখা পড়ে আমি প্রচলিত ধর্মের উর্ধ্বে ভাবতে শিখি এবং তারপর রাহুল সাংকৃত্যায়নের “ভোল্গা থেকে গঙ্গা” বইটি পড়ে অনেক বুজরুকিই আমার চোখে পড়ে।এরপর নৎর দাম কলেজে পড়তে গিয়ে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে দু বছর থেকে দেখি অধিকাংশ সাধুই ভণ্ড,খাদ্যলোভী ও প্রচণ্ড ভোগবিলাসী।আর তারা দাবী করেন এটুকু ভোগ-বিলাস তারা করতেই পারেন।প্রথাগত ধর্মের প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে গেল।এর মধ্যেই আমি ইসলাম ও খৃস্ট ধর্মের বুজরুকি গুলোও ধরতে পারি।আর বৌদ্ধধর্ম নিরীশ্বরবাদী হলেও আমাদের দেশের সাধারণ বৌদ্ধরা ঈস্বর-বিশ্বাসী!
যাহোক আমার বাসায় আমার ওপর প্রচণ্ড মান্সিক চাপ সৃষ্টি করা হল।এক পর্যায়ে আমি আমার শেলফ থেকে বইগুলো ছুঁড়ে ফেললাম এবং নিজেই আগুন ধরিয়ে দিতে গেলাম।বাবা -মাকে বললাম এই বইগুলোই আমাকে তমাদের চোখে নষ্ট করেছে কাজেই এই বইগুলর সাথে নিজের বিবেককেও আমি পুড়িয়ে দেব।তাঁরা আমাকে আটকালেন।
আজও আলোর পথে আমি একাকী যাত্রী আমার পরিবারে।মুক্তমনায় এসে নিজের মত অনেককে দেখে প্রাণ ভরে যায়…
“প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ”।
মনে রাখবেন নিজের জীবনচর্যাই সবচেয়ে বড় জ্ঞানের উৎস।
ভাল থাকবেন।
@রানা ফারুকের ইমেল address চাই।সে যদি দেন তাইলে তাকে আবার আস্তিক হয়াতে সাহায্য করব।আমি তা পারব বলে মনে করি। যেমন ভাবে মুক্তমনা পড়ে সে নাস্তিক হয়েছে তেমন ভাবে ভালো কিছু পড়ে সেও আস্তিক হতে পারে।
একটি কথা অনসিকার্য যে–“মানুষ পাপ থেকে নাস্তিক হয় ,যখন দেখে সে পাপ করে ফেলেছে এবং তাকে তা করতেই হবে তখন ধর্মীয় দিক বিবেচনায় সে হতাসায় ভুগে,আর তা থেকে উত্তরনের পথ খুজে। তার পাপ গুলো যে কোন পাপ নয় তা বুঝতে চাই, কিন্তু ধর্ম মতে সে তো আর সম্ভব নয় তাই সে ভিন্ন পথ খোজে আর এ ভাবে যদি সে তার মত আরো পাপিকে পেয়ে যায় সে তাকে শান্তনা দিতে পারে তাকে ভালোবেসে ফেলে।।আর মতাদর্শ মেনে নেয়।ফারুকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।আমনাদের ক্ষেত্রেও তাই ” মিথ্যাকে জানার আগে সত্য জানতে হবে…মুক্তমনাকে জানার আগে সত্যকে।
অভিজিৎ
নভেম্বর 27, 2008 at 10:22 পূর্বাহ্ন - Reply
আমার মতে নাস্তিকতাবাদও একটা ধর্ম।
আমি দ্বিমত পোষণ করি। নাস্তিকতা কোন বিশ্বাসের ব্যাপার নয়, বরং ‘এবসেন্স অব বিলিফ’। নাস্তিকদের কোন ধর্মগ্রন্থ নেই, নেই কোন পয়গম্বর। তাই কোন সংজ্ঞাতেই নাস্তিকতাকে কোন ধর্মের আওতায় ফেলা যায় না। আরো বিস্তারিত বিশ্লেষনে যেতে চাইলে আমার এই লেখাটা দেখতে পারেন – আস্তিকতা বনাম নাস্তিকতার প্রত্যুত্তরে
তবে কোরানের একটি দাবীকৃত মিরাকলের পালটা জবাব এখন কোথাও পাই নি। তা হল নিঊমেরিক মিরাকল যা রাশান খলিফা আবিষ্কার করেছিলেন। কোরানের সব আয়াতে ১৯ সংখ্যার প্রভাব জাতীয় কিছু। আপনার এ সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে বলতে পারেন।
আমি আশ্চর্য হলাম আপনার কথা শুনে। রাশাদ খলিফা কিভাবে কোরান বিকৃত করে তার ১৯ তত্ত্ব বানিয়েছিলেন এটা এখন খুব ভালমতই প্রকাশিত। মুক্তমনাতেও এ নিয়ে অনেক প্রবন্ধ আছে। আমাদের সঙ্কলিত বইয়ে নাস্তিকের ধর্মকথা একটি প্রবন্ধ সংকলিত করেছেন- ডিম্বের সন্ধান এবং রাশেদ খালীফা ও তার ম্যাথমিটিকল মিরাকল। লেখাটা পড়ে দেখবেন।
এত কিছুতে যাবার দরকার নেই। রশিদ খলিফার কোরানে একবার চোখ বোলান । দেখবেন উনি ১৯ তত্ত্বকে সার্থকতা দিতে গিয়ে 9: 128 eবং 9: 129 আয়াতগুলো গায়েব করে দিয়েছেন। খালিফার কোরানে ওই দুটো আয়াত নেই। এবার ইন্টারনেটের যে কোন ইসলামিক সাইট থেকে কোরানের অন্য অনুবাদগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন। আপনি রাশাদ খলিফার কোরান টেম্পারিং এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হাতে নাতে পেয়ে যাবেন। আবার কোন কোন সুরাতে খালিফা নিজের নাম পর্যন্ত বসিয়ে দিয়েছেন অনুবাদে (যেমন ৮১ঃ ২২)। কি বুঝলেন?
নীচের লিঙ্কগুলোও হয়ত এ প্রসঙ্গে আপনার কাজে আসতে পারে –
আদিল মাহমুদ
নভেম্বর 27, 2008 at 7:16 পূর্বাহ্ন - Reply
ভাই ইরতিশাদ আহমদ,
ধণ্যবাদ আপনার সময় নিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য। আপনি কিছু মন্তব্য করেছেন যা আমি আমার দৃষ্টি ভংগী থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
ক) কিছু মনে করবেন না, নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসীদের কেন যেন মনে হয় ধর্ম শব্দটিতেই এলার্জি আছে। ধর্ম মানেই যে ঈশ্বর বা মূর্তি পূজা তাতো নয়। জড় বস্তুদের ও তো ধর্ম আছে। তাই না? আপনাদের বিশ্বাসের মূল হল প্রচলিত বিশ্বাসে অবিশ্বাস, তাই আমার মতে এটিও একটি ধর্ম।
খ) আমি একমত যে নাস্তিকতার ধারণা মুক্তচিন্তা প্রসূত। মন মুক্ত বা আস্তিক নাস্তিক এ শব্দগুলি কিন্তু আপেক্ষিক হতে পারে। যেমন, এসব ফোরামে যারা নাস্তিক হিসেবে লেখালেখি করেন তারা আসলেই কতটা নাস্তিক? আমি ব্যক্তিজীবনে দু একজন ভয়াবহ নাস্তিক কে চিনি যারা বড় ধরনের বিপদে পড়লে কঠিন ধার্মিকে পরিণত হন। বিপদ কেটে গেলেই আবার অঙ্ক কসে প্রমান করেন যে গড=ভন্ডামী। তাই আমি কে আস্তিক, কে নাস্তিক তাতে গুরুত্ত দেই না, আমি গুরুত্ত দেই তিনি কি বললেন তার উপর।
গ) আমি নিজেই স্বীকার করেছি যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আমি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারব না। অন্তত এক্ষেত্রে আমি অবশ্যি যুক্তিবাদী না। আমি বড় জোর সব কিছুর ক্রিয়েটর আছে জাতীয় যুক্তি তর্কের খাতিরে চালিয়ে যেতে পারি কিন্তু নিজেই জানি যে তা যুক্তির মাপে খুব অকাট্য কিছু না। পরিশেষে শুধু এইটুকুই বলব যা আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন, জগতে যুক্তি তর্ক ছড়াও কিছু বিষয় আছে।
ঘ) হ্যা, আমি কবুল করছি যে খোলা মনে পড়লে ধর্ম গ্রন্থে বিজ্ঞান আছে তা আমি বিশ্বাস করার মত কিছু পাইনি। নিজে মোসল্মান বলে আমার মনো্যোগ কোরানের দিকেই ছিল। এ সম্পর্কে পাওয়া সব গুলি লেখাই আমি পড়েছি। বলতে বাধা নেই যে, ধর্মবাদীদের কোরানে বিজ্ঞান পাওয়ার যুক্তি থেকে নাস্তিকদের কোরানে বিজ্ঞান নেই মতবাদ আমার অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। আরেকটি কথা, কোরানে কিন্তু বাইবেল বা অন্য ধর্মের মত সরাসরি সম্পুর্ন অবৈজ্ঞানিক কথা নেই। এটি সম্পুর্ন নির্ভর করে ব্যাখ্যার উপর। আমার মনে হয়েছে যে চেষ্টা করলে কোরানে যেমন বিজ্ঞান আবিষ্কার সম্ভব তেমনি অপবিজ্ঞান আবিষ্কার ও সম্ভব। তবে কোরানের একটি দাবীকৃত মিরাকলের পালটা জবাব এখন কোথাও পাই নি। তা হল নিঊমেরিক মিরাকল যা রাশান খলিফা আবিষ্কার করেছিলেন। কোরানের সব আয়াতে ১৯ সংখ্যার প্রভাব জাতীয় কিছু। আপনার এ সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে বলতে পারেন। আমি নিজে কিছু গবেষণার চেষ্টা করেছিলাম, তবে শূন্য আরবী জ্ঞানের অভাবে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারিনি।
তবে আপনার কথা অনু্যায়ী আমি বিজ্ঞানের মধ্যে ধর্ম আবিষ্কারের চেষটা করিনি, আমি জানি না কেন আপনার এমন ধারণা হল।
এ বিষয়ে আমার মত খুব পরিষ্কার, ধ্র্ম আর বিজ্ঞান দুটো দুই ডাইমেনশনের ব্যাপার। এক ঘন্টার সাথে এক মাইলের তুলনার যেমন কোন অর্থ হয় না তেমনি ধ্র্ম আর বিজ্ঞানের ও তুলনা হয় না। একটির মূল বিশ্বাসে, আরেকটির মূল যুক্তি এবং পরীক্ষা নীরিক্ষাতে। দুয়ের মাঝে কি করে তূলনা হয়?
ঙ) আমিও নিজেকে পুরো যুক্তিবাদী দাবী করি না, তার দরকার ও দেখি না। আগেও বলেছি, কেউ যুক্তিপূর্ণ কথা বললে আমি তা গ্রহন করতে পারি। তা সে আস্তিক নাস্তিক যেই হোক না কেন। মুক্তমণার লেখাগুলি থেকে আমার দৃষ্টি ভংগী অনেক বদল হয়েছে। যেমন আমি আর কেউ সমকামী শুনলে তার দিকে ঘৃণার চোখে তাকাতে পারি না। কোন ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী অক্ষরে অক্ষরে জীবন চালাতে হবে বলেও মানি না। মহিলাদের প্রতি যে সব ধর্মই খড়্গহস্ত তাও আমি আর অস্বীকার করতে পারি না। তালিকা শুধু বড়ই হবে। মুক্তমনার লেখক লেখিকা সকলেই আমার ধন্যবাদ পাবেন।
আপনি নিজেকে পুরো যুক্তিবাদী মনে করেন না এবং বিশ্বাস করেন যে যুক্তি দিয়ে সবকিছুর সমাধান করা যায় না।এ প্রসঙ্গে শুধু এটাই বলতে চাই যুক্তি দিয়ে শুধু সেই প্যারাডক্সগুলোই সমাধান করা যায় না,যেগুলো যুক্তিবিদ্যার প্রশ্নের ত্রুটি থেকে উদ্ভুত।যেমন বার্ট্রান্ড রাসেলের প্যারাডক্সটি।কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব বিষয়টি কিন্তু তেমন না।এখানে কোন প্রশ্নের মারপ্যাঁচ নেই।কোরানের আল্লাহর বর্ণ্না ঠিক ততোটাই গাঁজাখুরি যতোটা অন্যান্য শাস্ত্রে।যুক্তি দিয়ে এ ধরনের উদ্ভট দাবি সহজেই বানচাল করা সম্ভব।বিশ্বটা বোধহয় প্যারাডক্স নয়।
অধ্যপক আব্দুল্লাহ আবু সায়িদও আপনার মতই তাঁর একটি বইএ নাস্তিকতাকে ধর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি নিজেকে অজ্ঞেয়বাদী পরিচয় দেন।তবে রবীন্দ্রনাথের জ়ীবনদেবতার ধারনাকেও তিনি জোলো বলে সমালোচনা করেছেন।এ প্রসঙ্গে পাঠকদের মতামত জানতে চাই
আপনি যদি নিজের মন থেকে একটি সুন্দর ভাবধারা গড়ে তাকে ধর্ম নাম দেন তবে ঠিক আছে।কিন্তু প্রচলিত ঈশ্বরের ধারণা যদি আপনি বিশ্বাস করেন,তবে আপনাকে কিছু বলাই বৃথা।
তবে আপনার মন বদ্ধ নয়,এটা আশার কথা।
কোরআনের মিরাকল ১৯ নিয়ে ত কিছুই বললেন না, জানা নেই, নাকি এই ধরনের কিছুই নেই।
ইরতিশাদ আহমদ
নভেম্বর 27, 2008 at 1:39 পূর্বাহ্ন - Reply
আদিল মাহমুদের মন্তব্যের সুত্র ধরে –
ক। আপনি লিখেছেন, “আমি নাস্তিকতায় বিশ্বাসী না।” আমি সবিনয়ে বলতে চাই, নাস্তিকতা অবিস্বাসীদের জন্য, বিস্বাসীদের জন্য নয়। আমার মনে হয় আপনি নাস্তিকতার এই মূল ভিত্তিটা ঠিক মতো ধরতে পারেন নি। তাই বলতে পেরেছেন, “আমার মতে নাস্তিকতাবাদও একটা ধর্ম।”
খ। আপনি ঠিকই বলেছেন, “মুক্তমনা হতে হলেই যে নাস্তিক হতে হবে তা মনে হয় না।” কিন্তু মুক্তমনা না হলে নাস্তিক হওয়া বেশ কঠিন। কারণ নাস্তিকতার ধারণা মুক্তচিন্তা-প্রসূত। আর মন মুক্ত না হলে মুক্তচিন্তা করবেন কি ভাবে?
গ। “ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আমি কোন যুক্তি তর্কে যাব না, কারন তা কোন দিন সম্ভব না। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু রয়েছে।” তাহলে নিজেকে যুক্তিবাদী দাবী করেন কি ভাবে? আপনি নিজেকে মুক্তমনা ভাবতে পারেন, কিন্ত উপরোক্ত মন্তব্যের আলোকে আপনাকে যুক্তিবাদী বলা যায় না। এটা ঠিক যে, যুক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু আছে, কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্বের প্রশ্ন যুক্তিতর্ক ছাড়া আলোচনার আর কোন উপায় আছে কি?
ঘ। আমার ধারণা মুক্তমনার লেখাগুলি পড়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মে বিজ্ঞান আপনি খুঁজে পান নি, এবং না পেয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তার দরকারও নেই। কিন্তু তবুও হৃদয়ে ভগবানকে স্থান দিয়েছেন, মুক্ত মনেই। আপনাকে সাধুবাদ। কিন্তু দুঃখটা এইখানে যে, আপনি ধর্মে বিজ্ঞান খুঁজে না পেয়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাপদ্ধতির (নাস্তকিতা) মধ্যে ধর্মকে আবিস্কার করেছেন, ভুল চিন্তার বশবর্তী হয়ে!
ঙ। শুনে ভাল লাগলো, আপনার ঈমানের ভিত্তি আপনার মুক্তমনায়-ঢুকতে-ভয়-পাওয়া বন্ধুদের মতো নরম নয়। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, আপনার শক্ত-পোক্ত ঈমানের ভিত্তিতে আর যাই থাক যুক্তি নাই।
চ। পরিশেষে বলবো, আপনাকে আমি অভিনন্দন জানাই, মুক্তমনার লেখাগুলি খোলা মন নিয়ে পড়ার জন্য, আপনার অনুসন্ধিৎসার জন্য।
আদিল মাহ্মুদ
নভেম্বর 26, 2008 at 12:49 অপরাহ্ন - Reply
রানা ফারুকের মত মুক্তমনা আমাকেও বেশ নাড়া দিয়েছে। যদিও আমি নাস্তিকতায় বিশ্বাসী না। তবুও আমি মুক্তমনার একজন ভক্ত পাঠক। মুক্তমনার বাংলায় লেখাগুলি না দেখলে আমি কোন্ দিন ই নাস্তিকদের লেখা পড়েও দেখতাম না। অন্ধভাবেই ধরে নিতাম যে এগুলি সব ইসলাম বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। মুক্তমনার সাথে আমার পরিচয় হঠাত করেই, ধর্মে বিজ্ঞান খোজার সুত্র ধরে। এর পর একে একে পড়ে গেছি ধর্ম বিষয়ক প্রায় সব লেখা। না, পড়ে আমি নাস্তিক হইনি। তবে তার থেকেও অনেক গুরুত্তপূণ প্রাপ্তি হল, ধর্মের ক্ষতিকর দিকগুলি দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়েছে। কে আস্তিক কে নাস্তিক তা বড় কথা নয়, আমার মতে নাস্তিকতাবাদ ও একটি ধর্ম। তাই আমার মতে মুক্তমনা হতে হলেই যে নাস্তিক হতে হবে তা মনে হয় না। মুক্তমনা ভাই বোনেরা হয়ত এতে কড়া আপত্তি করবেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আমি কোন যুক্তি তর্কে যাব না, কারন তা কোন দিন সম্ভব না। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু রয়েছে। যারা অংক কসে বা ধর্মে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে গডের অস্তিত্ব প্রমান করতে চান আমার মতে তারা বড় ধরনের ভুল করেন।
মুক্তমনাদের থেকে ধর্মের অনেক কাল অধ্যায় জানতে পেরেছি যেগুলি ধর্মবাদীরা কোন সময় আলোচণা করেন না। প্রথম দিকে মনে হত সবই ষড়যন্ত্রের ফসল, তীব্র ইসলাম বা ধর্ম বিদ্বেষ। কিন্তু কৌতূহ্ল বশঃত কিছু তথ্য সম্পর্কে খোজ করে নানা সূতে জানতে পেরেছি যে সেগুলি সত্য, কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি নি। এতে ফল হয়েছে যে ধর্মের নামে যা তা কথা বা কালা কানুন চাপিয়ে দিলেই আমার যুক্তিবাদী মন তা আর আগের মত গ্রহন করে না। ধর্মের নামে ভন্ডামীও নীরব দর্শকের মত দেখতে ইচ্ছা করে না। সদালাপে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষনা এবং লালনের মূর্তি ভাঙ্গা বিষয়ে দু একটি লেখাও লিখেছি। আমার কিছু বন্ধু বান্ধবকে মুক্তমনার লেখাগুলি পড়তে বলেছিলাম, মুশকিল হল ঈমান যাওয়ার ভয়ে তারা কেউই মুক্তমনায় ঢুকতে চায় না। ঈমানের ভিত্তি এত নরম কেন তা অবশ্য আর ভয়ে জিজ্ঞাসা করি না।
আমি নিজে আস্তিক হলেও মুক্তমনার নাস্তিক লেখকদের প্রতি আমার কোন খেদ নেই। যতক্ষন তারা সত্য বা যুক্তিপূর্ণ লেখা চালিয়ে যাবেন ততক্ষন তাদের প্রতি আমার অভিনন্দন থাকবে। আপনাদের থেকে আমি অনেক কিছূই জানতে পেরেছি যা দিয়ে বলা যায় আমার চিন্তা চেতনায় বড় ধরনের নাড়া এসেছে।
জনাব আদিল মাহ্মুদ, এত কিছু জানার পরো আপনি কিভাবে আস্তিক? যুক্তির বাইরে কি আছে? যুক্তির বাইরে ত আছে god. কিন্তু বিজ্ঞান যখনই েসখানকার যুক্তিটি আবিস্কার করছে, god তখনই পালিয়ে যাচ্ছেন সসম্মানে। হ্যাঁ, বিজ্ঞান এখনো আবিস্কার করতে পারে নি অনেক, অনেক কিছু। তাই বলে কি ব্যাখা না জানা ব্যাপারগুলি কি অলৌকিক god এর কৃর্তী?
মো: রফিকুল আউয়াল
নভেম্বর 28, 2011 at 9:29 পূর্বাহ্ন - Reply
@আদিল মাহ্মুদ,
আপনার কথাগুলো সুন্দর। “মুক্ত মনা” হতে হলে নাস্তিক হতে হবে, এটা যে বিশ্বাস করে, আসলে সে এখনো মুক্ত মনা হতে পারেনি। ঈশ্বর আছে কি নেই, সেটা নিছক অন্তরের অনুভূতির কথা; যুক্তি দুই দিকেই আছে, এবং অনেক কালি-কাগজের শ্রাদ্ব হয়েছে। খেতে ফসল ও নদীতে মাছের অভাব হবেনা, তবে সবার পেটে খাবার ও শরীরে কাপোড় হবে কিনা, তা নির্ভর করে আমাদের মানব-প্রীতির উপর। তাই নর্মান বরল’গ আমাদের নমস্য, যার জেনেটিক গবেষণার ফলে পৃথিবী থেকে ক্ষুধা দূর হয়েছে…. এক্ষেত্রে তাকে যদি খ্রীষ্ট ধর্ম অনুপ্রাণিত করে থাকে, তাতে আমার মুক্ত মন হোচট খাবার কোনো যুক্তি নেই।
আর মৃত্যুর পরে বরল’গ যদি Paradise গিয়ে থাকেন, তাতে আপনার-আমার কি আসে যায়!
কেমন আছেন দাদা বাবুরা…!!!!
এমন শেখা শেখাইলেন যে সাইদি এবং নিজামী ও যদি একটিবার এই লেখা পড়ে থাকেন ,
তাহলে নাস্তিকদের খাতাই নাম লিখে ফেলবে। আচ্ছা একটি কতা শুনেন, গোটা জগতের কতা
বাদ দিন, বাংলাদেশে ১৫ কোটি জনগনের মদ্ধ্যে কয়জন লোক নাষ্তিকদের কাতারে পাওয়া যাবে ? বাংলাদেশে কারা ভোটে জমানত হারায় ? রানা ফারুক বয়সে তরুন, রতি মাহারথিরা কিছু টাকা কড়ি পাটিয়েদেন ভাগিয়ে নিয়ে আসুন। আমরা বিবাহ প্রথা, আমরা হাজার বছরের গটিত সমাজ ভাংতে এক পায়ে দারিয়ে, বড় বড় নাস্তিক গেল তল…ঘোড়ায় কয় আর কত ঝল…? রানা ফারুক তুমি আমাদের কাতারে আসসো তাই
তোমাকে ওয়েলকাম
(এই মন্তব্য থেকে আপত্তিকর একটি লাইন বাদ দেওয়া হয়েছে – মডারেটর)
mizan rahman
নভেম্বর 25, 2008 at 6:22 অপরাহ্ন - Reply
Dear Rana,
Congratulations on your great accomplishment. It is much harder to unlearn something as old as religion that is drilled into our heads at birth than to learn something new. You have achieved this rare feat almost on your own. The rest is easy. You start with the simplest, say, Aroozullah Matubbar’s beautiful works that are easily available in Dhaka (I hope). Then follow the advice given by these
learned people who already wrote to with so many advice. I’m not going to give you any more. Just follow your instincts. You are already there, almost. Now is the time to enjoy your new-found freedom by devouring every bit if knowledge you can get along the way. Best wishes, young man.
We, in the Muktomona family, will be right behind you. Mizan Rahman.
Obak Prithibi
নভেম্বর 25, 2008 at 1:43 অপরাহ্ন - Reply
রানা ফারুক, মনে হয় ভয় পেয়ে ভাইগ্যা গেছে …। এত সব আতেল রা এত এত বইয়ের পাহাড়ের নীচে বেচারাকে ডুবিয়ে দিছে যে বেচারা … ভাবছে ভিক্কা চাই না কুত্তা সামলাও |
বিপ্লব পাল এত দিন পরে একটা খাটি কথা কইছে …| নাস্তিক হইতে গেলে কিছুই পড়ন লাগে না, মন টা জানালা -দরজার মত খুইলা দিলেই হয় …।আর যে সব মহাপুরূস রা মুক্তমনায় গ্যান দিচ্ছে–হেরাই কি নাস্তিক্…| লিখনের বেলায় বড় কথা-…
আর একটা কতা, রানা ফারুক কি গায়েবি না আসল? পাবনা থ্যাইকা নিজামিও ত
হেই নামে ই-মেইল করতে পারে?? দেখা গেল, আল্লার মত রানা ফারুক ও এক গায়েবি মাল…| আথচ , মুক্তমনার মহা মহা প ন্ডিত রা ঘুম হারাম করছে–
এই না হইলে যুক্তি বাদি…। মোল্লারা যেমন ইসলাম শুনলেই মাথা চাড়া দেয়।।
এটা বদরুল ইসলাম না , আমিনুল ইসলাম সেটা দেখে না্্ মুক্তমনার গ্যানিরাও তেমনি… নাস্তিক পাইছি শুনলেই হইল… মাল আসল না নকল, সেটা পরে দেখন জ়াইব। চিলের পেছনে ছুটি… নিজের কান পরে দ্যাখন জ়াইব…
ভাল থাইকেন সবাই…
একটু পর্যবেক্ষন করলেই দেখা যাবে, একদম অজ্ঞ মাঠে ঘাটে কাজ করে খায়-তারা মৌলবাদি বা ধর্মান্ধ নয়। সৃষ্ঠির আদিতেও মানুষ ধর্মান্ধ ছিল না-বেঁচে থাকার তাগিদে-মানুষ নিজের বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগায়-সেখানে এই সব অযৌত্ত্বিক ধর্মীয় ব্যাপার আসতে পারে না।
ধর্মান্ধ শ্রেণীটাকে লক্ষ করুন-গরীব/মধ্যবিত্ত এবং একটু পড়াশোনা জানে। বড়লোকদের ধর্মটা শ্রেফ দেখানো-সামাজিক প্রতিপত্তি বেড়ানোর জন্যে। আসলে কি হচ্ছে-একটা লোক যখন দুপাতা বই মুখস্থ করে, এই সমাজে জীবনধারন করতে পারছে-তাকে তার স্বকীয় বুদ্ধি এবং
অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হচ্ছে না-তখন সে সব থেকে বেশী ধর্মান্ধ হয়। এই জন্যে চাকুরীজীবি, শিক্ষক ( বা বুর্জোয়া শ্রেণীই ধরুন) ইত্যাদি পরজীবি শ্রমের লোকেদের মধ্যে ধর্মান্ধতার রমরমা।কারন এক জন গণিতের শিক্ষক-কয়েকটা অঙ্ক মুখস্থ করে ক্লাশে করে দিলেই, তার উদরপূর্তি হয়। এই কারনেই সে সবথেকে বেশী ধর্মান্ধতার স্বীকার হতে পারে কারন-তাকে এক জন মাঠে খেটে খাও্য়া মানুষের তুল্য স্বাভাবিক বুদ্ধি গুলো লাগিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে না।
আবার এই শ্রেণীর ই কিছু লোক বেশী আলোকপ্রাপ্তা হয়।
তাহলে এই বৈপরীত্ব কেন সেই প্রশ্নটাই করা উচিত। সেখানেই ধাঁধার উত্তর মিলবে। আসলেই এটা একটা নৃতাত্ত্বিক কনস্ট্রাক্ট মাত্র, যা স্যোসাল কনট্রেক্টের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।
আজীম রহমান, আপনি ইউরোপ আমেরিকায় নাস্তিক্যবাদের যে পরিংখ্যান দিলেন তা সত্য। কিন্তু পাশাপাশি আমাদের এটিও ভুললে চলবে না যে পৃথিবীতে এখনো মুসলমানদের জন্মহারই সবচেয়ে বেশী। মুসলমান দেশগুলোতে তো বটেই, ভয়ের বিষয় হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাতেও মুসলিম জনগোষ্ঠির মধ্যেও জন্মহার সবচেয়ে বেশী। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপ-আমেরিকাতেও মুসলমানরা majority হয়ে যেতে পারে। তারা সবাই liberal muslim হবে নাকি practicing muslim হবে সেটাই হলো প্রশ্ন। ভয়ের বিষ্য়টি সেখানেই। ইউরোপের যেসব দেশের নাস্তিক্যবাদের পরিসংখ্যান আপনি দিলেন সেসব দেশের লোকসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের লোকসংখ্যার অনুপাতে অনেক কম। তাই এক অর্থে জন্মহার হিসেবে ইসলাম ধর্ম fastest growing এটা অসত্য নয়। আর পশ্চিমা বিশ্বে নাস্তিক্যবাদের উত্থান শুরু হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে নাস্তিক্যবাদের প্রচার প্রসার একেবারে নেই বললেই চলে। এসব অঞ্চলে ধর্মের সমালোচনা, ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব কমই tolerate করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের situation নতুন করে বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। রানা ফারুকের মত মানুষদের সংখ্যা হয়তো শম্ভুক গতিতে বাড়ছে কিন্তু সেটা আশানুরূপ নয়। অন্তত আমি আমার personal experience থেকে বলতে পারি যে আমি এখন পর্যন্ত বাসে,ট্রেনে, সভা , সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, টক শোতে, যেকোন gathering এ, এমনকি personally কারো কাছ থেকে ধর্ম নিয়ে বা ধর্মের কোন বিশেষ অনুশাসন সম্পর্কে কোন যুক্তিবাদি প্রশ্ন বা আলোচনা শুনিনি। নিজেও মাঝে মাঝে অনেককে বাজিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছি যে ধর্মের বিশেষ বিশেষ অনুশাসন সম্পর্কে তাদের কি মতামত। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি তাদের মতামত শুনে। তারা নিজেরা ধর্মের ঐসব অনুশাসন না মানলেও ঐসব আনুশাসনের প্রতি তাদের অগাধ সমর্থন রয়েছে। তারা ধর্মকে ভয় পায়। বলে যে ” আর যাই বলেন, দ্য়া করে ধর্ম নিয়ে কথা বলবেননা। কোন প্রশ্ন তুলবেননা।” এই হলো বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি। অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। আমরা আধুনিক জীবনের সব উপকরণ ব্যবহার করছি, চারপাশের পৃথিবীর সবকিছুই দেখছি, উপলব্ধি করছি সবকিছু কিন্তু আমাদের মনের সংকীর্ণতা দূর হচ্ছে না কিছুতেই। আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্য়ের ছাত্র। সেখানে আমার সহপাঠিদের মানসিক সংকীর্ণতা, ধর্মের প্রতি অগাধ আস্থা, ভক্তি দেখে আমি মাঝে মাঝে বিস্মিত হই এবং নিজেকে প্রশ্ন করি ” কোথায় আমরা প্রগতিশীল হচ্ছি? কোথায় আমরা সংস্কারমুক্ত হচ্ছি? ” আমরা আসলে সবই বুঝি, কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করি। আমাদের young generation নিজেরাই confused.
তবে আমার যা মনে হ্য় তা হলো, একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমরা বিশ্ববাসিরা নাস্তিক, আস্তিক, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, আজ্ঞেয়বাদি, ইহুদি, শিখ……… যাই হই না কেন, আমরা সকলেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে এবং সমাজ বিবর্তন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় একটি সাধারণ life style এ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের অজান্তেই ধর্মীয় অনুশাসন আমাদের মধ্য থেকে উঠে যাচ্ছে যদিও বিশ্বাসটা এখনো রয়ে গেছেই। আমি বলছিনা যে আমাদের মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসন পালনরত কেউ নেই। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বাসটাও উঠে যাবে। তাও ভাল শুধু ধর্মবিশ্বাসী হওয়া, ধর্মীয় অনুশাসনের অনুসারী হওয়ার চেয়ে। বিশ্বাসটা অন্তত অতটা repressive না যতটা repressive অনুশাসন। অবশ্য যিনি বিশ্বাসী কিন্তু অনুশাসনের অনুসারী নন, তারও অনুশাসনটির প্রতি পরোক্ষ সমর্থন রয়েই যায়। সমস্যাটা সেখানেই। এর সমাধান কি?
আজীম মাহমুদ
নভেম্বর 24, 2008 at 9:49 অপরাহ্ন - Reply
আগের দিনের চেয়ে আজকের যুগে নাস্তিক হওয়া অনেক সহজ। ইন্টারনেটেই সব কিছু আছে। চোখ কান খোলা রেখে একটু দেখলেই হয়। বছর দশেক আগেও বাংলাদেশে ইন্টারনেট এত এক্সিসেবল ছিলো না; তখন অনেক কষ্ট করে ভাল ভাল বই পত্র যোগার করতে হত। এখন ইন্টারনেট, গুগল বুকস, ভার্চুয়াল লাইব্রেরী, ফেস বুক, ব্লগ … এই সব কিছু তথ্যকে নিয়ে এসেছে অনেক কাছাকাছি। যত তথ্য মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, তত মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আজ সুইডেনে শতকরা ৮৫ ভাগ লোক অবিশ্বাসী, দেনমার্কে ৮০ ভাগ, নরওয়ে তে ৭২ ভাগ, গ্রান্সে ৫৪ ভাগ, ব্রিটেনে ৪৪ ভাগ মানুষ ধর্ম কর্ম কিংবা ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও গত কয়েক বছরে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। মুসলিমরা ইসলামকে ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং রিলিজিয়ন’ নাম দিয়ে গর্ব বোধ করে। তাদের আমি পূর্ব ইউরোপ সহ সারা বিশ্বের দিকে নজর দিতে বলি। ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং বলে যদি কিছু থেকে থাকে আজ – তা হচ্ছে নাস্তিকতা। মানুষ আজ বিশ্বাস হারাচ্ছে – এটাই সত্য।
আগের দিনে বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাতে জোর করে ধর্ম টিকায় রাখার চেষ্টা করা হত। টিভি খুললেই কারী হাবিবুল্লাহ বেলালীর কোরান তেলাওয়াত, রাত নয়টা বাজলেই উজ্জীবন, রাত এগারোটা বাজলেই – হামদ নাথ। বিরোধী কন্ঠকে কখনোই প্রকাশিত হতে দেয়া হয় নাই। বিটিভিতে কি কেউ কখনো নাস্তিকতা/বিজ্ঞান মনস্কতার প্রচারণামূলক কোন অনুষ্ঠান কখনো কেউ দেখেছিলো? আমার তো মনে পড়ে না। অনেক কষ্ট করে উলটো স্রোতে দাঁড় বেয়েছেন আহমদ শরীফ, আরজ আলী মাতুব্বর, তস্লিমা নাসরীন কিংবা হুমায়ুন আজাদেরা। একটু তেড়িবেড়ি কিছু লিখলেই কন্ঠরোধ, বই ব্যান কিংবা মুরতাদ ঘোষনা। আজ আর সেই দিন নাই। গুগলে একটা সার্চ দিলেই জানা যায় মুহম্মদ আয়েশার সাথে বিয়েতে বসেছিলো তখন আয়েশার বয়স ছিলো ৬, কিংবা দাসী মারিয়ার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি এমন কি করছিলেন যে আয়শা আর হাফসাকে রাগান্বিত করে তুলেছিলো! ভন্ড ধর্মগুরুরা সব সময়ই যে কি ভন্ডামী করেছে তা ইন্টারনেট আসারা আগে এমনি ভাবে কখনো প্রকাশিত হয় নি।
মুক্তমনার আর এ ধরণের সাইটগুলো মানুষের মিথ্যা বিশ্বাস ভাংতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নিঃসন্দেহে। মুক্তমনার ই বুক -‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ বই আকারে বের হলে অনেকেরই টনক নড়ে যাবে। আমি সবাইকে এই বইটার প্রবন্ধগুলো পাঠ করতে বলি সবার আগে।
আজীম।
রানা এত শত বইয়ের নাম দেখে ঘাবড়ে যেতে পারে । 🙁 এখানে যে বইগুলোর নাম এসেছে, নবীন মুক্তদের সুবিধার্থে মুক্তমনার মডারেটরগণ ‘মুক্তবই’ বা এ জাতীয় শিরোনামে আলাদা বিভাগ রাখতে পারেন । 😎
Sentu Tikadar
নভেম্বর 24, 2008 at 1:01 অপরাহ্ন - Reply
Dear Rana Faruk and also other ‘Ranas’
The Bangladesh you are living now was my birth place. Even I could not live there but I could not also forget the “Sosyo Shayamola” janmo bhumike, sei Matri Janoni Bangadesh ke. I remember the green meadows, the flowing rivers, the gentle breeze over the bank of river Madhumati and the so many… I travelled and lived many countries but never I found the same as I saw in Bangladesh, the golden Bangladesh.
Presently I am living in Kuala Lampur and came in contact with the CD of Bangla Natok. I have seen a tremendous amount of free minded expression in most of the Natok. Its a very positive indication to the road of progress.I feel proud of that.The letter You have written to Scientist Avijit Roy is also an indication of progress in thoughts.More or less some fundamentalist elements are there every where in this world. Bangladesh is not free of them. They do not understand no nation can climb the peak of international reputation and can not achieve respect if the nation does not give respect to other people of other religious fath.’Religion’ is a path or road to live and to let live a good life not to harm or not to be harmed.Every person in his or her won way is the maker of his or her religion or faith.When any people achieves the peak of self ‘enlightenment’, he is above all religion and what he tells others, they follow it.’Enlightenment’ is very big word to understand. You know there are so many ‘satans’ reigning our region who are always trying to massacre the peaceful lives. They are teaching the people of the new generation to take a vow of religious intolerance.I read in book in my childhood that only the tolerant people can survive. The meaning is very broad. The tolerant people means tolerant nation and the meaning of survival means living with honour and dignity. One day the ‘Punor Jagoran’ (Renaissance ) started from Bengal.All over the world people bow to Bengal but now the things have been changed because of the ‘dreadful horror dance’ of the satans who teach only differentiation between mankind on the name of religion.They want where they live will be segregated from the main stream or they desire to satisfy some particular nations and thus they may financially be binifited.These Satans must be destroyed but before destruction as a rule of the nature the Satans become more energized for a short time.The destruction of the Satans can be possible sooner the people of the new generation become Mukto Mona .The more the people will be mukto mona the more will be chance of regaining the past glory and to live with self respect. And once the region become free of Satans, all people will live in peace, honour and dignity which are the food of mind and without these lives are dead.
chanokya
নভেম্বর 24, 2008 at 12:57 অপরাহ্ন - Reply
রানা ফারুকের প্রতি
অনেক অনেক পড়াশুনার প্রয়োজন আছে জ্ঞ্যান বাড়ানোর জন্য। তার সাথে সাথে নিজেকে
নিরন্তর প্রশ্ন কর আর যুক্তিবাদি মন প্রয়োগ করে তার উত্তর দাও। আপন মনে ক্রমাগত
তর্ক বিতর্ক করে যাও। ক্রমশ ভয় ভীতি কাটতে থাকবে আর সাহস বাড়তে থাকবে। তখন মনে হবে ধর্ম একগাদা আজগুবি গাজাখুরি বিশ্বাস এর আবর্জনা।
প্রতিটি ধর্মের মালিক হলেন গিয়ে আল্লা বিল্লা নামক বিরাট ক্ষমতাবান পালোয়ান। বিশ্বাসির কল্পলো্কে যার বসবাস। যদি পার সেই পালোয়ানের লুঙ্গি ধরে টানাটানি শুরু করে দাও আর জোরসে হাসতে থাক। কেল্লা ফতে। যাত্রা শুভ হক।
প্রিয় রানাঃ
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ জীবনে ‘বোকা’ হয়েছেন তাঁর বাবার উপদেশে; বাবাকে মান্য করেছেন তিনি। আর আমরা ‘বোকা’ হয়ে এই কাজে হাত দিয়েছি গুরুজনদের অমান্য করে। পদে পদে নিন্দা-গালিগালাজ শুনেই অভ্যস্ত। মাঝে মাঝে তোমার মত দু’এক জন যখন চিঠি লেখে পরিবর্তনের জানান দেয়, আমাদের বোকামিটা তখন আনন্দাশ্রুতে রূপ নেয়, অনেকটা শরৎবাবুর কেষ্টর মত, ‘এদেশে যে কেহ এমন করিয়া কথা বলিতে পারে, ইহা তাহার মাথায় ঢুকিল না।’
বইয়ের তালিকা যা দেয়া হয়েছে, আমি তাতে আর কিছু যুক্ত করার প্রয়োজন দেখছি না। শুধু এ টুকু বলবঃ নিজের বিবেক ছাড়া কারো কাছে নত হয়ো না।
অনেক অভিনন্দন!
-জাহেদ আহমদ
নিউ ইয়র্ক
adnan lermontov
নভেম্বর 24, 2008 at 6:44 পূর্বাহ্ন - Reply
রানাকে স্বাগতম যে নিজের গতানুগতিক চিন্তার সাথে যুদ্ধ করে এক নতুন চিন্তার জগতে পা দিচ্ছে । রানার মতো আরো লাখ লাখ রানারা যেন তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে এ আশা করছি। আর এ জন্য মুক্তমনাকে এখনই তা ভাবতে হবে কিভাবে আমরা নতুন লোক ও তরুণদের মাঝে বাংলাদেশে কাজের পরিধি বাড়াতে পারব।
রানাকে বলছি আমাদের বন্যার লেখা ” বিবর্তনের পথ ধরে ” বইটি পড়লে জীবন, জগত, দর্শন, বিজ্ঞান, মহাবিশ্ব এক কথায় একসাথে অনেক কিছু জানা যাবে। জীবনকে বোঝার জন্য এ এক মহা দলিল।
( এই মন্তব্যের বানান ভুলগুলো সংশোধন করে দেওয়া হলো – মডারেটর )
ইরতিশাদ আহমদ
নভেম্বর 24, 2008 at 4:58 পূর্বাহ্ন - Reply
রানা ফারুক,
আপনাকে অভিনন্দন। মন মুক্ত না হলে মুক্ত চিন্তা করা যায় না, আর মুক্ত চিন্তা ছাড়া পৃথিবী আগাতে পারে না। তাই আপনাদের মতো তরুণদের মুক্তমনা হওয়াটা খুবই জরুরী। ‘মুক্তমনা’ ওয়েব সাইট আপনাকে মুক্তমনা হতে প্রেরণা যুগিয়েছে, এটা যারা মুক্তমনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সেই অভিজিৎ, ফরিদ আর জাহেদদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রাপ্তি। তাদের পরিশ্রম সার্থক হচ্ছে, আমি জানি, এই বোধটা তাদের কাছে বিরাট একটা পাওয়া। আপনি এটা জানিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনাকে মুক্তমনায় স্বাগতম।
ইরতিশাদ আহমদ
I am not surprised at all. Rana is not the one, readers might not aware that there are lots of Rana’s and I am one of them. I will suggest Mr. Rana to stick with mukto-mona. If you can read all the article from here, you don’t need any other referances. Specially Mr. Abul kasem’s articles, bealive me those are killer. I broke the shackle with the help of mukto-mona and now I am a member of it. Best wishes for you and those other guys who is trying to get rid of it….
এই পোস্টটা ক্রমশঃ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে সমস্ত বই এবং ওয়েব সাইটের নাম দেয়া হচ্ছে, সেগুলো শুধু রানা নয় – অনেকেরই কাজে আসবে। আমি কিছু কিছু পোস্টের লিঙ্ক টিঙ্কগুলো একটু ঠিক ঠাক করে দিয়েছি।
কারো আপত্তি না থকলে আমি এ পোস্টটিকে দিন কয়েকের জন্য আমাদের মেইন পেইজে স্টিকি করে রাখতে চাই।
আর ব্লগ পাঠক এবং লেখকদের প্রতি অনুরোধ – আপনারা প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন করতে থাকুন।
জাফর উল্লাহ
নভেম্বর 24, 2008 at 3:22 পূর্বাহ্ন - Reply
রানা ফারুককে সাধুবাদ জানাচ্ছি তার মনের কথা লিখে জানানোর জন্য মুক্ত-মনা ফোরামে।
নাস্তিকতাতে বিশ্বাস আনতে হলে অতশত বই পড়ার দরকার নেই। এই কথাটি oxymoronic হয়ে গেল! বিশ্বাস বা ব্লাইন্ড ফেইথ জিনিষটা ধর্মের অন্তরভুক্ত – নাস্তিকতায় নয়!
ধর্মের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে হলে স্রেফ একটি বই পড়া দরকার, আর সেটি হলো – ডারউইনের থীওরীর ওপর লেখা যে কোনো ভালো বই। ডারউইনবাদ এর মূখ্য কথা বা স্বাদ গ্রহন করলে একে একে ধর্মের সব দেয়াল ধ্বসে পড়বে। ধর্ম গ্রন্থের মনগড়া কথায় – কী ভাবে মানুষ ধরায় এসেছে – বিধাতার একটি মাত্র ইঙ্গীতে – সেটি রুপকথার মত লাগবে শুনতে!
অতএব, ডারউইনবাদটি কী, সেটি আগে জানার চেষ্টা করুন। বর্তমানের জীনোমিক্স, বায়ো-ইনফরমেটিন্স, হিউমেন জিনোম প্রজেক্ট এই সব সংক্রান্ত লেখা পড়লে এটা জলবত তরলং হয়ে যাবে যে ধর্ম মানুষ এর আবিষ্কার! তিন চার বিলিয়ন বছর আগে প্রথম জীবকোষ আপনা থেকে তৈরী হয় – তারপর কী ভাবে সেই কোষ সময়ের চাকায় বদলাতে বদলাতে মানুষে পরিণত হলো, তার ইতিহাস জানতে হলে পড়ুন ডারউইনবাদ। দেখবেন, অনেক কিছু যে গুলো আগে বুঝা যেত না তা বুঝা যাচ্ছে।
অনন্ত বিজয় দাশ
নভেম্বর 24, 2008 at 2:36 পূর্বাহ্ন - Reply
পূর্বের ১১ নম্বরের বইটির নাম হবে :
(১১) রাহুল সাংকৃত্যায়নের ‘তোমার ক্ষয়’…
ধন্যবাদ
অনন্ত বিজয় দাশ
নভেম্বর 24, 2008 at 2:27 পূর্বাহ্ন - Reply
রানা ফারুককে কয়েকটা প্রাথমিক লেভেলের বাংলা বইয়ের নাম বলছি,আমার কাছে মনে হয় যা একজন মানুষের মনে বা চিন্তায় সংশয়,যুক্তির দৃঢ়তা আনয়ণে,বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রানা ফারুক বা আরো অনেকেই হয়তো এই তালিকার অনেকগুলি বইই পড়ে ফেলেছেন, তারপরও বলছি :
(১) প্রবীর ঘোষের ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ (১ম থেকে ৫ম খণ্ড), ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না’, ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা’ (১ম-২য় খণ্ড), প্রবীর ঘোষের সম্পাদিত গ্রন্থ ‘যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’, ওয়াহিদ রেজার সাথে যৌথভাবে সম্পাদিত ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’।
(২) ভবানীপ্রসাদ সাহুর ‘ধর্মের উৎস সন্ধানে’, ‘মৌলবাদের উৎস সন্ধানে’, ‘অধার্মিকের ধর্মকথা’, ‘আস্তিক-নাস্তিক’ ইত্যাদি।
(৩) সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন ভারত নারী ও সমাজ’, ‘প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য’, ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’ ইত্যাদি।
(৪) বার্ট্রান্ড রাসেলের গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘কেন আমি ধর্মবিশ্বাসী নই’, ‘ধর্ম ও বিজ্ঞান’, ‘বিবাহ ও নৈতিকতা’ ইত্যাদি।
(৫) জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের ‘ধর্মের ভবিষ্যৎ’, ‘মহাকাব্য ও মৌলবাদ’ ‘সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভগবদ্গীতা’, ‘গণতন্ত্র, ধর্ম ও রাজনীতি’ ইত্যাদি।
(৬) শফিকুর রহমানের ‘পার্থিব জগৎ’, ‘হিউম্যানিজম’, ‘গোলাম আজমের ইসলাম নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ’ ইত্যাদি।
(৭) মনিরুল ইসলামের ‘বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার’ (ক্যাথার্সিস পাবলিশিং, ঢাকা, ২০০৮)।
(৮) অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’, ‘আমার অবিশ্বাস’।
(৯) শিবনারায়ণ রায়ের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (১ম-২য় খণ্ড), ‘মূঢ়তা থেকে মানবতন্ত্রে’, ‘নজরুল থেকে তসলিমা : বিবেকী বিদ্রোহের পরম্পরা’ ইত্যাদি।
(১০) বেনজীন খানের ‘দ্বন্দ্বে ও দ্বৈরথে’, ‘সলমান রুশদিদের সেফ হ্যাভেন ও একজন সম্মানিত বিবেক’, ‘পশু কোরবানি ও একটি বিকল্প প্রস্তাব’ (সম্পাদিত), ‘প্রকাশিত গদ্য’।
(১১) রাহুল সাংকৃত্যায়নের ‘তোমার য়’, ‘দর্শন দিগ্দর্শন’ (১ম-২য় খণ্ড), ‘বৌদ্ধ দর্শন’, ‘বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ’ ইত্যাদি।
(১২) দেবীপ্রসাদ চট্টপাধ্যায়ের ‘লোকায়ত দর্শন’, ‘প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে’ ইত্যাদি।
(১৩) কাজী আব্দুল ওদুদের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ ও আবুল হুসেনের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’।
(১৪) শামসুল হকের ‘নারীকোষ’।
এছাড়া আরজ আলী মাতুব্বর, ড. আহমদ শরীফসহ আরো অনেক লেখকের বহুল পঠিত বই তো আছেই। এবং উপরেল্লেখিত বই থেকে আরো অনেক বইয়ের নাম জানা যাবে যা আমি মনে করি একজন ব্যক্তির চিন্তার স্বাধীনতার বিকাশ, চর্চা, আর যুক্তিমনস্ক মনন গড়ে তোলতে বিশাল ভূমিকা পালন করবে।
সবশেষে তালাতের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলছি, অভিজিৎদা আর মুক্তমনা’র কাছে আমার ঋণ শোধ হবার নয়। এ নিয়ে অন্য একদিন লেখার ইচ্ছে আছে; এখন আপাতত এটুকুই বলতে পারি, আমার আজকের ‘আমি’ হয়ে ওঠার পিছনে বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছেন অভিজিৎদা ও মুক্তমনা।
ধন্যবাদ সবাইকে।
স্বাগতম রানা ফারুক ! আরো বেশী রানা ফারুকের জন্ম হোক বাংলার ঘরে ঘরে……
আপনাকে শুধু একটাই কথা বলার আছে, পড়তে থাকুন, খালি পড়ুন আর পড়ুন । একটা পড়ে শেষ করার পর অন্য পড়ার মাঝখানে নিজেকে কিছুটা সময় দিন । তাতে সম্পুর্ন বিষয়টা নিজের মধ্যে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে, ধারণ করতে সুবিধা হবে আপনার জন্য । আমাদের সবারই কিছু স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি আছে – অনেক ব্যাপার বোঝার জন্য সব সময় মহা জ্ঞানী হতে হয় তা ঠীক নয় । শুধু নিজের মনকে প্রশ্ন করুন, সৎ ভাবে । অনেক উত্তর নিজেই খুঁজে পাবেন । যতটা সম্ভব নিজেকে যেকোন পরিস্থির জন্য প্রস্তুত রাখুন, সাহস হারাবেন না । বিভ্রান্ত হলে, ঠান্ডা মাথায় ভাবুন । বাইরের মানুষের কথা বাদ দিলাম, আপনার আশ-পাশের মানুষ, ঘরের মানুষেরাই আপনার দুঃখ-কষ্টের কারণ হতে পারে । তাদের থেকেই সবচেয়ে বেশী বাঁধা আসবে, জীবন তারাই অতিষ্ট করবে সবচেয়ে বেশী । তবে রেগে না গিয়ে যথাসম্ভব যুক্তি দিয়ে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন ।
সবচেয়ে ভালো হয় যথাসম্ভব এদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা…! মানসিক শক্তির ও দরকার প্রচুর । শুভকামনা ।
সম্ভবত মুক্তমনা ওয়েবসাইট visit করে নিজ়ের বিশ্বাসের জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে নাস্তিক হয়ে মুক্তমনায় সেটা জ়ানিয়ে চিঠি পাঠানোর ঘটনা এই প্রথম। অন্তত আমার দেখা অনুযায়ী। তবে আমাদের আরো রানা ফারুক দরকার। বাংলাদেশে মুক্তমনার visitor মোট কতজন, এর আর্টিকালগুলো পড়ে কতজন মানুষ নিজেদের বিশ্বাসের জগতে তাৎপর্যপূর্ণ পরির্তন এনেছেন তার একটি জরিপ করতে পারলে খুব ভাল হতো।
Anjan Roy
নভেম্বর 23, 2008 at 10:48 অপরাহ্ন - Reply
বেঁচে থাকো বাবা, সাহস বাড়ে তোমাদের এই লেখাগুলো থেকে।
jahid_russel
নভেম্বর 23, 2008 at 9:34 অপরাহ্ন - Reply
Welcome Rana.If you get any chance try to read Humayun Azad’s ”amar Obissas” .From my experience i can tell you,when religious people will first notice that you have lost your faith on religion many of them will try to prove you wrong by engaging in illogical debate with you.Try to avoid those people who run by blind faith and never use logic in that type of debate.
উলটো রথের যাত্রায় রানাকে স্বাগতম। ঝাঁকের মাছ না হয়ে উজানস্রোতে সাতার কাটা অনেক অনেক কঠিন কাজ। এর জন্য অসম্ভম মানসিক শক্তি থাকতে হয়। সেই সুকঠিন কাজটাকে আপনি বেছে নিয়েছেন এই অল্প বয়সে। সে কারণে আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আর মুক্তমনা আপনাকে সেই কাজে সাহায্য করেছে বলে আমাদেরও খুব ভাল লাগছে।
কাল্পনিক গালগল্পে ঠাসা ধর্ম নামক সুপ্রাচীণ প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে প্রশ্নহীন এবং শর্তহীন আনুগত্যে মানুষকে বেধে রেখেছে তার থেকে লোকজনকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই মুক্তমনার পথ চলা শুরু। যদিও সেই পথ কখনো ফুল বিছানো ছিলনা আমাদের জন্য। ছিল এবড়ো থেবড়ো বন্ধুর, ছিল কঁণ্টকময়। এখনো তাই আছে। আপনি, অনন্ত বিজয় বা শিক্ষানবিশের মত সদ্য তরুণদেরকে যখন আমরা আমাদের সেই দুর্গম পথ চলায় সাথী হিসাবে পাই আমাদের নিজেদের মনোবলও বেড়ে যায় অনেক বেশি পরিমাণে।
অনন্ত বিজয় দাশ
নভেম্বর 23, 2008 at 5:02 অপরাহ্ন - Reply
রানা ফারুককে মুক্তমনায় স্বাগতম। রানার যে ছোট চিঠিটি মুক্তমনাতে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে তাঁর যে মনের ভাব প্রকাশ হয়েছে, সেটা মনে হয় কিছুটা হলেও ধরতে পারছি। এ সময় মনটা বিক্ষিপ্ত হওয়া, হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। আমি নিজেও দীর্ঘদিন এই ধরনের হতাশায় ভুগেছি; যেমন ধরেন : ঐ সময় নিজের ভিতর একটা অস্থির-অস্থির ভাব কাজ করতো, গোটা দুনিয়টাকে মেকি মনে হতো, মানুষে-মানুষে সম্পর্কটাকে ন্যাকামো লাগতো, কোনো কিছুতে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হতো, এমন কি এই দুনিয়াতে জন্ম হওয়ার কারণে অপরাধী মনে হতো! …. ইত্যাদি। আমি আমার সমমনা বন্ধুদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছি, অনেকেই একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এখন যেটা বুঝতে পারি, আসলে আমার চারপাশের পরিবেশ আমার জন্য সহায়ক ছিল না, উপযোগীও ছিল না। আমার অনেক প্রশ্ন আমি কাউকে করতে পারতাম না, কারো সাথে ঈশ্বর-ধর্ম নিয়ে প্রচলিত ধারণার বাইরে ভিন্ন কিছু আলাপ করতে পারতাম না। আমার নিরীশ্বরবাদী কিংবা সংশয়বাদী প্রশ্নকে কেউ পাত্তা দিতে চাইতেন না। চোখ লাল করে কিংবা তুড়ি দিয়ে দিতে চাইতেন। নিজের না-বলা কথা, না-বলা প্রশ্ন দম বন্ধ করে দিতে চাইতো।
এই অসহায় অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে আমার অনেক দিন লেগেছে, অনেক কাঠখোড়ও পোড়াতে হয়েছে…। যাহোক, হয়তো রানা ফারুক বর্তমানে একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আপনি হয়তো মনীষী গৌতম বুদ্ধের এই বাণীটা জানেন :
“O Kalamas, not by hearsay, not by tradition, not by customary, not by the authority of books, not by dialectics, not by what others do, not by grandeur, not by the glamour of a philosophical view, and not out of respect for your teacher, but, O Kalamas, be guided by your own knowledge and conviction.”
প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি – সুদূর পাবনা থেকে এমন চমৎকার একটি ইমেইল করার জন্য। মুক্তমনা যে আর কেবল পশ্চিমা বিশ্বের কিংবা ঢাকা শহরের গুটি কয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, – ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়েছে আনাচে কানাচে – আপনার উপরের ঠিঠিটিই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ।
আপনি সাহস করে এতদিনকার বিশ্বাসের অচলায়ন ভেঙ্গে বেরুতে শুরু করেছেন, সেজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কিন্তু আপনার চিঠি পড়ে মনে হল আপনার শঙ্কা এখনো কাটেনি। দেখে মনে হচ্ছে – সত্য উদঘাটন করে আপনার মন বিক্ষিপ্ত হয়েছে। একটি কথাই কেবল বলব – ভয় পাবেন না। মনে সাহস রাখুন। একদিন হাটি হাটি পা পা করে আমরাও বিশ্বাসের দেওয়াল ভেঙ্গেছিলাম। প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলাম সমাজের জমে থাকা জীর্ণ সংস্কারগুলোকে। তবেই না আজকের জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কবি নজরুলের কবিতার লাইনটি নিশ্চয়ই মনে আছে – আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?
সকাল যে হচ্ছে – অসংখ্য রানা ফারুকের বাস্তব অস্তিত্বই তো তার প্রমাণ। আপনি ভাল কিছু বইয়ের নাম জানতে চেয়েছেন। আমার কথা আমি বলতে পারি। ছোটবেলায় আমার মানসপট বিনির্মাণে প্রবীর ঘোষের ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ (দে’জ প্রকাশনী) বইটার অবদান ছিলো অসামান্য। আর আরজ আলী মাতুব্বরের সত্যের সন্ধান, শফিকুর রহমানের পার্থিব সমাজ, হিউম্যানিজম; তসলিমা নাসরিনের নির্বাচিত কলাম, হুমায়ুন আজাদের নারী সহ অনেক গ্রন্থই আছে।
ম্যাগাজিনের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা পরিষদের কিছু উদ্যমী ছেলে পিলে তাদের ম্যাগাজিন বের করত। এখন হয়ত আর তা নিয়মিত বের হয় না। কিন্তু আমাদের অনন্ত বিজয়ের যুক্তি এবং মুক্তমনা-শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত মুক্তান্বেষা সে অভাব অনেকটাই পূরণ করেছে।
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী ছাড়াও আমাদের ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ এবং ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বই দুটি দেখতে পারেন। এ বছর প্রকাশিত ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’ বইটিও (বইটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ফ্রিথিঙ্কারদের রচনা নিয়ে সংকলণ গ্রন্থ) হয়ত আপনাকে বাড়তি প্রেরণা যোগাবে।
ইংরেজীতে এ ধরণের ভাল বই অনেক রয়েছে। আপনি Dan Barker এর Losing Faith in Faith: From Preacher to Atheist কিংবা রিচার্ড ডকিন্সের The God Delusion দিয়ে শুরু করতে পারেন। এ ছাড়াও David Mills এর Atheist Universe, Christopher Hitchens এর God Is Not Great, স্যাম হ্যারিসের Letter to a Christian Nation, এবং The End of Faith কিংবা ভিক্টর স্টেঙ্গরের God: The Failed Hypothesis পড়ে দেখতে পারেন। ইবনে ওয়ারাকের Why I Am Not a Muslim এবং Leaving Islam: Apostates Speak Out কখনো যদি যোগার করতে পারেন পড়ে দেখবেন।
মুক্তমনার সদস্যরা হয়ত আরো কিছু সাইটের নাম দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
যুক্তি আনে চেতনা, আর চেতনা আনে সমাজ পরিবর্তন।
মো: রফিকুল আউয়াল
নভেম্বর 28, 2011 at 1:44 পূর্বাহ্ন - Reply
@অভিজিৎ, ফারুক… প্রচলিত ধর্ম আচরনে অনেক গড়মিল আছে, তা’ বলাই বাহুল্য। তাইবলে কয়েকপাতা পড়েই বিশাল বিশ্বের মূল সত্য জানা যাবে, তা আমি জীবনের ৫০ বর্ষেও কূল পাইনি… স্রষ্টিকর্তা আছেন কি না, তা নিতান্তই অন্তরের গহন অনুভূতির কথা, যে যাই অনুভব করুক, তার নিজের হৃদয়ে তা থাকবে…. তবে মোদ্দা কথা হোল, মানবতা এবং ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে একে কেন্দ্র কোরে আমাদের কর্মজীবন। এ বিষয়ে মাসুদ রানার ধারাবাহিক লেখা উল্লেখযোগ্য। ধন্যবাদ সবাইকে…
ভাই জান তার মানে নাস্তিক হওয়া ছাড়া ব্লগে কোন লেখাই ছাপা হয় না।পাবনা থেকে কে একজন নাস্তিক হয়ে গেল আর অমনি তা ফলাও করে published করে দিলেন ।আর যারা ধর্ম নিয়ে যুক্তি দিয়ে তাদের লেখা published করতে আপনাদের এত কামড় কেন????????
ফারুক নামে যে ছেলেটা যে এখন নাস্তিক দাবিদার আমি মনে করি সে আগেও নাস্তিক ছিলো-নিজ ধর্ম সম্পর্কে তার ভাল কোন ধারনা ছিলনা বলেই মাত্র কয়েকটা লেখা পড়েই নাস্তিক হয়ে গেলো!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার প্রশ্ন কেন আমনারা অন্য ব্লগের মত সবাইকে মেম্বারশিপ দেন না -মেম্বার হতে হলে সবাইকে কি নাস্তিক হতে হবে???????
আমার মত অনেকে আছে যারা বিভিন্ন ব্লগে দিখে যারা বিভিন্ন ব্লগে দিখে সেখানে নাস্তিক ,আস্তিক সবাই member হতে পারে। তবে———-আপনারা কি আস্তকদের ভয় পান???
কেন লেখা ছাপাতে বা মন্তব্য করতে হলে moderation এর স্বিকার হতে হবে???
যে পোস্ট গুলো দেখলাম সবাইতো দেখি কমুনিস্ট এর পচা খাবার খেয়ে অসুস্থ।এখানে আমার কি যুক্তি তুলে ধরব?????????
নামটা তো আবার মুক্তমনা ।তাইলে এই ধরনের সাইটের দরকার আছে?? আপ্নারাই বলুন?? কমুনিস্ট রা আবার রাস্তাঘাটে বলে বেড়ায়”কেঊ খাবে কেঊ খাবে না তা হবে তা হবে না”ভাল–কিন্তু এখানে কি হচ্ছে নাস্তিক রা থাকবে ,আস্তকরা থাকবে না তা হবে তা হবে ।কেন জবাব চাই।মি ।মুক্তমনা।সাহস থাকলে জবাব দিন।
@আরিফ হাসনাত, আপনারা এতো বোকা কেন? আরিফ বলে কেউ চিঠি দেয়নি। ওটা মুক্তমনার বানানো চিঠি। আর মুক্তমনা কোন নাস্তিকদের ব্লগ না। এটা হল হিন্দুদের ব্লগ। এখানে ইসলামকে গালি দেওয়াই আসল কাজ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ‘মুক্তমনা ‘ ব্লগটির প্রতিষ্ঠাতাদের, সাধুবাদ জানই তাদের এই মহৎ উদ্দৌগকে।
মুক্তমনা তারাই যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করে মুক্তচিন্তা হচ্ছে এমন এক দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী যা বলে যে
বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে সিন্ধান্ত নেওয়া উচিৎ ,যে কোন মাতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা , অন্ধ
বিশ্বাষ এবং কতৃপক্ষ দ্বারা প্রম্ভাবিত হওয়া বাঞ্চনিয় নয় ।
মুক্তচিন্তার আন্দোলন নতুন নয় এই আন্দোলন পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ১৬০০ শতাব্দীতে। মুক্তচিন্তার
অন্যতম প্রতিকৃত বৃটিশ দার্শনিক ক্লিফোর্ডস ক্রোডের মতে ‘যে কোন ব্যক্তির যে কোন যায়গায়
উপযুক্ত প্রমানের অভাবে কোন কিছুই বিশ্বাষ করা উচিৎ নয় ‘ তিনি আরো বলেন ‘কোন ধর্মেই
অলৌকিক আভাসের পক্ষে প্রমান যথেষ্ট নয় ‘।
১৮০০ শতকে মুক্তচিন্তাবাদিরা ‘প্যানজি ফুল ‘ কে মুক্তচিন্তার প্রতিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে । এর কারণ মুলত ফুলটির নাম ও প্রকৃতি। প্যানজি নামটি ফরাসি Pensee থেকে উদ্ভত যার অর্থ
‘চিন্তা ‘ তাছাড়া ফুলটির সাথে মানুষের মুখের সাদৃশ্য রয়েছে এবং আগষ্ট মাসে ফুলটি সামনে হেলে পড়ে,যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন রয়েছে। মুক্তচিন্তা বলে যে ‘ জ্ঞান ও যুক্তির অনুউপস্হিতিতে দাবিকৃত কোন মত কেই সত্য হিসাবে গ্রহন বা প্রত্যাক্ষান করা যাবেনা ‘।
:)) (B)
১) মুক্ত-মনার শক্তিশালী লেখার মাঝে নীচের উক্তিটা কিন্তু ব্যতিক্রম! এটা জোর করে চাপানো হয়েছে!
“প্রাকৃতিক নিয়মে স্বতঃ স্ফুর্তভাবে শূন্য থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভবের ধারণাটি যদি স্রেফ বানোয়াটই হত, তবে বৈজ্ঞানিক জার্ণালগুলোতে এই ধারণার উপর আলোকপাত করা পেপারগুলো সাম্প্রতিক সময়ে কখনই প্রকাশিত হত না।”
২) মাসুদ রানার লেখা ভালো লেগেছে (“মানব ধর্ম” শীর্ষক)। দুই কিস্তির পরেই কি শেষ?
গত দুই মাসে কেউ এখানে এসে মুক্তমনা সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেনি। বিষয়টি কি কাউকে ভাবাচ্ছে না?
@মুক্তমনা
প্রথমেই রানাকে অভিনন্দন।আমিও রানার মতই একজন মফস্বলবাসী উৎসাহী পাঠক।বিবর্তন নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য মুক্তমনা অসাধারণ।আমি যে পরিেশে মিশি সবাই ধর্মান্ধতা ও অপবিশ্বাসে আকীর্ণ।এ পরিবেশে মুক্তমনাই আমার যুক্তিচর্চার একমাত্র উৎস।সহায়ক বই ও ওয়েবসাইটের নাম দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সমুদ্র ।
@arnab,
ঠিকই বলেছেন। কিন্তু সে সাথে বলি- একমাত্র বিবর্তন তত্বকে আত্মস্থ করতে পারলেই বিশ্বাসের অচলায়তনকে ভেঙে ফেলা সম্ভব। সহজ সরল ভাষায় এই তত্ব ছড়িয়ে দেয়া উচিত। মুক্তমনা সেই কাজই করে চলেছে। শাস্ত্রের সৃষ্টিতত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে শহরকে, গ্রামকে, পাড়াকে, পরিবারকে। বিজ্ঞান মনস্ক করতে হবে সবাইকে। আসুন আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি এই আন্দোলনে।
মানুষ বদলের কথা পাচ্ছি এখানে। সাথে সাথে অন্যদেরও টুকরো টুকরো স্মৃতি অভিজ্ঞতার আগমণ ঘটেছে। আপনার চিঠিটি মনে দাগ কাটার মতো। মাহফুজের কাছ থেকে আপনার কথা অনেক শুনেছি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, মুক্তমনার মতো এত সুন্দর একটা ওয়েবের সন্ধান পেয়েছি বলে। আরো ফালো লাগলো আপনার সাহসী মনোভাবের জন্য।
আমিও অনেককিছু শিখছি। আমি মাহফুজের কম্পিউটারে বসেই মুক্তমনায় ঢুকে আপনার এই লেখা পড়ছি। সে গেছে গ্রামের বাড়ীতে। ঈদের পরে ফিরবে। শুনলাম, মাহফুজ পাবনায় যাবে আপনার সাথে দেখা করতে। আমি যতদূর জানি মাহফুজের দাদা বাড়িও পাবনা। যাহোক মুক্তমনার সদস্যদের মধ্যে পরষ্পর ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠুক এই আশা করছি।
আপনার জীবনের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা জানতে ইচ্ছে করে।
আপনার প্রতি রইলো শুভ কামনা।
@ রানা ফারুক,
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে। আগেই ধারণা করেছিলাম-পড়াশুনার চাপেই হয়তো মুক্তমনা থেকে বিচ্ছিন্ন। মুক্তমনার জন্য নতুন একটি লেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ঈদের পরেই পরীক্ষা, পরীক্ষার পরেই আপনার লেখা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো কাঙ্খিত লেখাটির জন্য। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে এখনও যে মুক্তমনায় ঢু মারছেন, সেটা জেনে আনন্দ অনুভব করছি। পড়াশুনার সাফল্য কামনা করি।
@ রানা ফারুক,
আজ আবার এলাম এখানে। শুধু যে মন্তব্য করার জন্যই এসেছি তা কিন্তু নয়। এখানে আসি আপনার চিঠি পড়তে। অন্যদের প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য পড়তে। প্রদত্ত বইয়ে তালিকা, লিংক দেখতে এবং সর্বোপরি নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য।
নিজেকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিশালী করা যায় না। এগুলো ধীরে ধীরে অর্জনের ব্যাপার। আপনার মত সাহসী হতে ইচ্ছে করে। প্রকাশ্যে যেভাবে আপনি নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে যে সাহস দেখিয়েছেন, সে রকম আমারও ইচ্ছে করে। কিন্তু পারি না। আমাদের আকাশ মালিকও প্রকাশ্যে নিজের পরিচয় দিতে পারেন না।
যখন একজন মন্তব্য করল “রানা ফারুক কি গায়েবি না আসল?” আপনি প্রতিবাদ জানিয়ে জবাব দিয়ে দিলেন, আর যোগাযোগের ঠিকানাও দিলেন।
কিন্তু আজ অনেক দিন ধরেই আপনি গায়েব হয়ে আছেন মুক্তমনা থেকে। কবে যে আবার এই অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হবেই তাই ভাবছি। আসুন না, একবার মুক্তমনায়।
@মাহফুজ,
ফারুক রানা মনে হয় খোলা চিঠির মধ্যে তার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়েছিল,একবার কি তাকে ফোন করা যায় না ? সে কোথায় এবং কেমন আছে?
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে আছে। আমি ইচ্ছে করে করতে চাচ্ছি না আপাতত। এই মাসটা এভাবেই কাটুক। বিভিন্ন সময়ে এখানে এসে মনের ভাব ব্যক্ত করে যাবো।
মামুন ভাই আগে আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন-
আমি জবাব দেই নি। আমি একজন ক্ষুদ্র বুদ্ধির মানুষ। আমার প্রোফাইলে দেখেছেন- মুক্তবুদ্ধির চর্চা করা ও অন্যকে এ বিষয়ে জানানো।
আমি আমার নিজ সাধ্যমত মত এ কাজ করে যাচ্ছি, সম্পূর্ণ একাকী। অনন্ত ভাইয়ের কাছ থেকে মুক্তান্বেষা পেয়েছি। বিতরণ করার জন্য পাঁচ কপি চেয়েছিলাম, মাত্র তিন কপি পাঠিয়েছে। এই তিন কপিই তিনজনকে দিয়েছি। একেবারে বিনামূল্যে। যাদেরকে দিয়েছি, পরে তাদের কাছ থেকে মতামত জানবো। এবং ওসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
আমি জানিনা আর কি ধরনের পথ বা পদ্ধতি গ্রহণ করলে দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার হার বাড়বে। অনেককে মুক্তমনা ওয়েবের ঠিকানা দেই। গতকাল একজনকে দিয়েছি। মন্তব্য করল- খুব ভালো লাগছে। তবে ভয়ও লাগছে। জানালাম- থাকতে থাকতে ভয় কেটে যাবে।
যাহোক অনেক লিখে ফেললাম।
আপনার কোন পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
@ রানা ফারুক,
আমি যখন ‘মুক্তমনার সাথে কথপোকথন’ পোষ্ট দেই। তারপরই বেশ কিছু মন্তব্য পাই-
এর মধ্যে দুটো মন্তব্য নিয়ে একটু কথা বলবো।
ফরিদ ভাই বললেন-
“মুক্তমনার প্রতি আপনার ভালবাসাটুকু হৃদয়ে স্পর্শ করে গেল। আপনাদের মত মানুষদের নিঃস্বার্থ প্রেমটাই এর সম্পদ।”
অভিজিৎ দা বললেন-
“ফরিদ ভাইয়ের মতোই মুক্তমনার প্রতি আপনার ভালবাসাটুকুর সন্ধান পেয়ে আমার হৃদয়ে স্পর্শ করে গেল। এই ভালবাসাটুকু বেঁচে থাকুক।”
এই যে প্রেম বা ভালোবাসা, এটা একটা অনুভূতি বা আবেগের ব্যাপার। এক সময় অনুভূতি বা আবেগ চলে যেতে পারে। তখন এই প্রেম ভালোবাসাটাও বিলীন হয়ে যাবে কালের গর্ভে।
মুক্তমনাকে আমি যদি সত্যিই ভালোবাসি, তাহলে এই ভালোবাসার চর্চা করা দরকার। প্রায়ই নিজেকে প্রশ্ন করি- আমি কি শুধু মুখে মুখে ভালোবাসার কথা বলে খৈ ফুটিয়েছি, নাকি অন্তর দ্বারাই তা বলেছি। নিজেকে পরীক্ষা করি। যেন আমার ভালোবাসাটা ফিকে হয়ে না যায়। এই ভালোবাসাকে ধরে রাখতে হবে নিজেকেই।
আপনার জীবনকে তো মুক্তমনা বদলে দিয়েছিল। সেই মুক্তমনার প্রতি নিশ্চয়ই আপনার ভালোবাসা রয়েছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনার সেই বদলের জীবন কেমন আছে? কেমন আছে মুক্তমনার প্রতি আপনার প্রেম।
যদিও এখানে আপনি যোগাযোগের ঠিকানা দিয়েছেন। তবুও ইচ্ছে করে মুক্তমনার পাতার মধ্য দিয়ে তা জানতে। আমি মাঝে মাঝে ঘুরে যাবো এই পাঠকের পাতা থেকে, হয়তো একদিন আসবে আপনার জবাব। সেই আশায় দিন গুণতে থাকি।
@মাহফুজ,
আপনার মন্তব্য বা লেখা যত পড়ি তত বিমোহিত হই। কি ধরনের কাজ বা কি পদ্বতি গ্রহন করলে বাংলাদেশে মুক্তমনার প্রসার আরো লাভ করবে বলে মনে করেন ?
ফারুক রানার তো অনেক দিন কোনো খোঁজ-খব র নাই।দেশে যারা আছে তারা যদি তার একটু খবর টবর নিত তাহলে মনে হয় সবার জন্য ভালো হতো।
আজ আপনার সাথে বিচ্ছিন্ন কিছুক্ষন কথা বলে মনে হলো আপনাকে আজন্ম চিনি-জানি।
ভালো থাকবেন।
মামুন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
রানা ফারুকের সাথে আমার কোনদিন কথা হয়নি। তারপরও আমার মনে হতো যে আজন্ম আমি তাকে চিনি। সে যখন সাহস করে তার ঠিকানা বলল- রাধানগর, পাবনা; তখনই আমার এরূপ মনে হয়েছিল- আজন্ম চিনি। শুনেছি- আমার কিছু আত্মীয় স্বজন রাধানগরে আছে, যদিও আমি কোনদিন সেখানে যায় নি।
আমার মনে হচ্ছে- সে পড়াশুনায় ব্যস্ত আছে (অনুমান করছি)। যে মুক্তমনা তার চিঠিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করলো। এত এত মানুষ উৎসাহ যোগালো। সেই ফারুক আজ কোথায়, কী করছে তার কোন খবর কি কেউ রাখছে? সে ওপেনলি যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করেছে তার জন্য কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি তো? এমন চিন্তা মাঝে মাঝে আমার মাথায় আসে। একবার অনন্তকে ভাইকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম তার সম্পর্কে। অনন্ত ভাই জবাব দিয়েছিলেন- অনেকদিন যোগাযোগ নাই।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আর একটা বিষয়ে বলতে ভুলে গেছি- ছোট ভাইয়ের বাসায় এসে দেখি তিনটি বই-
১) বিবর্তনের পথ ধরে
২) আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী
৩) সতন্ত্র ভাবনা
গত মার্চ মাসে ফোনে বার বার এই বইগুলো কিনতে বলেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে আজিজ মার্কেটে যেতে পারে নি। এবার এসে দেখছি বইগুলো।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে- আমাদের পরিবারের মধ্যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা শুরু হয়ে গেছে।
প্রায় চার মাস আগে “পাঠকের মতামত”- এ প্রবেশ করে মন্তব্য করেছিলাম। আজ আবার এখানে ঢুকলাম। আবার পড়লাম। নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছি। এই চার মাসে মুক্তমনার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। এক সময় মুক্তমনাকে নিয়ে আমার মনের ভাবও ব্যক্ত করেছি। লিখেছি- “মুক্তমনার সাথে কথপোকথন।”
মাঝে সাময়িক অসুবিধার কারণে নিয়মিত থাকতে পারিনি। এই থাকতে না পারার কষ্টও ছিল প্রচুর। এখন আবার নিয়মিত হয়েছি। পড়ে যাচ্ছি মুক্তমনার অন্যান্য পাতা, যা আগে পড়িনি। আসলে এত অল্প সময়ে সব লেখকের লেখা পড়া সম্ভব নয়। তবু্ও ইচ্ছে রয়েছে যাকিছু পোষ্ট হয়েছে সব পড়ার। একটাও বাকি রাখতে চাই না।
শুধু পড়ার মধ্যেই আমার জীবন থেমে থাকেনি। ইতোমধ্যে মুক্তমনার দুএকজন সদস্যের সাথে যোগাযোগও হয়েছে। পেয়েছি তাদের অফুরন্ত ভালোবাসা। উদার হস্তে পাঠিয়েছে যুক্তি এবং মুক্তান্বেষা পত্রিকা। লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে পেয়েছি অনেক সমস্যার সমাধান। গড়ে উঠেছে সখ্যতা। এ সব কিছুই যেন আমার কাছে পরম পাওয়া।
নিজের জীবনকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি মুক্তিবুদ্ধি চর্চার দিকে। তদ্রুপ চাই অন্যরাও ধর্মীয় গোড়ামী থেকে মুক্ত হয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চার দিকে এগিয়ে চলুক। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে মুক্তমনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। তারা এর সন্ধান পেয়ে অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তারাও চায়- ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে মুক্তমনার বই কিনেছে। পড়ে আর আমাকে ফোনে জানায়- “খুব ভালো কিছুর সন্ধান দিয়েছ, এগুলো না হলে হয়ত অন্ধকারেই পড়ে থাকতাম।” এই ছোট মন্তব্যই আমাকে অনেক পরিতৃপ্ত দেয়। এর কৃতিত্ব মুক্তমনার, তাই মুক্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করি-
মুক্তমনা দীর্ঘজীবী হোক। মুক্তমনার জয় হোক।
শুধু রানাকেই যে মুক্তমনা বদলে দিয়েছে তা নয়, অনেকের অন্ধ বিশ্বাস-এর উপর আঘাত হেনেছে মুক্তমনা। সমাজ থেকে সমস্ত ভ্রান্ত বিশ্বাস কুসঙস্কার বদলে দেয়াই তো মুক্তমনার কাজ। রানার সাথে সাথে আমিও যে বদলে যাচ্ছি।
রানাকে অনেকেই নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন উপদেশ দিয়েছেন। কারো মতামতই ফেলনা নয়। যে যার দৃষ্টিকোণ দেখে রানাকে উতসাহিত করা হয়েছে। এগুলো পড়ে আমি নিজেও উতসাহিত হচ্ছি। প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা। শুধু দরকার উপযুক্ত পরিচর্যা। নিয়মিত পরিশীলনের মাধ্যমে সেই প্রতিভাকে বিকশিত করতে হয়। আমি রানার চিঠিসহ অন্যান্যদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রানাকে নিয়ে মুক্তমনার কত চিন্তা, তা বোঝা যাচ্ছে এসব মন্তব্যে।
[…] পাঠকের চিঠি -১ […]
আমি মুক্তমনা ফোরমে দুটো চিঠি (১ | ২) পাঠাই। এতে সবাই সুচিন্তিত মতামত দান করেছেন এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় আর কোনো লেখা পাঠাই নি। যদিও আমি ঠিক গুছিয়ে লেখতে পারিনা। সবাই আমাকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করেছেন এটা আমার কাছে অস্বস্তিকর। আমি আপনাদের থেকে অনেক ছোট আমি এবার এস. সি পাশ করে, পাবনা সরকারী টেক্সটাইল ইন্সটিউটে (ডিপ্লোমা কোর্সে ) ভর্তি হয়েছি। ভর্তির ফরমে আমার ধর্মের জায়গায় ইসলাম লিখতে হয়েছে। অথচ আমার লেখার ইচ্ছা ছিল ইসলামের জায়গায় ‘মানবতাবাদ’। আমি ও আমার বন্ধু মিলে আলোচনা করেছিলাম সে বলল মানবতাবাদ লিখলে যদি ভতির্ ফরম বাতিল হয়ে যায়। এবং আমাদের দেশে এখনো ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লেখার নিয়ম নাই। আর যাতে ভবিষ্যতে এই রকম অবস্থার মধ্যে না পরতে হয় তার জন্য আমরা কি করতে পারি? আপনারা উদ্যেগ না নিলে তো হবে না। আমাদের পাশের দেশ ভারতে বিভিন্ন লেখায় দেখেছি তারা ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লিখতে পারে। অনেক সংগ্রাম করে সফল হয়েছে তারা। আমাদের ও তো পিছিয়ে পড়লে হবে না। আমি আশা করি খুব তারাতাড়ি আমরা এই ধর্মের জায়গায় মানবতাবাদ লিখতে পারি।
মুক্তমনায় এখন আর বেশি ধর্ম এবং ধর্মের কুসংস্কার নিয়ে বেশি লেখা হয়না। ধর্ম নিয়ে বেশি লিখলে আমরা ভাল বুঝতে পারব এবং অন্যকে বুঝাতে পারব। অভিজিৎদার ধর্ম বিষয়ে লেখা অনেক দিন থেকে বন্ধ। বন্যা, অনন্ত, জাহেদ, অজয় রায়, নন্দিনী, বিপ্লব পাল, কামরান মির্জা, অপার্থিব জামান, আরো অনেকে এখন আর এই বিষয়ে লেখা না কেন? আমরা যারা নবীন তাদের তো ধর্ম বিষয়ে আলোচনা সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন। আগামি ২৯/০৯/০৯ ইং তারিখে আমার ক্লাস শুরু হবে। ওখানে আমার ‘ যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদ’ প্রচার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। কিভাবে আমি এই কাজ করতে পারি সবাই যদি আমাকে কোন দিক নির্দেশনা দেন তাহলে খুবই ভাল হয়। আর আমার আগের লেখার প্রতি-উত্তরে অনেকে আমি সত্যি ফারুক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন; যেমন :
অবাক পৃথিবী ভাই, আমি ভয় পাই নাই বা গায়েবি না । আমি পরীক্ষার কারণে ব্যস্ত ছিলাম। আপনার যদি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে আমার ইমেল তো রয়েছে – [email protected]। আর আমার মোবাইল নম্বর ০১১৯১- ৭৫৫৭৪২ দিয়ে দিলাম । যোগযোগ করলে খুশি হব। আজ আর নয়।
ফারুক
রাধানগর, পাবনা
I wanna know how i would be a member in mukto-mona?
@Mukti,
মুক্তমনা ব্লগের সদস্য হতে হলে আপনাকে ব্লগে নিয়মিত মন্তব্য করে যেতে হবে, লিখতে হবে। লেখালিখির ভিত্তিই হচ্ছে মুক্তমনা সদস্য হওয়ার মূল চাবিকাঠি। সুতরাং ব্লগে লিখতে থাকুন – দেখবেন একসময় সদস্য হয়ে গেছেন।
আর আমাদের ইয়াহুগ্রুপের সদস্য হতে চাইলে আপনাকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। ইয়াহুগ্রুপের সদস্য হবার নিয়ম এখানে বলা আছে।
খুব হাসি পেল অবাক পৃথিবী ভাই এর কথা শুনে। সত্যিই ত এখন মনে হচ্ছে রানা অাসলেই গায়েবী মাল কিনা। যাকে নিয়ে এত কথা, তার কোনই সাড়া শব্দ নেই এতক্ষণ ধরে… আসলেই ত রানা আসল না নকল…যদি সত্যই থাক, ত বাপু একটু আওয়াজ দাও ত?
Rana, you are same age to me. Thank you and welcome at this world. Dont feel hesitate. We are with you. Keep continueing your search for truth. Study the refereced book. Now I wish to say how I become an athiest. by the way, the credit is not at mukto-mona, but, at the ‘mukto-mon’ of mine. Thank you!
[…] প্রথম পর্বের পর … […]
আগে ছিলাম ক্ষুদে নাস্তিক। মুক্তমনা আমাকে খাটি নাস্তিক হতে সাহায্য করেছে। বিজ্ঞানবিত্তিক লেখা পড়তে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রশ্ন করতে শিখিয়েছে। ভাবতে শিখিয়েছে। জানতে শিখিয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কাছের মানুষ ধারা বিতর্কিত এই আমি। তাতে কিচ্ছু যা আাসে না। সত্য যুক্তি কে গ্রহণ করবো আজীবন। রানা ফারুক কে ধন্যবাদ নতুন করে ভাবতে শেখার জন্য, নিযেকে প্রশ্ন করার জন্য্।
[…] প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছিলেন – ‘মুক্তমনা আমার বিশ্বাসকে বদলে দিয়েছে’ । তিনি মুক্তমনাদের কাছে কিছু ভাল […]
“‘I am an atheist’. Better say I am rationalist & scientific minded”.
একটি অত্যন্ত বাস্তবধর্মী উপদেশ। আমি কি নই তা সবাইকে জানানোর থেকে আমি কি তা
জানানো অনেক বেশি জরুরি। তাই মনে হয় নিজেকে মানবতাবাদি ও যুক্তিবাদি বলে পরিচিত
করলে ভাল হয়। শুরুতেই Scientific minded বললে অনেকের ভিরমি খাবার সম্ভাবনা থাকে। আমার বাস্তব অভীজ্ঞতা বলে মানবতাবাদের কথা বললে চরম বিস্বাসিরাও
মনযোগ দিয়ে শোনে। নাস্তিকতা দিয়ে সুরু করলে হিতে বিপরিত হবার সম্ভাবনাই বেশি।
দরজা বন্ধ থাকলে জানলা দিয়ে লাফ মেরে পালিয়ে যাবে। আর ফিরবেনা। তাই বলি শুরু
হোক মানবতাবাদ দিয়ে তারপর গড়া হোক যুক্তিবাদের ভিত। মনে হয় বাকি পথটুকু কেউ
নিজেই খুজে নেবে। শুরুতেই ধর্মের আর আল্লাবিল্লার বিরোধিতা নয় but to redifine religeon and the concept of god and offer
humanism as religeon. মানবধ্ররমের ভিতটা একটু পাকা হলে মানুষ
তখন মানুষের মধ্যেই আল্লা ভগবান খুজবে। সহজ কথায় হল ধর্মীয় ব্রাদারহুডের বদলে
বিশ্বমানবতার বাণী সকলের কাছে পৌছে দাও। প্রগতিবাদি শক্তির বড়ো দুরবলতা হল আজো তারা মানবতাবাদকে স্কুল পাঠ্যসুচির অন্তরভুক্ত করতে পারেনি। যদি পারত তবে হাজার
হাজার রানা ফারুকে দেশ ভরে যেত।
মি. নৃপেন, আপনার করা প্রশ্নগুলো করেই কিন্তু আমি একজন বাচ্চা হুজুরকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছিলাম। সে পরে নাস্তিক হয়ে গেছে।
আর একবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ৫ জন ছাত্রকে একই কথা বলেছিলাম। তারাও পরে উত্তর দেবে বলেছিল। কিন্তু দেয়নি। প্রায় ২ বছর পরে চিঠি লিখে জানিয়েছিল তাদের অবিশ্বাসের কথা। তারাও আর পরবর্তীতে মুসলমান থাকতে পারেনি।
আপনার প্রশ্নগুলো সত্যিই শক্তিশালী।
রানা ফারুকের এতগুলো বই না পড়লেও চলবে। হিন্দু ঘরের সন্তান হলে বলব গীতা পড়তে, আর মুসলমান হলে বল বলব কোরান পড়তে। আমার নিজের একটি ঘটনা এখানে প্রযোজ্য। অতি সংক্ষেপে বলছি।
৯/১১ ঘটনার মাত্র চল্লিশদিন পরের ঘটনা। ২১শে অক্টোবর। জনৈক বাংলাদেশী (PhD student) আমার বাড়ীতে এল দাওয়াত দিতে। হাতে ছোটবড় অনেক বই। বুঝতে দেরী হলনা, আমাকে মুসলমান বানাতে এসেছে। অবাক হলাম অসময়ে আসার জন্য। ৯/১১ এর তাজা রক্ত তখনও আকাশে বাতাসে বিদ্যমান। প্রশ্ন করলাম, “কোরান পড়েছ?” কোরান বিষয়ক আরও দু-একটি প্রশ্ন করেই বুঝলাম, ডাহা মিথ্যা কথা বলল। কোরান কখনোই পড়েনি। বললাম, “কোরান পড়তে শুরু কর। তারপর,
১। কোরানে মাত্র একটা বাক্য আমাকে দেখাবে যা মানুষের পক্ষে
ভাবা বা লেখা সম্ভব নয় (ঐশ্বরিক?)
২। যে কোন জায়গা থেকে ক্রমাগত দশটি পাতা দেখাবে যেখানে
মানুষের প্রতি ঘৃনা নেই।
একবছর সময় দিলাম। কোরান পড়ে উপরের যেকোন একটি দেখালেই চলবে। আমি সপরিবারে মুসলমান হয়ে যাব।”
একবছর গেল, দুবছর গেল। লোকটি মাত্র একশত মাইল দূরে হিউস্টনে থাকে। আর আসেনি।
রানা, তুমি কোরান পড়বে। তোমার মত বয়সে নিজের ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মের প্রতি আমার আকর্ষণ জন্মেছিল। লোকটি সহজেই আমাকে কাবু করে ফেলতে পারত। ওর দুর্ভাগ্য আগেই আমি কোরান পড়ে ফেলেছিলাম। কোরান আমাকে বাচিয়েছে।
@Nripendra N Sarker,
আাপনি লিখেছেন, আপনি কোরান পড়েছেন।
সুতরাং আমি উৎসুক, জানতে চাই,
(১)শুধু একটি জায়গায় যেখানে কোরান মানুষকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে!
(২)শুধু একটি জায়গায় যেখানে কোরান মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে!
আদিল মহমুদকে বলছি: ‘রাশেদ খলিফার কোরানিক নিউমেরিক মিরাকল রহস্য ফাঁস’
যুক্তি’র পরবর্তী সংখ্যার জন্য এরই মধ্যে এই বিষয়ে লেখা তৈরি হয়ে আছে। অপেক্ষা করুন কিছুদিন, বিস্তারিত-বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা থাকছে ঐ লেখায়।
Dear Rana,
I read both your letters appearing in MM with interest. I could understand your position very well, especially when you are still under the control of your family. You are very right, don’t antagonise your family members right now. Try to argue with them politely with logic and reason. Tell your father ‘I am trying to learn real spirit of the religion, just not its rituals’ and seek his advice in the process of learning regarding all aspects of Islam. It is no harm if you learn more on the fanatical and dogmatic side of Islam. It will help you later on in your life. You will be better equipped to deal with the Mullahs. You can counter argue with them with their language, as did Vidyasagar dealing with the Pundits who were against the ‘Widow marriage’ in Hindu Society. If they don’t listen to you, quietly leave the place. I feel pity for your father who burnt books of Aroj Ali Matubbar. Don’t get upset. It happened almost every body’s life. Your father can burn one copy of Aroj Ali, but can he erase the writings and sayings of Aroj Ali from the heart and minds of young people like you. Feel proud that you are one of those young men who could realise the emptiness of the religions of all shades. Don’t think Islam is the only religion in earth that is dogmatic, violent in nature; in fact all religions whether revealed or Santana (classical) like Hinduism, Buddhism or Jainism. All are fanatical more or less in nature. Another little advice, don’t declare yourself publicly, especially in presence of Mullahs, ‘I am an atheist’. Better say I am rationalist & scientific minded. I accept every thing that sounds rational, scientific and logical including sayings found in religious books.’ Still better, ‘say you are a humanist’ – ‘I shall work for the betterment of human lives – and that is my goal in my life’. Believe me you are not alone. Try to find out such people around you, make closer association, hold discussion meetings among yourselves. Finally, keep in touch with us.
Read our journal “Muktanwesa’ . If it is not available in your locality, please let us know, we will send to your address. Keep your head high, as Tagore said many years back.
With love,
Ajoy Roy
Dhaka
অভিজিৎদা কে ধন্যবাদ। “ডিম্বের সন্ধানে” লেখাটি আমি পড়েছিলাম, কিন্তু তাতে নিউমেরিক মিরাকল ব্যাপারটি একটি ছোট অংশ হিসেবে ছিল। তাই অনেক কিছুই পরিশকার হয়নি। যদি পারেন তবে এ বিশয়ে একটি পূর্ণাংগ লেখা কেউ লিখবেন। কোরানে বিজ্ঞান আছে বা মিরাকল আছে এ বিশ্বস আমার বদ্ধমুল হয়েছিল এই নিউমেরিক মিরাকল এর কারনেই। আমার মত আরো অনেকেই এই তত্ত্বকে কোরানের অকাট্যতার ডেফিনিট প্রুফ হিসেবে মানেন। পৃথিবী গোল না সমতল এর ব্যাখ্যা যে যার খুশীমত করতে পারেন, কিন্তু এই নিউমেরিক মিরাকল এর বুজরুকি বোঝাতে কোন অষ্পটতা বা আরবী শব্দের রুপক ইসু আসার কথা না।
Dear আদিল ভাই, আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি, কারণ আপনি আমাদের মধ্যে আসছেন না কেন?
বা! এতো দারুণ ঘটনা! এভাবেই পৃথিবী এগিয়ে যাবে আলোর পথে। এক এক করে প্রতিটি মানুষ জানবে সত্যমত। রানা ফারুককে অভিনন্দন। আপনি যে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করে গলায় বাঁধা রশিটা খুলতে পেরেছেন, তাকে আমি সম্মান জানাই।
উপরের দীর্ঘ আলোচনাগুলোর মধ্যে বিপ্লব পালের মন্তব্যটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। আসলেই তো তেমন কোন বই পড়ার দরকার নেই। নিজের বিবেক কি বলে? নিজের মন থেকে কোন দিগন্তের ডাক শোনা যায় – তাই আগে অন্বেষণ করতে হবে। বইগুলো পড়া যেতে পারে ফারদার রিডিং এর প্রয়োজনে, বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজনে। কিন্তু আত্মোপলব্ধির জন্য কি কোন বইয়ের প্রয়োজন আছে?
রানা ভাই, আপনি সাবধান থাকবেন। আপনার নবলব্ধ বিশ্বাস প্রচার করার দরকার নেই। পাবনায় আমার পরিচিত তেমন কেউ নাই। তারপরও যদি কোন দরকার পরে, তাহলে আমার ব্লগের ইমেইল বাটন ব্যবহার করে গোপনে জানাতে পারেন। কমবেশি প্রত্যেকটা জেলাতে একটা গ্রুপ আছে, যারা মুক্তমনা, প্রগতিশীল। তাদের কাউকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবো। মুক্তচিন্তা করে, পরকাল, অলৌকিকতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে এমন বন্ধুদের সাথে মিশতে পারবেন। আরজ আলীর বই আপনার কাছে নেই তো কি হয়েছে। তার বই তো পড়েছেনই। বিষয়টাতো বুঝতে পেরেছেন। এতেই হবে। জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজে আয় করার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে আরও জোর পাবেন। নিজেকে আরও শক্তিশালী বোধ করবেন।
Mr অগ্নির সাথে যে আমি সম্পূর্ণ একমত তার জলন্ত নিদর্শণ হচ্ছে আমার ব্যাপারটা! প্রতিস্ঠিত কোন নাস্তিক্যের বা বিজ্ঞানের বই পড়তে হয় নি আমার নাস্তিক হতে। আমার স্বীয় নাস্তিক্যের কাহিনী নিয়ে আমি কাগজে কলমে লিখছি, কিন্তু মুক্ত মনায় প্রবন্ধ হিসেবে কিভাবে পাঠাব তার নিয়ম ভালভাবে জানি না। আমি নতুন ইউজার। বাংলা লিখি অতি কষ্টে এবং সময় নিয়ে। এর মধ্যে কতগুলি কমেন্টস লিখলেও প্রবন্ধ লেখার যোগ্যতা হয়নি কখনও। আর কমেন্টগুলোর মান মোটেও ভাল ছিল না, তবুও আমার কষ্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিদা ওগুলো দয়াকরে ছাপিয়েছিলেন। এমনকি আমাকে একটি রিপ্লাইও দিয়েছিলেন। এজন্য তাঁর নিকট আমি অশেষ কৃতজ্ঞ। এখন আমার প্রবন্ধে আমি নিজের কথা বলতে চাই। আপনাদের মত ভাল ভাল লেখকদের তুলনায় আমারটা ছাপানর অয়োগ্য হলেও আশাকরি পড়তে একদম খারাপ লাগবে না। সবাইকে ধন্যবাদ। আরিফ।
রানা ফারুককে অভিনন্দন।
(রানা ফারুকের উত্তরটি ইমেইলের মাধ্যমে পিডিএফ ফাইলে পাওয়া গিয়েছে – মডারেটর)
@রানা ফারুক,
আপনার নবজাগরণকে স্বাগত জানাই।আমি আপনার চেয়ে বছর দুয়েকের বড় এবং আমার এই উত্তরণ ঘটেছিল অনেক আগেই।মুক্তমনার সাথে আমার পরিচয় মাত্র কিছুদিন আগে আর প্রথম পরিচয়েই প্রেম!আমার পরিবারটি একটি গোঁড়া বৈশ্য সাহা পরিবার এবং আমার বাবা স্বাস্থ্যবিভাগের অতি উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।এই সে দিনও খাবার টেবিলে শাস্ত্র-মতেই তাঁর বংশের পুরোহিতের তুমুল সমালোচনা করি আমি এবং ঠাকুরের ভোগে পেঁয়াজ দিলে ক্ষতি কি!বাবা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠলেন।তিনি কোনদিন গীতা ছাড়া কোন ধর্মগ্রন্থ পড়েন নি এবং গীতা প্রতিদিন পড়লেও এটি নিয়ে তিনি ভাবেননি।তাই ডাক্তার হয়েও তাঁর মনের অন্ধকার কাটে নি।তিনি তাঁর যে কোন জ্ঞাতি মারা গেলে বহুবার ১মাস অসৌচ করেছেন।আজকাল ১ মাসের জায়গায় ১৫ দিন অসৌচ করেন বলে তাঁর মনে পাপবোধের শেষ নেই।যদিও ঠুনকো ও মিথ্যে শাস্ত্র-মতে বৈশ্যদের ১৫ দিনেই শ্রাদ্ধ করার নিয়ম তবুও এই লোভী,মূর্খ ও চাটুকার পুরুতগুলো তাদেরকে একমাস ধরে অমানবিক কষ্ট দিয়ে পাশবিক আনন্দ পেয়েছেন।আমি বই খুলে দেখালেও তাঁরা বিশ্বাস করবে না – এমনই তাদের অন্ধত্ব।তাছাড়া চাকরিক্ষেত্রে হিন্দু হবার ‘অপরাধে’ বাবার প্রতি অনেক অবিচার করা হয়।এতে করে আমার মা-বাবা আরও বেশি গোঁড়া হয়ে পড়েন।
আমার উত্তরণ শুরু হয় সপ্তম শ্রেণীতে থাকাকালীন স্বামী বিবেকানন্দের “বেদান্তের আলোকে” বইটি পড়ে।তাঁর আগে আমি নিদারুণ ধার্মিক ছিলাম এবং কৃষ্ণ-দর্শন ও আমার হয়েছে যা ছিল নিছক হ্যালিউসিনেশন!বিবেকানন্দের লেখা পড়ে আমি প্রচলিত ধর্মের উর্ধ্বে ভাবতে শিখি এবং তারপর রাহুল সাংকৃত্যায়নের “ভোল্গা থেকে গঙ্গা” বইটি পড়ে অনেক বুজরুকিই আমার চোখে পড়ে।এরপর নৎর দাম কলেজে পড়তে গিয়ে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে দু বছর থেকে দেখি অধিকাংশ সাধুই ভণ্ড,খাদ্যলোভী ও প্রচণ্ড ভোগবিলাসী।আর তারা দাবী করেন এটুকু ভোগ-বিলাস তারা করতেই পারেন।প্রথাগত ধর্মের প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে গেল।এর মধ্যেই আমি ইসলাম ও খৃস্ট ধর্মের বুজরুকি গুলোও ধরতে পারি।আর বৌদ্ধধর্ম নিরীশ্বরবাদী হলেও আমাদের দেশের সাধারণ বৌদ্ধরা ঈস্বর-বিশ্বাসী!
যাহোক আমার বাসায় আমার ওপর প্রচণ্ড মান্সিক চাপ সৃষ্টি করা হল।এক পর্যায়ে আমি আমার শেলফ থেকে বইগুলো ছুঁড়ে ফেললাম এবং নিজেই আগুন ধরিয়ে দিতে গেলাম।বাবা -মাকে বললাম এই বইগুলোই আমাকে তমাদের চোখে নষ্ট করেছে কাজেই এই বইগুলর সাথে নিজের বিবেককেও আমি পুড়িয়ে দেব।তাঁরা আমাকে আটকালেন।
আজও আলোর পথে আমি একাকী যাত্রী আমার পরিবারে।মুক্তমনায় এসে নিজের মত অনেককে দেখে প্রাণ ভরে যায়…
“প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ”।
মনে রাখবেন নিজের জীবনচর্যাই সবচেয়ে বড় জ্ঞানের উৎস।
ভাল থাকবেন।
@রানা ফারুকের ইমেল address চাই।সে যদি দেন তাইলে তাকে আবার আস্তিক হয়াতে সাহায্য করব।আমি তা পারব বলে মনে করি। যেমন ভাবে মুক্তমনা পড়ে সে নাস্তিক হয়েছে তেমন ভাবে ভালো কিছু পড়ে সেও আস্তিক হতে পারে।
একটি কথা অনসিকার্য যে–“মানুষ পাপ থেকে নাস্তিক হয় ,যখন দেখে সে পাপ করে ফেলেছে এবং তাকে তা করতেই হবে তখন ধর্মীয় দিক বিবেচনায় সে হতাসায় ভুগে,আর তা থেকে উত্তরনের পথ খুজে। তার পাপ গুলো যে কোন পাপ নয় তা বুঝতে চাই, কিন্তু ধর্ম মতে সে তো আর সম্ভব নয় তাই সে ভিন্ন পথ খোজে আর এ ভাবে যদি সে তার মত আরো পাপিকে পেয়ে যায় সে তাকে শান্তনা দিতে পারে তাকে ভালোবেসে ফেলে।।আর মতাদর্শ মেনে নেয়।ফারুকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।আমনাদের ক্ষেত্রেও তাই ” মিথ্যাকে জানার আগে সত্য জানতে হবে…মুক্তমনাকে জানার আগে সত্যকে।
আমি দ্বিমত পোষণ করি। নাস্তিকতা কোন বিশ্বাসের ব্যাপার নয়, বরং ‘এবসেন্স অব বিলিফ’। নাস্তিকদের কোন ধর্মগ্রন্থ নেই, নেই কোন পয়গম্বর। তাই কোন সংজ্ঞাতেই নাস্তিকতাকে কোন ধর্মের আওতায় ফেলা যায় না। আরো বিস্তারিত বিশ্লেষনে যেতে চাইলে আমার এই লেখাটা দেখতে পারেন – আস্তিকতা বনাম নাস্তিকতার প্রত্যুত্তরে
আমি আশ্চর্য হলাম আপনার কথা শুনে। রাশাদ খলিফা কিভাবে কোরান বিকৃত করে তার ১৯ তত্ত্ব বানিয়েছিলেন এটা এখন খুব ভালমতই প্রকাশিত। মুক্তমনাতেও এ নিয়ে অনেক প্রবন্ধ আছে। আমাদের সঙ্কলিত বইয়ে নাস্তিকের ধর্মকথা একটি প্রবন্ধ সংকলিত করেছেন- ডিম্বের সন্ধান এবং রাশেদ খালীফা ও তার ম্যাথমিটিকল মিরাকল। লেখাটা পড়ে দেখবেন।
এত কিছুতে যাবার দরকার নেই। রশিদ খলিফার কোরানে একবার চোখ বোলান । দেখবেন উনি ১৯ তত্ত্বকে সার্থকতা দিতে গিয়ে 9: 128 eবং 9: 129 আয়াতগুলো গায়েব করে দিয়েছেন। খালিফার কোরানে ওই দুটো আয়াত নেই। এবার ইন্টারনেটের যে কোন ইসলামিক সাইট থেকে কোরানের অন্য অনুবাদগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন। আপনি রাশাদ খলিফার কোরান টেম্পারিং এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হাতে নাতে পেয়ে যাবেন। আবার কোন কোন সুরাতে খালিফা নিজের নাম পর্যন্ত বসিয়ে দিয়েছেন অনুবাদে (যেমন ৮১ঃ ২২)। কি বুঝলেন?
নীচের লিঙ্কগুলোও হয়ত এ প্রসঙ্গে আপনার কাজে আসতে পারে –
Numerical Miracles of the Quran
The Miracle of 19
The Mysterious 19 in the Quran
A Critical Evaluation
A Numeric Miracle of the Number 19?
The Myth of Scientific Miracles in The Quran: A Logical Analysis
ভাই ইরতিশাদ আহমদ,
ধণ্যবাদ আপনার সময় নিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য। আপনি কিছু মন্তব্য করেছেন যা আমি আমার দৃষ্টি ভংগী থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
ক) কিছু মনে করবেন না, নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসীদের কেন যেন মনে হয় ধর্ম শব্দটিতেই এলার্জি আছে। ধর্ম মানেই যে ঈশ্বর বা মূর্তি পূজা তাতো নয়। জড় বস্তুদের ও তো ধর্ম আছে। তাই না? আপনাদের বিশ্বাসের মূল হল প্রচলিত বিশ্বাসে অবিশ্বাস, তাই আমার মতে এটিও একটি ধর্ম।
খ) আমি একমত যে নাস্তিকতার ধারণা মুক্তচিন্তা প্রসূত। মন মুক্ত বা আস্তিক নাস্তিক এ শব্দগুলি কিন্তু আপেক্ষিক হতে পারে। যেমন, এসব ফোরামে যারা নাস্তিক হিসেবে লেখালেখি করেন তারা আসলেই কতটা নাস্তিক? আমি ব্যক্তিজীবনে দু একজন ভয়াবহ নাস্তিক কে চিনি যারা বড় ধরনের বিপদে পড়লে কঠিন ধার্মিকে পরিণত হন। বিপদ কেটে গেলেই আবার অঙ্ক কসে প্রমান করেন যে গড=ভন্ডামী। তাই আমি কে আস্তিক, কে নাস্তিক তাতে গুরুত্ত দেই না, আমি গুরুত্ত দেই তিনি কি বললেন তার উপর।
গ) আমি নিজেই স্বীকার করেছি যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আমি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারব না। অন্তত এক্ষেত্রে আমি অবশ্যি যুক্তিবাদী না। আমি বড় জোর সব কিছুর ক্রিয়েটর আছে জাতীয় যুক্তি তর্কের খাতিরে চালিয়ে যেতে পারি কিন্তু নিজেই জানি যে তা যুক্তির মাপে খুব অকাট্য কিছু না। পরিশেষে শুধু এইটুকুই বলব যা আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন, জগতে যুক্তি তর্ক ছড়াও কিছু বিষয় আছে।
ঘ) হ্যা, আমি কবুল করছি যে খোলা মনে পড়লে ধর্ম গ্রন্থে বিজ্ঞান আছে তা আমি বিশ্বাস করার মত কিছু পাইনি। নিজে মোসল্মান বলে আমার মনো্যোগ কোরানের দিকেই ছিল। এ সম্পর্কে পাওয়া সব গুলি লেখাই আমি পড়েছি। বলতে বাধা নেই যে, ধর্মবাদীদের কোরানে বিজ্ঞান পাওয়ার যুক্তি থেকে নাস্তিকদের কোরানে বিজ্ঞান নেই মতবাদ আমার অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। আরেকটি কথা, কোরানে কিন্তু বাইবেল বা অন্য ধর্মের মত সরাসরি সম্পুর্ন অবৈজ্ঞানিক কথা নেই। এটি সম্পুর্ন নির্ভর করে ব্যাখ্যার উপর। আমার মনে হয়েছে যে চেষ্টা করলে কোরানে যেমন বিজ্ঞান আবিষ্কার সম্ভব তেমনি অপবিজ্ঞান আবিষ্কার ও সম্ভব। তবে কোরানের একটি দাবীকৃত মিরাকলের পালটা জবাব এখন কোথাও পাই নি। তা হল নিঊমেরিক মিরাকল যা রাশান খলিফা আবিষ্কার করেছিলেন। কোরানের সব আয়াতে ১৯ সংখ্যার প্রভাব জাতীয় কিছু। আপনার এ সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে বলতে পারেন। আমি নিজে কিছু গবেষণার চেষ্টা করেছিলাম, তবে শূন্য আরবী জ্ঞানের অভাবে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারিনি।
তবে আপনার কথা অনু্যায়ী আমি বিজ্ঞানের মধ্যে ধর্ম আবিষ্কারের চেষটা করিনি, আমি জানি না কেন আপনার এমন ধারণা হল।
এ বিষয়ে আমার মত খুব পরিষ্কার, ধ্র্ম আর বিজ্ঞান দুটো দুই ডাইমেনশনের ব্যাপার। এক ঘন্টার সাথে এক মাইলের তুলনার যেমন কোন অর্থ হয় না তেমনি ধ্র্ম আর বিজ্ঞানের ও তুলনা হয় না। একটির মূল বিশ্বাসে, আরেকটির মূল যুক্তি এবং পরীক্ষা নীরিক্ষাতে। দুয়ের মাঝে কি করে তূলনা হয়?
ঙ) আমিও নিজেকে পুরো যুক্তিবাদী দাবী করি না, তার দরকার ও দেখি না। আগেও বলেছি, কেউ যুক্তিপূর্ণ কথা বললে আমি তা গ্রহন করতে পারি। তা সে আস্তিক নাস্তিক যেই হোক না কেন। মুক্তমণার লেখাগুলি থেকে আমার দৃষ্টি ভংগী অনেক বদল হয়েছে। যেমন আমি আর কেউ সমকামী শুনলে তার দিকে ঘৃণার চোখে তাকাতে পারি না। কোন ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী অক্ষরে অক্ষরে জীবন চালাতে হবে বলেও মানি না। মহিলাদের প্রতি যে সব ধর্মই খড়্গহস্ত তাও আমি আর অস্বীকার করতে পারি না। তালিকা শুধু বড়ই হবে। মুক্তমনার লেখক লেখিকা সকলেই আমার ধন্যবাদ পাবেন।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি নিজেকে পুরো যুক্তিবাদী মনে করেন না এবং বিশ্বাস করেন যে যুক্তি দিয়ে সবকিছুর সমাধান করা যায় না।এ প্রসঙ্গে শুধু এটাই বলতে চাই যুক্তি দিয়ে শুধু সেই প্যারাডক্সগুলোই সমাধান করা যায় না,যেগুলো যুক্তিবিদ্যার প্রশ্নের ত্রুটি থেকে উদ্ভুত।যেমন বার্ট্রান্ড রাসেলের প্যারাডক্সটি।কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব বিষয়টি কিন্তু তেমন না।এখানে কোন প্রশ্নের মারপ্যাঁচ নেই।কোরানের আল্লাহর বর্ণ্না ঠিক ততোটাই গাঁজাখুরি যতোটা অন্যান্য শাস্ত্রে।যুক্তি দিয়ে এ ধরনের উদ্ভট দাবি সহজেই বানচাল করা সম্ভব।বিশ্বটা বোধহয় প্যারাডক্স নয়।
অধ্যপক আব্দুল্লাহ আবু সায়িদও আপনার মতই তাঁর একটি বইএ নাস্তিকতাকে ধর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি নিজেকে অজ্ঞেয়বাদী পরিচয় দেন।তবে রবীন্দ্রনাথের জ়ীবনদেবতার ধারনাকেও তিনি জোলো বলে সমালোচনা করেছেন।এ প্রসঙ্গে পাঠকদের মতামত জানতে চাই
আপনি যদি নিজের মন থেকে একটি সুন্দর ভাবধারা গড়ে তাকে ধর্ম নাম দেন তবে ঠিক আছে।কিন্তু প্রচলিত ঈশ্বরের ধারণা যদি আপনি বিশ্বাস করেন,তবে আপনাকে কিছু বলাই বৃথা।
তবে আপনার মন বদ্ধ নয়,এটা আশার কথা।
কোরআনের মিরাকল ১৯ নিয়ে ত কিছুই বললেন না, জানা নেই, নাকি এই ধরনের কিছুই নেই।
আদিল মাহমুদের মন্তব্যের সুত্র ধরে –
ক। আপনি লিখেছেন, “আমি নাস্তিকতায় বিশ্বাসী না।” আমি সবিনয়ে বলতে চাই, নাস্তিকতা অবিস্বাসীদের জন্য, বিস্বাসীদের জন্য নয়। আমার মনে হয় আপনি নাস্তিকতার এই মূল ভিত্তিটা ঠিক মতো ধরতে পারেন নি। তাই বলতে পেরেছেন, “আমার মতে নাস্তিকতাবাদও একটা ধর্ম।”
খ। আপনি ঠিকই বলেছেন, “মুক্তমনা হতে হলেই যে নাস্তিক হতে হবে তা মনে হয় না।” কিন্তু মুক্তমনা না হলে নাস্তিক হওয়া বেশ কঠিন। কারণ নাস্তিকতার ধারণা মুক্তচিন্তা-প্রসূত। আর মন মুক্ত না হলে মুক্তচিন্তা করবেন কি ভাবে?
গ। “ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আমি কোন যুক্তি তর্কে যাব না, কারন তা কোন দিন সম্ভব না। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু রয়েছে।” তাহলে নিজেকে যুক্তিবাদী দাবী করেন কি ভাবে? আপনি নিজেকে মুক্তমনা ভাবতে পারেন, কিন্ত উপরোক্ত মন্তব্যের আলোকে আপনাকে যুক্তিবাদী বলা যায় না। এটা ঠিক যে, যুক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু আছে, কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্বের প্রশ্ন যুক্তিতর্ক ছাড়া আলোচনার আর কোন উপায় আছে কি?
ঘ। আমার ধারণা মুক্তমনার লেখাগুলি পড়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মে বিজ্ঞান আপনি খুঁজে পান নি, এবং না পেয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তার দরকারও নেই। কিন্তু তবুও হৃদয়ে ভগবানকে স্থান দিয়েছেন, মুক্ত মনেই। আপনাকে সাধুবাদ। কিন্তু দুঃখটা এইখানে যে, আপনি ধর্মে বিজ্ঞান খুঁজে না পেয়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাপদ্ধতির (নাস্তকিতা) মধ্যে ধর্মকে আবিস্কার করেছেন, ভুল চিন্তার বশবর্তী হয়ে!
ঙ। শুনে ভাল লাগলো, আপনার ঈমানের ভিত্তি আপনার মুক্তমনায়-ঢুকতে-ভয়-পাওয়া বন্ধুদের মতো নরম নয়। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, আপনার শক্ত-পোক্ত ঈমানের ভিত্তিতে আর যাই থাক যুক্তি নাই।
চ। পরিশেষে বলবো, আপনাকে আমি অভিনন্দন জানাই, মুক্তমনার লেখাগুলি খোলা মন নিয়ে পড়ার জন্য, আপনার অনুসন্ধিৎসার জন্য।
রানা ফারুকের মত মুক্তমনা আমাকেও বেশ নাড়া দিয়েছে। যদিও আমি নাস্তিকতায় বিশ্বাসী না। তবুও আমি মুক্তমনার একজন ভক্ত পাঠক। মুক্তমনার বাংলায় লেখাগুলি না দেখলে আমি কোন্ দিন ই নাস্তিকদের লেখা পড়েও দেখতাম না। অন্ধভাবেই ধরে নিতাম যে এগুলি সব ইসলাম বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। মুক্তমনার সাথে আমার পরিচয় হঠাত করেই, ধর্মে বিজ্ঞান খোজার সুত্র ধরে। এর পর একে একে পড়ে গেছি ধর্ম বিষয়ক প্রায় সব লেখা। না, পড়ে আমি নাস্তিক হইনি। তবে তার থেকেও অনেক গুরুত্তপূণ প্রাপ্তি হল, ধর্মের ক্ষতিকর দিকগুলি দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়েছে। কে আস্তিক কে নাস্তিক তা বড় কথা নয়, আমার মতে নাস্তিকতাবাদ ও একটি ধর্ম। তাই আমার মতে মুক্তমনা হতে হলেই যে নাস্তিক হতে হবে তা মনে হয় না। মুক্তমনা ভাই বোনেরা হয়ত এতে কড়া আপত্তি করবেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আমি কোন যুক্তি তর্কে যাব না, কারন তা কোন দিন সম্ভব না। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যক্তিতর্ক ছাড়াও জগতে অনেক কিছু রয়েছে। যারা অংক কসে বা ধর্মে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে গডের অস্তিত্ব প্রমান করতে চান আমার মতে তারা বড় ধরনের ভুল করেন।
মুক্তমনাদের থেকে ধর্মের অনেক কাল অধ্যায় জানতে পেরেছি যেগুলি ধর্মবাদীরা কোন সময় আলোচণা করেন না। প্রথম দিকে মনে হত সবই ষড়যন্ত্রের ফসল, তীব্র ইসলাম বা ধর্ম বিদ্বেষ। কিন্তু কৌতূহ্ল বশঃত কিছু তথ্য সম্পর্কে খোজ করে নানা সূতে জানতে পেরেছি যে সেগুলি সত্য, কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি নি। এতে ফল হয়েছে যে ধর্মের নামে যা তা কথা বা কালা কানুন চাপিয়ে দিলেই আমার যুক্তিবাদী মন তা আর আগের মত গ্রহন করে না। ধর্মের নামে ভন্ডামীও নীরব দর্শকের মত দেখতে ইচ্ছা করে না। সদালাপে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষনা এবং লালনের মূর্তি ভাঙ্গা বিষয়ে দু একটি লেখাও লিখেছি। আমার কিছু বন্ধু বান্ধবকে মুক্তমনার লেখাগুলি পড়তে বলেছিলাম, মুশকিল হল ঈমান যাওয়ার ভয়ে তারা কেউই মুক্তমনায় ঢুকতে চায় না। ঈমানের ভিত্তি এত নরম কেন তা অবশ্য আর ভয়ে জিজ্ঞাসা করি না।
আমি নিজে আস্তিক হলেও মুক্তমনার নাস্তিক লেখকদের প্রতি আমার কোন খেদ নেই। যতক্ষন তারা সত্য বা যুক্তিপূর্ণ লেখা চালিয়ে যাবেন ততক্ষন তাদের প্রতি আমার অভিনন্দন থাকবে। আপনাদের থেকে আমি অনেক কিছূই জানতে পেরেছি যা দিয়ে বলা যায় আমার চিন্তা চেতনায় বড় ধরনের নাড়া এসেছে।
সব লেখক লেখিকাকে অভিনন্দন, সবাই ভাল থাকবেন।
– আদিল মাহমুদ।
জনাব আদিল মাহ্মুদ, এত কিছু জানার পরো আপনি কিভাবে আস্তিক? যুক্তির বাইরে কি আছে? যুক্তির বাইরে ত আছে god. কিন্তু বিজ্ঞান যখনই েসখানকার যুক্তিটি আবিস্কার করছে, god তখনই পালিয়ে যাচ্ছেন সসম্মানে। হ্যাঁ, বিজ্ঞান এখনো আবিস্কার করতে পারে নি অনেক, অনেক কিছু। তাই বলে কি ব্যাখা না জানা ব্যাপারগুলি কি অলৌকিক god এর কৃর্তী?
@আদিল মাহ্মুদ,
আপনার কথাগুলো সুন্দর। “মুক্ত মনা” হতে হলে নাস্তিক হতে হবে, এটা যে বিশ্বাস করে, আসলে সে এখনো মুক্ত মনা হতে পারেনি। ঈশ্বর আছে কি নেই, সেটা নিছক অন্তরের অনুভূতির কথা; যুক্তি দুই দিকেই আছে, এবং অনেক কালি-কাগজের শ্রাদ্ব হয়েছে। খেতে ফসল ও নদীতে মাছের অভাব হবেনা, তবে সবার পেটে খাবার ও শরীরে কাপোড় হবে কিনা, তা নির্ভর করে আমাদের মানব-প্রীতির উপর। তাই নর্মান বরল’গ আমাদের নমস্য, যার জেনেটিক গবেষণার ফলে পৃথিবী থেকে ক্ষুধা দূর হয়েছে…. এক্ষেত্রে তাকে যদি খ্রীষ্ট ধর্ম অনুপ্রাণিত করে থাকে, তাতে আমার মুক্ত মন হোচট খাবার কোনো যুক্তি নেই।
আর মৃত্যুর পরে বরল’গ যদি Paradise গিয়ে থাকেন, তাতে আপনার-আমার কি আসে যায়!
কেমন আছেন দাদা বাবুরা…!!!!
এমন শেখা শেখাইলেন যে সাইদি এবং নিজামী ও যদি একটিবার এই লেখা পড়ে থাকেন ,
তাহলে নাস্তিকদের খাতাই নাম লিখে ফেলবে। আচ্ছা একটি কতা শুনেন, গোটা জগতের কতা
বাদ দিন, বাংলাদেশে ১৫ কোটি জনগনের মদ্ধ্যে কয়জন লোক নাষ্তিকদের কাতারে পাওয়া যাবে ? বাংলাদেশে কারা ভোটে জমানত হারায় ? রানা ফারুক বয়সে তরুন, রতি মাহারথিরা কিছু টাকা কড়ি পাটিয়েদেন ভাগিয়ে নিয়ে আসুন। আমরা বিবাহ প্রথা, আমরা হাজার বছরের গটিত সমাজ ভাংতে এক পায়ে দারিয়ে, বড় বড় নাস্তিক গেল তল…ঘোড়ায় কয় আর কত ঝল…? রানা ফারুক তুমি আমাদের কাতারে আসসো তাই
তোমাকে ওয়েলকাম
(এই মন্তব্য থেকে আপত্তিকর একটি লাইন বাদ দেওয়া হয়েছে – মডারেটর)
Dear Rana,
Congratulations on your great accomplishment. It is much harder to unlearn something as old as religion that is drilled into our heads at birth than to learn something new. You have achieved this rare feat almost on your own. The rest is easy. You start with the simplest, say, Aroozullah Matubbar’s beautiful works that are easily available in Dhaka (I hope). Then follow the advice given by these
learned people who already wrote to with so many advice. I’m not going to give you any more. Just follow your instincts. You are already there, almost. Now is the time to enjoy your new-found freedom by devouring every bit if knowledge you can get along the way. Best wishes, young man.
We, in the Muktomona family, will be right behind you. Mizan Rahman.
রানা ফারুক, মনে হয় ভয় পেয়ে ভাইগ্যা গেছে …। এত সব আতেল রা এত এত বইয়ের পাহাড়ের নীচে বেচারাকে ডুবিয়ে দিছে যে বেচারা … ভাবছে ভিক্কা চাই না কুত্তা সামলাও |
বিপ্লব পাল এত দিন পরে একটা খাটি কথা কইছে …| নাস্তিক হইতে গেলে কিছুই পড়ন লাগে না, মন টা জানালা -দরজার মত খুইলা দিলেই হয় …।আর যে সব মহাপুরূস রা মুক্তমনায় গ্যান দিচ্ছে–হেরাই কি নাস্তিক্…| লিখনের বেলায় বড় কথা-…
আর একটা কতা, রানা ফারুক কি গায়েবি না আসল? পাবনা থ্যাইকা নিজামিও ত
হেই নামে ই-মেইল করতে পারে?? দেখা গেল, আল্লার মত রানা ফারুক ও এক গায়েবি মাল…| আথচ , মুক্তমনার মহা মহা প ন্ডিত রা ঘুম হারাম করছে–
এই না হইলে যুক্তি বাদি…। মোল্লারা যেমন ইসলাম শুনলেই মাথা চাড়া দেয়।।
এটা বদরুল ইসলাম না , আমিনুল ইসলাম সেটা দেখে না্্ মুক্তমনার গ্যানিরাও তেমনি… নাস্তিক পাইছি শুনলেই হইল… মাল আসল না নকল, সেটা পরে দেখন জ়াইব। চিলের পেছনে ছুটি… নিজের কান পরে দ্যাখন জ়াইব…
ভাল থাইকেন সবাই…
একটু পর্যবেক্ষন করলেই দেখা যাবে, একদম অজ্ঞ মাঠে ঘাটে কাজ করে খায়-তারা মৌলবাদি বা ধর্মান্ধ নয়। সৃষ্ঠির আদিতেও মানুষ ধর্মান্ধ ছিল না-বেঁচে থাকার তাগিদে-মানুষ নিজের বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগায়-সেখানে এই সব অযৌত্ত্বিক ধর্মীয় ব্যাপার আসতে পারে না।
ধর্মান্ধ শ্রেণীটাকে লক্ষ করুন-গরীব/মধ্যবিত্ত এবং একটু পড়াশোনা জানে। বড়লোকদের ধর্মটা শ্রেফ দেখানো-সামাজিক প্রতিপত্তি বেড়ানোর জন্যে। আসলে কি হচ্ছে-একটা লোক যখন দুপাতা বই মুখস্থ করে, এই সমাজে জীবনধারন করতে পারছে-তাকে তার স্বকীয় বুদ্ধি এবং
অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হচ্ছে না-তখন সে সব থেকে বেশী ধর্মান্ধ হয়। এই জন্যে চাকুরীজীবি, শিক্ষক ( বা বুর্জোয়া শ্রেণীই ধরুন) ইত্যাদি পরজীবি শ্রমের লোকেদের মধ্যে ধর্মান্ধতার রমরমা।কারন এক জন গণিতের শিক্ষক-কয়েকটা অঙ্ক মুখস্থ করে ক্লাশে করে দিলেই, তার উদরপূর্তি হয়। এই কারনেই সে সবথেকে বেশী ধর্মান্ধতার স্বীকার হতে পারে কারন-তাকে এক জন মাঠে খেটে খাও্য়া মানুষের তুল্য স্বাভাবিক বুদ্ধি গুলো লাগিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে না।
আবার এই শ্রেণীর ই কিছু লোক বেশী আলোকপ্রাপ্তা হয়।
তাহলে এই বৈপরীত্ব কেন সেই প্রশ্নটাই করা উচিত। সেখানেই ধাঁধার উত্তর মিলবে। আসলেই এটা একটা নৃতাত্ত্বিক কনস্ট্রাক্ট মাত্র, যা স্যোসাল কনট্রেক্টের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।
Right u r Biplab pal. I never read those books. But i’ve been agnostic observing my surroundings
আমার মনে হয় না এত কিছু পড়ার দরকার আছে। চোখ কান খোলা রাখলেই সবাই বুঝবে কারা কি ভাবে ধমমের নামে কি কেততন চালায়
আজীম রহমান, আপনি ইউরোপ আমেরিকায় নাস্তিক্যবাদের যে পরিংখ্যান দিলেন তা সত্য। কিন্তু পাশাপাশি আমাদের এটিও ভুললে চলবে না যে পৃথিবীতে এখনো মুসলমানদের জন্মহারই সবচেয়ে বেশী। মুসলমান দেশগুলোতে তো বটেই, ভয়ের বিষয় হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাতেও মুসলিম জনগোষ্ঠির মধ্যেও জন্মহার সবচেয়ে বেশী। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপ-আমেরিকাতেও মুসলমানরা majority হয়ে যেতে পারে। তারা সবাই liberal muslim হবে নাকি practicing muslim হবে সেটাই হলো প্রশ্ন। ভয়ের বিষ্য়টি সেখানেই। ইউরোপের যেসব দেশের নাস্তিক্যবাদের পরিসংখ্যান আপনি দিলেন সেসব দেশের লোকসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের লোকসংখ্যার অনুপাতে অনেক কম। তাই এক অর্থে জন্মহার হিসেবে ইসলাম ধর্ম fastest growing এটা অসত্য নয়। আর পশ্চিমা বিশ্বে নাস্তিক্যবাদের উত্থান শুরু হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে নাস্তিক্যবাদের প্রচার প্রসার একেবারে নেই বললেই চলে। এসব অঞ্চলে ধর্মের সমালোচনা, ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব কমই tolerate করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের situation নতুন করে বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। রানা ফারুকের মত মানুষদের সংখ্যা হয়তো শম্ভুক গতিতে বাড়ছে কিন্তু সেটা আশানুরূপ নয়। অন্তত আমি আমার personal experience থেকে বলতে পারি যে আমি এখন পর্যন্ত বাসে,ট্রেনে, সভা , সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, টক শোতে, যেকোন gathering এ, এমনকি personally কারো কাছ থেকে ধর্ম নিয়ে বা ধর্মের কোন বিশেষ অনুশাসন সম্পর্কে কোন যুক্তিবাদি প্রশ্ন বা আলোচনা শুনিনি। নিজেও মাঝে মাঝে অনেককে বাজিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছি যে ধর্মের বিশেষ বিশেষ অনুশাসন সম্পর্কে তাদের কি মতামত। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি তাদের মতামত শুনে। তারা নিজেরা ধর্মের ঐসব অনুশাসন না মানলেও ঐসব আনুশাসনের প্রতি তাদের অগাধ সমর্থন রয়েছে। তারা ধর্মকে ভয় পায়। বলে যে ” আর যাই বলেন, দ্য়া করে ধর্ম নিয়ে কথা বলবেননা। কোন প্রশ্ন তুলবেননা।” এই হলো বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি। অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। আমরা আধুনিক জীবনের সব উপকরণ ব্যবহার করছি, চারপাশের পৃথিবীর সবকিছুই দেখছি, উপলব্ধি করছি সবকিছু কিন্তু আমাদের মনের সংকীর্ণতা দূর হচ্ছে না কিছুতেই। আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্য়ের ছাত্র। সেখানে আমার সহপাঠিদের মানসিক সংকীর্ণতা, ধর্মের প্রতি অগাধ আস্থা, ভক্তি দেখে আমি মাঝে মাঝে বিস্মিত হই এবং নিজেকে প্রশ্ন করি ” কোথায় আমরা প্রগতিশীল হচ্ছি? কোথায় আমরা সংস্কারমুক্ত হচ্ছি? ” আমরা আসলে সবই বুঝি, কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করি। আমাদের young generation নিজেরাই confused.
তবে আমার যা মনে হ্য় তা হলো, একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমরা বিশ্ববাসিরা নাস্তিক, আস্তিক, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, আজ্ঞেয়বাদি, ইহুদি, শিখ……… যাই হই না কেন, আমরা সকলেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে এবং সমাজ বিবর্তন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় একটি সাধারণ life style এ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের অজান্তেই ধর্মীয় অনুশাসন আমাদের মধ্য থেকে উঠে যাচ্ছে যদিও বিশ্বাসটা এখনো রয়ে গেছেই। আমি বলছিনা যে আমাদের মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসন পালনরত কেউ নেই। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বাসটাও উঠে যাবে। তাও ভাল শুধু ধর্মবিশ্বাসী হওয়া, ধর্মীয় অনুশাসনের অনুসারী হওয়ার চেয়ে। বিশ্বাসটা অন্তত অতটা repressive না যতটা repressive অনুশাসন। অবশ্য যিনি বিশ্বাসী কিন্তু অনুশাসনের অনুসারী নন, তারও অনুশাসনটির প্রতি পরোক্ষ সমর্থন রয়েই যায়। সমস্যাটা সেখানেই। এর সমাধান কি?
আগের দিনের চেয়ে আজকের যুগে নাস্তিক হওয়া অনেক সহজ। ইন্টারনেটেই সব কিছু আছে। চোখ কান খোলা রেখে একটু দেখলেই হয়। বছর দশেক আগেও বাংলাদেশে ইন্টারনেট এত এক্সিসেবল ছিলো না; তখন অনেক কষ্ট করে ভাল ভাল বই পত্র যোগার করতে হত। এখন ইন্টারনেট, গুগল বুকস, ভার্চুয়াল লাইব্রেরী, ফেস বুক, ব্লগ … এই সব কিছু তথ্যকে নিয়ে এসেছে অনেক কাছাকাছি। যত তথ্য মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, তত মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আজ সুইডেনে শতকরা ৮৫ ভাগ লোক অবিশ্বাসী, দেনমার্কে ৮০ ভাগ, নরওয়ে তে ৭২ ভাগ, গ্রান্সে ৫৪ ভাগ, ব্রিটেনে ৪৪ ভাগ মানুষ ধর্ম কর্ম কিংবা ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও গত কয়েক বছরে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। মুসলিমরা ইসলামকে ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং রিলিজিয়ন’ নাম দিয়ে গর্ব বোধ করে। তাদের আমি পূর্ব ইউরোপ সহ সারা বিশ্বের দিকে নজর দিতে বলি। ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং বলে যদি কিছু থেকে থাকে আজ – তা হচ্ছে নাস্তিকতা। মানুষ আজ বিশ্বাস হারাচ্ছে – এটাই সত্য।
আগের দিনে বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাতে জোর করে ধর্ম টিকায় রাখার চেষ্টা করা হত। টিভি খুললেই কারী হাবিবুল্লাহ বেলালীর কোরান তেলাওয়াত, রাত নয়টা বাজলেই উজ্জীবন, রাত এগারোটা বাজলেই – হামদ নাথ। বিরোধী কন্ঠকে কখনোই প্রকাশিত হতে দেয়া হয় নাই। বিটিভিতে কি কেউ কখনো নাস্তিকতা/বিজ্ঞান মনস্কতার প্রচারণামূলক কোন অনুষ্ঠান কখনো কেউ দেখেছিলো? আমার তো মনে পড়ে না। অনেক কষ্ট করে উলটো স্রোতে দাঁড় বেয়েছেন আহমদ শরীফ, আরজ আলী মাতুব্বর, তস্লিমা নাসরীন কিংবা হুমায়ুন আজাদেরা। একটু তেড়িবেড়ি কিছু লিখলেই কন্ঠরোধ, বই ব্যান কিংবা মুরতাদ ঘোষনা। আজ আর সেই দিন নাই। গুগলে একটা সার্চ দিলেই জানা যায় মুহম্মদ আয়েশার সাথে বিয়েতে বসেছিলো তখন আয়েশার বয়স ছিলো ৬, কিংবা দাসী মারিয়ার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি এমন কি করছিলেন যে আয়শা আর হাফসাকে রাগান্বিত করে তুলেছিলো! ভন্ড ধর্মগুরুরা সব সময়ই যে কি ভন্ডামী করেছে তা ইন্টারনেট আসারা আগে এমনি ভাবে কখনো প্রকাশিত হয় নি।
মুক্তমনার আর এ ধরণের সাইটগুলো মানুষের মিথ্যা বিশ্বাস ভাংতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নিঃসন্দেহে। মুক্তমনার ই বুক -‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ বই আকারে বের হলে অনেকেরই টনক নড়ে যাবে। আমি সবাইকে এই বইটার প্রবন্ধগুলো পাঠ করতে বলি সবার আগে।
আজীম।
রানা এত শত বইয়ের নাম দেখে ঘাবড়ে যেতে পারে । 🙁 এখানে যে বইগুলোর নাম এসেছে, নবীন মুক্তদের সুবিধার্থে মুক্তমনার মডারেটরগণ ‘মুক্তবই’ বা এ জাতীয় শিরোনামে আলাদা বিভাগ রাখতে পারেন । 😎
Dear Rana Faruk and also other ‘Ranas’
The Bangladesh you are living now was my birth place. Even I could not live there but I could not also forget the “Sosyo Shayamola” janmo bhumike, sei Matri Janoni Bangadesh ke. I remember the green meadows, the flowing rivers, the gentle breeze over the bank of river Madhumati and the so many… I travelled and lived many countries but never I found the same as I saw in Bangladesh, the golden Bangladesh.
Presently I am living in Kuala Lampur and came in contact with the CD of Bangla Natok. I have seen a tremendous amount of free minded expression in most of the Natok. Its a very positive indication to the road of progress.I feel proud of that.The letter You have written to Scientist Avijit Roy is also an indication of progress in thoughts.More or less some fundamentalist elements are there every where in this world. Bangladesh is not free of them. They do not understand no nation can climb the peak of international reputation and can not achieve respect if the nation does not give respect to other people of other religious fath.’Religion’ is a path or road to live and to let live a good life not to harm or not to be harmed.Every person in his or her won way is the maker of his or her religion or faith.When any people achieves the peak of self ‘enlightenment’, he is above all religion and what he tells others, they follow it.’Enlightenment’ is very big word to understand. You know there are so many ‘satans’ reigning our region who are always trying to massacre the peaceful lives. They are teaching the people of the new generation to take a vow of religious intolerance.I read in book in my childhood that only the tolerant people can survive. The meaning is very broad. The tolerant people means tolerant nation and the meaning of survival means living with honour and dignity. One day the ‘Punor Jagoran’ (Renaissance ) started from Bengal.All over the world people bow to Bengal but now the things have been changed because of the ‘dreadful horror dance’ of the satans who teach only differentiation between mankind on the name of religion.They want where they live will be segregated from the main stream or they desire to satisfy some particular nations and thus they may financially be binifited.These Satans must be destroyed but before destruction as a rule of the nature the Satans become more energized for a short time.The destruction of the Satans can be possible sooner the people of the new generation become Mukto Mona .The more the people will be mukto mona the more will be chance of regaining the past glory and to live with self respect. And once the region become free of Satans, all people will live in peace, honour and dignity which are the food of mind and without these lives are dead.
রানা ফারুকের প্রতি
অনেক অনেক পড়াশুনার প্রয়োজন আছে জ্ঞ্যান বাড়ানোর জন্য। তার সাথে সাথে নিজেকে
নিরন্তর প্রশ্ন কর আর যুক্তিবাদি মন প্রয়োগ করে তার উত্তর দাও। আপন মনে ক্রমাগত
তর্ক বিতর্ক করে যাও। ক্রমশ ভয় ভীতি কাটতে থাকবে আর সাহস বাড়তে থাকবে। তখন মনে হবে ধর্ম একগাদা আজগুবি গাজাখুরি বিশ্বাস এর আবর্জনা।
প্রতিটি ধর্মের মালিক হলেন গিয়ে আল্লা বিল্লা নামক বিরাট ক্ষমতাবান পালোয়ান। বিশ্বাসির কল্পলো্কে যার বসবাস। যদি পার সেই পালোয়ানের লুঙ্গি ধরে টানাটানি শুরু করে দাও আর জোরসে হাসতে থাক। কেল্লা ফতে। যাত্রা শুভ হক।
প্রিয় রানাঃ
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ জীবনে ‘বোকা’ হয়েছেন তাঁর বাবার উপদেশে; বাবাকে মান্য করেছেন তিনি। আর আমরা ‘বোকা’ হয়ে এই কাজে হাত দিয়েছি গুরুজনদের অমান্য করে। পদে পদে নিন্দা-গালিগালাজ শুনেই অভ্যস্ত। মাঝে মাঝে তোমার মত দু’এক জন যখন চিঠি লেখে পরিবর্তনের জানান দেয়, আমাদের বোকামিটা তখন আনন্দাশ্রুতে রূপ নেয়, অনেকটা শরৎবাবুর কেষ্টর মত, ‘এদেশে যে কেহ এমন করিয়া কথা বলিতে পারে, ইহা তাহার মাথায় ঢুকিল না।’
বইয়ের তালিকা যা দেয়া হয়েছে, আমি তাতে আর কিছু যুক্ত করার প্রয়োজন দেখছি না। শুধু এ টুকু বলবঃ নিজের বিবেক ছাড়া কারো কাছে নত হয়ো না।
অনেক অভিনন্দন!
-জাহেদ আহমদ
নিউ ইয়র্ক
Dear Friend,
Read Darwin:
http://darwin-online.org.uk/
রানাকে স্বাগতম যে নিজের গতানুগতিক চিন্তার সাথে যুদ্ধ করে এক নতুন চিন্তার জগতে পা দিচ্ছে । রানার মতো আরো লাখ লাখ রানারা যেন তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে এ আশা করছি। আর এ জন্য মুক্তমনাকে এখনই তা ভাবতে হবে কিভাবে আমরা নতুন লোক ও তরুণদের মাঝে বাংলাদেশে কাজের পরিধি বাড়াতে পারব।
রানাকে বলছি আমাদের বন্যার লেখা ” বিবর্তনের পথ ধরে ” বইটি পড়লে জীবন, জগত, দর্শন, বিজ্ঞান, মহাবিশ্ব এক কথায় একসাথে অনেক কিছু জানা যাবে। জীবনকে বোঝার জন্য এ এক মহা দলিল।
( এই মন্তব্যের বানান ভুলগুলো সংশোধন করে দেওয়া হলো – মডারেটর )
রানা ফারুক,
আপনাকে অভিনন্দন। মন মুক্ত না হলে মুক্ত চিন্তা করা যায় না, আর মুক্ত চিন্তা ছাড়া পৃথিবী আগাতে পারে না। তাই আপনাদের মতো তরুণদের মুক্তমনা হওয়াটা খুবই জরুরী। ‘মুক্তমনা’ ওয়েব সাইট আপনাকে মুক্তমনা হতে প্রেরণা যুগিয়েছে, এটা যারা মুক্তমনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সেই অভিজিৎ, ফরিদ আর জাহেদদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রাপ্তি। তাদের পরিশ্রম সার্থক হচ্ছে, আমি জানি, এই বোধটা তাদের কাছে বিরাট একটা পাওয়া। আপনি এটা জানিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনাকে মুক্তমনায় স্বাগতম।
ইরতিশাদ আহমদ
I am not surprised at all. Rana is not the one, readers might not aware that there are lots of Rana’s and I am one of them. I will suggest Mr. Rana to stick with mukto-mona. If you can read all the article from here, you don’t need any other referances. Specially Mr. Abul kasem’s articles, bealive me those are killer. I broke the shackle with the help of mukto-mona and now I am a member of it. Best wishes for you and those other guys who is trying to get rid of it….
এই পোস্টটা ক্রমশঃ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে সমস্ত বই এবং ওয়েব সাইটের নাম দেয়া হচ্ছে, সেগুলো শুধু রানা নয় – অনেকেরই কাজে আসবে। আমি কিছু কিছু পোস্টের লিঙ্ক টিঙ্কগুলো একটু ঠিক ঠাক করে দিয়েছি।
কারো আপত্তি না থকলে আমি এ পোস্টটিকে দিন কয়েকের জন্য আমাদের মেইন পেইজে স্টিকি করে রাখতে চাই।
আর ব্লগ পাঠক এবং লেখকদের প্রতি অনুরোধ – আপনারা প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন করতে থাকুন।
রানা ফারুককে সাধুবাদ জানাচ্ছি তার মনের কথা লিখে জানানোর জন্য মুক্ত-মনা ফোরামে।
নাস্তিকতাতে বিশ্বাস আনতে হলে অতশত বই পড়ার দরকার নেই। এই কথাটি oxymoronic হয়ে গেল! বিশ্বাস বা ব্লাইন্ড ফেইথ জিনিষটা ধর্মের অন্তরভুক্ত – নাস্তিকতায় নয়!
ধর্মের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে হলে স্রেফ একটি বই পড়া দরকার, আর সেটি হলো – ডারউইনের থীওরীর ওপর লেখা যে কোনো ভালো বই। ডারউইনবাদ এর মূখ্য কথা বা স্বাদ গ্রহন করলে একে একে ধর্মের সব দেয়াল ধ্বসে পড়বে। ধর্ম গ্রন্থের মনগড়া কথায় – কী ভাবে মানুষ ধরায় এসেছে – বিধাতার একটি মাত্র ইঙ্গীতে – সেটি রুপকথার মত লাগবে শুনতে!
অতএব, ডারউইনবাদটি কী, সেটি আগে জানার চেষ্টা করুন। বর্তমানের জীনোমিক্স, বায়ো-ইনফরমেটিন্স, হিউমেন জিনোম প্রজেক্ট এই সব সংক্রান্ত লেখা পড়লে এটা জলবত তরলং হয়ে যাবে যে ধর্ম মানুষ এর আবিষ্কার! তিন চার বিলিয়ন বছর আগে প্রথম জীবকোষ আপনা থেকে তৈরী হয় – তারপর কী ভাবে সেই কোষ সময়ের চাকায় বদলাতে বদলাতে মানুষে পরিণত হলো, তার ইতিহাস জানতে হলে পড়ুন ডারউইনবাদ। দেখবেন, অনেক কিছু যে গুলো আগে বুঝা যেত না তা বুঝা যাচ্ছে।
পূর্বের ১১ নম্বরের বইটির নাম হবে :
(১১) রাহুল সাংকৃত্যায়নের ‘তোমার ক্ষয়’…
ধন্যবাদ
রানা ফারুককে কয়েকটা প্রাথমিক লেভেলের বাংলা বইয়ের নাম বলছি,আমার কাছে মনে হয় যা একজন মানুষের মনে বা চিন্তায় সংশয়,যুক্তির দৃঢ়তা আনয়ণে,বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রানা ফারুক বা আরো অনেকেই হয়তো এই তালিকার অনেকগুলি বইই পড়ে ফেলেছেন, তারপরও বলছি :
(১) প্রবীর ঘোষের ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ (১ম থেকে ৫ম খণ্ড), ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না’, ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা’ (১ম-২য় খণ্ড), প্রবীর ঘোষের সম্পাদিত গ্রন্থ ‘যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’, ওয়াহিদ রেজার সাথে যৌথভাবে সম্পাদিত ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’।
(২) ভবানীপ্রসাদ সাহুর ‘ধর্মের উৎস সন্ধানে’, ‘মৌলবাদের উৎস সন্ধানে’, ‘অধার্মিকের ধর্মকথা’, ‘আস্তিক-নাস্তিক’ ইত্যাদি।
(৩) সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন ভারত নারী ও সমাজ’, ‘প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য’, ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’ ইত্যাদি।
(৪) বার্ট্রান্ড রাসেলের গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘কেন আমি ধর্মবিশ্বাসী নই’, ‘ধর্ম ও বিজ্ঞান’, ‘বিবাহ ও নৈতিকতা’ ইত্যাদি।
(৫) জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের ‘ধর্মের ভবিষ্যৎ’, ‘মহাকাব্য ও মৌলবাদ’ ‘সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভগবদ্গীতা’, ‘গণতন্ত্র, ধর্ম ও রাজনীতি’ ইত্যাদি।
(৬) শফিকুর রহমানের ‘পার্থিব জগৎ’, ‘হিউম্যানিজম’, ‘গোলাম আজমের ইসলাম নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ’ ইত্যাদি।
(৭) মনিরুল ইসলামের ‘বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার’ (ক্যাথার্সিস পাবলিশিং, ঢাকা, ২০০৮)।
(৮) অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’, ‘আমার অবিশ্বাস’।
(৯) শিবনারায়ণ রায়ের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (১ম-২য় খণ্ড), ‘মূঢ়তা থেকে মানবতন্ত্রে’, ‘নজরুল থেকে তসলিমা : বিবেকী বিদ্রোহের পরম্পরা’ ইত্যাদি।
(১০) বেনজীন খানের ‘দ্বন্দ্বে ও দ্বৈরথে’, ‘সলমান রুশদিদের সেফ হ্যাভেন ও একজন সম্মানিত বিবেক’, ‘পশু কোরবানি ও একটি বিকল্প প্রস্তাব’ (সম্পাদিত), ‘প্রকাশিত গদ্য’।
(১১) রাহুল সাংকৃত্যায়নের ‘তোমার য়’, ‘দর্শন দিগ্দর্শন’ (১ম-২য় খণ্ড), ‘বৌদ্ধ দর্শন’, ‘বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ’ ইত্যাদি।
(১২) দেবীপ্রসাদ চট্টপাধ্যায়ের ‘লোকায়ত দর্শন’, ‘প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে’ ইত্যাদি।
(১৩) কাজী আব্দুল ওদুদের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ ও আবুল হুসেনের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’।
(১৪) শামসুল হকের ‘নারীকোষ’।
এছাড়া আরজ আলী মাতুব্বর, ড. আহমদ শরীফসহ আরো অনেক লেখকের বহুল পঠিত বই তো আছেই। এবং উপরেল্লেখিত বই থেকে আরো অনেক বইয়ের নাম জানা যাবে যা আমি মনে করি একজন ব্যক্তির চিন্তার স্বাধীনতার বিকাশ, চর্চা, আর যুক্তিমনস্ক মনন গড়ে তোলতে বিশাল ভূমিকা পালন করবে।
সবশেষে তালাতের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলছি, অভিজিৎদা আর মুক্তমনা’র কাছে আমার ঋণ শোধ হবার নয়। এ নিয়ে অন্য একদিন লেখার ইচ্ছে আছে; এখন আপাতত এটুকুই বলতে পারি, আমার আজকের ‘আমি’ হয়ে ওঠার পিছনে বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছেন অভিজিৎদা ও মুক্তমনা।
ধন্যবাদ সবাইকে।
স্বাগতম রানা ফারুক ! আরো বেশী রানা ফারুকের জন্ম হোক বাংলার ঘরে ঘরে……
আপনাকে শুধু একটাই কথা বলার আছে, পড়তে থাকুন, খালি পড়ুন আর পড়ুন । একটা পড়ে শেষ করার পর অন্য পড়ার মাঝখানে নিজেকে কিছুটা সময় দিন । তাতে সম্পুর্ন বিষয়টা নিজের মধ্যে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে, ধারণ করতে সুবিধা হবে আপনার জন্য । আমাদের সবারই কিছু স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি আছে – অনেক ব্যাপার বোঝার জন্য সব সময় মহা জ্ঞানী হতে হয় তা ঠীক নয় । শুধু নিজের মনকে প্রশ্ন করুন, সৎ ভাবে । অনেক উত্তর নিজেই খুঁজে পাবেন । যতটা সম্ভব নিজেকে যেকোন পরিস্থির জন্য প্রস্তুত রাখুন, সাহস হারাবেন না । বিভ্রান্ত হলে, ঠান্ডা মাথায় ভাবুন । বাইরের মানুষের কথা বাদ দিলাম, আপনার আশ-পাশের মানুষ, ঘরের মানুষেরাই আপনার দুঃখ-কষ্টের কারণ হতে পারে । তাদের থেকেই সবচেয়ে বেশী বাঁধা আসবে, জীবন তারাই অতিষ্ট করবে সবচেয়ে বেশী । তবে রেগে না গিয়ে যথাসম্ভব যুক্তি দিয়ে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন ।
সবচেয়ে ভালো হয় যথাসম্ভব এদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা…! মানসিক শক্তির ও দরকার প্রচুর । শুভকামনা ।
সম্ভবত মুক্তমনা ওয়েবসাইট visit করে নিজ়ের বিশ্বাসের জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে নাস্তিক হয়ে মুক্তমনায় সেটা জ়ানিয়ে চিঠি পাঠানোর ঘটনা এই প্রথম। অন্তত আমার দেখা অনুযায়ী। তবে আমাদের আরো রানা ফারুক দরকার। বাংলাদেশে মুক্তমনার visitor মোট কতজন, এর আর্টিকালগুলো পড়ে কতজন মানুষ নিজেদের বিশ্বাসের জগতে তাৎপর্যপূর্ণ পরির্তন এনেছেন তার একটি জরিপ করতে পারলে খুব ভাল হতো।
বেঁচে থাকো বাবা, সাহস বাড়ে তোমাদের এই লেখাগুলো থেকে।
Welcome Rana.If you get any chance try to read Humayun Azad’s ”amar Obissas” .From my experience i can tell you,when religious people will first notice that you have lost your faith on religion many of them will try to prove you wrong by engaging in illogical debate with you.Try to avoid those people who run by blind faith and never use logic in that type of debate.
রানাকে স্বাগতম! বুকে চেপে বসে থাকা ধর্মের পাষাণভার মুক্ত হয়ে এবার প্রাণভরে শ্বাস নিন । 🙂
বিজয় লেআউটটা দিয়ে করা মন্তব্যটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেছে। আপনার ইউনিজয়টাই বরং নিখুঁত এসেছে। আগের মন্তব্যটা ইউনিজয়ে করে দিন। পড়তে সুবিধা হবে।
উপরের মন্তব্যটা বিজয় লেআউটে করে উপরোক্ত ফলাফল। এবার অনটেস্ট করলাম ইউনিজয়।
কী, কনে, কীভাব ে?
য েকোন বষিয় েএই তনিট িপ্রশ্ন করুন এবং তারপর েউত্তর খুঁজত েথাকুন। সহায়তা হসিবে েযসেব বই আর ওয়বেসাইটরে এড্রসে দয়ো হয়ছে েবভিন্নি মন্তব্যগুলোত,ে অসাধারণ ! রানা ফারুকরে মতাে অনকেরেই যথাযথ উত্তর পাওয়া এখান েসম্ভব।
আমাদরে গড় েউঠার সময়টাত েএমন সুযোগ ছলিো না। ভতেররে তাড়নায় খুঁজ েখুঁজ েবড়েয়িছে।ি
আরজ আলী মাতুব্বররে বইটা আগ েপড় েনলি েপ্রশ্নকরার বষিয়টা আরো স্পষ্ট হয় েউঠব।ে
কোন কছিুই আগ েবশ্বিাস না কর েনজিস্ব যুক্তবিোধটাক েব্যবহার করুন।
উলটো রথের যাত্রায় রানাকে স্বাগতম। ঝাঁকের মাছ না হয়ে উজানস্রোতে সাতার কাটা অনেক অনেক কঠিন কাজ। এর জন্য অসম্ভম মানসিক শক্তি থাকতে হয়। সেই সুকঠিন কাজটাকে আপনি বেছে নিয়েছেন এই অল্প বয়সে। সে কারণে আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আর মুক্তমনা আপনাকে সেই কাজে সাহায্য করেছে বলে আমাদেরও খুব ভাল লাগছে।
কাল্পনিক গালগল্পে ঠাসা ধর্ম নামক সুপ্রাচীণ প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে প্রশ্নহীন এবং শর্তহীন আনুগত্যে মানুষকে বেধে রেখেছে তার থেকে লোকজনকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই মুক্তমনার পথ চলা শুরু। যদিও সেই পথ কখনো ফুল বিছানো ছিলনা আমাদের জন্য। ছিল এবড়ো থেবড়ো বন্ধুর, ছিল কঁণ্টকময়। এখনো তাই আছে। আপনি, অনন্ত বিজয় বা শিক্ষানবিশের মত সদ্য তরুণদেরকে যখন আমরা আমাদের সেই দুর্গম পথ চলায় সাথী হিসাবে পাই আমাদের নিজেদের মনোবলও বেড়ে যায় অনেক বেশি পরিমাণে।
রানা ফারুককে মুক্তমনায় স্বাগতম। রানার যে ছোট চিঠিটি মুক্তমনাতে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে তাঁর যে মনের ভাব প্রকাশ হয়েছে, সেটা মনে হয় কিছুটা হলেও ধরতে পারছি। এ সময় মনটা বিক্ষিপ্ত হওয়া, হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। আমি নিজেও দীর্ঘদিন এই ধরনের হতাশায় ভুগেছি; যেমন ধরেন : ঐ সময় নিজের ভিতর একটা অস্থির-অস্থির ভাব কাজ করতো, গোটা দুনিয়টাকে মেকি মনে হতো, মানুষে-মানুষে সম্পর্কটাকে ন্যাকামো লাগতো, কোনো কিছুতে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হতো, এমন কি এই দুনিয়াতে জন্ম হওয়ার কারণে অপরাধী মনে হতো! …. ইত্যাদি। আমি আমার সমমনা বন্ধুদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছি, অনেকেই একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এখন যেটা বুঝতে পারি, আসলে আমার চারপাশের পরিবেশ আমার জন্য সহায়ক ছিল না, উপযোগীও ছিল না। আমার অনেক প্রশ্ন আমি কাউকে করতে পারতাম না, কারো সাথে ঈশ্বর-ধর্ম নিয়ে প্রচলিত ধারণার বাইরে ভিন্ন কিছু আলাপ করতে পারতাম না। আমার নিরীশ্বরবাদী কিংবা সংশয়বাদী প্রশ্নকে কেউ পাত্তা দিতে চাইতেন না। চোখ লাল করে কিংবা তুড়ি দিয়ে দিতে চাইতেন। নিজের না-বলা কথা, না-বলা প্রশ্ন দম বন্ধ করে দিতে চাইতো।
এই অসহায় অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে আমার অনেক দিন লেগেছে, অনেক কাঠখোড়ও পোড়াতে হয়েছে…। যাহোক, হয়তো রানা ফারুক বর্তমানে একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আপনি হয়তো মনীষী গৌতম বুদ্ধের এই বাণীটা জানেন :
“O Kalamas, not by hearsay, not by tradition, not by customary, not by the authority of books, not by dialectics, not by what others do, not by grandeur, not by the glamour of a philosophical view, and not out of respect for your teacher, but, O Kalamas, be guided by your own knowledge and conviction.”
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। ধন্যবাদ।
রানা ফারুক,
শুরুরতেই নিচের ক’টি লেখা পড়ে ফেলতে বলবোঃ
১। ঈশ্বর ও বিজ্ঞান – “আছে” ও “নাই” প্রমাণের কথিত দ্বন্দ্ব
২। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর…
৩। ধর্মে বিজ্ঞান – নিম গাছে আমের সন্ধান
৪। ডিম্বের সন্ধান এবং রাশাদ খলীফা ও তার ম্যাথামিটিকাল মিরাকল অব কোরান তত্ত্ব
৫। নবীজী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিয়ে সমূহ এবং কিছু প্রশ্ন
৬। জান্নাতবাসীর পুরস্কার – ‘হুর’দের নিয়ে কিছু কথা
আমার এ কয়টি লেখার বাইরে অভিজিৎ, দিগন্ত, অনন্ত বিজয়, জাহেদ আহমেদের নিচের লেখাগুলোও পড়ে ফেলুনঃ
৭। বিজ্ঞানময় কিতাব
৮। ভগবদ্গীতায় বিজ্ঞান অন্বেষন এবং অন্যান্য প্রসংগ
৯। বিজ্ঞান, ধর্ম এবং অপবিজ্ঞান – কোথায় টানব সীমারেখা
১০। নাস্তিকতা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
এর বাইরেও তাঁদের অনেক লেখা আছে- আকাশ মালিক, দীক্ষক দ্রাবিড়,বন্যা এমন আরো অনেকের লেখাও পাবেন- সমস্ত পড়তে পারেন।
ফারুক রানার মটো এরকম হাজার হাজার রানারা এগিয়ে আসলে বাংলাদেসের সব জায়গায় আমুল পরিবরটন হটে বাধ্য। রানাকে াভিননডন।
রানা,
মুক্তমনার মত পরিপূর্ণ না হলেও বিক্ষিপ্ত কিছু ব্লগ সাইট আছে, একই ধরনের চিন্তাধারার উপর।
অগ্নিসেতুর সাইট
http://agnisetu.blogspot.com/
and
http://www.mukto-mona.com/Articles/agni/index.htm
নাস্তিকের ধর্মকথা
http://nastikerdharmakatha.blogspot.com/
দিগন্তের ব্লগ
http://www.sachalayatan.com/user/diganta
and
http://www.mukto-mona.com/Articles/diganta_sarkar/index.htm
শিক্ষানবিসের ব্লগ
http://bigganpuri.wordpress.com/
and
http://www.mukto-mona.com/Articles/shikkhanobish/index.htm
দীক্ষক দ্রাবিড়ের ব্লগ
http://www.somewhereinblog.net/blog/Dravirblog
and
http://www.mukto-mona.com/Articles/Dikkhak_Dravir/index.htm
আবুল কাশেম
http://islam-watch.org/AbulKasem/
প্রফেট অব ডুম
http://www.prophetofdoom.net/
ফেইথ ফ্রিডম
http://www.faithfreedom.org/
ইসলাম ওয়াচ
http://www.islam-watch.org/
হোমা দারাবী ফাউন্ডেশন
http://www.homa.org/
এক্স মুসলিম
http://exmuslim.com/
এপোস্টেট অব ইসলাম
http://apostatesofislam.com/
আর মুক্তমনার অথার লিস্ট থেইকা অভিজিত, অপার্থিব, নন্দিনী, বন্যা, ফরিদ আহমেদ, জাহেদ আহমেদ, মীজান রহমান, অনন্ত বিজয়, প্রদীপ দেব এদের আগের লেখাগুলো দেখতে পারেন।
আপাততঃ এইগুলাই দেখেন আগে, কামে দিবো।
রানা ফারুক,
প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি – সুদূর পাবনা থেকে এমন চমৎকার একটি ইমেইল করার জন্য। মুক্তমনা যে আর কেবল পশ্চিমা বিশ্বের কিংবা ঢাকা শহরের গুটি কয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, – ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়েছে আনাচে কানাচে – আপনার উপরের ঠিঠিটিই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ।
আপনি সাহস করে এতদিনকার বিশ্বাসের অচলায়ন ভেঙ্গে বেরুতে শুরু করেছেন, সেজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কিন্তু আপনার চিঠি পড়ে মনে হল আপনার শঙ্কা এখনো কাটেনি। দেখে মনে হচ্ছে – সত্য উদঘাটন করে আপনার মন বিক্ষিপ্ত হয়েছে। একটি কথাই কেবল বলব – ভয় পাবেন না। মনে সাহস রাখুন। একদিন হাটি হাটি পা পা করে আমরাও বিশ্বাসের দেওয়াল ভেঙ্গেছিলাম। প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলাম সমাজের জমে থাকা জীর্ণ সংস্কারগুলোকে। তবেই না আজকের জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কবি নজরুলের কবিতার লাইনটি নিশ্চয়ই মনে আছে – আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?
সকাল যে হচ্ছে – অসংখ্য রানা ফারুকের বাস্তব অস্তিত্বই তো তার প্রমাণ। আপনি ভাল কিছু বইয়ের নাম জানতে চেয়েছেন। আমার কথা আমি বলতে পারি। ছোটবেলায় আমার মানসপট বিনির্মাণে প্রবীর ঘোষের ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ (দে’জ প্রকাশনী) বইটার অবদান ছিলো অসামান্য। আর আরজ আলী মাতুব্বরের সত্যের সন্ধান, শফিকুর রহমানের পার্থিব সমাজ, হিউম্যানিজম; তসলিমা নাসরিনের নির্বাচিত কলাম, হুমায়ুন আজাদের নারী সহ অনেক গ্রন্থই আছে।
ম্যাগাজিনের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা পরিষদের কিছু উদ্যমী ছেলে পিলে তাদের ম্যাগাজিন বের করত। এখন হয়ত আর তা নিয়মিত বের হয় না। কিন্তু আমাদের অনন্ত বিজয়ের যুক্তি এবং মুক্তমনা-শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত মুক্তান্বেষা সে অভাব অনেকটাই পূরণ করেছে।
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী ছাড়াও আমাদের ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ এবং ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বই দুটি দেখতে পারেন। এ বছর প্রকাশিত ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’ বইটিও (বইটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ফ্রিথিঙ্কারদের রচনা নিয়ে সংকলণ গ্রন্থ) হয়ত আপনাকে বাড়তি প্রেরণা যোগাবে।
ইংরেজীতে এ ধরণের ভাল বই অনেক রয়েছে। আপনি Dan Barker এর Losing Faith in Faith: From Preacher to Atheist কিংবা রিচার্ড ডকিন্সের The God Delusion দিয়ে শুরু করতে পারেন। এ ছাড়াও David Mills এর Atheist Universe, Christopher Hitchens এর God Is Not Great, স্যাম হ্যারিসের Letter to a Christian Nation, এবং The End of Faith কিংবা ভিক্টর স্টেঙ্গরের God: The Failed Hypothesis পড়ে দেখতে পারেন। ইবনে ওয়ারাকের Why I Am Not a Muslim এবং Leaving Islam: Apostates Speak Out কখনো যদি যোগার করতে পারেন পড়ে দেখবেন।
আর ভাল সাইট তো আছে অসংখ্য। রিচার্ড ডকিন্সের সাইটে বিভিন্ন বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী সাইটের তালিকা দেয়া আছে। দেখতে পারেন।
মুক্তমনার সদস্যরা হয়ত আরো কিছু সাইটের নাম দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
যুক্তি আনে চেতনা, আর চেতনা আনে সমাজ পরিবর্তন।
@অভিজিৎ, ফারুক… প্রচলিত ধর্ম আচরনে অনেক গড়মিল আছে, তা’ বলাই বাহুল্য। তাইবলে কয়েকপাতা পড়েই বিশাল বিশ্বের মূল সত্য জানা যাবে, তা আমি জীবনের ৫০ বর্ষেও কূল পাইনি… স্রষ্টিকর্তা আছেন কি না, তা নিতান্তই অন্তরের গহন অনুভূতির কথা, যে যাই অনুভব করুক, তার নিজের হৃদয়ে তা থাকবে…. তবে মোদ্দা কথা হোল, মানবতা এবং ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে একে কেন্দ্র কোরে আমাদের কর্মজীবন। এ বিষয়ে মাসুদ রানার ধারাবাহিক লেখা উল্লেখযোগ্য। ধন্যবাদ সবাইকে…
ভাই জান তার মানে নাস্তিক হওয়া ছাড়া ব্লগে কোন লেখাই ছাপা হয় না।পাবনা থেকে কে একজন নাস্তিক হয়ে গেল আর অমনি তা ফলাও করে published করে দিলেন ।আর যারা ধর্ম নিয়ে যুক্তি দিয়ে তাদের লেখা published করতে আপনাদের এত কামড় কেন????????
ফারুক নামে যে ছেলেটা যে এখন নাস্তিক দাবিদার আমি মনে করি সে আগেও নাস্তিক ছিলো-নিজ ধর্ম সম্পর্কে তার ভাল কোন ধারনা ছিলনা বলেই মাত্র কয়েকটা লেখা পড়েই নাস্তিক হয়ে গেলো!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার প্রশ্ন কেন আমনারা অন্য ব্লগের মত সবাইকে মেম্বারশিপ দেন না -মেম্বার হতে হলে সবাইকে কি নাস্তিক হতে হবে???????
আমার মত অনেকে আছে যারা বিভিন্ন ব্লগে দিখে যারা বিভিন্ন ব্লগে দিখে সেখানে নাস্তিক ,আস্তিক সবাই member হতে পারে। তবে———-আপনারা কি আস্তকদের ভয় পান???
কেন লেখা ছাপাতে বা মন্তব্য করতে হলে moderation এর স্বিকার হতে হবে???
যে পোস্ট গুলো দেখলাম সবাইতো দেখি কমুনিস্ট এর পচা খাবার খেয়ে অসুস্থ।এখানে আমার কি যুক্তি তুলে ধরব?????????
নামটা তো আবার মুক্তমনা ।তাইলে এই ধরনের সাইটের দরকার আছে?? আপ্নারাই বলুন?? কমুনিস্ট রা আবার রাস্তাঘাটে বলে বেড়ায়”কেঊ খাবে কেঊ খাবে না তা হবে তা হবে না”ভাল–কিন্তু এখানে কি হচ্ছে নাস্তিক রা থাকবে ,আস্তকরা থাকবে না তা হবে তা হবে ।কেন জবাব চাই।মি ।মুক্তমনা।সাহস থাকলে জবাব দিন।
@আরিফ হাসনাত, আপনারা এতো বোকা কেন? আরিফ বলে কেউ চিঠি দেয়নি। ওটা মুক্তমনার বানানো চিঠি। আর মুক্তমনা কোন নাস্তিকদের ব্লগ না। এটা হল হিন্দুদের ব্লগ। এখানে ইসলামকে গালি দেওয়াই আসল কাজ।